নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন দর্শন, আত্ম-উপলব্ধি ও আলোচনা বা সমালোচনা।

জীবন মানুষের খুব ছোট একটা সময়। সমীকরনগুলো খুব সরল কিন্তু প্রতিনিয়তই আমরা একে জটিল করে ফেলছি। তাই একে সরলভাবে দেখতে চাই। মানবিয়গুন সৃস্টিকর্তার অশেষ রহমত আমাদের প্রতি। জীবনের স্বাদ এর মাঝেই। তাই এতেই আমার আগ্রহ ।

ককটেল

আমি একজন উৎফুল্ল মনের মানুষ। জীবন দর্শনে জীবনের রস খুজে বেড়াই। সৃস্টিকর্তা আছেন বলেই পৃথিবিটা এত সুন্দর বলে মনে করি। মানুষকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি।সরলতা পছন্দ করি কিন্তু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কারনে জটিল চিন্তায় অভ্যস্ত হয়ে পরেছি। আপাতত এটুকুই নিজেকে ভাল বিচার করতে পারছি।

ককটেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবেক

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

কেনাকাটা শেষ। প্রচন্ড খিধা লেগেছিল। তাই রাস্তায় সিপির চিকেনে কিনে মাত্র এক কামর খেয়েছি। এমন সময় এক পথশিশু এসে জামা টান দিয়ে আমার খাবারের দিক তাকিয়ে আছে। জামা টান দেয়ায় আমার খুব বিরক্ত লাগছিল। আর খাবার দিকে তাকিয়ে থাকায় মনে হয় তখন কিছুটা আদিম হিংস্রতাও কাজ করছিল। দিলাম এক ঝারি, "পরে আসতে পারিস না।" কারণ আমার তখন সত্যি খিদায় মাথা নষ্ট। ছেলেটা দূরে যেতেই এক মূহুর্তের জন্য থমকে গেলাম। ভাবলাম এটা তো তার ভিক্ষার খারাপ অভ্যাস না। এমন বাচ্চারই তো ভাল খাবার খেতে ইচ্ছা করবে। সেও তো আমার মতই ক্ষুধার্ত। ডেকে নিয়ে এসে ওর পছন্দ মত খাবার আমার সামনেই খেতে বললাম।

আমি বাচ্চাদের ভিক্ষা দেই না। এতে তাদের হাতে টাকা চলে যায়। আর সেই টাকার লোভেই নেশাগ্রস্ত বন্ধু বা বড় ভাইরা তাদেরও নেশা শেখায়। এছাড়া সে সারা জীবন ভিক্ষার মত বাজে শিক্ষা নেয়, যা তাকে কখনই সাবলম্বি হতে দেয় না।

আমি শিশু শ্রমের বিপক্ষে তবে বাংলাদেশের সামাজিক বিবেচনায়, একটা কাজ অন্তত তাদের নেশা থেকে দূরে রাখে।

একজন শিশুর বিচার ক্ষমতা খুব কম থাকে। তাই তাদের হাতে টাকা দেয়া মানে নেশাগ্রস্তদের লোভের মূখে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু তাদের অধিকার আছে আপনি যা খাবেন তাই খাওয়ার। না হলে এরাই একদিন শিখবে বড় লোক বা ধনীরা মানুষ না। আর এই অমানুষদের ছিনতাই করেই নিতে হয়। হয়ত সেই শিশুই কোন একদিন আপনাকে অথবা আপনার প্রিয়জনকে ছিনতাই করে ঐ নির্মমতার প্রতিশোধ নিবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.