![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফারুক ওয়াসিফ সিন্ড্রোম : লক্ষণসমূহ ১ > সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট ক্লিয়ার না হওয়া : ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত । ২ > রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভুল করে ড্রেনের পানিতে পা দিয়ে দেওয়া : সিআইএ মোসাদের ষড়যন্ত্র । ৩ > বউএর জাঙ্গিয়া ময়লা : স্থানীয় জাঙ্গিয়া শিল্পের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট বেনিয়াদের আক্রমণ । ৪ > দেশপ্রেম এবং গর্বের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নষ্টামি সহ্য না করা : ডিসকোর্স ইন্টারকোর্স না বুঝা ফ্যাসিবাদ নাযি জাতীয়তাবাদ ।
পর্ব -১
মেলা দিন আগের কথা । ভাত খাইতে বসছি ছোট বইন মুক্তা আর আমি , দুইজন লেট লতিফ । তরকারির এক পদ আছিলো ডাইল । সামনে পাতিল দেয়া, যে যার মত নিতাছে । আম্মা আরেকটা চেয়ারে বইসা দেখতাছে । মুক্তা ডাইল নিতাছেতো নিতেই আছে । প্লেটের কানায় কানায় অবস্থা । আম্মা হঠাৎ নিরীহের মত বল্লেন, " চঁড , চঁডেচ্চা, চঁডি তারফর ল আর-" (পা দিয়া মাড়া কিছুক্ষণ তারপর আরো নে, (বস্তায় কোন কিছু ভরার সময় যেমন করা হয়))মুক্তা হঠাৎ বুঝলো না ঘটনা কি । ঐদিকে আমিতো হাসতে হাসতে নাকে মুখে উঠার অবস্থা । আম্মাজান এমনে খুব বেশি জোক করেন না । কিন্তু মাঝে মাঝে এমনসব কথা নিরীহের মত মুখ কৈরা বলেন, হাসতে হাসতে কান্দনের অবস্থা । কিছুক্ষণ পরে মুক্তা বুঝলো আসল ঘটনা । বেচারি একটু আবেগপ্রবণ, কাইন্দা কাইটা, তুমি খালি আমগো লগে এরুম কর বৈলা ভাত থুইয়া চৈলা গেলো । আমি তাও হাসি থামাইতেই পারতাছিনা ।
এই চঁডা (মাড়ানো), নোয়াখাইল্যা ভাষার একটা মৌলিক ক্রিয়াপদ ।
যাউগ্গা । নোয়াখাইল্যা ভাষার ব্যাকরণের এই পর্যায়ে আরো অনেকগুলা মৌলিক নোয়াখাইল্যা শব্দের তালিকা দেয়া হৈতাছে । তার আগে উচ্চারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলি
কেবলমাত্র আঞ্চলিক শব্দের উচ্চারণের জন্য এই লেখার কমন নিয়ম
১ : সকল একক 'চ' এর উচ্চারণ , সাইকেল শব্দের 'স' এর মত হবে । যুক্তাক্ষরের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে প্রমাণ বাংলার নিয়মেই অর্থাৎ বাচ্চা কাচ্চা সাচ্চা এসবের উচ্চারণের মতই হবে । বিশেষ ক্ষেত্রে উল্লেখ করে দেয়া হবে ।
২ : বর্ণ বা সিলেবলের পরে হাইফেন (-) এর উচ্চারণ হবে : আগের সিলেবলের , স্বরবর্ণের দীর্ঘায়িত উচ্চারণ, আগের সিলেবলে স্বরবর্ণ না থাকলে দীর্ঘায়িত 'অ' এর উচ্চারণ হবে ।
যেমন "বা-ইলা " (মসুর) শব্দের উচ্চারণ হবে বা+ আ + ইলা (ব এর পরে দীর্ঘ আ)
"ব-লা" (অলক্ষি, বান্দর এইজাতীয় গালি অর্থে) শব্দের উচ্চারণ হবে ব+অ+লা (ব এর পরে দীর্ঘ অ)
আইতনা/আইন্না = বসার ঘর / সামনের ঘর / ড্রয়িং রুম
আদ-নি হাতা = থানকুনি পাতা (হাতা > পাতা শব্দের বিবর্তিত রুপ)
ইচা মাছ = চিংড়ি
উতুইচ্চা = হুতুম পেঁচা
উদিলা = খোলা, নাঙ্গা
উড়ুম = মুড়ি
ওজলা = ভুড়ি (পাকস্থলী)
ওঁয়া = টুকরি
কোঁয়া = অন্ডকোষ
খন্তা = শাবল
খাডাল = ভিতরের ঘর
খোয়া = কুয়াশা, শিশির
খাঁ-জিলিক = বিদ্যুৎ চমকানো
খাঁডা বাইয়ুন = টমেটো (বাইয়ুন > বাইগন > বেগুন শব্দের বিবর্তিত রুপ)
গাবাল = সাপুড়ে
গিদ্দা দেয়া = ডিগবাজি খাওয়া
গোয়াইল্লা = ফড়িং
চঁই = শিম
ছলা = কাঠবিড়ালি
জলই = পেরেক
জিলইন = ঝিনুক
জো-রা = ছোট নালা
টগবা = নারিকেলের মালা দিয়া বানানো ডাল বাড়ার জন্য ব্যবহৃত চামচ বিশেষ
ঠাডা = বজ্রপাত
ডগি = জমি
ডেঙা = বাগান, বাড়ির পিছনের ঝোপজঙ্গল
ডেঁয়া = বাছুর
তরই = ধুন্দুল
তয়া = টুপি
তাগারি/হিবা = গরুর খাবার দেয়ার জন্য ব্যবহৃত বিশাল গামলা
তুরুল্লা/তুরুইল্লা = ঝিঁঝি পোকা
দাগা = কালো মোটা সুতা (তাবিজ বাঁধার জন্য)
দস্ত হওয়া= বমি হওয়া (নোট : বমি করা > বমি করা ই ব্যবহৃত)
দাস্ত = ডায়েরিয়া
ধজি = হাতা ,খুন্তি
নাইচ্যা হাগ = পাটশাক (হাগ > শাক থেকে বিবর্তিত)
ফেলন/অরল = অড়হর
বইর = পা, ঠ্যাঙ (সাধারণত পায়ের পাতা)
বা-ইলা = খেসারি (ডাল)
বালা তেল = সরিষার তেল
বাবাল = বনবিড়াল, খাটাশ
মাইড্ডাল = মাটি কাটার শ্রমিক
মাত্তুল = হাতুড়ি
মুআহাইন্জুইয়াঁ = গোধূলিবেলা
মেচাঙ্গ/দমদমা = ফলস সিলিং
মেড-লি = মাকড়শা
লাই = গামলা
শ-ইন্দা/শশিন্দা = চিচিঙ্গা
শাবুরি = তৃপ্তি, সন্তুষ্টি
হবরে = তাড়াতাড়ি
হ-ন = মক্তব
হারল = মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত টুল বিশেষ
হাইব = চাপকল (ইংরেজি পাইপ থেকে বিবর্তিত)
হালনী ভাত = পান্তাভাত
হাঁটফা = মই
হুয়ার = ব্যবহার
হেঁন্জা = জলজ আগাছা
হোঁয়াইর = ঘরের উপরের দিকের পাটাতন
হৈতকাল = আদ্দিকাল, অনেক আগে
হৈর করা = মেরামত করা
হৈর অইছে = ফ্রি হৈছে, মুক্ত হৈছে
---------------------------------------------------------------------------
মৌলিক শব্দের জন্য আর কোন নতুন চ্যাপ্টার এড করা হবে না । এরপরে পাওয়া মৌলিক শব্দগুলা , প্রথম এবং দ্বিতীয় চ্যাপ্টারে এডিট করে যোগ করা হবে । পরের পর্বে, মূল বুঝা যায় কিন্তু বিবর্তনের ধারা ধরা যায় না এমন শব্দ এবং উচ্চারণ বিবর্তনের কিছু কমন রুলস প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা থাকবে ।
বিভিন্ন তথ্য দিয়ে যারা সাহায্য করতাছেন ,এবং নোয়াখাইল্যা না হৈয়াও গভীর আগ্রহ-উৎসাহ-উদ্দীপনা সহ মন্তব্য দিয়া যারা ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ঋণ শুধুমাত্র ধন্যবাদ দিয়া শোধ হবার নয় । তাও দিলাম ধন্যবাদ ।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
দুরের পাখি বলেছেন: গুপন কতা কই , আমি নিজে কুনদিন শুনি নাই এইটা ।
২| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
খারেজি বলেছেন: উরুমা মানে মুড়ি।
বহু অঞ্চলে প্রচলিত। ইছা ঠাডা বরিশাল-বাগের হাটে পাইবেন। দাস্ত মনে হয় ফার্সী। খন্তাও দেকছনারীতে আছে।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
দুরের পাখি বলেছেন: খন্তা দেকছনারীতে কি শাবল অর্থেই আছে, নাকি হাতা অর্থে ?
যাউগ্গা , মৌলিকতার সংজ্ঞা পাল্টাইতে হৈব দেখা যায় । প্রামাণ্য বাংলায় নাই, উচ্চারণ বিবর্তনের মূল ধরা যায়না, এইজাতীয় সবগুলারেই মৌলিক বানাইয়া দিতে হৈবে ।
৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০০
কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: নঅহাইল্যা কি শিখাই ফালামু
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
দুরের পাখি বলেছেন: শিখ্যা ফালান ।
৪| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: হুড়ুম বরিশালের ঐদিকে ব্যবহৃত হয়।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
দুরের পাখি বলেছেন: মৌলিকতার সংজ্ঞা পাল্টাইতে হৈব দেখা যায় । প্রামাণ্য বাংলায় নাই, উচ্চারণ বিবর্তনের মূল ধরা যায়না, এইজাতীয় সবগুলারেই মৌলিক বানাইয়া দিতে হৈবে ।
৫| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
মোনালিসা আক্তার বলেছেন: আমি হারতুইন্ন
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
দুরের পাখি বলেছেন: ন হাইত্তি কিল্যাই, জুত করি হইত্তে থাক, হাইরবি ।
৬| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৪
শয়তান বলেছেন: কাউয়া কি ব্রাসেল্সের লুক ?
খাইচে
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
দুরের পাখি বলেছেন: হেহেহে । অলমাইটি বিএনসিসি ।
৭| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: আপনার প্রতিভা দেখি দুর্গার হাতসমুহের মতো!
প্লাস।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
দুরের পাখি বলেছেন: থ্যান্কু । থ্যান্কু । ভাষাতত্তে আসলে ব্যাপক আগ্রহ কেবল , প্রতিভা শূণ্য ।
৮| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৯
শুভ৭৭ বলেছেন: ভাল জিনিস দিয়েছেন।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
দুরের পাখি বলেছেন: থ্যান্কস ।
৯| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
তনুজা বলেছেন: কি মিয়াবাই , যারা পড়ে উৎসাহ উদ্দীপনা দেতেছে তাদের কতা কন না কেন----আমরা শব্দ পারি না বলে কি ধইন্যা দিতে ভুলে গেছেন
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
দুরের পাখি বলেছেন: স্যরি স্যরি , এক্কনি এডিটাইতাছি ।
১০| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
ফয়সল বলেছেন: আন্নেরে দইন্যবাদ বাই.. অঙ্গা আঁর নোয়াখাইল্লা ভাষাল্লাই হরান হর.. বাইর লগের গাডার আগে কদ্দিন যাইনা...কদ্দিন গফ মারিনা...
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
দুরের পাখি বলেছেন: শীতকালে গাঁডাআগে রইদ হোয়াই না কতদিন ............
১১| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সবাক বলেছেন:
বা-ইলা = মসুর (ডাল)
হাঁটফা = মই
===============
এই দুইটা নিয়া আপত্তি আছে।
বা-ইলা বলা হয় খেসারী ডালকে।
মসুর ডালকে বলা হয় মুসুরি।
আর মইকে বলা হয় চঙ্গা।
=======
মইকে যে হাঁটফা বলে তা জানি না।
মসুর ডালকে বা-ইলা বলতে শুনিনি।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
দুরের পাখি বলেছেন: হাঁটফা ডা সিউর । বা-ইলা, অনেক ছোটকালে শুনছিলাম, সিউর না । আরো নোয়াখাইল্যাগো কাছ থাইকা কনফার্ম হই, তারপর এডিট করমু ।
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
দুরের পাখি বলেছেন: চঙ্গা, বা চঙ্গ মুন্সিগন্জ, ফরিদপুরের দিকে ব্যবহার হয় ।
১২| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
তনুজা বলেছেন:
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
দুরের পাখি বলেছেন: এলা খুশি
১৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আমি ভাল আছি বলেছেন: darun hoise!!
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২৮
দুরের পাখি বলেছেন: থ্যান্কু ।
১৪| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:১২
বিডি আইডল বলেছেন: মই কে বোধহয় চঙ্গা বলতো আমাদের ওইদিকে
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২৮
দুরের পাখি বলেছেন: আপনাদের ঐদিকটা কোনদিক ?
১৫| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:১৪
অনিগিরি বলেছেন: ভাই চালাইয়া যান, নোয়াখাইল্যা ভাষা বিষারদ হিসাবে আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে!!!
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২৯
দুরের পাখি বলেছেন: ডলা খাইয়া এখন খোঁচা চোদান । ভালু ভালু .....
১৬| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:১৭
রুবেল শাহ বলেছেন: বাওলা > খেসারী ডাল
হাঁটফা = মই কিনা জানি না তবে হাঁটফা দেখতে মাই এর চাইতে অনেক ছোট হয়, যা দিয়ে হাল চাষ করার পর মাটি সমান করার কাছে বেশী ব্যবহার হয়।
...............
ঘোয়া > কলশি / ঘোড়া
কত্তি > বদনা
জলি > বাঁশের বেড়া বিশেষ
ছোপ > বাঁশের অগ্রভাগ
............
ডেগা > কঁচি = লাউগা এক্কেরে কঁচি
বুয়া/ বাতি > লাউগা এক্কেরে বাতি / কোনথন বুয়া লাউ লই আইছত
ঝুনা নাইওল > পাকা লারিকেল
......................
গম > পেয়ারা
বগলি > কলা গাছে ভিতরে শাস বিশেষ
কেলার থো >
এনাজি কেলা >
.............
জাগুর মাছ > মাগুর মাছ
ইন্দোনেশিয়া > কারফু মাছ
...............
আলবা ধান > আতব ধান
হিদ্ধ ধান > সিদ্ধ ধান
................
নাইওলের ডোগা > লারিকেলের পাতা
তালে ডোগা > তালে পাতা
..............
শিয়ল > শিয়াল
হাপ > সাপ
ভেঙ্গুল >
কাইডবা হিম্বা > বড় বড় কালো পিঁপড়া বিশেষ
.................
ধরণী > দাইমা
গুণীন > ঝাড় ফুক করেন যিনি
ডাক্তর > চিকিৎসক
বাইন্না > স্বর্ণকার
ফোসারী দোয়ান > বনজ ঔষধের দোকান ( সম্ভবত )
নাইত্তা > নাপিত
ধুপি > কাপড় পরিষ্কার করেন যিনি
বৌতাল > গ্রামে কিছু লোক আছে যারা শুধু গরুর চিকিৎসা করে থাকেন.
ভেন্ডার > দলিল লিখেন যিনি
মেস্তরী > মিস্তিরি ( কাঠ মিস্তিরি বা রাজ মিস্তিরি কে বোঝানো হয় )
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩০
দুরের পাখি বলেছেন: হাল চষার পর মাটি সমান করার জন্য যেইটা সেইটারে হাঁটফা বলা হয় । আমাদের ঐদিকে(চৌদ্দগ্রাম) উপরে উঠার জন্য ঐগুলারেও হাঁটফা বলা হয় ।
১৭| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২৬
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: বইর>পা
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩০
দুরের পাখি বলেছেন: হুমম এইটাতো পোস্টেই দেয়া আছে ।
১৮| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩১
বিডি আইডল বলেছেন: চাটখিল
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৩২
দুরের পাখি বলেছেন: হুমম বুঝলাম । চঙ্গ বা চঙ্গা আরো অনেক জায়গায় ইউজ হয় ।
১৯| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৫২
রুবেল শাহ বলেছেন: কারন > বিদ্যুৎ
হাবর> পাওয়ার ( যেমন = বিদ্যুৎ এর ২০ ওয়াড এর বাতি / কাননের কুই হাবর এর বাত্তি )
শাই > শাড়ি
চাদইর > চাদর
গেলাস > গ্লাস
হিম্বার কাম > পিঁপড়ার কামড়
ঘুই > ঘুড়ি
চিডাল > শ্মশান
ছাম্মন > নৌকা
উন্দুর > ইঁদুর
বিলাই > বিড়াল
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০২
দুরের পাখি বলেছেন: থ্যান্কস ।
২০| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৫৫
নেক্সাস বলেছেন: মোরের ডাইল == মসুরের ডাল
বাইলা == খেসারীর ডাল
অলের ডাল == অড়হরের ডাল
হৈল্লা হাতা == শটি পাতা
রই == খেঁজুরের রস
গোয়া == কলসী
উড়ুম শব্দটা নিয়ে শব্দটা নিয়ে সংশোধনী আছে....
ফেনীর দক্ষিন পূর্বাঞ্চলে মুড়ি কে হারহামেশাই মুরি বলা হয়।
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০২
দুরের পাখি বলেছেন: আমরাও মু-রিই বলতাম । ইনপুটের জন্য ধন্যবাদ ।
২১| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:০৯
মাহমুদ৬৯ বলেছেন: বা-ইলা বলা হয় খেসারী ডালকে।
উড়ুম > মুড়ি , কখনো শুনিনি, তবে উড়ুম > ওঠা অর্থে ব্যবহার করা হয়।
উদা : গাছে উডুম।
যাক দ্বিতীয় পর্ব দেখে ভালো লাগছে।
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০৩
দুরের পাখি বলেছেন: সংশোধন কৈরা দিছি ।
২২| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০৪
দুরের পাখি বলেছেন: বা-ইলা = খেসারি (ডাল)
সংশোধন করা হৈল ।
তয়া = টুপি
হৈতকাল = আদ্দিকাল, অনেক আগে
হৈর করা = মেরামত করা
হৈর অইছে = ফ্রি হৈছে, মুক্ত হৈছে
সংযোজিত হৈল ।
২৩| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
দুরের পাখি বলেছেন: উতুইচ্চা = হুতুম পেঁচা
উদিলা = খোলা, নাঙ্গা
কোঁয়া = অন্ডকোষ
গিদ্দা দেয়া = ডিগবাজি খাওয়া
গোয়াইল্লা = ফড়িং
জো-রা = ছোট নালা
তুরুল্লা/তুরুইল্লা = ঝিঁঝি পোকা
মেড-লি = মাকড়শা
হেঁন্জা = জলজ আগাছা
নতুন যোগকৃত
২৪| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৭
রুবেল শাহ বলেছেন: কিতারে ভালনি................... ভাইছা > ভাই
১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩৯
দুরের পাখি বলেছেন: হ আচি বালা ।
২৫| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১:২০
কেল্টূ দা বলেছেন: সামু পুস্ট কায়ালচে । কায়া আবার আমারে ঝেনারেলাইচে ।
এরাম পুস্ট খাওয়ার মানে বুঝলাম না ।
ঈমান্দারগো লেইগা আসলেই দুক্ক লাগতাছে ।
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৪
দুরের পাখি বলেছেন: কি কৈতাম আর কন । মাঝে মাঝে ইচ্ছাকরে
মডু শালাগো গোঁফ ধরে খুব নাচি
মন্ডু ধরে কোদাল দিয়া চাঁচি
২৬| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১:৪০
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: দুটো পর্বই পড়লাম। জটিল কাজে হাত দিয়েছেন। আপনার আগ্রহের বহুমাত্রিক রূপ দেখে মুগ্ধ হই, আর আপনার প্রতিভা দেখে ঈর্ষায় জ্বলি!
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
দুরের পাখি বলেছেন: যতটা জটিল ভাবছিলাম তার চাইতে বেশি জটিল মনে হৈতাছে এখন বিভিন্ন নোয়াখাইল্যাদের ইনপুট পাইয়া । দেখি কতটুকু শুদ্ধ এবং সম্পূর্ণ করা যায় ।
ধইন্যা আপনারে ।
২৭| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ১:৫০
রুবেল শাহ বলেছেন: চাল্লিস মিলামু আর গেন কিল্লাই এড হয়নো........
চাল্লিস > গ্রাম্য বিচার
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
দুরের পাখি বলেছেন: সালিশ তো আমাদের ঐদিকে (চৌদ্দগ্রাম) সালিশ ই বলা হয় ।
২৮| ১৯ শে মে, ২০০৯ রাত ২:০৭
লুথা বলেছেন: "আগা নাই বলদেদি থেটঠেরির জোর" >>> এইটার মানে কন তো দেখি...
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
দুরের পাখি বলেছেন: হাগা নাই বলদে দেখি, ডায়রিয়ার জোর ।
ভাত নাই ঘরে চালন চালন করে
অথবা
আসলে মুষুল নেই, ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া
২৯| ১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩
হক মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
কোঁয়া= অন্ডকোষ (এটিকে 'বিচা' নামেই অভিহিত করা হয় যেমন-বলদের বিচা। 'কোঁয়া' শব্দটি 'কোষ' অর্থে ব্যবহৃত হয় যেমন- কমলার কোঁয়া ইত্যাদি।)
হান্দি= গলি
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯
দুরের পাখি বলেছেন: হান্দি = গলি প্রথম চ্যাপ্টারে আছে ।
আমগো গেরামে একটা পুলা আছিলো, সম্ভবত হাইড্রোসিল অথবা গোঁদরোগে অন্ডকোষ খুব বড় হৈয়া গেছিলো, ঐটারে আমার বড় ভাইরা দেখতাম বটকোঁয়া ডাকত ।
৩০| ১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:০৭
লীনা দিলরূবা বলেছেন:
চঁড , চঁডেচ্চা, চঁডি তারফর ল আর
আপনার আম্মার রসবোধ দেখে চমৎকৃত হলাম
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০
দুরের পাখি বলেছেন: হিহি । আম্মাজান মাঝে মইধ্যে খুব নিরীহের মত একেকটা বোম ফাটান । হাসতে হাসতে কাহিল অবস্থা।
৩১| ১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:২১
লীনা দিলরূবা বলেছেন: ইতি/হিতি- সে (নারী বাচক সম্বোধন)
হেতে-সে (পুরুষ বাচক সম্বোধন)
উদাহরণ: হিতিরে কইছিলাম আইতো, হিতি আইয়েন
ইতি বেশি হাঁকি গেছে গই
বাইলাচুম্মা- ছোট আকৃতির বেলে মাছ
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:০০
দুরের পাখি বলেছেন: যোগ করা হৈবেক ।
৩২| ১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:৪৭
মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: ওজুরি = ভুড়ি (পাকস্থলী)
কোঁয়া = কোষ (যেমন : কাঠালের কোঁয়া )
খোয়া = কুয়াশা, শিশির ( ইটের ছোট ছোট কংকরও হয়)
লাই = বড় টুকরি
হবরে বা হলে হলে = তাড়াতাড়ি
হানী ভাত = পান্তাভাত
ওঁরা = টুকরি
নতুন সংযোজন
বদইল্লা : কামলা বা মাঠে কাজ করে
টেয়া : টাকা
হইছা : পয়সা
ছইয়াল : নৌকার মাঝি ( যাত্রীবাহী)
হুত : পুত্র
হুনি : শুটকি (চিটাগাং এর লোকজনও বলে)
বইছা মাছ : ছোট মাছ
রসি ঘর : রান্না ঘর
হগার : বড় গাছের বাগান
বড্ডাইছা : বড় ভাই
হে মিয়া : তিনি
লেদা : ছোট ছেলে
লেদি : ছোট মেয়ে
এনাজি কলা : কাচা কলা
মড্ড ফল : জামরুল
খাটাস : নোংড়া
হেতি : তিনি (মহিলা)
হেতেন : তিনি (পুরুষ)
হড়ি : শাশুড়ি
হওড় : শশুড়
টেক্কা : টুপি
লাইয়া : লাল পিপড়া
বাইছা : ভাইয়া
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:০১
দুরের পাখি বলেছেন: মৌলিক আর সাধিত বাছাবাছি করে , ক্রস রেফারেন্সের পর যোগ করা হবে । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । সাথে থাকুন । ভুলত্রুটি ধরায়া দেন ।
৩৩| ১৯ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:০১
মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: ১. বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার ২. চাদপুর জেলার অর্ধেক ৩. কুমিল্রা জেলার চৌদ্দগ্রামের ৪. চট্টগ্রামের মিরেরশরাই ও সন্দ্বীপের ৫. ভোলা জেলার কিছু লোক নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলে ।
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৩
দুরের পাখি বলেছেন: মজার ব্যাপার হৈল, এর ভিতরে ভিতরে কিন্তু অনেক ছোটখাট পার্থক্য আছে । যেমন আমি এইটা লেখতে গিয়া এমন কিছু শব্দ পাইলাম যেইগুলা নিজে কোনদিন শুনি নাই । তারপর ব্যাকরণগত কিছু পার্থক্যও আছে । যেমন ধরেন আমাদের ঐখানে আঙ্গো , তোঙ্গো এইগুলা চলে না । আমরা বলি আন্ডা তোন্ডা । আবার এইডে হেইডে এইসবের জায়গায় আমরা বলি ইঁ-নে, হিঁ-নে ।
৩৪| ১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪
লীনা দিলরূবা বলেছেন: @মো: খায়রুল বাসারের কালেকশন দারুন। তবে কাচা কলা কে এনাজি কলা নয় আনাজি কলা বলে।
লেখক বলেছেন: যেমন ধরেন আমাদের ঐখানে আঙ্গো , তোঙ্গো এইগুলা চলে না । আমরা বলি আন্ডা তোন্ডা । আবার এইডে হেইডে এইসবের জায়গায় আমরা বলি ইঁ-নে, হিঁ-নে ।
এটা একদম ঠিককথা। আমার ফুপুর বাড়ি নোয়াখালি সদরে। তারা বলে আঙ্গো, তোঙ্গো। আমরা ফেনীতে বলি আন্ডা, তোন্ডা। আবার আমরা দৌড়ুচ্ছিকে বলি দৌড় দিছি, আর আমার ফুপাতো ভাইরা বলে দোম্বাইছি। ফেনীতেই আমার দাদাবাড়ি, নানাবাড়ি। একটি ছাগলনাইয়া থানায় আরেকটি দাগনভুইয়াতে, নানা বাড়িতে চামচকে চামচই বলে দাদা বাড়িতে বলে কছুর। দুই বাড়ি একই জেলায়, কিলোমিটারের পার্থক্য ধরুন কুড়ি কিন্তু কিছু কিছু শব্দের ব্যবহার একদম ভিন্ন।
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮
দুরের পাখি বলেছেন: আরে মিয়া এই সমস্যাতেইতো মাথা খারাপ হওনের জোগাড় । এমন সব শব্দ পাইতাছি এইগুলা আমিতো দুরের কথা আমার আম্মাজানও জানেন না ।
দৌড় রে আমাগো ঐদিকে কয় দোফর, চামচরে কই চামিচ (আপনেই একবার কৈছিলেন, নোয়াখালিতে ই টা খুব বেশি ব্যবহার হয়, এক্কেরে হাচা কতা, কামে অকামে শব্দের মাঝখানে শুরুতে একটা ই ঢুইকা যায় )
কোঁয়া শব্দটা নিয়া কনফিউশন দূর করেন । (যদিও আফনের জানার হয়ত কথা না )
৩৫| ১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:১৪
রুবেল শাহ বলেছেন: মো: খায়রুল বাসার @ আপনি একই শব্দ পুনরায় তুলে ধরছেন যা আগেও অন্য কেউ তুলে দিয়েছে..............
