![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেজিষ্ট্রটের কোর্টের এজলাসে মাথা নিচু করে দাড়ায়ে আছে সুমন। পরনে এটা ফুল হাতা শার্ট নরমাল পেন্ট আর একজোরা সেন্ডেল। বেদী কিছু পরেনি। মাসখানেক আগেহাইকোর্ট থেকে ১মাসের অন্তর্বতীকালিন জামিন নিয়ে ছিল সে। তার সাথে আরো আছে আনোয়ার আর ফজলু।
আনোয়ার সম্পর্কে তালই হয়। চাচাতো ভাইয়ের মামা শ্বশুর। ফজলু ছোট কাকা। তাতা তিনজনই একই মামলার আসামী। সুমন কোর্টের বরাবর ক্ষমা ভিক্ষার আদলে দুই হাত করজোরে দাড়ায়ে আছে। মাথা নিচু কতর কান্না করছে। দু চোখ বেয়ে শুধু পানি ঝরছে। সুমনএকটা মার্ডার মামলার আসামী। কোর্ট সুমনের অন্তর্বতীকালিন জামিন বাতিল করে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সুমনের বয়স অল্প গতকাল সন্ধ্যায় তার ইন্টারমেডিয়েট এর ফল প্রকাশ হইছে। সে পাশ করেছে। কিন্তু তার পাশ করার খবরটা দিতে পারেনি তার বাবা মাকে।
সুমন একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের ছেলে। ঢাকাতে মেছে থেকে পরাশুনা করেছে। তার পরিক্ষার ফল জানানোর মত কাউকে পায়নি সুমন ঢাকাতে তার তেমন কোন পরিচিত নেই তার গ্রামের। শুধু পরিক্ষার ফলাফলটা তার বড় ভাইকে দিয়েছে। সুমনের বড়ভাই খুশী হইছে। বড়ভাই আইবিএ হোস্টলে থাকে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পরে। আজ সকালে যখন ভাইয়ের এখান থেকে আসে তখন শুধু বলেছিলো যা কোর্টে দেখ কি হয়। যা হয় এটাকে নিয়তি মনে করবি। ভাবতে ভাবতে চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় জল গরিয়ে পরছে। একে একে তাদের তিনজনের কোমরে দড়ি বাধা হল। সুমন মাথা নিচু করে ধীর পায়ে সামনে উগিয়ে চলছে। সেখান থেকে হেটে হেটে নিয়ে যাওয়া হল একটা আবদ্ধ ঘরে। ছোট্ট এটা অন্ধকারের মত ঘর। সবাই খুব চাপাচাপি করে বসে আছে। ঘরের পাশে দুইটা প্রশাবখানা। সেখান থেকে দম বন্ধ করা গন্ধ আসছে। ছোট্ট ঘরটাতে ৭০/৮০ জন লোক। কেউ হাটুর উপরে মুখ চেপে কান্না করছে। কেউ কেউ পূর্ব পরিচিত আসামিদের সাথে অট্টহাসিতে ফেটে পরছে। আর বলাবলি করছে তাদের বিরত্ব গাথা। কিভাবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। কয়টা অস্র সহ ধরা পরছে। কোন কোন পত্রিকায় কিকি খবর প্রকাশ হইছে। তাই নিয়ে অট্টহাসি। সুমনের পাশে বসা লোকটি একটু বদ টাইপের দেখতে। সুমন কে ডেকে বলল এই পিচ্ছি এ দিক আয়। সুমন চোখ তুলে একবার তাকায়ে দেখে আবার মুখ গুজে বসে থাকলো। অনেকক্ষন বকাঝকা করল সে। সুমন চুপচাপ শুনে গেল। কিছুক্ষন পর সেই লোকটি পাশে এসে জিজ্ঞস করল এই তুই কি মামলায় আইছছ। সুমন বলল মার্ডার মামলা। শুনে চুপচাপ সুমনের পাশে বসল। এবার সুমন জিজ্ঞস করল আপনি কি মামলায় আইছেন? সে বললো অস্র মামলা। সে এবার সুমনকে প্রশ্ন করল ভাই আপনি কোন ভাইয়ের লোক? কার সাথে কাজ করেন? সুমন এবার ধমকের শুরে বলল সেটা জেনে তোমার লাভ কি। চুপচাপ বসে থাকো। লোকটি বলল ওই মিয়া আমারে চিনেন আমার নামে কয়টা মামলা আর আমার নামে কয়বার নিউজ হইছে। সুমন এবার কিছু মনোবল সচ্ঞয় করে বলল ওই মিয়া এত কথা কও কেন চুপ করে বসে থাকো। ধমকের শুরে বলল একটু পরে দেখবা আমি কে। এই কথাটা বলে সুমন মনে মনে ভাবল এই লোকটা যদি বড় কোন গ্যাং এর লোক হয় তাইলে তো সে সুমন কে মারবো। এমন সময় আনোয়ার আর ফজলু তার পাশে এসে বসলো। লোকটি মাথা নাচু করে বসে থাকলো। হাজতি ভ্যান আসলে তাদের সেন্টরাল জেলে নিয়ে যাবে। একটা করে গাড়ি আসে। ধাক্কাধাক্কি মারামারি কার আগে কে যাবে। এভাবেই শুরু হল সুমনের নষ্ট ইতিহাস । চলবে
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
হোসেন আলমগীর বলেছেন: আরেকটু ক্লিয়ার করে বলবেন কি!
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুরুটা আরেকটু আগে থেকে হলে মন্দ হতো না।। মাঝেও প্রসঙ্গক্রমে আসতে পারে।।