নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ইন্টারনেট বন্ধ। বাংলাদেশে ফেসবুকের ভবিষৎ।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৪

ভূমিকা:
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিয়ের বাজারেও সরকারি চাকরিজীবীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি বিরাট বড় ব্যবসায়ীও হন, আর মাসে দুই-তিন কোটি টাকা ইনকাম করেন, তবুও আপনার কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে না। মেয়ের বাবা বিয়ে দিতে চান আট হাজার টাকা বেতনের সরকারি পরিচ্ছন্নকর্মীর কাছেই।

চাকরির বাজারের চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের চাকরির বাজার খুবই প্রতিযোগিতামূলক এবং কঠিন। প্রতিবছর হাজার হাজার যুবক স্নাতক পাশ করে বেকারত্বের কাতারে যোগ দিচ্ছে। ধরুন, ৫ জন অফিস সহকারী নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লাখ লোক আবেদন করবে। অধিকাংশ লিখিত পরীক্ষা হয় ৭০ নম্বরের। অনেক মেধাবী ছাত্র রয়েছে যারা ৭০-এ ৭০ পাবে। ধরুন ঐ তিন লাখের মধ্যে কমপক্ষে ১০ হাজার জন ৭০-এ ৭০ পেয়েছে। নিয়োগ দেওয়া হবে মাত্র ৫ জনকে। এখানে প্রতিযোগিতা কোন স্তরে পৌঁছেছে তা সহজেই বোঝা যায়।

আমি নিজেও অনেক ইন্টারভিউ দিয়েছি। কিন্তু এখনো লিখিত পরীক্ষা পাস করে ভাইবা বোর্ডে যেতে পারিনি। আমার মনে হয় ৭০-এ ৫০-এর কাছাকাছি পেয়েছি। এমন হাজার হাজার লোক ৭০-এ ৭০ পেয়ে বসে আছে। নিয়োগ কমিটি তো ৭০ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীকে ছেড়ে আমার মতো ৫০ পেয়েছে এমন প্রার্থীকে নেবে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ইন্টারনেট বন্ধ
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ছাত্ররা প্রতিবাদ করছিল। এর মধ্যে ছাত্রলীগ কিছুটা বাধা দেয়, এবং এই সুযোগে নাশকতাকারীরা তাদের কু-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ফেলে। ক্ষতি আরো হতো যদি ইন্টারনেট খোলা থাকতো। সরকার এই পরিস্থিতি বুঝেই ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল। এখন নাশকতাকারীরা ডাটা সেন্টারে আগুন লাগিয়ে আরও ক্ষতি করেছে। যেখানে সরকার দুইদিন পরেই ইন্টারনেট খুলে দিতো, সেখানে এখন মেশিন মেরামত করে, নতুন মেশিন ইনস্টল করে ইন্টারনেট চালু করতে হচ্ছে।

ফেসবুক এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রয়োজন
আমার মনে হয় না সরকার আবার ফেসবুক চালু করবে। বাংলাদেশ সরকার ফেসবুককে একটি চিঠি দিয়েছিল যেখানে কিছু শর্ত দেওয়া ছিল। আমার মনে হয় না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেই শর্ত মেনে নেবে। তাই বাংলাদেশে সরকার ফেসবুক চালু করবে না। তবে ফেসবুকের মতো একটি সামাজিক মাধ্যম বাংলাদেশে চালু করা দরকার। চীনের মতো দেশগুলো নিজেদের সামাজিক মাধ্যম এবং ভিডিও প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং সফল হয়েছে।

উপসংহার
এই ব্লগটি মূলত ফেসবুক নিয়ে কথা বলার জন্যই লেখা। সবার ভালো থাকুক, এই কামনা রইলো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন?

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: না। আমি আন্দোলনে অংশ নেয়নি।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

নতুন বলেছেন: know thyself

প্রথমত নিজেকে জানতে হবে, আমার কি সক্ষমতা আছে সেটা বুঝতে হবে, সেই হিসেবে কাজ খুজতে হবে।

দেশের সবাই ভালো চাকুরি চায় কিন্তু সেই চাকুরী পেতে যেই যোগত্যা অর্জন করতে হয় সেটার জন্য চেস্টা করেনা।

২৭ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুনিয়া দারির কোন খবর রাখেন? ডাটা সেন্টার এর সাথে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার সম্পর্ক কি?

২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

নাহল তরকারি বলেছেন: সেটা জেনেও বা কি লাভ? ক্ষমতাবান লোক যা বলে তাই ১০০% সত্যি। তাদের হ্যা এর সাথে হ্যা না মিলালে জেলখানায় নিয়ে পিটাবে। যেমন ছাত্রলীগ , এলাকার যুবলীগ ওদের কথায় হ্যা না বললে পিটায়। অনেক সময় প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.