![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
শহিদুল একজন ব্যাবসায়ী। তার স্ত্রী বায়না করেছে তাকে একটা দামী শাড়ি কিনে দিতে হবে। শুধু স্ত্রীকে দিলেই হবে না তার শ্যালীও দামী কাপড়ের বায়না ধরছে। দুই সন্তান, স্ত্রী, শ্যালিকা, পিতা মাতা সবাই কে ঈদে কাপড় দেওয়টা মোট লাখ খানিক খরচ। তার মধ্যে ঈদের দিন আবার শ্যালিকা ও পিচ্ছিদের ঈদের সেলামি দিতে হবে। এত সব চিন্তা করে তিনি তার দোকানের সব পন্যের দাম বাড়িয়ে দিলেন। এমনটিই আমরা মনে করি।
আসল ঘটনা হচ্ছে রমজান মাসে আমাদের চাহিদা বেড়ে যায়। মনে করেন ১৬ কোটি জনগণ আছে আমাদের। এর মধ্য ৬ কোটি লোক দুই বেলা না খেয়ে থাকে। রমজান মাসে মুসলিমগণ শুধু নিজে খায় না, অপরকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করে। ১০ কোটি লোক চেষ্টা করে ৬ কোটি লোকদের নিয়ে ভালো মন্দ খাওয়ার। এখন ৬ কোটি লোকের বাড়তির চাহিদার ঠেলা পড়ে বাজারে। বাজারে মালের চাহিদা ১০ কোটি লোকের। সেখানে ১৬ কোটির জগণের তিন বেলা খাবারের যোগান দিতে পারে না।
আবার মনে করেন চিনি, বেশন, বেগুন, ছোলা ইত্যাদি অন্যান সময়ে চাহিদা থাকে না। রমজান মাসে ইফতারির সময় লেবুর শরবত, ছোলা ও বেগুনী থাকে। আপনি ইফতারি ছাড়া আর কখন শরবত থেয়েছেন? রোজা ছাড়া আপনারা কখনো শরবত খান নি। কালভদ্রে একবার থেয়েছেন। তাও আবার কারো বাসায় বেড়াতে যাবার পর। এখন ইফতারি তে জনগন নিয়মিত শরবত খায়। এতে স্বাভাবিক চাহিদা থেকে একটু বেশী চিনি লাগে। চিনির কিন্তু সেই ৫ কেজি সাপ্লাই আছে। কিন্তু চাহিদা ৭ কেজি।
এখন সরকার যদি ১০ কেজি চিনি বাজারে সাপ্লাই দিতো তাহলে কিন্তু চিনির দাম এমনেই কমে যায়। সুতরাং চাহিদা মাফিক পন্যের সাপ্লাই দিতে হবে। দরকার হলে বিদেশ থেকে পন্য আমদানী করতে হবে।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: দিনে না খেয়ে সারারাত ধরে দ্বিগুন তিনগুন খেয়ে সংযম?
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: দাম বাড়াটাই স্বাভাবিক।
কাজেই হই চই করার কিছু নাই।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি প্রয়োজন। করোনায় লেবুর প্রবল চাহিদার পরও দাম বাড়েনি, কারণ প্রচুর উৎপাদন। আর ব্যবসায়ী, সরকারের যুগলবন্দি উদ্যোগও প্রয়োজন।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
সরকার ১০ কেজি সাপ্লাই দিতে হলে, শেখ হাসিনাকে আখের চাষ করতে হবে।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: চিনি না খেলেই তো হয়। ট্যাং কাহবেন। আখের রস খাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২য় প্যারায় যা বলেছেন, তা খুব শক্ত যুক্তি মনে হয় না আমার কাছে।
আমাদের এক শ্রেণির মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। তারা এই এক মাসেই সারা বছরের লাভ করার ধান্ধায় থাকেন। বিদেশে যেখানে রমজানে দাম কমানো হয়, আমাদের দেশে ঘটে তার উলটা কাণ্ড। আর এর জন্য আমরা সাধারণ পাবলিকরাও অনেক বেশি দায়ী। আমাদের খাবারের মেনুতে আইটেমের সংখ্যা বেড়ে যায়। হরেক রকম আইটেম না হলে চোখও জুড়ায় না, প্রাণও ভরে না, আই মিন পেটও ভরে না।
দাম কমানোর ব্যাপারে আমাদের ভোক্তাদেরও দায়িত্ব আছে। যে-জিনিসের দাম চড়া, সে-জিনিস কম কিনতে হবে, পারলে কেনা বন্ধই করে দিতে হবে। উলটো যদি তা বেশি করে কিনতে থাকি, তাইলে তার দাম তো বাড়বেই। শুধু বাড়বেই না, আকাশছোঁয়া হবে।
আমাদের দাবি তুলতে হবে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য। আমরা চাল খেয়ে বাঁচি। চালের দাম কম থাকলে বাকিগুলোও কম থাকবে।
কিন্তু, আমরা ইলিশ, গরু, খাঁসি, খেজুর, আঙুর খাওয়ার জন্য পাগল হইয়া যাই। ইলিশ, গরু, খাঁসির মাংস, খেজুর না খাইলে কি আমরা মরে যাব? অবশ্যই না। কিন্তু, চাল, ডাল না কিনতে পারলে মইরা ভূত হইতে হবে। আগামী এক সপ্তাহ ঘাস খাওয়ার শপথ নেন, দেখবেন, পেঁয়াজ, তেল, গরু, ইলিশের সিন্ডিকেটওয়ালারা পাগল হইয়া গেছে।
ইলিশ মাছ কোনোদিনই এ দেশের গরীব মানুষের নাগালে ছিল না। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ কোরবানির ইদ ছাড়া কালেভদ্রে গরু-খাঁসির মাংস খাইত। আজ থেকে ৪০/৫০ বছর আগের কথা মনে করে দেখুন - কোন বাজারে গরু-খাঁসি জবাই হইত?
যে-সব খাবারের জন্য আমরা বেশি হা-হুতাশ করি, সেগুলো মূলত আমাদের সচ্ছলতাই প্রকাশ করে। আপনার সামর্থ্য থাকলে এগুলো কিনুন, না থাকলে যা খেয়ে বেঁচে থাকা দরকার, তা কিনুন।
সেদিন পুঁটি মাছের কেজি চাইল ৭৫০ টাকা করে। আমি জাস্ট মুখের উপর বলে দিলাম - খাইলাম না পুঁটিমাছ। আমি নিজের ঘরেই এই আন্দোলন শুরু করেছি - যে জিনিসের দাম বেশি, জাস্ট তা থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছি। আমার বেঁচে থাকার জন্য চাল আর ডালের দরকার। তেল, পেঁয়াজ যতটুকু না হলেই নয়, ঠিক ততটুকু।
সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সরকারের দিকে তাকানোর দরকার নাই, চলুন, আমরা যারা বাজার করি, তারাই সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিই।