নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা দিবস নাকি আত্মতৃপ্তির উৎসব?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৭



১৪ ফেব্রুয়ারি—বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সত্যিই কি এটি ভালোবাসার দিন, নাকি শুধুই জৈবিক চাহিদা পূরণের উৎসব? আজকের সমাজে এই দিবসকে যেভাবে উদযাপন করা হয়, তা কি সত্যিকারের ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি, নাকি নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিফলন?

একটি উদাহরণ ধরা যাক। সাদিয়া নামের ১৫ বছরের এক কিশোরী, ভালোবাসার নামে প্রতারিত হয়েছে। একটি ছেলের টার্গেট হয়ে আজ সে হাসপাতালে, গর্ভপাত করাতে এসেছে। আমাদের সমাজের তরুণ-তরুণীরা ভালোবাসাকে শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। ছেলেরা খোঁজে শারীরিক সুখ, আর মেয়েরা খোঁজে আর্থিক সুবিধা। এই সম্পর্কের মধ্যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কোনো স্থান নেই, আছে কেবল পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধি।



সুশীল সমাজের লোকেরা ১৮ বছরের আগে বিয়ে করতে না করেছে। কারন কী? এই বয়সে মিলন করলে নাকি মেয়েদের শারিরীক সমস্যা হয়। স্বামীর সাথে মিশতে পারে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু পার্কে গিয়ে কিন্তু তারা ঠিকই গর্ভোরন করে ফেলে এবং অপারেশন করে একটি শিশু কে মেরে ফেলে।


এই দম্পত্তি ভালো করেছেন। তারা বিয়ে করে নিজেদের যৌবন চাহিদা পবিত্র রেখেছেন। তারা ভালোবাসা কে অপবিত্র করে নাই।


অন্যদিকে, তথাকথিত সভ্য সমাজ বলছে, ১৮ বছরের আগে বিয়ে করা উচিত নয়, কারণ এতে শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এই বয়সেই অনেক তরুণ-তরুণী পার্কে গিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করে এবং শেষমেশ নিষ্পাপ শিশুটিকে হত্যা করে। তাহলে কি সত্যিকারের ভালোবাসা এই অবক্ষয়ের নাম?

বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন, যেখানে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার করে। প্রকৃত ভালোবাসা মানে হলো একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া, একসঙ্গে জীবন গড়া। যারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজেদের সম্পর্ককে শুদ্ধ রেখেছে, তারা ভালোবাসাকে অপবিত্র করেনি।

আজকের দিনে আমাদের সমাজের উচিত ভালোবাসাকে শুধুমাত্র একটি দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, এটিকে সম্মান এবং মূল্যবোধের জায়গায় স্থাপন করা। ভালোবাসা মানে শুধু শারীরিক আকর্ষণ নয়, বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ, ও নিঃস্বার্থ স্নেহ।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আমাদের ভাবা উচিত—আমরা সত্যিকারের ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরছি, নাকি শুধু সাময়িক আকর্ষণের মোহে নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: প্রসিদ্ধ এক ব্যক্তি ছয় বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেছেন।তাই বলে এখন কি সেটা সম্ভব।এখন মানুষ বিজ্ঞান মনস্ক হয়েছে।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ১৮ বছরের কম বয়সে বাচ্চা নিলে নানান সমস্যা হতে পারে।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১০

এ পথের পথিক বলেছেন: ব্যবসায়ীদের প্রতারনার ফাদে পড়ে বর্তমান তরুন সমাজ ভালবাসার নামে অশ্লীল কর্মকান্ডে (অনৈতিক কাজে) লিপ্ত হচ্ছে, যার ফলাফল আমরা দেখতেই পাচ্ছি কুকুরের মুখে নবজাতক, আত্মহত্যা, ধর্ষন ।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইহা একটি বাণিজ্যিক দিবস।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৮

নতুন বলেছেন: সুশীল সমাজের লোকেরা ১৮ বছরের আগে বিয়ে করতে না করেছে। কারন কী? এই বয়সে মিলন করলে নাকি মেয়েদের শারিরীক সমস্যা হয়। স্বামীর সাথে মিশতে পারে না। ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু পার্কে গিয়ে কিন্তু তারা ঠিকই গর্ভোরন করে ফেলে এবং অপারেশন করে একটি শিশু কে মেরে ফেলে।

এই সব কথাবাত্রা অশিক্ষিত বললে মানায় ব্লগে এমন কথা মানায় না।

মেয়ে স্বাবালিকা হইলেই তার সাথে সেক্স করা যায়। বিয়ে করলে সেই মেয়ে কে যা করতে বলবে তাই শুনবে, তাকে পালন করা সহজ।

কিন্তু একটা মেয়ে শারিরিক এবং মানুষিক পরিপক্ক হবার মতন সময় না দেওয়া সভ্য মানুষের কাজ না। সংসারের নানান হিসাব পত্র একটা মেয়ে ১০-১২ বছরে নিতে পারেনা।

তাই সভ্যরা ১৮ বছরের পরে বিয়ের কথা বরে।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

নিমো বলেছেন: আপনার কাছে ঠিক কী তথ্য আছে যে, অন্য দিনগুলোর তুলনায় কেবল ভালেবাসা দিবসেই এগুলে ঘটে। কোন প্রামান্য তথ্যতো পোস্টে নাই যে অব্য ৩৬৪ দিনে ঘটেই না বা ঘটলেও তার অনুপাত ভালোবাসার দিনের চেয়ে কম। কিংবা কোন বয়সের কারা, কোন আর্থ-সানাজিক অবস্থার, বিদ্যালয় নাকি মাদ্রাসা। কোন ধর্মেররা বেশি, নাকি সবই সেকুলার। লিখলেই হয়ে গেল!

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৮

মেঘনা বলেছেন: আপনে জামাতপন্থী, আপনে শরিয়া আইন চান। - খোলাখুলি বললেই তো হয়। ত্যানা পেচানের দরকার কী ?

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার চোখ আসলে ঐদিকেই এই কারণেই আপনি কেবল দেখেন ভালোবাসা দিবসে মেয়েরা পার্কে গিয়ে সেক্স করছে। জীবনে সেক্স ছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে। সেসবের বাইরে কিছু ভাবেন?

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:২৩

রবিন_২০২০ বলেছেন: কিশোরীর প্রেম অতি চমৎকার মানবিক একটি ব্যাপার। আপনি এটাকে জৈবিক রূপ দিয়ে অযথা নোংরা বানানোর চেষ্টা করেছেন।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খুব মেঘ করে এলে
কখনো কখনো বড় একা লাগে
তাই লিখো
করুণা করে হলেও চিঠি দিও
মিথ্যে করে হলেও বলো
'ভালোবাসি'।
হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.