![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল আমি যে সংস্থায় চাকরি করি তার সিনিয়র ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর এসে ছিলেন নারায়নগজ্ঞে। ভিজিটের একটা পার্ট ছিলো মেয়রের সাথে সাক্ষাৎ।
আমরা ভিজিটের একটা পার্ট শেয়ার করার জন্য দেখা করব মেয়রের সাথে ভিজিটিং কার্ড দিয়ে অপেক্ষা করছি তখন দেখি এক মহিলা বসে আছে তার বাচ্চা নিয়ে। চোখ ছলছল করছে তার।
জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার আপনারা কি মেয়রের সাথে দেখা করবেন?
উত্তরে সে বললো হ্যা।
কোথা থেকে আসছেন?
তখন মেয়রের এপিএস বললো উনি ইব্র্রাহিম ড্রাইভারের স্ত্রী। আমি একটু চুপ করে ভাবলাম কোন ইব্রাহিম ড্রইভার? যাকে আমার চেনার কথা।
তখন উনি বললো এডভোকেট চন্দন কুমার সাহার ড্রাইভার। আর কিছু বলতে হল না সাথে সাথে চিনলাম। আপনারা চিন্তে পারছেন কি?
হ্যা নারায়নগজ্ঞে যে ভয়াবহ ৭ খুন হয়ে ছিলো তার ভিতরে ইব্রাহিম ড্রাইভার ও চন্দন কুমার সাহা ও ছিলো। ইব্রাহিম ড্রাইভার এর স্ত্রি বললো তার স্বামী মারা যাবার পর কৃষি মন্ত্রী তার বাড়াতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ছিলো। এরপর আর কোন খোজ কেউ নেয়নি। মেয়র ইব্রাহিমের স্ত্রীকে বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য ৫০০০ টাকা দিয়ে ছিলেন।
ইব্রাহিমের স্ত্রী কান্না গলায় বললেন। আমার ৫টা সন্তান নিয়ে কি খাই তা কেউ খোজ নেয়না।
আমার স্বামী কে কেন মারল? কেন আমি আজ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরাই। আমার স্বামী তো কোন খারাপ কাজের সাথে যুক্ত ছেলো না। তাহলে কেন তাকে মেরে ফেললো? আমার সন্তানেরা কোথায় যাবে? কোথায় দাড়াবে? কোর্টে বিচার হবে সয়ত সাজা হবে। হয়ত না। আমি কি আমার স্বামীকে খুজে পাব? ছেলেদের কি মানুষ করতে পারবো? ওনার কথা শুনে চোখ ছলছল করে উঠলো। কোন প্রশ্নেরই জবাব আমার কাছে নেই। সোনারগা উপজেলার বারদি ইউনায়নের চেয়ারম্যানকে আমার কলিগকে দিয়ে ফোন করালাম যাতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু সাহায্য দেয়। আমাদের সংস্থাটি থেকে জিবিকা নির্বাহমুলক প্রশিক্ষন নেওয়ার কথাও বললাম। সে রাজি হল। যদি তার সামান্যতম উপকার করতে পারি তাহলে নিজের কাছে ভাল লাগবে।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেউ অন্যায় করে সমাজে বুক ফুলিয়ে চলবে আর ইব্রাহিমের মত সাধারন লোকরা আর কত মারা যাবে? এই প্রশ্নটা আমি কাকে করব?
আপনারা কি জানেন?
©somewhere in net ltd.