![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য৷
দুরুদ সালাম নবীয়ে কারীম স. এর উপর এবং তার পরিবার ও সাথীবর্গের উপর৷
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে খেলাফতের শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে৷ যে খেলাফতের ব্যপারে ‘দাওলাতুল ইসলাম ইরাক ওয়াশ শাম’ (isis) ঘোষণা করেছে৷ উক্ত বিষয়টিতে শরীয়তের নির্ভেজাল দৃষ্টিকোন গ্রহণ করতে নিরপেক্ষ প্রয়াস চালিয়েছি, তাই আল্লাহকে সাহায্যকারী বানিয়ে আর ইখলাস ও সরলতা ও সওয়াবের আশা রেখে আমার আলোচনা শুরু করছি৷
অনেকে মনে করে যে, “শরয়ী নেতৃত্ব (ইমামত) খেলাফত ব্যাতিতই সম্ভব……..অথচ উভয়টাই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়৷”এটা একটা ভুল চিন্তা…! বাস্তবে শরয়ী নেতৃত্বই হল খেলাফত৷ অথচ শরীয়তে উভয়ের মধ্যে কোন ভিন্নতা নাই৷ কাজেই যেখানেই ইসলামী নেতা পাওয়া যাবে সেই খলিফা, চাই মানুষ তাকে খলিফা বলে সম্বোধন করুক অথবা আমীর৷এ মাসআলায় বাস্তব শরীয়ত আর প্রচলিত (উরুফ)এর মধ্যে পার্থক্য না করার কারনেই এ ভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে৷
তাই শরীয়তের মর্মের দিকে গভীর মনোনিবেশ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছা আবশ্যক, আর কোন বিষয়ের হুকুমের দিকে গভীরে দৃষ্টিপাত করলে তার বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা বের হয়ে আসে৷ আর প্রচলিত রাজনীতি ও খেলাফতের মধ্যে পার্থক্য বুঝাও আবশ্যক৷ কেননা খেলাফত হল শরিয়তের একটা বিষয় যা রাজনীতিতে অচল৷ এখন আমরা যদি খেলাফত ফিরিয়ে আনার আবশ্যকতা নিয়ে কথা বলি, তাই বলে আমাদের মাঝে শরীয়ী খেলাফতের অনুপস্থিত আছে এ মর্মে আমাদের স্বীকৃতি দিচ্ছি ব্যপারটা এমন নয়, বরং আমরা আল্লাহর দ্বীন, হুকুম মেনে আসছি সেদিন থেকে, যে দিন থেকে তালেবানদের হাতে ইসলামী হুকুমত কায়েম হয়েছে৷ কিন্তু যে খেলাফত আমাদের মাঝে অনুপস্থিত সেটা হল প্রচলিত রাজনীতির নিয়মানুসারে খেলাফত৷ এ কথা ভালভাবে সাব্যস্ত করার জন্য বলব-
খেলাফতে শরইয়্যাহ হল ‘বড় নেতৃত্বের জন্য মুসলমানদের কোন ব্যক্তির হাতে বায়আত দেওয়া৷ যদিও বা সেই বায়আত কালে অথবা পরে বায়আত সমস্ত মুসলিম দেশের উপর তার কতৃর্ত্ব ক্ষমতা বলবত্* থাকুক বা না থাকুক৷ তবে শর্ত হল তার পূর্বে অন্য কারো উপর বায়আতকর্ম সংগঠিত না হতে হবে৷ আর খিলাফাতে উরফিয়্যাহ (বর্তমানে প্রচলিত খেলাফতের সংজ্ঞা) হল যেটা “প্রচলিত রাজনৈতিক ধারনা” তা হল, মুসলিম বিশ্বের সকল রাষ্ট্র তার কর্তৃত্ব স্বীকার আর ধর্মীয়গুরু হিসেবে তার আনুগত্য ও মান্য করা৷
আর শরয়ী আহকাম সমূহ বর্তমানে প্রচলিত ধারনার বানে প্লাবিত হবে না৷ একমাত্র শরিয়তের চিরন্তন বাস্তবতাই কার্যকর হবে৷ অর্থাত্* খেলাফতের দায়িত্ব একমাত্র তিনিই পালন করবেন যিনি প্রথমে খেলাফতের বায়আত নিয়ে আমির হিসেবে নির্বাচিত আছেন যদিও সে নিজেকে খলিফা দাবী না করে৷ কেননা শরিয়তের আলোকে ঐ বায়আতই খেলাফত ৷ বাস্তব খেলাফতের মর্মের ব্যপারে উপরোক্ত ভাবনা নিজের বুদ্ধি থেকে আনিনি বরং এদিকেই শরীয়তের নসসমূহ (দলিল) দিকনির্দেশ করে ৷ শরিয়ত একাধিক নেতৃত্বকে নিষেধ করে আর খেলাফতের দায়িত্ব প্রথম ব্যক্তির উপরই বর্তায়৷
ইসলামী দেশ সমূহ কোন ব্যাক্তিকে শরয়ী বায়আত প্রদান করল অতপর অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত দায়িত্বের দাবী করল এ কথা বলে যে, আপনাকে দেয়া বায়আত তো হল শুধু ইমারতের আমিরের হিসেবে আর আমি তো মুসলিমদের বায়আত নিচ্ছি খেলাফতের যে, আমি খলিফাতুল মুসলিমিন৷ এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না৷ এমন ধরনের দাবী শুধু ‘ইমারত’ ও ‘খেলাফত’ শব্দের পার্থক্যের ভিত্তিতে, শরিয়তে যার কোন ভিত্তি নাই৷ খেলাফাত হল মুসলমানদের দায়িত্বভার গ্রহণ করা, আর যেই মুসলমানদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবে শরিয়তের দৃষ্টিকোন থেকে তাকেই খলিফা বলা হবে৷ এখন বাকী রইল শুধু নিদৃষ্ট করা একাধিক আমিরের আভির্ভাব হলে এই (খেলাফতের) পদের হক্বদার কে হবে৷
