নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাজের সময় কাজী। কাজ ফুরালে পাজি।

ইমরোজ৭৫

আমি একজন সাধারন মধ্যবিত্ত ছেলে।

ইমরোজ৭৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থানীয় সরকার: ইউনিয়ন পরিষদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩



ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদের মোট সদস্য ১৩ জন। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে নয়টি ওয়ার্ড থাকে। ইউনিয়ন পরিষদে একজন চেয়ারম্যান। নয়টি ওয়ার্ডের জন্য ৯ জন মেম্বার। এবং তিনজন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার থাকে। মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এরা হচ্ছে জনপ্রতিনিধি। এদের মেয়াদ বা সময়কাল পাঁচ বছর। পাঁচ বছর পর পর জনগণের নির্বাচিত ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদে জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কয়েকজন সরকারি স্টাফ থাকে। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এবং হিসাব সহকারী হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের স্টাফ। এরা সরকারের ভেতন ভুক্ত কর্মচারী। এরা জেলা প্রশাসক বা ডিসি সাহেবের অধীনে। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এবং হিসাব সহকারী এর কাজ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কাগজ পত্র, হিসাব, চিঠি ও অন্যান অফিসিয়াল কাজ ম্যানেজ করা।

আরেটি পোস্ট হচ্ছে দফাদার এবং মহল্লাদার। এরা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী। এদের বেতন সরকারে দেয়। কিন্তু এরা স্থায়ী না। এরা মাষ্টার রুলে চাকরি করে। মানে হাজিরা দিয়েছো, বেতন নেও। এদের কাজ হচ্ছে গ্রাম পাহাড়া দেয়া। তবে আমি তাদের কোন সময় পাহাড়া দিতে দেখি নাই। শীত কালে যখন আমাদের অঞ্চলে ডাকাতের প্রৌকপ বৃদ্ধি পেয়েছিলো, তখন আমরা যুবকরা মিলে পাহাড়া দিতাম। কিন্তু এই দফাদার কে খুজে পেতাম না।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ন পদ হচ্ছে ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্যোক্তা। এদের কোন বেতন নাই। এরা সরকারের বা ইউনিয়ন পরিষদেরও নিয়োগভুক্ত কেউ না। এই পোস্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত কেউ না। ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কাজ যেমন জন্ম নিবন্ধন তৈরি। প্রত্যয়ন পত্র টাইপ করে দেয়া, ও অন্যান ডিজিটাল সেবা প্রদান করা। এই সেবার বিনিময়ে আপনি উদ্যেক্তা কে যে পারিশ্রমিক দিবেন সেটাই এই উদ্যোক্তার আয়। এটা সম্ভবত a2i এর সদস্য।


২০১৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব একজন প্রতিনিদি পাঠায়। বাড়ি বাড়ি থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়ার জন্য। আমি তো তখন নানী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করি। আমাদের বাড়িতে আসছে। ট্যাক্স নিবে। আমাদের পাশের বাসার নানা আর আমি বাহিরে আকাশ কুশুম গল্প করছিলাম। ঐ প্রতিনিধি বলেছে “আমরা সচিবের লোক। আমরা হোল্ডিং ট্যাক্স নিতে এসেছি।” আমার নানায় মনে করেছে এই লোক মনে হয় সচিবালয়ে চাকরি করেন। শুধু আমি বুঝেছিলাম উনি ইউনিয়ন পরিষদের সবিচের প্রতিনিধি।


চলবে..........।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের একটি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়িন।
বরিশালের উজিরপুর থানাধীন ১ নং সাতলা
ইউনিয়ন পরিষদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমাদের একটি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়িন।
বরিশালের উজিরপুর থানাধীন ১ নং সাতলা
ইউনিয়ন পরিষদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আপনার ইউনিয়ন নিয়ে কিছু লেখতে পারেন।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আগের চেয়ে অনেকটাই গুছিয়ে লিখেছেন।
তবে এখনো বানান ভুল আছে বেশ কিছু।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.