নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এডিট করুন

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

দুরের পাখি

ফারুক ওয়াসিফ সিন্ড্রোম : লক্ষণসমূহ ১ > সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট ক্লিয়ার না হওয়া : ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত । ২ > রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভুল করে ড্রেনের পানিতে পা দিয়ে দেওয়া : সিআইএ মোসাদের ষড়যন্ত্র । ৩ > বউএর জাঙ্গিয়া ময়লা : স্থানীয় জাঙ্গিয়া শিল্পের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট বেনিয়াদের আক্রমণ । ৪ > দেশপ্রেম এবং গর্বের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নষ্টামি সহ্য না করা : ডিসকোর্স ইন্টারকোর্স না বুঝা ফ্যাসিবাদ নাযি জাতীয়তাবাদ ।

দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-৩

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-২ Click This Link

কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১ Click This Link



গেরামের মাদরাছাতেই আমার পড়ালেখার মোটামুটি ধরতে গ্যালে পুরাডাই । মেঝ ভাই ঢাকার যাত্রাবাড়ি মাদরাছায় পড়েছিলেন বছর তিনেক । গেরামে তার একটা আলাদা কদর আছে । এখন ঢাকায় মামার কাপড়ের দোকানে ব্লাউজ জাইঙ্গা বেচেন । গেরামে আইলে তার দিকে লুকজনের নজরই আলাদা । আব্বা নিজে সারাবছর তাবলীগ কইরা বেড়াইলেও মেঝ ভাইর কাছ থেকে মাছলা মাসায়েলের জ্ঞান নেন । আপনে কৈরা ডাকেন তারে । আর আমি হাটহাজারি থাইকা পাঁচ পাঁচটা মাস পরে আইলেও গেমারের লুকজনের মুখের ভাবে তেমন কুনো চেইন্জ পাই না । শালারা সম্মান করতে শিখলো না আলেম ওলামাগো । আব্বার চেষ্টাচরিত্রে লুকজন নামাযে যায় মোটামুটি দুই তিনবার । কিন্তু আলেম ওলামার মর্যাদা এখনো ভালোমত দিতে শিখলো না ।



শুধু দুইজন মাইনষের কাছে আলাদা । আম্মাজান বার সন্তানের জননী কিন্তু তারপরও আলাদা কৈরা সবার কতা মনে রাখেন । আমি আসলে কষ্টে পালা হাসটা জবাই করে দেন । সবার আগে আমারে খাইতে বসান । আমি উঠলে তারপর বাকি সবাইরে । মেঝ ভাই আসলেও এর উল্টা হয় না । তখন আমরা দুইজন । বড়মেঝ ভাই , আব্বার কাছ থেকে চেয়ে নেয়া আঁচলের গিঠে বাইন্ধা রাখা ট্যাকা হাতে গুজে দেন মাদরাছায় ফিরে যাবার সময় । নিজের জীবন নিয়া যাই করি আম্মাজানকে কষ্ট দিতে পারবো না আমি কিছুতেই ।



ছুডকালের দুস্ত খুরশিদ এর চাচাত বোন কুলসুমা । কালো মেয়েটার মনে এত দরদ আর কফালে এত দুঃখ দুইটা একসাথে কেন দিল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমি বুঝি না । এত দরদ নিয়া কালো মেয়েটাতো জীবনে কেবল কষ্টই পাইব । প্রতিবার তারে বলি কষ্ট না পাওয়ার চেষ্টা করতে । আমার উপর দরদ কমাইতে । কিন্তু কিসে কি , দিনদিন তার মায়াময় চোখ খালি আরো মায়াময় হৈতাছে ।



