একমুঠো অনুভাবে ২৫ এ ডিসেম্বর

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬

একমুঠো অনুভাবে ২৫ এ ডিসেম্বর



শিশির ভেজা সকালে,
রবির মৃদু আলোয়
বয়ে চলা পয়স্বিনীর
অন্তে ভেসে যাওয়া তরী,
স্ফুরিত হয়ে ওঠে
মোর ভগ্ন হৃদয়,
আজ সেই ২৫ এ ডিসেম্বর।

স্মৃতির পাতায় আটকে
থাকা তোমার আনন,
তোমার স্নেহ, তোমার
মমতাময়ী প্রবৃত্তি,
আমাকে রুদ্ধ করে
আমার প্রতিটি নিস্বাসে।
নব্য-নতুন পার্কে
তোমার সঙ্গে সঁচরণ
গত দুবছর আগের
২৫ এ ডিসেম্বর।

রুদ্ধশ্বাসে ছুটে গেলাম
পড়ন্ত বেলায়
সেই চেনা পার্কে,
তুমি আসবে, আমার জন্যে
অপেক্ষা করবে, হাতে
দুটি টিকিট নিয়ে
গেট নম্বর পাঁচে।

গিয়ে দেখি তখনো
তুমি উপস্থিত হতে পারনি,
তোমার জন্যে অপেক্ষা
করতে করতে সন্ধ্যে
গড়িয়ে এলো,
লাল রঙের সূর্যটা
ক্লান্ত হয়ে ঘুমানোর
প্রস্তুতি নিয়েছে,
তখন আমি টিকেটের লাইনে।

দুটি টিকিট কেটে
আমি পার্কের ভিতরে
প্রবেশ করলাম,
একটি টিকিট ছিল
আমার, ওপরটি ছিল
তোমার অদৃশ্য আত্মার।
সেদিনের মতো পার্কে
বাম দিকের রাস্তাটা নিলাম,
তোমার ওই অদৃশ্য
আত্মার হাতে হাত রেখে
সেই পূরানো বেঞ্চে
গিয়ে বসলাম।

সেদিনের মতোই পার্কে
উপচে পড়া ভীর,
তাদের মধ্যে ছিল
নতুন প্রেমিক-প্রেমিকাদের দল,
আর কিছু পূরানো
প্রেমিক -প্রেমিকারা।
আর দেখলাম আমার
মতো কিছু প্রেমিক,
যারা তাদের হারানো
প্রেমকে ফিরে পেতে এসেছে।

দেখা শিশু গাছগুলি
অনেক বড় হয়েগেছে,
জলের ফোয়ারা নানা
রঙের আলোয় আলোকিত
হচ্ছিল।
চেনা পার্কে চেনা
দৃশ্যগুলিতে তুমি আমার
সঙ্গে ছিলে না,
শুধু তোমার স্মৃতি ছাড়া।
তোমার অদৃশ্য শরীর আমার
প্রণয়ে হাতছানি দিচ্ছিল,
যেন তুমি আছো আমার
ভাঙা হৃদয়ের মধ্যে।

ভীরের মধ্যে তোমাকে
খুঁজতে খুঁজতে
লাল গোলাপের বাগানে,
লাল গোলাপ গুলি
স্তব্ধ হয়ে গেছে
তুমি পাশে নেই দেখে,
হয়তো বা তোমার হাতে
মৃদু ছুঁয়া পেয়ে
জেগে উঠতে চাই।

কিছুক্ষণের মধ্যে সব
কিছু শান্ত হয়ে এলো,
বাতাস যেন বয়া
বন্ধ করে দিয়েছে,
গাছ গুলির শাখা প্রশাখা,
তাদের ডানা মেলা
স্থগিত রেখেছে
মানুষের গুন গুন
শব্দ থেমে গেছে,
ল্যাম্পপোস্টের আলো
নিভে যেতে শুরু করেছে,
স্মৃতির পাতায় আমার হৃদয়ের
স্পন্দন কমে যেতে শুরু করেছে,
আমি ভয়ে পালিয়ে আসতে
বাধ্য হলাম পূরানো পার্কের
স্মৃতির পাতা থেকে।

০ টি +০/-০