![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের জাতীয় পরিষদ কিন্তু এককক্ষ বিশিষ্ট, তাই বলে কেউ ভাববেন না যে, জাতীয় সংসদ ভবনে মাত্র একটিই কক্ষ. তবে লুই আই কান সাহেব যদি জানতেন, যে একদিন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রলাপ বক্তাগন এই ভবনের উষ্ণতার দ্বায়িত্ব নিবেন তাহলে হয়ত তিনি এত যত্ন করে এইটার ডিজাইনই করতেন না.
এবার আসুন একটা ঘটনা বলি.
সংসদ ভবনের নিচ তলা. কিছু জরুরী মালামাল এসেছে. লিফট দিয়ে উঠানামা করানো হচ্ছে. এমন সময় আমাদের একজন গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন ঘটল. লিফটম্যান সাথে সাথে অন্যদের নির্দেশ দিলো এখন কোন মাল উঠবে না. কথাটা শুনেই মন্ত্রী হেসে দিয়ে বললেন মাল তো উঠবেই.
প্রশ্ন হলো মন্ত্রী কে ছিলেন? জ্বি হ্যা. ইনি আর কেউ নন. আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত.
ইনি কিন্তু নিজেকে মাল হিসেবেই স্বীকৃতি দিলেও বাংলাদেশের বহু জনগনের কাছেই ইনি পাগল বৈ আর কিছুই নন. অর্থমন্ত্রী হবার পর থেকেই তার নানাবিধ কর্মকান্ডে বহু জনসাধারণের কাছেই তিনি পাগল. শেয়ার বাজার, হল মার্ক কেলেঙ্কারীর পর পি এস আই বন্ধ করে তিনি ব্যবসায়ীদের নিকট রীতিমত আতঙ্ক. তার উপর তার বিভিন্ত বোগাস টাইপ কথাবার্তা তো আছেই. তার উপর এখন আবার তিনি বলতেছেন, “ঘুষ অবৈধ নয়”. বাহ জনাব বাহ!!
ঘুষ অবৈধ থাকতেই এতদিন ধরে যা চলছে: চাকরি পেতে বা সরকারী কাজের বিল পেতে বা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে............... আপনার এই বক্তব্যের পর আর কি হতে পারে তা তো সহজেই অনুমেয়.
আর ঘুষকে যারা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, সেই সকল পুলিশ সম্প্রদায় তো আপনার এই বক্তব্যের পর মনে হয় নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরন করেছেন. আর এখন থেকে নব উদ্দমে মাজায় গামছা বেধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে. এবার তাদের ঠেকায় কে.!!!
পুুনশ্চঃ সবাই কিন্তু ঘুষ নেয় না.
©somewhere in net ltd.