![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন উৎফুল্ল মনের মানুষ। জীবন দর্শনে জীবনের রস খুজে বেড়াই। সৃস্টিকর্তা আছেন বলেই পৃথিবিটা এত সুন্দর বলে মনে করি। মানুষকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি।সরলতা পছন্দ করি কিন্তু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কারনে জটিল চিন্তায় অভ্যস্ত হয়ে পরেছি। আপাতত এটুকুই নিজেকে ভাল বিচার করতে পারছি।
আমার এক ছোট ভাই বনানী থানায় জিডি করতে গেছে। জিডিটা সে ইংরেজিতে নিয়ে গেছে। ডিউটি অফিসার এপ্লিকেশন দেখেই তিরিং বিরিং করে খেপে উঠছে এপ্লিক্যাশন ইংরেজীতে কেন? তার দাবী, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এপ্লিক্যাশন বাংলায় হতে হবে।
ছোট ভাই বলল - আইডি কার্ড হারনোর জিডি। এইবারের মত নেন, পরের বার বাংলায় নিয়া আসব।
সে প্রতিউত্তরে বলল, আমি ইংরেজি ভাল বুঝি না।
সে আসলে কিছু ঘুষ চায়। পরে জানলাম তিনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন। আর আমি দেখলাম কিভাবে চেতনার অপব্যাবহার হতে পারে। এরাই হচ্ছে চেতনা অপব্যবহারকারী।
আসার সময় বলে আসলাম, আপনার মত টেলেন্টেড মানুষ পুলিশ জয়েন করেছে জেনে ভাল লাগল। হেন্ডশেক করে থেংকু দেয়ার সময় তাকিয়ে হাসলাম কারণ সে উত্তর টা ইংরেজীতেই দিয়েছিল।
পুলিশ এখন দাড়ি দেখলে দাত কেলায় জিজ্ঞাস করে, কী হুজুর?!
আরে বেয়াদপ দাড়ী নিয়া খারপ কাজ করলেই সব দাড়িওয়ালা বদ আর তোমরা ফেরেস্তা হইয়া যাও নাই। আসলে এইটা এখন ওদের টাকা কামানোর একটা পথ। জঙ্গী সন্দেহ করলে উর্ধতন সরকার/পুলিশ প্রশাসন সহজেই বিশ্বাস করে। আর দ্বায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঝখান থেকে নিরিহ কিছু দাড়ীওয়ালা মানুষের কাছ থেকে পয়সা খেয়ে নেই। টার্গেট হিসাবে এরা খুবই উত্তম কারণ সাধারণত দাড়িওয়ালা মানুষ আল্লাহওয়ালা ও শান্তিপ্রিয় হয়।
আওয়ামিলীগের এই সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করে পুলিশের আচরণ নষ্ট করে ফেলেছে। এখন পুলিশের সাথে আইন নিয়ে কথা বলতে গেলে বলে - ঐসব বইলা লাভ নাই, কার পরিচয় থাকলে আগে দিয়া দেন।
আমি বিগত সরকারগুলোর সময় দেখেছি অন্তত তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বা শাষন মানত। আমার মনে আছে, আমি বিএনপি সরকারের সময় রাত ২-৩টার সময় ঘুরে বেড়াইছি। এখন ১১টার পর পুলিশ বলে, ঘরে যান। চোর বাটপারদের সাথে ঘুরলে প্রবলেম হবে। আমি হতবাক হয়ে চিন্তা করলাম, পুলিশ চোরদের মুক্ত হয়ে ঘুরতে দেয়! আর নিরপরাধ মানুষদের ঘরে বন্দী করে রাখছে। এখন পুলিশ মানেই আমার কাছে পোষাকী মাস্তান।
আমি চাই বাংলাদেশের কোন দল আমাদের এই অধীকারগুলো নিয়ে রাজনীতি করুক। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতি করার কেউ নাই। আমাদের বিরোধীদল, অকার্যকর, অক্ষম ও দিকভ্রান্তভাবে আর কত দিন চলবে?! রাজনীতি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে দু'এক দিন বাড়ীগাড়ি আর চেয়ার টেবিল নিয়ে মিটিং মিছিল করে হয় না। আমাদের জনগনের কন্ঠস্বর হতে হবে। অর্থনৈতিক ভাবে সুসময়ে চলতে থাকলেও আমরা চাই - এই দলীয় স্বৈরাচার নিপাত যাক, জনগনের গনতন্ত্র মুক্তি পাক।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৬
ককটেল বলেছেন: হয়ত সে ইংরেজী ঠিকই পারত। ঘুষ নেয়ার জন্যই এই অজুহাত দেখিয়েছিল। যাকে বলা যায় চেতনা দেখিয়ে ঘুষ আদায়।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৮
এম এ কাশেম বলেছেন: দেশ প্রেমের সাথে ভাষার সম্পর্ক কি
সেটা আমি আজ ও বুঝলাম না,
হায় রে সস্তা চেতনা।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭
ককটেল বলেছেন: দেশ প্রেমের চেতনা নিয়েই তিনি রাষ্ট্রীয় ভাষার সাথে মর্যাদাশীল বা ব্যাবহারিক হতে বলেছেন। খেয়াল করবেন তিনি সরাসরি বাংলায় দাবী না করে বলেছেন - রাষ্ট্র ভাষা বাংলা তাই বাংলায় দিতে হবে।
সুতরাং এখানে তিনি স্পষ্টভাবে রাষ্ট্র তথা দেশে ভক্তির কথা উল্লেখ করেছেন বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। কিন্তু যা কার্যত ছিল কিছু ঘুষের বাহানা মাত্র।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৪
শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: পুলিশের আসল চরিত্র দেখতে চাইলে একুশের চোখের এই পর্বটি দেখুন
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতি করার কেউ নাই। আমাদের বিরোধীদল, অকার্যকর, অক্ষম ও দিকভ্রান্তভাবে আর কত দিন চলবে?! রাজনীতি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে দু'এক দিন বাড়ীগাড়ি আর চেয়ার টেবিল নিয়ে মিটিং মিছিল করে হয় না। আমাদের জনগনের কন্ঠস্বর হতে হবে। অর্থনৈতিক ভাবে সুসময়ে চলতে থাকলেও আমরা চাই - এই দলীয় স্বৈরাচার নিপাত যাক, জনগনের গনতন্ত্র মুক্তি পাক।
সহমত।++++++++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
হাসিব০৭ বলেছেন: শালায় ইংরেজি পারেনা দেইখা বাংলার ছুতা দেখায়