নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Indolent Mahmud বয়সঃ২১। ধর্মঃ ইসলাম

Indolent Mahmud

Indolent Mahmud › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক কিভাবে সৃষ্টি হয়

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

আপনি কি জানেন নাস্তিক ব্লগার সৃষ্টি হয় কিভাবে ??
অনেকেই ভাবে, ‘নাস্তিক ব্লগার মনে হয় এমনি এমনি তৈরী হয়’,যা সত্যিই অমূলক ধারণা।নাস্তিক ব্লগার কখনই এমনি এমনি সৃষ্ট হয় না।এর পেছনে কাজ করে বিভিন্ন দালাল গোষ্ঠী,যারা বিভিন্ন বিদেশী সংস্থা থেকে অর্থ পেয়ে কাজটি করে থাকে।এই দালালরা বিভিন্ন উপায়ে সেই টাকা ছড়িয়ে দেয়,আর তাতেই ধরা খায় আর্থিক কষ্টে ভোগা বিপদগামী ছাত্র সমাজ।নিজের প্রয়োজন মেটাতে দালালদের ক্ষপ্পরে পরে ধর্মবিরুদ্ধ লেখা শুরু করে,সাধারণ জনগণকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে,সৃষ্টি করে দেশজুড়ে অরাজকতা।আর ঐ অরাজকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করে নেয় বিদেশী শক্তিগুলো।
নাস্তিক ব্লগারদের দালাল হিসেবে যার নাম প্রথমে আসে সে হচ্ছে,নরওয়ের নাগরিক অরিল্ড ক্রোকারহৌগ।এ ব্যক্তি চালু করে স্যামহোয়্যার ইন ব্লগ নামক সবচেয়ে বড় বাংলাব্লগ সাইট,যেখানে প্রকাশ্যে নাস্তিকদের প্রমোট করা হতো।বিভিন্ন নাস্তিকদের নিয়মিত ভাতা দিতো এ নরওয়ের নাগরিক।শুধু তাই না,আস্তিকদের মধ্যে যারা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে লিখতো,তাদেরকেও বাগে আনতে বিভিন্ন অফার ছুড়ে দিতো অরিল্ড ও তার স্ত্রী গুলশান আর জানা (বিঃ দ্রঃ অরিল্ড অনলাইন শপ‘বিক্রয় ডট কমের মালিক)।
এরপর নাস্তিক ব্লগার তৈরীর জন্য যে নামটি বলতে হয়,সেটা হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিক সুশান্ত দাস গুপ্ত এর নাম।সুদূর ব্রিটেন থেকে সুশান্ত বাংলাদেশে নাস্তিকতা ছড়াতে আমারব্লগে নাস্তিক লেখক তৈরী করতো,যাদের মূলকাজ ছিলো সারা দিন ধর্ম নিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করা,ধর্মবিরোধী প্ল্যাটফর্ম তৈরী করা।
নাস্তিক ব্লগারদের পৃষ্ঠপোষক হিসেব যার নাম শীর্ষে,সে হচ্ছে অভিজিৎ রায়।এ অভিজিৎ রায় ২০০১ সালে ইয়াহু গ্রুপের মাধ্যমে একটি নাস্তিক কমিউনিটি তৈরী করে,সেখানে সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নাস্তিকদের একত্র করে।এরপর ২০০২ সালে অভিজিৎ তাদের নিয়ে চালু করে মুক্তমনা ব্লগ।ঐ লেখক কমিউনিটির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া,আমেরিকা,কানাডা,ইউরোপের অনেক শীর্ষ নাস্তিক ছিলো।
উল্লেখ্য অভিজিৎ রায়ের প্রতিষ্ঠিত লেখক কমিউনিটির মধ্যে ছিলো অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সৈকত চৌধুরীর মত কুখ্যাত নাস্তিক লেখক,যে ইহুদীদের ওয়েবসাইট‘জিহাদ ওয়াচ’র একজন নিয়মিত লেখক।সম্প্রতি বাংলাদেশের বইমেলায় নিষিদ্ধ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’নামক বইটির অনুবাদক ছিলো এ সৈকত চৌধুরী।আরো উল্লেখ্য কিছুদিন আগে নিহত ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসের‘পার্থিব’ (প্রকাশনা শুদ্ধস্বর) নামক একটি বই বেরিয়েছিলো।এ বইটিতে অনন্তের সাথে সহলেখক ছিলো এ কুখ্যাত সৈকত চৌধুরী।সোজা ভাষায় মুক্তমনার অভিজিৎ রায় ছিলো বাংলাদেশে অধিকাংশ নাস্তিকদের গডফাদার,যে পশ্চিমাদের অর্থ প্রবাহে বাংলাদেশে নাস্তিকতা ছড়াতে দালালের ভূমিকা পালন করতো।যেটা তার মৃত্যুর পর পশ্চিমাদের লাফালাফির পর প্রমাণ হয়।
এভাবে বিভিন্ন বিদেশী অর্থপুষ্ট দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশে নাস্তিক সৃষ্টি হচ্ছে,অর্থকষ্টে ভুগা দরিদ্র ছাত্র সমাজ এদের ফাদে পা দিয়ে একদিকে যেমন নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে,অন্যদিকে সৃষ্টি করছে সামাজিক বিশৃঙ্খলতা,আর তাতেই ফায়দা লুটে নিচ্ছে পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী।আজ আর নয়,সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বিঃ দ্রঃ আসলে নাস্তিক বলে কিছুই নাই সবগুলোই ইসলাম বিদ্বেষী মুক্তমনা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.