নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
এটা আমার নানার বাড়ি। নানা নানী এই ব্লিডিং এ থাকতেন।
আমার নানী মারা যান গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ। তিনি শ্বাস কষ্টের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে মুগদা সরকারি মেডেকেল কলেজে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
আমার নানা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি। আমার নানী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর একজন স্টাফ ছিলেন। অনেক বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াইছি। আমার নানীর বাড়িতেই টিকা দান কেন্দ্র ছিলো।
এর আগে নানী জিপিও এবং বিটিটিবি (বিটিসিএল এর আগের নাম) এ চাকরি করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পযর্ন্ত আমি নানা নানীর সাথেই ছিলাম। তখন আমার নানা সোনালী ব্যাংক, হেট অফিসে চাকরি করতেন। আমি পড়লাম মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয এ। নানী তখন ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে গিয়ে চাকরি করতেন। ২০০৫ সালে আমি আমার আব্বু আম্মুর সাথে চলে যাই। আমার আব্বু সরকারি চাকরি করেন। তখন আমার আব্বুর পোস্টিং ছিলো জয়পুরহাট। ২০০৯ সালে আমি ভবেরচর (গজারিয়া, মুন্সগিঞ্জ) চলে আমি। আবার শুরু হয় নানীর সাথে থাকা। আমার নানী আমাকে খুব আদর করতেন। আমি কলেজে গেলে তিনি তাকিয়ে থাকতেন। কলেজ থেকে আসার সময দেখতাম তিনি আমার জন্য বারিন্দায় বসে থাকতেন। নানী বাড়ির প্রথম তালা নানা করে দিয়ে যান। নানা মারা যান ২০১০ সালের ডিসেম্বর এর ১২ তারিখে। পরে ২০১৭ সালে নানী ২য় তলা কমপ্লিট করেন। তার পরপরই নানী ২য় তরায় সিফট করেন। তখন আমি অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি। তখন পরীক্ষার সময় পরীক্ষা শেষ হতে হতে বিকাল হয়ে যেতো। সোনারগাওঁ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে ভবেরচর (মুন্সীগঞ্জ) আসতে আসতে রাত হযে যেতো। তখন দেখতাম তিনি বাম সাইডের বারান্দাতে বসে আছেন। আমি বাহিরে গেলে বাসায় যেতে যেতে মাগরিব হয়ে যেতো। তখন দেখতাম তিনি নামায পড়ে বারিন্দা তে বসে আছেন। কোন কারনে কলেজ থেকে ফিরতে দেরী হলে ফোন দিতেন। ২০২০ সালের লক ডাউনর সময় আমি আব্বুর সরকারি কোয়াটারে আটকে যাই। এর পরে আর নানী বাড়ি স্থায়ী ভাবে থাকা হয় নি। এর পর আমরা নানী বাড়ি বেড়াতে যেতাম। আব্ব আম্মুর সাথে থাকলে নানী ফোন করে খোজ খবর নিতেন।
সেদিন সব কাজ সেরে বাসায় যেতে যেতে একটু রাত হয়েছিলো। অন্ধকার বাড়ি। তখন মনে হচ্ছিল, এখই নানী বারিন্দা থেকে বলবে “ভাইজু আইছো?”
০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১০
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
ফেনা বলেছেন: কিছু স্মৃতি মানুষকে কাঁদায় আবার মাঝে বিভোর করে রাখে।
আপনার নানীর মাগফেরাত কামনা করছি।
০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১০
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার পড়ালেখায় নানির বড় অবদান আছে, উনার ভালো স্মৃতি আছে আপনার হৃদয়ে। আপনি কি এখন সেখানে থাকেন?
০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি এখন নানীর বাড়িতে থাকি না।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি আমার নানা-নানী কিংবা দাদা-দাদীর সাথে খুব বেশী সময় কাটাতে পারিনি। বলতে পারেন অনেকটাই তাদের আদর-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বিষয়টা আমাকে বেশ পীড়া দেয়। আপনার স্মৃতিকথা পড়তে ভালোলাগে। অদৃশ্য নানা-নানীর আদর অনুভব করি। আপনার নানা-নানীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ আপনার লিখায় বেশ বানান ভুল থাকে। যেমন আপনি "ব্লিডিং" লিখেছেন "বিল্ডিং" এর পরিবর্তে আবার "হেড অফিস" না লিখে "হেট অফিস" লিখেছেন। বিষয়গুলোর প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার অনুরোধ থাকছে।
০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: মামা খালা কি আছে।থাকলে কয়জন,তারা কি করে।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
নাহল তরকারি বলেছেন: ২ বোন এক ভাই। মামায় রেলে এর কন্ট্রাকটর। খালায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক। আম্মু গৃহিনী।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৯
রানার ব্লগ বলেছেন: শব্দটা ব্লিডিং অর্থ রক্তাত্ব হয়ে গেছে, ওটা বিল্ডিং হবে । আমার নিজের গণ্ডা গন্ডা ভুল হয় তাই অন্যের ভুল ধরতে লজ্জাও লাগে আবার মজাও লাগে
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২০
রানার ব্লগ বলেছেন:
মামা বাড়ি , অনেক মজা ।
ঘুরছি ফিরছি, খাচ্ছি গজা ।
বাঁদরামো তে নেইকো সাজা ।
আমার আমি সেথায় রাজা ।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনার এই লেখাটা খুব ভালো হয়েছে।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২২
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান। নানা নানীর আদর ভালোয়াবসা পেয়েছেন।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৩
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: নানা নানীর ব্লিডিংটাও সুন্দর বারিন্দাও সুন্দর। এটা কি গ্রামে না শহরে।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৪
নাহল তরকারি বলেছেন: নানার বাড়ি গ্রামে। ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে। ভবেরচর পৌরসভা এখন সময় এর দাবি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার নানা-নানীর মাগফেরাত কামনা করছি।