নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেফের ও এলিয়ান এর যোগাযোগ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৬




অধ্যায় ১: নেফের ও নক্ষত্রলোক
নেফের, এক তরুণী জ্যোতির্বিজ্ঞানী, যার জন্ম এক সম্ভ্রান্ত পুরোহিত পরিবারে। তার চোখে এক বিশেষ ক্ষমতা—সে ভবিষ্যৎ দেখতে পায়, নক্ষত্রের ভাষা বোঝে। গবেষণাগারে তার দায়িত্ব বিশাল কক্ষপথ-মডেল পর্যবেক্ষণ করা, যেখানে তারা নক্ষত্রের চলাফেরার প্যাটার্ন রেকর্ড করে।

এক রাতে সে পিরামিডের চূড়ার কাছে ওঠে। তার চোখে ভয় আর বিস্ময়ের মিশ্রণ—একটি রক্তিম আলো আকাশে জ্বলছে। বিশাল ধাতব প্লেটের মতো কিছু যেন আকাশের গহ্বরে নড়াচড়া করছে।

অধ্যায় ২: পিরামিডের গোপন প্রকল্প
রাজা খাফরে নেফের ও অন্যান্য জ্ঞানীদের একটি বিশেষ প্রকল্পে নিয়োগ দিয়েছেন—"আনুবিসের কণ্ঠ"। পিরামিডের অভ্যন্তরে তৈরি করা হয়েছে বিশাল শক্তির এক স্ফটিক-কক্ষ, যার মাধ্যমে মহাজাগতিক সংকেত পাঠানো হবে।

বাইরে পিরামিডের পাশে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল এক অ্যান্টেনা, যার আকৃতি বিশাল এক পদ্মফুলের মতো। সেই অ্যান্টেনার মাধ্যমে মহাজাগতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত হলো যখন তারা প্রথম সংকেত পাঠালো।

অধ্যায় ৩: আগন্তুকের আগমন
এক গভীর রাতে গবেষণাগারের ধাতব যন্ত্র থেকে এক অদ্ভুত শব্দ বেরিয়ে আসে। নেফের ঘুম ভেঙে ওঠে। এক ঝলক উজ্জ্বল নীল আলো গবেষণাগারের কক্ষভর্তি করে ফেলে। বিশাল পিরামিডের ছায়ার মধ্যে ধীরে ধীরে গঠিত হয় এক ছায়াময় অবয়ব।

"তোমরা আমাদের ডেকেছো?"

শব্দটি ধাতব, গভীর, অথচ নরম। পিরামিডের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে থাকা অজানা অবয়বটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে—তার চেহারা মানুষের মতোই, কিন্তু চোখ দুটি নক্ষত্রের মতো দীপ্তিমান।

রাজা খাফরে ও অন্যান্য পুরোহিতেরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান।

অধ্যায় ৪: নেফেরের আত্মত্যাগ
আগন্তুক জানায়, তারা বহু শতাব্দী ধরে পৃথিবীর উন্নতি পর্যবেক্ষণ করছিল। কিন্তু মানবজাতি এখনো সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়। তারা মিশরীয়দের জ্ঞান দান করতে পারে, কিন্তু বিনিময়ে চায় একটি মূল্যবান কিছু—নেফেরের ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা।

নেফের রাজি হয়। সে জানে, এটাই একমাত্র উপায় যাতে মিশরীরা ভবিষ্যৎ দেখতে পারবে, নক্ষত্রের ভাষা পড়তে পারবে।

যখন আগন্তুক তার দিকে হাত বাড়ায়, এক তীব্র আলো নেফেরকে ঘিরে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে সে মিলিয়ে যায়, আর তার পরিবর্তে আকাশে এক উজ্জ্বল নতুন নক্ষত্র জন্ম নেয়।

উপসংহার:
পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ধরে মিশরীয় সভ্যতা এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করে। তারা জ্যোতির্বিজ্ঞান, স্থাপত্য, চিকিৎসা ও শক্তির নতুন উৎস আবিষ্কার করে। আর পিরামিডের উপর দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল অ্যান্টেনাটি আজও আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে, যেনো কোনো একদিন নেফেরের ফিরে আসার অপেক্ষায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪১

অধীতি বলেছেন: এটা কি মিশরীয় মিথ? দারুণ লাগল। ধন্যবাদ অনেক অনেক।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: ভিন্ন প্রসঙ্গঃ ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানাই।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪

নকল কাক বলেছেন: ভাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.