![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা আনুবাদ বই --->> দ্যা শাইনিং - স্টিফেন কিং
সম্পূর্ণ বই পড়ার লিংকঃ http://goo.gl/nJ456R
৩০০০+ স্ক্যান করা বাংলা বই ও ম্যাগাজিন নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন বাংলা লাইব্রেরি ...... http://www.thebanglabook.com
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বিজন শররমা বলেছেন: সব ই-বইয়ের দাম ৯.৯৯ ডলারে রাখবে অ্যামাজন
যুক্তরাষ্ট্রের বিক্রি হওয়া প্রতি পাঁচটি বইয়ের দুটি বিক্রি করে অনলাইনভিত্তিক বিক্রেতাপ্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পাশাপাশি অনলাইনে বই বেচাকেনায় অ্যামাজন বিরাট বাজার তৈরি করেছে।
এই প্রতিষ্ঠান এখন চাইছে ই-বইয়ের মূল্য ৯ দশমিক ৯৯ ডলারের মধ্যে রাখতে। অর্থাৎ ইলেকট্রনিকভাবে রূপান্তরিত যেকোনো বই পাঠক পাবে ১০ ডলারের নিচে (৮০০ টাকার কম)।
তবে তাদের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন বিশ্বের নামকরা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও লেখকেরা।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় মুদ্রিত বই বিক্রেতাপ্রতিষ্ঠান ওয়াটারস্টোনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমস ডন্ট বলেন, এই উদ্যোগ বইয়ের বেচা-কেনায় অ্যামাজনের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে তাঁদের লাভের পরিমাণ বাড়াবে।
বিরোধের সূত্রপাত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম প্রকাশনা সংস্থা ফরাসি প্রতিষ্ঠান হ্যাসেটের সঙ্গে অ্যামাজনের চুক্তি নিয়ে। অ্যামাজন হ্যাসেটের কোনো বই ৯ দশমিক ৯৯ ডলারের বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না বলে জানালে হ্যাসেট এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। সেখান থেকেই মতবিরোধের সূচনা।
এর পাশাপাশি অ্যামাজন অনলাইনে বইয়ের প্রচারণার জন্য আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দাবি করছে হ্যাসেটের কাছে। আর যেসব বইয়ের মুদ্রিত সংস্করণ শেষ, সেগুলো যেন অ্যামাজন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ছাপাতে পারে সেই দাবিও করা হয়েছে, যা হ্যাসেট মেনে নেয়নি।
গত মে মাসে সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে, যখন বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক জে কে রাউলিংসহ প্রখ্যাত আরও অনেক লেখকের বই অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে কিনতে পাওয়া যাচ্ছিল না। হ্যাসেটের মূল প্রাতিষ্ঠানিক মালিক ল্যাগার্দের অভিযোগ, অ্যামাজনে ক্রেতারা বই কিনতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হ্যাসেটের বই বিক্রির পরিমাণ ২০১৪ সালের প্রথম ছয় মাসে কমে এসেছে।
হ্যাসেটের সঙ্গে অ্যামাজনের এই ঝামেলা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্য প্রকাশকদের কপালে, যাঁরা খুব শিগগির অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের আলোচনায় বসবেন।
অ্যামাজনের দাবি, এই চুক্তি হলে লাভবান হবেন লেখক, প্রকাশক, পাঠক সবাই। তাঁরা বলছেন, ওপরে উল্লিখিত দামে বই বিক্রি করা হলে লেখক পাবেন ৩৫ শতাংশ, প্রকাশক পাবেন ৩৫ শতাংশ এবং অ্যামাজন পাবে ৩০ শতাংশ।
অ্যামাজন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, একটি বই বিক্রি করতে ভিডিও গেমস, টেলিভিশন, সিনেমা, ফেসবুক, বিনা মূল্যের ওয়েবসাইটের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বইয়ের দাম কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
ই-বইয়ের দাম কমানো হলে তা সবার জন্য লাভবান হবে বলে মনে করে অ্যামাজন। কারণ হিসেবে তারা বলছে, এর ফলে বইয়ের বিক্রি বাড়বে এবং আয় বেশি হবে ১৬ শতাংশ, যা প্রকাশক ও লেখকেরাই পাবেন।
কিন্তু অ্যামাজনের এসব যুক্তি প্রকাশকদের তুষ্ট করতে পারছে না। প্রকাশকেরা মনে করেন, ই-বইয়ের দাম কমলে একদিকে এসব বইয়ের বিক্রি বাড়বে, কিন্তু ছাপানো বইয়ের চাহিদা কমে যাবে। যেসব লেখক ও প্রকাশক ছাপানো বইয়ের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা এ প্রস্তাব মেনে নেবেন না—এটাই স্বভাবিক।
হ্যাসেটের বিভিন্ন বিখ্যাত লেখকের বই বিক্রির প্রতিনিধি এড ভিক্টর বলেন, মুদ্রণ প্রকাশনার ওপর এটি ডাকাতি।
তবে অ্যামাজনের এই উদ্যোগকে সমর্থনও দিচ্ছেন অনেক লেখক, যাঁরা নিজ উদ্যোগে বই প্রকাশ করে থাকেন এবং যাঁদের বই বিক্রি অনলাইন বিক্রির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এমন একজন লেখক হিউ হাউই বলেন, অ্যামাজনের মাধ্যমে অনলাইনে বই প্রকাশ করে একজন লেখক ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ পান, সেখানে ছাপা হওয়া বইয়ের ক্ষেত্রে পান মাত্র ২৫ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, প্রকাশকেরাই লাভের অধিকাংশ অংশ পাচ্ছেন, আর মাশুল গুনছেন ক্রেতা ও লেখকেরা।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস