নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজুস সিম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০১



ডিজুস সিম। এটা সম্ভবত ২০০৫ সালে ১৪ ই এপ্লিল বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হয়। এটি গ্রামিনফোন কম্পানীর একটা সাব ব্রান্ড। এটি তখনকার তরুনদের টার্গেট করে মার্কেটে আনা হয়। ফ্রি এসএমএস ও সস্তা কল রেটের জন্য এই সিম সে সময় তরুনদের মধ্যে ব্যাপক সারা দেয়। একটি ছেলের ভার্সিটি তে ভর্তি হতে হতে ১৯ থেকে ২২ বছর এর মধ্যে। সে সময়ে ভার্সিটি পড়ুয়া পোলাপানদের মধ্যে এটা ব্যাপক সারা দেয়। সে সময়ে গড়ে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল এ গড়ে যাদের জন্ম তারা এই সিম ক্রয় করেছিলো। ২০০৫ সালে তো তারা তরুন ছিলো। প্রেম পিরিতি করতো। ডিজুস সিমের সস্তা কল রেট পেয়ে সারা রাত প্রেম করতো। রঙ্গের কথা বলতো। দুইজন জুটি বিয়ে করার রঙ্গিন সপ্ন দেখতো।

এখন তাদের কি অবস্থা?
এখন তাদের অনেকের বয়স ৪০ এর কাছাকাছি। অনেকে বউ নিয়ে শুয়ে থাকে। সন্তান কে কোন স্কুলে পড়াবে এটা চিন্তা করে। বউ কে ভালোবাসে। বউ কে পেয়ে হয়তো তরুন বয়সের প্রেমিকাকে ভুলে গেছে হয়তো। নারীরাও স্বামী, সন্তান পেয়ে তাদের কথা তেমন স্মরন করতে পারে না। কারো কারো হয়তো একাধিক ডির্ভোস হয়ে, একাধিক বার বিয়ে হয়েছে।

এদের মধ্যে কেউ আজ বিসিএস ক্যাডার, কেউ হয়তো ডাক্তার ইজ্ঞিনিয়ার, জর্জ ব্যারিস্টার। কেউ কেউ হয়তো সমাজের বড় ব্যাবসায়ী। বলতে পারেন তারা এখন সংসার ও পেশা নিয়ে ব্যাস্ত।

ডিজুস সিম এর চাহিদা ও স্কেটু সিমের চাহিদা:

আমি এখানে সিম কে টাইম লাইন এর রূপক হিসেবে ব্যাহার করছি। ডিজুস পোলাপানদের মধ্যে একটি রকি রকি ভাব ছিলো। বলতে পারেন ব্যান্ড সঙ্গীত মার্কা ভাব। সে সময় মানুষ ফ্রি এসএমএস পেলে খুসি হতো। এখন ২০২৪ সাল। ডিজুস এর জন্মের প্রায় ২০ সাল। এখন কেউ ফ্রি এসএমএস চায় না। এখন ফ্রি ইন্টারনেট চায়। এখন ইন্টারনেট এর যুগ। এখন থ্রি জি পার করে এসেছি। আমরা ফাইভ জি এর কাছাকাছি। সারা দেশে ব্রডব্যান্ড চলে গেছে। এখন গ্রামীনফোন যুগের চাহিদা বুুঝে স্কেটু সিম চালু করেছে। দ্রুত ও কম দামী ইন্টারনেট প্যাক শুধু স্কেটু সিমই দিতে পারে।

এই ব্লগটি লেখার জন্য প্রায় এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছি। যখনই ব্লগটি লিখতে বসতাম, কি বিষয়ে লিখবো সেটা ভুলে যেতাম। আজ সেটা ভুলে যাই নি। তাই লিখে ফেললাম।

আমি কি ডিজুস পোলাপান?
আমি ডিজুস ও স্কেটু সিমের ফিউশন পোলাপান। আমি যখন তরুন তখন ডিজুস এর এক্টিভিটি কমে গিয়েছিলো। কিন্তু আমার কাছে ডিজুস সিম ছিলো। এখনও আছে। বাসায় ব্রডব্যান্ড আছে। ঘরের বাহিরে ইন্টারনেট চালানোর জন্য স্কেটু সিম দিয়ে চালাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



১ সপ্তাহ ব্যয় হলেও পোষ্ট আপনি লিখেছেন; আপনার বিশাল আত্মবিশ্বাস ও ডিটারমিনেশন থাকায় এই বিশাল প্রজেক্ট শেষ করতে পেরেছেন। আপনাকে অভিনন্দন জানাবো নাকি?

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আমাদের বড় ভাইয়েরা এই ডিজুস সিম ব্যাবহার করত।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ডিজুস সিম আমি ব্যবহার করি। আমার এই একটাই সিম।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩২

বৈশাখী ঝড় বলেছেন: ডিজুস সিম আমি আজও ব্যবহার করছি। আহা সারা রাত ফ্রিতে কথা বলার সেই দিনগুলো! আর নেই।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

এম ডি মুসা বলেছেন: গ্রামীণ ফোন চলাইনা আর এই প্যাকেজ আমি চালাইছি

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন: নাহল তরকারি --- আপনি যে ভাবধারা বজায় রেখে ও যে থিমের উপর ডিজুস সিম কে একটা টাইমলাইন হিসেবে ধরে সময়ের এক বিন্দু থেকে আরেকবিন্দুতে যাওয়ার অবস্থা এবং ঐ একইসাথে সেই টাইম্লাইনে থাকা মানুষদের মানসিক ম্যাচিউরিটি কার কেমম হয়েছে অভার দ্যা টাইম- সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

ডিজুস সেই সময়ে তারুণ্যের প্রতীক ও একইসাথে কিঞ্চিৎ উশৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবেও দেখা হতো। আমি সভাবতই শৃঙ্খলা বজায় রাখি চলে সেই সময়ে একটা ডিজুস সিম নেয়া হয়নি। নিজেকে কেন যেন সেই ইউথের সাথে ম্যাচ করে নিতে পারি নাই।

অনেক কিছু মনে পড়ে গেলো- অতএব আপনার পোষ্ট সার্থক! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.