নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
২০০৭ সালে বাংলাদেশে ফখরুদ্দিন আহমদের শাসনামলে একটি নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, যা আধুনিক ভোটার তালিকার প্রথম সংস্করণ হিসেবে পরিচিত। এটি যে আইডি কার্ড আমরা আজকে দেখি, তা আসলে শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড নয়, বরং একটি জাতীয় পরিচয় পত্র, যা বাংলায় সাধারণত 'ভোটার আইডি কার্ড' নামে পরিচিত।
২০০৭ সালের পূর্ববর্তী জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ২০০৭ সালের ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যেমন, পূর্ববর্তী আইডি কার্ডের মেয়াদ ছিল, কিন্তু ২০০৭ সালের আইডি কার্ডে কোনো মেয়াদ নেই। এটি শুধুমাত্র একটি ভোটার আইডি কার্ড নয়, বরং এটি নাগরিকের জাতীয় পরিচয় পত্র, যা তার পরিচয়কে একটি গুরুত্বপূর্ন দলিল হিসেবে প্রমাণ করে। পূর্ববর্তী আইডি কার্ড ছিল ইন্টারনেট ভিত্তিক নয়, এবং এর ডাটা সার্ভারে সংরক্ষিত ছিল না। তবে, ২০০৭ সাল ও এর পরবর্তী জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেট ভিত্তিক, এবং এর সমস্ত তথ্য সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
আগে নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার ফরম পূরণ করতেন না। এই কাজ করতেন স্কুলের শিক্ষকগণ। তবে, এই শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি হাটানো, এটি অনেকেই অপমানজনক মনে করতেন। বাসায় গিয়ে নতুন ভোটারদের ফরম পূরণ করা এবং মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন ছিল।
তবে, ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন ভোটারদের ফরম পূর্ণ এবং সংশোধন করার জন্য অনলাইন পদ্ধতি চালু করে। এর ফলে, তরুণ প্রজন্ম এখন নিজেই অনলাইনে ভোটার ফরম পূর্ণ করতে পারে, এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছে। যেহেতু নতুন ভোটারের বয়স ১৮ বছর, তারা ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠেছে। তাই তারা সহজেই অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে এবং যদি কোনো সমস্যা হয়, তারা ইউনিয়ন পরিষদ, কাউন্সিলর বা কমিশনার অফিস থেকে সাহায্য নিতে পারবে।
এছাড়া, ২০০৭ সালের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ভোটার তালিকায় একটি বিশেষত্ব রয়েছে, তা হলো এতে ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। ছবি সহ জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ভোটার তালিকা এখন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করছে। এই আইডি কার্ডটি এখন শুধু ভোটদান বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নয়, বরং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা যেমন ব্যাংকে একাউন্ট খোলা, জমির রেজিস্ট্রেশন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন, ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমেও ব্যবহৃত হয়। ফলে, এই পরিচয় পত্রের গুরুত্ব আরও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে, এটি নাগরিকদের পরিচয় প্রমাণের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা ইন্টারনেট-ভিত্তিক ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে, সেবা প্রদানকারীরা সহজেই নাগরিকদের পরিচয় যাচাই করতে পারে, যা আগের সময়ে সম্ভব ছিল না।
বাংলাদেশে এই পরিবর্তনগুলি নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও সহজ করে তুলেছে, এবং নাগরিকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০০
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: বিস্তারিত জানলাম ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এবার ভোটার কি ১৮ বৎসর হলে ভোট দিবে ?
নাকি ১৭ হলেই ভোট দিতে পারবে ???
...........................................................................
আপনি কি ভাবছেন ?