নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
মাসুম: সাতকাহনিয়া গ্রামের গল্প
সাতকাহনিয়া গ্রামের এক নম্র ও ভদ্র ছেলে মাসুম। ২০০৮ সালে, যখন সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো, তখন থেকেই তার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট-সক্ষম মোবাইলের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল। স্কুলের পাশে একটি স্টুডিওতে সময় কাটাতো সে। সেখানে স্টুডিও মালিকের কাজের সাহায্য করতো এবং কম্পিউটারে হাত পাকাতে শুরু করে।
২০০৯ সালে স্টুডিও মালিক তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে মাসুমকে সেলামি হিসেবে কিছু অর্থ দিতে শুরু করেন। এর ফলে তার কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ে। ২০১১ সালে, যখন বেশিরভাগ মানুষ 2G মোবাইল ব্যবহার করতো, তখন মাসুম তার প্রথম ফেসবুক একাউন্ট খোলে। ফেসবুকের মাধ্যমে সে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে থাকে, যা তার ভবিষ্যতের পথ তৈরি করে।
২০১৫ সালে মাসুম ফাইবারে একটি একাউন্ট খোলে এবং প্রফেশনাল ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করে। তার কাজের গুণমান এবং আন্তরিকতা দ্রুত তাকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ২০১৯ সালের মধ্যে তার মাসিক আয় ২০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা তার গ্রামে এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করে।
আজ সাতকাহনিয়া গ্রামের মানুষ মাসুমকে নিয়ে গর্ব করে। নিজের মেধা, পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সে প্রমাণ করেছে যে সঠিক ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাই স্বাবলম্বী হউক সে কামনা করি।