প্রিয় পাঠক! সাধারণ নেতৃত্ব যার মধ্যে সাধারণ মুসলিমগণ অন্তর্ভূক্ত আর যুদ্ধের নেতৃত্ব অথবা মুসলিম সাধারণের একটি জামাতের নেতৃত্বের মাঝের পার্থক্যের ব্যপারটা ব্যখ্যা করছি৷ নিম্নোক্ত কথাগুলো শাইখ আবু মুনযিরের যা ঐসমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলিল হবে যে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করে না যা পরিত্যজ্য বলে বিবেচিত হবে৷[মুনিরুত তাওহিদ ওয়াল জিহাদ]
এমনিভাবে ফিকহী দৃষ্টিকোন থেকে মুসলিম জনপদসমূহের আমীরের (যদি সে প্রথম বায়আতপ্রাপ্ত না হয় তবুও) মাঝে খলিফাতুল মুসলিমীন পদের মাঝে কোন পার্থক্য নাই৷ শুতরাং নেতার যে অধিকার উভয়ের (আমির এবং খলিফা) অধিকার এক৷ নেতার যে দায়িত্ব উভয়ের (আমির এবং খলিফা) একই দায়িত্ব৷ উভয়ের মাঝে শুধু পার্থক্য হল প্রথমজন ইসলামী বেশ কিছু রাষ্ট্রসমূহে অথবা সমস্ত মুসলিম বিশ্বে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়নি৷ আর দ্বিতীয়জন কিছু রাষ্ট্রসমূহে অথবা সমস্ত মুসলিম বিশ্বে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। নেতৃত্বের জন্য ‘কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা’ ইসলামী শরীয়তের হুকুমে কোন প্রভাব ফেলবে না৷ কারণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নেতৃত্বে জন্য শর্ত নয়৷ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় বায়আতের মাধ্যমে, কর্তৃত্বের দ্বারা নয়৷ এ অর্থে শরয়ী সীমরেখায় খেলাফতে উসমানী আর খেলাফতে তালেবানীর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই৷
ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ
যদি সমস্ত মুসলমানদের এক আমীরের নেতৃত্বে একতাবদ্ধ করতে হয় তবে একাধিক ‘ইমারত’ বৈধ হতে পারে না৷
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খেলাফত বিষয়ে কোরআন হাদিস কি বলে । নবী পাক সাঁ বিদায় হজের ভাষণে বলেন আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে
যাচ্ছি এক কোরআন ও হাদিস এবং ২য় আহলে বাইয়াত বা খেলাফত প্রতিষ্ঠা । খেলাফত সাহাবাদের যুগে ছিল । এজিদ কর্তৃক ইমাম হোসেন রা এর শাহাদৎ বরনের মাধ্যমে তা বিলুপ্ত হয়ে যায় আসে ইসলামে স্বৈরশাসক ভ্রান্ত আইন যা অহাবি মতবাদ । কোরআনে ৬৬৬৬ টি আয়াত সন্নিবেশিত ছিল এরা গুরুত্বপূর্ণ খেলাফত ও মারফত সন্নিবেশিত ৪০০ শত আয়াত বাদ দিয়ে বর্তমান কোরআন রুপ দিয়েছে । অনেক ছহি হাদিস বিলুপ্তি ঘটায়ে এরা বিভিন্ন জাল হাদিস প্রনয়ন করে এরা ইসলাম কে ডুবাতে চেয়েছে ।
পরবর্তী উমাইয়া বংশধর ইরাকে আবার খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে ।
খেলাফত অলি আউলিয়াদের মাধ্যমে যুগে যুগে প্রতিষ্ঠা ছিল কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে । কিন্তু ইসলামী খেলাফত এক আমীরের অধীনে
থাকবে সেটার মধ্য একটু গলদ আছে বলে মনে হয় । বর্তমানে ইসলাম কে রাজনীতির অংশ বানিয়ে মাঠে খেলা করছে কিছু সংখ্যক ইহুদি বেঈমান এর দল । মানুষ ব্যাক্তিগত ভাবে ভুল করতে পারে কিন্তু ধর্ম কি ভুল করে , না যে ভুল পথে চলে বা ভুল ধান ধারনা রাখে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় । দেখা যায় কোথাও যুদ্ধ বিগ্রহ বা নানা রকম ধংশযজ্ঞ চললে ইহুদি বা বেঈমান গন ধুয়া তুলে এসব ইসলামী জজ্ঞিদের কর্ম । আল্লাহ যে ধর্মকে তার মনোনীত শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসাবে আজ্ঞায়িত করেছে । সেই ধর্ম কে
সেই ইসলাম কে কটাক্ষ কেন ? ।
ইসলামী ধার্মিক হয় , মুমিন হয় , পরহেজগার হয় । কিন্তু ইসলামী জঙ্গি নাম কারা দিয়েছে ।
কই ইহুদি , খ্রিস্থান , হিন্দু , বুদ্দু , আরো নানা ধর্ম জগতে তাদের নামের অগ্রে তো জঙ্গি ব্যাবহার হয়না । আসলে সব কিছুই মু৮লে এক্য আর মুসলমানদের মধ্য রয়েছে একতার বড়ই অভাব ।