নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদ্র ঋন কি সত্যি আমাদের উপকার করে?

১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৭

==> ব্রিটিশ আমল। তখন এক কৃষক জমিতে ফসল ফলানোর জন্য জমিদারের নিকট ঋন নেয়। তাও আবার উচ্চ সুদে। সে বছর অনাবৃষ্টির জন্য ক্ষেতে ফসল ভালো হয় নি। তাই জমিদার কে সুদ সহ ক্যাশ টাকা দিতে পারে নি। তাই জমিদার সাব সেই কৃষকের জমি কেড়ে নিয়ে টাকা উশূল করে।

==> বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষুদ্রঋন জমিদারের সেই ঋনের মত। কিভাবে জানেন? একটা গল্প বলি। মনে করেন ক্ষর্ত্ত্যপ্প্র‌ এনজিও থেকে অন্তরের মা ঋণ নিয়েছে। গরু কিনেছেন। সেই গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চালাবে। এবং এক সপ্তাহ পর পর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবে। কোন একদিন গরু অসুস্থ হয়েছে। ডাক্তার খরচ, ঔষুধ খরচ এর জন্য একটি সপ্তাহে বেশী খরচ হয়ে গেছে। গরু অসুস্থ থাকায় বাজারে দুধ বিক্রি করতে পারে নাই। কিস্তি ওয়ালারা তো নাছোরবান্দা। না টাকা না নিয়ে যাবে না। পরে কিস্তি ওয়ালারা গরু নিয়ে গেলো। কিস্তি ওয়ালা মানে, গ্রাম দেশে যে সব এনজিও ক্ষ্রদ্রঋন দেয় তাদের কিস্তি ওয়ালা বলে।

এখন এই যে এনজিও এর লোকেরা গরু নিয়ে গেলো, এখন এই ঋনগ্রহিতার ইনকাম হবে কিভাবে? আপনারা শিক্ষিত মানুষ। ব্লগে কেউ কেউ বা অর্থনীতি থেকে অনার্স ও মাষ্টার্স পাশ করেছেন। তাদের কে আবার প্রশ্ন করেছি “এই যে এনজিও এর লোকেরা গরু নিয়ে গেলো, এখন এই ঋনগ্রহিতার ইনকাম হবে কিভাবে?” আমরা যে ক্লশ সিক্স সেভেনে যে পড়তামর ক্ষুদ্র ‍ঋণ মানুষ কে ধনী বানায়, ব্যাবসা বাড়ায়, এই করে সেই করে। কই? কোন প্যাক্টিক্যাল উপকার তো দেখছি না। অধিকাংশ ঋণগ্রহিতার অবস্থা/ চিত্র একই রকম। গরিবের অবস্থা আর পাল্টায় না।

অনেকে বলতে পারেন আপনার কথায় রেফারেন্স কি? “ক্ষুদ্র ঋন এর উপকারিতা ও অপকারিতা? কয়জন ক্ষদ্র ঋন নিয়ে বড়লোক হয়েছেন? কয়জন ঐ জমিদারের প্রজার মত সম্বল হারিয়েছেন?” এসব নিয়ে কোন ডকুমেন্টারি নেই। কোন পেপার পত্রিকা, টিভির সাংবাদিক এসব নিয়ে বাস্তব ডকুমেন্টারি করে নি। তাই রেফারেন্স দিতে পারছি না।


==> ফেসবুকে নাটক দেখেছিলাম। যেখানে একজন বড়লোক পোলা তার বাবা কে একটি গাড়ি উপহার দেয়। এমন সময় ব্যাংকের লোকজন সেই বড়লোক বাপের কাছে যায়। এবং ঋনের টাকা ফেরৎ চায়। ব্যাংকের লোকজন ঋনের কিস্তির নোটিশ দেওয়াতে বড়লোক বাপ ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধমক দিয়ে বলে “আপনি আমার উকিলের সাথে কথা বলুন।” তার কাছে টাকা থাকার পরও ব্যাংক লোন পরিশোধ করছেন না। বহুত কিস্তি জমা থাকার কারনে তার বাসায় নোটিশ গেছে। ক্ষমতা, দাপট, উকিলের বুদ্ধির জন্য হয়তো ঋন মাফ হয়ে যেতে পারে।

একই ব্যাংক কর্মকর্তা এক কৃষকের কাছে যায়। এই কৃষক এর ও একই অবস্থা। তবে কৃষক এর ফসল উৎপাদন হয় নি। তাই তিনি ঋনের কিস্তি জমা দিতে পারেন নি। তার কোন শক্ত খুটি নাই বলে, তার হয়তো ঋন পরিশোধ করতে না পারার দায়ে কোর্ট এর চক্কর দিবে। জেল ও হতে পারে। কৃষকের বন্ধকী সম্পদ নিলামে উঠতে পারে।

অতছ কৃষকের ঋন মওকুফ হবার দরকার ছিলো। আর বড়লোক বাপের সম্পত্তি নিলামে উঠানোর দরকার ছিলো। আপনারা কি বলেন? আমাদের টাকার দাম কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। তখন মনে হলো আগে ক্ষুদ্র ঋন এর বাস্তব চিত্র তুলে ধরি।

আমার এই ব্লগ যদি কোন টিভির সাংবাদিক, বা পত্রিকার ডেস্ক রির্পোটার এর চোখে পড়ে তাহলে ক্ষদ্র ঋন নিয়ে কয়জন বড়লোক হয়েছে আর কয়জন জমিদারের প্রজার মত গরিব হয়েছে এই নিয়ে ডকুমেন্টশন তৈরি করতে পারেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৯

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি ক্ষুদ্র ঋন নেই নাই। ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে অন্যজন এর ক্ষতি হতে দেখেছি। ক্ষুদ্র ঋন নিযে মরমু নাকি?

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশের যত ছোট ছোট যত ব্যবসা আছে সব ক্ষুদ্র ঋন এর উপর নির্ভরশীল বিশেষ করে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান ইত্যাদি। আপনার আশেপাশের একটিও দোকান পাবেন না যাদের দুই/তিনটা মাল্টিপার্পাস কোম্পানির বই নেই।
যারা ঋন দেয় এটা তাদের জন্য যেমন লাভজনক ব্যবসা আবার যারা ঋন নেয় তাদেরও অনেক উপকার হয় কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা ঋন নেয় তাদের অধিকাংশ মানুষই টাকাটাকে ব্যবসায় না খাটিয়ে অন্য কাজে খাটায় ওই টাকা পরিশোধ না হওয়ার আগেই অন্য কোম্পানি থেকে ঋন নেয় যে কারণে তারা ঋনের বেড়াজাল থেকে বেড় হতে পারে না।

ঠিকমত মানি ম্যানেজমেন্ট না করতে পারলে ক্ষুদ্র অথবা বড় ঋন দুটোই ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট খাটো ঋন নিয়ে অনেকেই ব্যবসায় ভালো করছে আবার অনেক বড় ঋন নিয়েও অনেকে দিউলিয়া হচ্ছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৬

নতুন বলেছেন: ঋন নিয়ে ঘী খেলে সমস্যায় পড়তেই হয়।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: নিজে জমিয়ে কিছু করলে ভাল। দ্রুত উঠতে চাইলে আপনি তো মাধ্যমগুলোর একটি বলেই দিলেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:




অন্যেরা কি রাজনীতিতে মাষ্টার্স? আপনার চাকুরী হচ্ছে না, আপনি ভবের চরে শুধু হাঁসের ফার্ম করেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান এ মাষ্টার্স। একটা ফার্ম দেবার চিন্তা ভাবনা করছি।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৩

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.