নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই বাড়িটি বয়ে বেড়াচ্ছে কিছু স্মৃতি।

১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫



ছবিটি ফেসবুক থেকে সংগ্রীহিত।

মনে করুন, সময়টি ১৯৮০ সালের। গ্রামের এক সামর্থ্যবান ব্যক্তি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিলেন। সময়ের সাথে সাথে তিনি বৃদ্ধ হন, আর তার ছেলেরা বড় হতে থাকে। কাজের সন্ধানে একে একে তারা শহরে পাড়ি জমায়। শহরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারা বিয়ে করে, শহরে বাড়ি বানায় এবং কেউ কেউ উপজেলা শহরে নিজেদের বাড়ি বানায়। বৃদ্ধ ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মারা যাবার পর, এই বাড়িটি পড়ে থাকে অবহেলা ও অযত্নে, পরিণত হয় নিঃসঙ্গ স্মৃতিস্তম্ভে।

এই বাড়িতে রয়েছে অগণিত স্মৃতি। একসময় জমজমাট ছিলো এই বাড়ি। বিশেষ করে ক্ষেত থেকে ধান কেটে আনার সময় বাড়ির প্রতিটি সদস্যের ব্যস্ততা বেড়ে যেতো। রাতে দাদা তার নাতি-নাতনিদেরকে গল্প শোনাতেন। এখানে বাচ্চার জন্মের আনন্দে সবাই মাতোয়ারা হতো, নতুন বউকে বরণ করার উৎসবে বাড়ি মুখরিত থাকতো, আবার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বিদায় দেওয়ার সময় আনন্দের সাথে সাথে বিষাদের ছায়াও থাকতো। এমনকি প্রিয়জনের মৃত্যুর শোকও স্পর্শ করেছে এই বাড়িকে।

এই বাড়ি আজও দাঁড়িয়ে আছে, ধারণ করছে তার প্রতিটি ইটের মাঝে লুকিয়ে থাকা স্মৃতির ছাপ। কত হর্ষ-বিষাদ, উত্থান-পতনের সাক্ষী এই বাড়ি, অথচ এখন তা শুধুই একটি নীরব, নির্জন স্মৃতির মিনার।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক

১৪ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: ইট কোথায় পেলেন।বাড়ী টিনের তৈরি।।

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন:

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩২

ঢাকার লোক বলেছেন: দেশে নিশ্চয় এমন অনেক বৃদ্ধ বাবা মা আছেন যারা এই বাড়ির চেয়ে খুব বেশি ভালো নেই !

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫১

শায়মা বলেছেন: আহারে জীবন আহা জীবন জলে ভাসা পদ্ম জীবন!!

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৪

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনি নানী বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেছেন ! গ্রামে অনেকে বলে, নানা বাড়িতে থাকলে অতিরিক্ত আদরে ছেলেপেলে নষ্ট হয়ে যায় ! আপনি দেখছি ব্যাতিক্রম, নাকি সে কথাটাই সর্বৈব মিথ্যা ? :)

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬

নাহল তরকারি বলেছেন: নানা নানীর সাথে থাকলে সন্তান অলস ও ভীতু হয়।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন। ছবিটা দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম আপনারই তোমা বোধহয়!

লেখার শেষের লাইন দুটি বেশ কঠিন হয়ে গেছে। আপনি যদি নিজের ভাষায় লিখতেন, তাহলে আরো ভালো হতো বলে আমার ধারণা।

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

নাহল তরকারি বলেছেন: এভাবে না লেখলে কিছু লোক ভুল ধরবে।

৭| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছবিটা দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম আপনারই আপনারই তোলা...

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮

নাহল তরকারি বলেছেন: এমন বাড়ি আমি খুজে পাই নাই। তাই তুলতে পারি নাই।

৮| ১৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা দেখে আমাদের গ্রামের বাড়িটার কথা মনে পড়ছে। একসময় সেটা সারাদিন সরগরম থাকতো; এখন জনশূন্য, তালাবদ্ধ পড়ে আছে। হয়তো সাপ খোপও ইতোমধ্যে বাসা বেঁধেছে।
এই তো জীবন!

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৯| ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সময়ের নিয়মে সব বদলে যায়, পড়ে থাকে স্মৃতিচিহ্ন।

১৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.