ভর দুপুরই একমাত্র সময় যখন কুলসুমার সাথে কথা বলা যায় গেরামের সবার চোখ এড়াইয়া । খুরশিদ দুই গেরাম পরের পায়েরখোলা মাদরাছার বোর্ডিং এ থাকে । শনিবারে ও ঐখানেই থাকবে, এটা ভালোমত জাইনাই আমি ভর দুপুরে ওরে খুজতে ওদের বাড়ি যাই । কুলসুমার ভিতরে মনে হয় কোন গায়েবি আয়না আছে । গিয়া দেখি কুলসুমা খুরশিদ এর ছুড বৈনটার চুল আঁচড়াইয়া দিতাছে । পিচ্চিটাও জবর ট্যটন । আমারে দেইখাই কয় সুনো নিয়া আসি । বলে চলে যায় । আসবে না আর ২ ঘন্টাতেও ।



দরজা খোলা রেখে , আমি চৌকিতে কুলসুমা দরজার চৌকাঠে বসে অদ্ভুত মায়াময় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে । তাকে বলি আমার মনের যন্ত্রণা অনুশোচনার কথা । খুরশিদ এর বুড়া মা কানে শুনেননা । আর শুনলেও বেশি কিছু কথা আমরা বলি না । দুজনের মাঝে সব কথা বলতে হয় না । মেয়েটা বুঝে বেশি, ভালোবাসে বেশি । যত বলি শুনে না । ভালোবাসে আর কাঁদে । বলে মাগরেবের আধঘন্টাখানেক পরে ওদের বাড়ির পিছনের জংলাতে আসতে । ধমক দিয়ে চুপ করাইয়া দিই ওরে । জগৎ উল্টা হৈয়া গেলেও ওর গায়ে কলংকের কালি লাগতে পারে তার হাজারের মইধ্যে একভাগ সম্ভাবনা আছে এমন কোনো কাজ আমি করতে পারব না । দরকার হৈলে শইল্যের বেয়াড়া অঙ্গটারে কাইট্যা খাসি হৈয়া যামু ।



তয় খালেদার কথা আলাদা । খালেদার কথা আবার কুলসুমাকে বলা যায় না । খালেদা মাগিটার দুধ দিনদিন তালের মত বড় হৈতাছে । চলনবলনে তেমন একটা খেয়াল নাই । কিন্তু ধুরন্ধর মারাত্নক । দুধে হাত দিতে দিব, আন্জা কইরা ধরতে দিব । এর বেশি কিছু চাইলেই মারব দৌড় । আজ ওর কাছে যাবার মত মনের অবস্থা নাই । এত অনুতাপের ভার পরপর দুইদিনে নিতে পারমু না ।



আমার জীবুনটা খাঁখাঁই থাকে । যারে নিয়া থাকতে চাই দিনভর, লুকলজ্জা সমাজের কারণে তার সাথে একান্তে দুইখান কতাও কইতে পারি না । উপরে চাইর চাইরডা ভাই । বিয়া করনের কতা মুখেও আনা যাইব না । হুজুর খালি কয় আল্লার রশিতে দুইন্যায়ও শান্তি, আখেরাতেও মুক্তি । এইডা দুইন্যাতে শান্তি ? । মাঝে মইধ্যে টিভিতে দেখি ইহুদি নাছারাগো সুন্দর সুন্দর সাদা মাইয়ারা বত্রিশটা দাঁতা বাইর কৈরা স্যান্ডু গেন্জি পইরা রাস্তা দিয়া হাঁটতাছে । পাশের পুলাগুলা একেকটা হিরুর মত । আখেরাতে সত্তইরডা হুর দিব বালা কথা দুইন্যাতে কি ঐরকম একটা মাইয়াও দেউন যাইত না আমাগোরে । অত কিছু ও তো চাইনা । কুলসুমারেও কি দেওন যাইত না । কুলসুমার বয়স বাড়তাছে । খালি কালা বৈলা ওর বিয়ায় দেরী হৈতাছে । আর এক বছরের মইধ্যে তো যেকোনমতেই হৈয়া যাইব । আমি মেহমানদারী করমু । বরযাত্রী খাওয়ামু । কানতে কানতে কুলসুমা যাইব । সবাই ভাববো বাপের বাড়ি ছাইড়া যাইতাছে বৈলা কানতাছে । খালি ও আর আমি জানমু কেন এত কান্দে মাইয়া ।



