নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হোসেন আলমগীর

মানুষ সৃষ্টিশীল, তার সৃষ্টিশীলতা দিয়ে পৃথিবীকে করেছে সুন্দর। আবার মানুষই ধ্বংস করছে তাদের ইতিহাস, তাদের সভ্যতা, সমাজ ও সংস্কৃতি। আসুন আমাদের প্রজ্ঞা দিয়ে সাজাই এই সুন্দর পৃথিবী, হই সৃষ্টিশীল, চিন্তাশীল।

হোসেন আলমগীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংস্কার না বিশ্বাস!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে কিছু ধারনা বা বিশ্বাস। আমাদের কাছে এই বিশ্বাসগুলো হল কুসংস্কার।

১। চৈত্রের মাঠ ফাটানো রোদে যখন খাল বিল চৌচির, মাঠে ফসল ফলাানোর অবস্থা থাকেনা। মেঘ- বৃষ্টির দেখা নাই। তখন যদি ল্যাংটার মেলা হয় তবে বৃষ্টি হয়। এটা মুন্সগজ্ঞের আশেপাশের লোক জনের বিশ্বাস। তবে এই মেলাটা হয় চাদপুরের কাছাকাছি কোন জায়গায়। তবে এ বছর ল্যাংটার মেলা থেকে ঘুরে আশা আমার এক প্রতিবেশী বলেন এত লোক এই মেলায় যায় তাদের দোয়া ও ল্যাংটা পাগলার উছিলায় মেঘ বৃষ্টি হয় এবংএর উদাহরন হিসাবে বলেন যে এবারও যে ঝড় বৃষ্টি হল তাও কিন্তু মেলা চলাকালিন সময়ে।

২। মশা গ্রাম এবং শহরে সমান পরিচিত তবে মশার সৃষ্টি নিয়ে আছে ধর্মীয় বিশ্বাস। একটা ধারনা প্রচলিত আছে তা হল মশা সৃষ্টিকর্তা তৈরী করেছেন নমরুদকে ধ্বংস করার জন্য। এই মশা নমরুদের নাক দিয়ে ঢুকে মাথায় চলে যায় এবং নমরুদের মৃতু্র কারন হয়। নমরুদ ধর্মের বিরোধী ছিল তাই তার ক্ষতি সাধনে মশার মত সামান্য প্রানিই যথেষ্ট ছিল।

৩। বজ্রপাতকে স্থানীয়ভাবে অনেক এলাকায় বলা হয় ঠাডা। মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশ অমান্যকরা ও মানুষ কে ধোকা দেওয়া হচ্ছে শয়তানের কাজ। তাই শয়তান যাতে মানুষকে ধোকা দিতে না পারে তাই সৃষ্টিকর্তা শয়তানকে লক্ষ্যকরে তীর ছোড়ে ঝড় বা বৃষ্টির সময় আর এ কারনেই উৎপত্তি হয় ঠাডা বা বজ্রপাতের।


ধর্মকে উদ্দেশ্যকরা আমার লক্ষ্য নয় বরং ধর্মকে ঘিরে এই বিশ্বাসগুলো আর কত আমরা লালন করবো?




মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

নতুন বলেছেন: সকল কুসংস্কারের বিদায় হোক আমাদের সমাজ থেকে...

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

হোসেন আলমগীর বলেছেন: কুসংস্কারমুক্ত সমাজ হোক আমােদর সবার প্রত্যাশা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.