নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
নওগাঁ জেলার বরুন কান্দি গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটার গল্প
২১শে জুন ২০২৪, ৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরি। আজ শুক্রবার। আমি আছি নওগাঁ জেলার বরুন কান্দি গ্রামে। এখানে এসে মনে হচ্ছে প্রকৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধনে এসে পৌঁছেছি। গুগল এপে 24.842785, 88.925619 লোকেশনটি লিখে সার্চ দিলে সহজেই পাওয়া যাবে এই মনোরম স্থান। এই রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে, যেন ইতিহাসের এক গভীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলাম।
এই রাস্তাটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের দিকে নিয়ে যায়, যা প্রায় ৫০ মিনিটের পথ, দূরত্বে প্রায় ২৮.৪ কিলোমিটার। সর্বশেষ আমি পাহাড়পুর গিয়েছিলাম এই বছরের ১৫ই এপ্রিল। এই বিহারটি পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকের শুরুর দিকে নির্মাণ করেছিলেন। এটি একটি বিদ্যাপীঠ ছিল, যেখানে বৌদ্ধরা জ্ঞানচর্চা করতে আসতেন।
বরুন কান্দি গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটার সময়, এক অদ্ভুত পবিত্র অনুভূতি আমার হৃদয়ে উঁকি দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, এই নির্জন রাস্তা ও আশেপাশের প্রকৃতি যেন আমাকে অতীতের জ্ঞানচর্চার সেই স্বর্ণযুগের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে সবুজ ক্ষেত, দূরে গাছপালা আর মাটির গন্ধে ভরা পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করছিল।
হঠাৎ মনে হলো, কেউ আমার কানে ফিসফিস করে বলছে, “অনেক জ্ঞান মাটির নিচে লুকায়িত আছে। সেগুলো উদ্ধার করো।” এই কথাগুলো যেন আমার অন্তরের গভীরে প্রবেশ করেছিল। মনে হলো, এই পবিত্র স্থানে আমি যেন কোনো অদৃশ্য শক্তির স্পর্শ অনুভব করছি, যা আমাকে অতীতের জ্ঞান ও ইতিহাসের অনুসন্ধানে উদ্বুদ্ধ করছে।
এই গ্রাম, এই রাস্তা, এই প্রকৃতি - সব কিছু মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নের জগতে চলে এসেছি। ছবিগুলোতে ধরা পড়েছে সেই অমলিন প্রকৃতির রূপ। প্রথম ছবিতে সবুজ ধানের ক্ষেত, যা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে তুলে ধরছে। দ্বিতীয় ছবিতে পুরনো রাস্তা, যা সময়ের চিহ্ন বয়ে চলেছে। তৃতীয় ও চতুর্থ ছবিতে রাস্তার পাশের গাছপালা ও সবুজ পরিবেশ, যা আমাদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়।
বরুন কান্দি গ্রামের এই রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে, মনে হলো, আমি যেন প্রাচীন এক বিদ্যাপীঠের পথে হাঁটছি, যেখানে মাটির নিচে লুকানো রয়েছে অগণিত জ্ঞানের ভান্ডার। এই অনুভূতি, এই পরিবেশ, এই প্রকৃতি - সব কিছু মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৩
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আহা, কি অপূর্ব সুন্দর ছবি! সেই সাথে যোগ হয়েছে অসাধারণ বর্ণনা। মনটাই উদাস হইয়া গেলো রে ভাই।
কোদাল-খোন্তা-শাবল ইত্যাদি আছে নি বাসায়? থাকলে প্রবল বিক্রমে ঝাঁপায়া পড়েন মাটি খননের কাজে।
লুক্কায়িত জ্ঞান কিছু বাইর করলে জানাইয়েন, ধার নিমু।
২২ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। কোদাল খোন্তা শাবল সবই আছে। আপনি শুধু খনন করার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পত্র এনে দিন। আর একটি বৈজ্ঞানিক টীম গঠন করে দিন। বাকিটুকু আমি ম্যানেজ করে দিমু নে।
৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:০৬
জনারণ্যে একজন বলেছেন: ডরাইছি।
মাফ কইরা দেন ভাই।
২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নাহল তরকারি বলেছেন: কেন ভাই? আপনি কি এতটুকু সাহায্য করতে পারবেন না?
৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঈদ কি গ্রামে করেছেন ? পরিচিত রাস্তা।
২৪ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: আব্বু ছুটি পায় নি। তাই আব্বুর সরকারি কোয়াটার্রে করতে হয়েছে।
৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১২
জনারণ্যে একজন বলেছেন: নাহ, যাবে না, ছোট্ট-সহজ-সরল-ভালোমানুষ ভাইটি আমার।
শুভকামনা থাকলো, একদিন আপনিও বড়ো হবেন কিন্তু পার্থিব কোনো জটিলতা যেন স্পর্শ না করে আপনাকে।
২৪ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১২
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৪
ফারহানা শারমিন বলেছেন: সার্চ দিয়ে দেখবো। শুভকামনা রইলো।