হাটহাজারীতে আমার পরের তিনটি মাস খুব তাড়াতাড়ি কাইটা যায় । মাত্র একবছরের বড় মাদরাছা জীবন অনেক ঘটনা । অনেক স্মৃতি । একসময় মনে হয় খুব কষ্টের আবার আরেকসময় মনে হয় অনেক সুখের । রাতের বাইরে যাবার দুঃসাহসিক সময়গুলার যে থিরিল, সেইডা আরে কিছুতে পাই নাই জীবনে । বাড়ির পিছনে খালেদার দুধে হাত দেয়ার সময়েও না ।



মোন্তাজির এর সাথে সহজ হতে তিন চারদিন লাগে । এরপর আমরা আলাদা বিছানাতেই ঘুমাতাম । সপ্তাহখানেক । তারপর আবার আগের মত । বাজারের আন্ধার ঘরে যাওনের মত সাহস যেহেতু জোগাইতে পারি নাই । বুলু দেইখা আসার দিন একই ঘটনে পরেও ঘটছে । তয় নো টক টাইম এত দীর্ঘ হয় নাই কখনো পরথম বারের মত । মনের অনুতাপের ঝড়ের বেগও কমে আসছিল । একবার ফিলিস্তিন থাইকা এক জামাত আইলো । মোহতারাম ছাব সেই জামাত নিয়া রুমে রুমে ঘুরলেন গভীর রাতে । কোরান ছোঁয়াইয়া শপথ নিলেন কাউরে যাতে এই ঘটনা না বলি । কয়েকজন বিদেশে জামাতে যাবার কথা বলে চলে গেল দুই সপ্তাহের মধ্যে । তাদেরকে আগে আগে গ্র্যাজুয়েট পাগড়ি দিয়ে দেয়া হল অল্প কয়েকজন মিলে । মোন্তাজির চলে গেল । অনেক বলে কয়ে ঠেকাইতে চাইছিলাম । বেচারার অনুশোচনার আগুন অনেক তীব্র । ওর চোখ দেইখা বুঝছিলাম , বাঁচার সাধ নাই । কুলসুমার মায়াময় চোখ জীবনে অন্তত আরেকবার দেখার সম্ভাবনা যদ্দিন আছে, আমি পারমু না ।



পাশ করে গেরামে ফিরা আইসা শুরু হৈল আমার কইলজা খুইলা ঝইরা পড়ার জন্য অপেক্ষা ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১২/-২

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আরিফুর রহমান বলেছেন: জডিল হৈতেছে.. চলুক!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

দুরের পাখি বলেছেন: ধন্যবাদ । ধন্যবাদ । দাদা আছেন কেমুন ? মেইল মাইরেন একটা ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: পড়লাম তিনটা পর্ব একসাথে। এই পর্যন্ত ভালই লাগল। খালেদা অংশটা বোধ হয় অপ্রয়জনীয় ছিল, তারপরও দেখা যাক শেষ কিভাবে হয়। আশা রাখি, শেষ অংশটাতে গিয়ে হতাশ হব না।

+++++++++++

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

দুরের পাখি বলেছেন: ভাইজান মেমোরি থাইকা লেখা । কাহিনী বানাইতে এখনো শিখি নাই । সেটা জাঁদরেল লেখকদের কাজ । তয় আস্তে আস্তে শিখব আশা রাখি । মাগার তদ্দিনেও পাঠকের কথা ভাইবা লেখা শিখতে পারমু কিনা সন্দ আছে ।

বাস্তবজীবনে প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় অনেক ঘটনাই ঘটে । ময়ুরের কি সবগুলা পালক দরকার হয় কিনা সেই স্বিদ্ধান্ত কে দিবে ।

বাই দ্য ওয়ে । আমার বলগে আইসলেন দেখে ভাল্লাগলো ।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

আরিফুর রহমান বলেছেন: ইক্রাম ভাই, আম্রার ছাগার্তনবাদীরে কৈলাম হতাশ কৈরেন না। ;)



(বাই দ্যা ওয়ে, মেইল দিছি। )

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

দুরের পাখি বলেছেন: ;) ;)

উনাদের হতাশ না করার সাইধ্য আল্লাহফাক আমারে দেননাই ।

মেইল পাইয়াছি । জওয়াবও দিয়াছি । অনেক ধন্যবাদ । দেশে ভালু সময় কাটুক আশা করি ।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

আখসানুল বলেছেন: চালায়া যা ...

ওয়াল্লীউল্লাহ রে পুরাপুরি এড়াতে পারোস নাই। ( দুস্ত বইলাই কথাটা কইলাম)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২০

দুরের পাখি বলেছেন: ওয়ালীউল্লাহ রে এড়ানো আমার মত দুই পয়সার বলদের কম্ম না রে দোস । বাংলায় আছেই তো তিনজন । ওয়ালীউল্লাহ, ইলিয়াস আর শ্যামল ।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

নস্যরাজ বলেছেন: পরীক্ষা শেষ হইলে পড়মু। আজকেই ব্লগানি শেষ। ২৬ এ ব্যাক করমু। ততদিন ভাল থাকিস

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:২০

দুরের পাখি বলেছেন: আইচ্ছা ।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

কলুর বলদ বলেছেন: কুপা সামছু

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৯

দুরের পাখি বলেছেন: কুপা । কুপাইতে থাক ।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৯

লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: দূরের পাখি। তিন পর্বটাও পড়লাম। ............বাকীগুলো আস্তে আস্তে পড়বো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৪

দুরের পাখি বলেছেন: কোনো সমস্যা নাই । ২ এর মন্তব্যের জবাবে কিছু জিনিস কিলিয়ার করেছি । ঢু মাইরা আইসেন ।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৪

মাহমুদ৬৯ বলেছেন: কি মন্তব্য করবো ভেবে পাচ্ছিনা। ওয়ালী উল্লাহর কথা জানিনা, কারণ তিনি গল্প লিখেছেন আর আপনি সত্যটাকে তুলে ধরছেন। অসাধারণ অসাধারণ। ২ কে দেয়া মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।++++

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৫

দুরের পাখি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

আমি সুদীপ্ত বলেছেন: আজ এটুকু পড়লাম। +

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

দুরের পাখি বলেছেন: ওকে । আবার আইসেন পড়তে ।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: লেখার উপজীব্যটা ঋণাত্মক, এই ধরনের কাহিনী আমরা যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল বলে দাবী করতে চাই তাদের অনেকের জীবনেই আছে বলে মনে করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, হুজুরদের দিকেই কিভাবে যেন ব্যঙ্গের তীরটা ছোটে, এটা কে মানসিক দৈন্যতাও বলা যায়।।। আমি ধার্মিক-অধার্মিক কোনটাই ন্ই, কিন্তু বিশেষ গোষ্ঠীকে হেয় করার মানসিকতাকে অসহ্য লাগে।।্

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

দুরের পাখি বলেছেন: ঘটনাটা আসলে তা না । পুরাটা পড়লে এবং আমার মন্তব্যগুলা খেয়াল করলে হয়ত ধরতে পারবেন ।

কাহিনীটা আমার বানানো না । সমস্যাটা এইখানেই । এইধরণের কাহিনী অনেকেরই আছে । কিন্তু আমি যারটারে রেপ্লিকা করছি সে বাস্তব জীবনেও হুজুর । এই কারণেই শুধু ।

আর এইটা নিয়া আমার প্ল্যানটা একটু বিশাল । হুজুর পচানি এই গল্পে হৈতে পারে । কিন্তু আমার প্ল্যানের উপন্যাসের এইটা মাত্র দশভাগের একভাগ ।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৪

মৃত৬৬৬ বলেছেন: ভালই লাগতেছে..পড়তেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.