![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ও সুন্দরের সংগে আছি, যারা অন্যায়ের বিরূদ্ধে সোচ্চার তাদেরকে শ্রদ্ধা করি।
মুথবন্ধ
ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর আগের এ কবিতাগুলোকে কারামুক্ত করা হয়েছে প্রায় অক্ষত রেখে, সে দিনের স্বাদ ও গন্ধ অটুট রাখার তাগিদে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মমতা সরলতা সততা আর দরিদ্রতার অহংকার, প্রেম ও প্রকৃতি কাতরতা, সমাজে সাম্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠার ব্যাকুলতা এবং জীবন দর্শন এ সব এখানে উপজীব্য। পার্লারে সাজানো হয়নি বলে তারা হয়তো বনেদিপনার ঠাট দেখাবেনা, তবে পাঠক মেতে উঠলে মেখে যাবে তা মনের মধ্যে মাখন কোমলতায়।
দুধ জোছনার কাচ ভেঙ্গে গেছে।
ঠুনকো কাচের কনায় কেটে যাবার ভয় রয়েছে ফলে সামান্য হার্দিক রক্তপাতেরও সম্ভাবনা। তাই সাবধানের পা ফেলা কাম্য।
বইটির প্রচ্ছদ শিল্পি: মাসুক হেলাল
পাওয়া যাবে: রাঁচী গ্রন্থ নিকেতন, ৮২ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স
কাঁটাবন, ঢাকা ১২০৫, ফোন: ০১৭১১২৪৮১০০
--------------------------------০০--------------------------------
বইএর একটি কবিতা পাঠকের সৌজন্যে পোষ্ট করা হলো
ফুফুর বাড়ি
ইকবাল আনোয়ার
ফুফুর বাড়ী ফতেহাবাজ, নাকে ছিদ্র নাকফুল নেই
দরিদ্রতা লুট করছে।
তবু ফুফুর চিরন্তনী চোখ ছলোছল, আর কডা দিন থাইক্কা যা না-
মেড়া পিডা বানাই দিমু আতব চাউলে।
ফুফুর শাড়ি পাতা রংগা, পথের ধুলায় ধানের কুড়ায় রঙটা মাদা
বাদামী তার মুথের কাছে পানের গন্ধ
থুতুনিতে তিলের মধ্যে তিনটি চুল আগের মতই।
ছোট্ট বেলায় ফুফু আমার ঘুঙুর বাঁধা নুনু দেখেছেে
কালো কাঠরে পুকুর পাড়ে
পাতা গন্ধা জলের ধারে বুর পেড়েছি ফুফুর হাতে হাতটি ধরে
এই ভরসায় ফুফু আমায় শাড়ীর মধ্যে লুকিয়ে নিলো
বুকের মধ্যে কেঁপে উঠলো সেই পুরানো ভালোবাসা!
ডিম বিরান আর গরুর দুধ যোগাড় করে
ফুফু আমায় খেতে দিলো মাটির থালে।
ফুফুর বাড়ি রাতের বেলা পিদিম জ্বলে
টিডি পোকা অন্ধকারকে গাঢ় করে
মজার মজার খনার বচন ফুফুর কাছে শোনার ছিলো
শোনার ছিলো আমার বাবার ছোট্ট বেলার যত কথা
নাকে নাকি বাঁশি বাজানোর সখ ছিলো তার
ফুফুর চেয়ে ছোট হয়েও ফুফুকে নাম ধরইে ডাকতো।
কিন্তু ফুফুর ভাষা বুঝি সাধ্য কি আর!
জানুয়ারী,১৯৮২
©somewhere in net ltd.