নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
"শুল্ক কর বাড়লেও দেশের মানুষের উপর প্রভাব পড়বে না"—এই বক্তব্য কতটা যৌক্তিক তা ভাবার বিষয়।
ভূমিকা বা আজাইরা প্যাঁচ:
রাষ্ট্র একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, যা পরিচালনা করে সরকার। সরকারের দায়িত্ব হলো দেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, এবং নাগরিকদের সেবা প্রদান। এসব কাজ সম্পাদনের জন্য অর্থের প্রয়োজন। যেহেতু সরকারের হাতে টাকার কোনো জাদুকরী উৎস নেই, তাই সরকার বিভিন্ন মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ করে।
সরকারি আয়ের ধরন:
সরকারি আয়ের প্রধানত দুটি ধরন রয়েছে:
1. প্রত্যক্ষ কর: এটি জনগণের সরাসরি আয় থেকে নেওয়া হয়, যা আমরা ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে জানি।
2. পরোক্ষ কর: এটি পণ্য বা সেবার উপর আরোপিত হয়, যা সাধারণত ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) নামে পরিচিত।
একটি উদাহরণ:
মনে করুন, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাশে একটি ছোট রেলস্টেশনে এক কেরানী অফিসের রিপোর্ট লিখছেন। হঠাৎ কলমের কালি শেষ হয়ে গেলে তাকে ২০ টাকা খরচ করে বাজারে যেতে হয়, ৫ টাকার কলম কিনতে। আবার ২০ টাকা খরচ করে অফিসে ফিরে আসেন। সুতরাং, ৫ টাকার কলম কিনতে তার মোট ৪৫ টাকা ব্যয় হয়। অথচ এই অর্থ দিয়ে তিনি ৯টি কলম কিনতে পারতেন। এভাবেই সরকারি অর্থের অপচয় হয়।
কর নীতির প্রস্তাবনা:
-ভ্যাট কমান: ভ্যাট কমিয়ে পণ্যের দাম সহনীয় করলে জনগণের উপর চাপ কমবে।
-আত্মকর্মসংস্থান বাড়ান: উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করুন।
-ইনকাম ট্যাক্সের স্বচ্ছতা আনুন: কর ব্যবস্থাকে সহজ এবং স্বচ্ছ করুন যাতে করদাতারা উৎসাহিত হন।
-দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন: যারা অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে তুলেছেন, তাদের সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আনুন।
-বড়লোকদের কাছ থেকে ট্যাক্স সংগ্রহ করুন: ধনী এবং প্রভাবশালীদের কাছ থেকে সঠিক পরিমাণে কর আদায় নিশ্চিত করুন
-অপচয় কামন: সরকারি টাকার অপচয় কমান।
-সরকারি আয় বাড়ান: রেল স্টেশন, বিআরটিসি বাস সার্ভিস, ডাক বিভাগ ইত্যাদি থেকে আয় বাড়াতে হবে।
সরকারের সঠিক কর নীতি এবং ব্যয়ের স্বচ্ছতা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে শুল্ক কর বৃদ্ধির কারণে জনগণকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২১
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: আইএমএফ এর কাছ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এক বিলিয়ন ডলার ঋন চেয়েছে। আইএমএফ'র শর্ত মানতে গিয়েই বাড়ানো হয়েছে ভ্যাট-ট্যাক্স । অন্তর্বর্তী সরকারকে আসলে দোষারোপ করে লাভ নাই। ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে দেশ থেকে। সরকার দেশ চালাবে কিভাবে ? ঋন না নিয়েতো কোন উপায় নাই।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশী টাকাতো অন্য দেশে চলে না।বিষয়টা আমার মাথায় ঢুকে না।আমি নিজেও কয়েক কোটি টাকা ভারতে নিয়ে গেছি।কিন্তু আমিতো বাংলাদেশী টাকা ভারতে নিয়ে যাই নি।আমি ঢাকায় তাকে বাংলা টাকা দিতাম সে আমাকে ভারতে ইন্ডিয়ান রুপি দিতে।আমার মনে হয় যত লোক দেশের বাইরে যায় সবাই কিছু না কিছু টাকা এই ভাবে বা অন্য কোন ভাবে দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যায়।চিকিৎসা করাতে যারা যায় সবাই এই ভাবে টাকা নিয়ে যায়।এই বার হিসাব করে দেখেন কতো হাজার কোটি টাকা হয়।
দেশের সবাই টাকা পাচার করে নাম পরে কয়েক জনের ।অবস্য তারা বেশি টাকা নেয়।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৬
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ সঠিক
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঢাবিয়ান বলেছেন: আইএমএফ এর কাছ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এক বিলিয়ন ডলার ঋন চেয়েছে। আইএমএফ'র শর্ত মানতে গিয়েই বাড়ানো হয়েছে ভ্যাট-ট্যাক্স । অন্তর্বর্তী সরকারকে আসলে দোষারোপ করে লাভ নাই। ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে দেশ থেকে। সরকার দেশ চালাবে কিভাবে ? ঋন না নিয়েতো কোন উপায় নাই।
বিগত ৫ বছরের মোট জাতীয় বাজেটের পরিমাণ কত ছিল?
বাজেটের চেয়ে বেশী পরিমাণ টাকা কিভাবে পাচার করতে পারলো?
কায়দাটা কী?
ব্যাখ্যা করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক।