নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ইদানিং কি যে হয়েছে! হিজলা, ট্রন্সজেন্ডার, শামিম থেকে শামিমা একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে। এই ট্রন্সজেন্ডার নিয়ে এর আগের ব্লগে আমার অবস্থান স্পষ্ট করেছিলাম। আমি সেখানে যা লিখেছিলাম তার মূল কথা ছিলো হিজলা ও ট্রন্সজেন্ডার এক না। যে জন্মের সময় যৌন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্ম গ্রহন করে তাকে হিজলা বলে। তাদের একই দেহে, বেডা বেডা ও বেডী বেডী ভাব লক্ষ করা যায়। আর ট্রন্সজেন্ডার হচ্ছে যে পুরুষ নারী হয় বা নারী পুরুষ হয়। এই কাজ অপারেশন এর মাধ্যমে করা হয়। আমি সেই ব্লগে স্পষ্ট করেছিলাম আমি কেন এই কাজের বিরোধী।
বিয়ে করার সময় আমি এমন মেয়ে চাইবো যে কিনা প্রাকৃতিক ভাবে ছেলে। একজন মেয়েও চাইবে এমন এক পুরুষ যে প্রাকৃতিক ভাবে পুরুষ। কোন ছেলে অপারেশন করে মেয়ে হয়েছে, এমন মেয়েকে কি আপনি বিয়ে করবেন? আমি তো এমন ট্রান্স ফিমেল কে বিয়ে করবো না।
এখন মনে করেন আমি প্রধান মন্ত্রী। তখন যদি আমি নিজেকে মনে মনে হিটলার মনে করি তখন কি আপনারা আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিবেন? শরীরিক ও ডিএনএ দিক থেকে আমি নাহল ইমরোজ। কিন্তু আমি মনে মনে হিটলার মনে করি। তখন আপনারা আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাখবেন না। তখন আপনারা আমাকে বুঝাবেন। বুঝানো কাজ না হলে আন্দোলন করে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন।
একটা মেয়ের গল্প বলি। সেই মেয়ের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকতো। এই জিনিসটি তার কাছে বিরক্তিকর লাগতো। তাই সে নারী সত্তার প্রতি এতটাই বিরক্ত যে, সে নারী থেকে পুরুষ হতে চায়। এই পুরুষ হওয়াটা তার জন্য সমাধান না। সে যদি পরে পুরুষ হয়, তাহলে তার শারীরিক অনেক কিছুতে ভারসম্যহীন হয়ে যাবে। তখন সে আরো মুশকিলে পড়বে। কারন প্রকৃতিই তাকে নারী হয়ে বানিয়েছেন। এই কাজ করলে আমরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে চলে গেলাম। আমাদের উচিত সেই নারী কে বুঝানো। তাকে মানষিক ভাবে আরো শক্তিশালী করার দায়িত্ব আপনার, আমার, সবার।
এখন কেউ কেউ প্রশ্ন করবে, হার্ট এট্যাকের পর প্যাচ মেকার দিয়ে রোগীকে সুস্থ রাখা হয়। এতেও কি আপনি বিরোধিতা করেন? এখন সেই রোগীকে প্রশ্ন করেন, অসুস্থ হবার আগে ভালো ছিলো নাকি এখন ভালো আছেন। আমি এমন লাইফ স্টাইল লীড করবো যাতে আমার হার্ট সুস্থ থাকে।
ছেলেরা নারী হয় পুরুষত্বহীনতার জন্য। সে সব ছেলেরা বাস্তবতা কে ভয় পায়। পুরুষদের দায়িত্ব পালনে তারা ভয় পায়। পুরুষের দায়িত্ব বাপ মা এর সেবা করা। সংসারের হাল ধরা। শত ঝড়ের মধ্যে নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা। এসব দায়িত্ব পালন করার ভয়ে তারা নারী হয়। সে সব পুরুষদেরও বুঝানো উচিত। তারা যাতে মানষিক ভাবে শক্তিশালী হয় সে দিকে আমাদেরই খেয়াল রাখতে হবে।
আমি কিন্তু এখানে কোন ধর্মীয় কথা বলি নি। একটা প্রশ্ন করে ব্লগ শেষ করলাম কোন ছেলে অপারেশন করে মেয়ে হয়েছে, এমন মেয়েকে কি আপনি বিয়ে করবেন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮
নাহল তরকারি বলেছেন: মনে করেন একজন অসৎ ব্যাবসায়ী খাদ্যে ভেজাল মিশালো। এখন কি আমি বলবো, এটা ঐ ব্যাবসায়ীর ব্যাক্তিগত কাজ? এক্ষেত্রে আমরা যা করতে পারি ঐ ব্যাবসায়ী কে বুঝাতে পারি যে, এই কাজ ভালো না।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৫
মিকাইল ইমরোজ বলেছেন: কেউ যদি অপারেশন করে নিজের শরীরে পরিবর্তন আনতে চায় এক্ষেত্রে সমাজ ও রাষ্ট্রের কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩২
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি মনে করি অপারেশন করে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করা ঠিক না। এতে তারই ক্ষতি। এমন কাজ করে অনেকে শারিরীক জটিলতায় পড়েছেন। আমরা যখন মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়তাম তখন আমাদের বাপ মা কি করতেন? আমাদের বুঝাতেন। ধমক দিতেন। বা খারাপ কাজ করলে বা ভুল করলে আমাদের সংশোধন করার সুযোগ দিতেন। রাষ্ট্র ও সমাজ সেই বুঝানোর কাজ করতে পারে। এখন রাষ্ট্র ও সমাজ কি বুঝাবে? এসব করা ভালো না।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৯
মিকাইল ইমরোজ বলেছেন: ছেলেরা নারী হয় দায়িত্ব নিতে ভয় পায় বলে এই তথ্য আপনার আবিষ্কার?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
নাহল তরকারি বলেছেন: এটা আমার ব্যাক্তিগত অনুমান। এই অনুমান কে নিয়ে আপনারা গবেষণা করতে পারেন। আমার কোন আপত্তি নাই।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩২
মিকাইল ইমরোজ বলেছেন: ভেজাল মেশালে টা ক্রেতার সাস্থের ক্ষতি করে সেজন্যে মানুষ চায়না কেউ ভেজাল মিশাক। কেউ ছেলে থেকে মেয়ে হলে আপনার বা আমার কি ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে আপনি মনে করেন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৬
নাহল তরকারি বলেছেন: উত্তরটি আমি ব্লগেই লিখেছি। আমি চাইনা এমন মেয়ে কে বিয়ে করতে যে কি না ট্রন্স ফিমেল। বা ছেলে থেকে মেয়ে হয়েছে। আপনি কি এমন কোন মেয়ে বিয়ে করবেন যে প্রাকৃতিক ভাবে মেয়ে না?
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২
মিকাইল ইমরোজ বলেছেন: আপনাকে তো তারা বাধ্য করছে না বিয়ে করতে। আপনি আপনার পছন্দমত বিয়ে করেন। আমি আমার পছন্দমত বিয়ে করেছি। ওরা তো জোর করে কাউকে বিয়ে করছে না। আর আমি কাকে বিয়ে করবো কি করবো না তা দিয়ে তো দুনিয়া চলবে না। দুনিয়া আমার একার না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি কি কাউকে বিয়ে করতে জোর করছি? আমি শুধু বলেছি বিয়ে করার জন্য প্রাকৃতিক মেয়ে খুজে পাবো না।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি হিটলার হতে চান? হিটলার'এর আত্মহত্যার কথা তো আপনার মনে নেই, নিশ্চয়!
আপনি আমাদের ব্লগের তারকা, আপনাকে দেখলে আমি সব সময় মনে করি যে, পলিটিক্যাল সায়েন্সে পড়ালেখা করা ১ জন ব্লগার আমাদের মাঝে আছেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫
নাহল তরকারি বলেছেন: আরে ভাই সাব। এটা তো একটা উদাহারন মাত্র। যারা ছেলে হয়েও মনে মনে মেয়ে মনে করে তাদের জন্য আমি হেড লাইন দিয়েছিলাম।
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: আপনি শেষ লাইনে যা বলেছেন তার উত্তরে বলতে হয়, যদি মানব কল্যাণে অবদান রাখতে হয় তো ওই মেয়েকে বিয়ে করতে হয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২
নাহল তরকারি বলেছেন: ভাই। আমি এমন মেয়ে কে বিয়ে করবো না যে আগে ছেলে ছিলো। আমি বার বার বলেছি, এইটাতে (ট্রান্সজেন্ডার করা তে) কোন মানব কল্যান নাই।
৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫
বিজন রয় বলেছেন: আপনি একটু পিছন ফিরে দেখেন, ৫০০ বছর বা ৩০০ বছর আগে যেটা সম্ভব ছিল না বর্তমানে সেরকম অনেক কিছুই করছে মানুষ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ৫০০ বছর আগে মানুষ নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে কোথাও হামলা করতে পারতো না। কিন্তু এখন এটা পারে। এখন পারে বলে কি শখের বশে নিউক্লিয়ার হামলা করবেন?
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: দুই একদিন এইসব ইস্যু নিয়ে হইচই হবে। তারপর সব মাটি।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৪
নাহল তরকারি বলেছেন: এটাও একটা মজা। বলতে পারেন চা কাপের আড্ডা এখন সোসাল মিডিয়াতে।
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০
এম ডি মুসা বলেছেন: জটিল বিষয়! আধুনিক প্রযুক্তি যুগে অনেক কিছু ঘটবে মানুষের চিন্তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক এর বাইরে,
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যার যার ব্যক্তি গত জীবন যার যেভাবে ইচ্ছা লীড করুক। প্রত্যেকের বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান আছে। আমরা কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হাউকাউ না করি।