নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হোসেন আলমগীর

মানুষ সৃষ্টিশীল, তার সৃষ্টিশীলতা দিয়ে পৃথিবীকে করেছে সুন্দর। আবার মানুষই ধ্বংস করছে তাদের ইতিহাস, তাদের সভ্যতা, সমাজ ও সংস্কৃতি। আসুন আমাদের প্রজ্ঞা দিয়ে সাজাই এই সুন্দর পৃথিবী, হই সৃষ্টিশীল, চিন্তাশীল।

হোসেন আলমগীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবুও প্রেম-১

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩২

প্রায় ৫ বছর আগে কোন কোন কাক ডাকা ভোরগুলো তে ঘুমের আবেশ জরানো কন্ঠে ঘুম

ভাংত জান গুড মর্নিং। গুড মর্নিং।এ কারনে তাকে আমি বলতাম কাক!আমার ভালবাসার কাক।

তারপর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে প্রথমে মাকে বললাম মা একটা মেয়েকে আমার ভাল লাগে তোমরা দেখ এখনিই না আমি তো কেবল চাকুরিতে জয়েন করেছি অল্প কিছু দিন হল। মেয়েটিও আমাদের ইউনিভার্সিটিতে পরে। ওর অনার্স শেষ করুক তারপর তোমরা দেখো। মেয়ের বাড়ি কই? ময়মনসিংহ। ওই এলাকার মেয়েরা তো ভাল হয় না। আমি কষ্ট পেলাম প্রতি উত্তরে মা কে বললাম মা ভাল মন্দ কি এলাকা ভেদে হয়। উত্তরে বলল তা ঠিক। আমি বললাম আমাদের বিক্রমপুরে কি খারাপ মানুষ নাই? তা আছে?

তারপর পদ্ম, সুরমা, ব্রক্ষ্মপুত্রে কত পানি গড়ালো। কত রাত ভোর হল, কত সকাল হল সন্ধ্যা।

২৭ তারিখ সন্ধ্যায় দিয়া বাড়ির লেকের ধারে বসে হাতটি জরায়ে ধরে বললো আস আমরা সন্ধ্যায় হাটি। হাটলাম।

তারপর দিন সিনেমা দেখলাম ব্লকবাষ্টারে জিরো ডিগ্রি।

সিনেমা শেষে একটা ফোন থেকে বার বার কল আসল। আমি কল দিয়ে বারবার কল করার কারন জানতে চাইলাম। ও প্রান্ত থেকে আমাকে বকাঝকা করলে আমিও বকা ঝকা করলাম।



সে রাগ করে চলে গেলো বলে গেল আমি যাতে আর যোগাযোগ না করি। আমার মাথায় সমস্যা। আমি সন্দেহ করি।

এর ভিতরে আমি কয়েকবার ফোন দিয়েও তার কোন রেসপন্স পাইনা। গত পরশু দিন রাতে ১১.৪৫ এ ফোন দিয়ে দেখি ওয়েটিং আর ওয়েটিং। ১.৫৫ পর্যন্ত ওয়েটিং।

সে আর আমার ফোন রিসিভই করল না।



গতকাল অফিসে গিয়ে ৭/৮ বার ফোন দেওয়ার পর আমাকে জানালো কেন আমি এতবার ফোন দেই।

তার একটা প্রেম হইছে।

আমি বললাম কে? ধর কোন যদু মধু কদু। সত্যি করে বল কে?

আমি তো পলিগামি !

আমার কত প্রেমিক!

এই শহরের সবাই আমার প্রেমিক!



এই করে ১ ঘন্টা পরে সে জানাল একটা ছেলের সাথে তার স্কাইপিতে কথা হয় ১০/১৫ দিন ধরে আর ফোনে কথা হয় সপ্তাহ খানেক ধরে।

ছেলে জাপান থাকে। হাইট আমার চেয়ে ১ ইচ্ঞি বেশী। সে পেশায় জজ। বাড়ি নেত্রকোনা।



সে ওখানে হ্যাপি থাকতে চায়।

প্রচন্ড কাল বৈশাখি বয়ে গেল জীবনে। আকাশ ভারি হয়ে ওঠলো যে কোন সময় বঝ হতে পারে। কিন্তু না ।

সারা দিন আকাশ মেঘলা হয়েই থাকলো। অনেক কষ্টে কাল বৈশাখি আগলে সেই মার কাছে ছুটে গেলাম। কাল বৈশাখি ঝড় শুরু হল প্রবল বর্ষনে। মাকে আর কিছু বলতে হয়নি সে বললো বাবা যে গেছে তাকে যেতে দে। যে তোর ভালবাসা বোঝে নি তুই কেন কষ্টপাবি তার জন্য। তুই ওকে ক্ষমা করে দে।



আমি শুধু তাকে বললাম মা আমার কি মনে হয় জান আমার একটা সন্তান এই মাত্র মারা গেছে।

মা উত্তরে বললো সন্তান মারা গেলে কি বাবা মাও মারা যাবে? তুই কান্না করলে যদি সে মেয়ে ফিরে আসে তাহলে তুই কান্না কর।

আমি জানি তুই ওই মেয়েকে অনেক ভালবাসছ। তাই বলে সার্থপর কারোজন্য তুই এত কষ্টপাবি।



মা মাথায় হাত দিয়ে আদর করে দিলো অনেক দিনপর অন্য রকম ভালবাসা পেলাম। বল বাবা তুই ওই মেয়ের কোন ক্ষতি করবি না। ওকে আর কোন দিন তুই নিজে থেকে ফোন দিবি না।

তুই ফোন দিলে মেয়ে তোকে আর অবহেলা করবে। তর ভালবাসাটাকে অপমান করিস না।

যে যাবার সে গেছে।

আমি তাকে একবার বলে ছিলাম। যদি তোমাকে আমার ভুলতে হয় তাহলে কমপক্ষে ১মাস লাগবে। মায়ের আশির্বাদ কি জিনিস আজ বুঝলাম।

১ দিন ওলাগে নি। দির্ঘশ্বাস আছে ভালবাসা নেই। কষ্ট আছে কান্না নেই।







মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

একনীল বনসাই বলেছেন: তুই ফোন দিলে মেয়ে তোকে আর অবহেলা করবে। তর ভালবাসাটাকে অপমান করিস না



ভালবাসা কী মে্য়েটা বুঝে নাই,সেও কাদবে...................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.