আমরা সবাই মিলে নতুন নতুন শব্দ যোগ করার দিকে লক্ষ্য রাখি সেটাই খেয়ান করুন..............
বুঝাইতাম পাইছিনি..................?
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
দুরের পাখি বলেছেন: এইয়েন বাইচা মনে কতা-ন বুইজ্জেন ।
৩৬| ১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫১
হক মাহবুব বলেছেন: চুক্কুনী- ছোট
হেড়ম- ক্ষমতা
১৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩
দুরের পাখি বলেছেন: হেডম , ভালো শব্দ মনে করাইলেন ।
৩৭| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪
লীনা দিলরূবা বলেছেন: কোঁয়ার মানে আপনি যেটা মিন করেছেন সেটা একটা অর্থ আরো একটা অর্থ আছে সেটা হল ফলের কোষ। উদাহরণ- কাঠালের কোঁয়া।
১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৫১
দুরের পাখি বলেছেন: যাউক , আমি যেই অর্থ দিছি সেইটার জন্য ক্রস রেফারেন্স পাওয়া গেলো । কাঠালের কোয়া অর্থে কোঁয়া ব্যবহার হয় কিছু কিছু জায়গায় বুঝা যাইতাছে , সেইটাও এড কৈরা দিমু । আমাগো ঐদিকে কাঠালের কোয়ারে বলা হয় কাঁডলের কোঁশ ।
৩৮| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭
লীনা দিলরূবা বলেছেন: মূলত ফেনী-পুরো জেলা
নোয়াখালী-পুরো জেলা
লক্ষীপুর-পুরো জেলা
চট্টগ্রামের মিরেরশরাই, সন্দীপ থানা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম
চাঁদপুরের হাজিগন্জ, ফরিদগন্জ এই টোটাল এরিয়ায় নোয়াখাইল্যা ভাষার চল। এক্ষেত্রে নোয়াখালী সদর এলাকার মানুষজন যে একসেন্টে কথা বলে তা-ই আসল নোয়াখালীর একসেন্ট।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম মিরেরশরাই- ফেনী ঘেষা
চাঁদপুরের হাজিগন্জ, ফরিদগন্জ- লক্ষীপুর ঘেষা
ভোলা, সন্দীপ- নোয়াখালি বা মাইজদি ঘেষা শব্দাদি ব্যবহার করে।
এখানে ব্লগাররা যদি তাদের উত্থাপিত/ প্রস্তাবিত শব্দের পাশাপাশি তিনি কোন জায়গার বাসিন্দা সেটি উল্লেখ করে দেন তাহলে আলোচ্য লেখকের অভিধান বানাতে সহজ হবে। একই শব্দের ভিন্ন নাম থাকলে সেটা স্থান ও ভৌগলিক অবস্থানের কারনেই হচ্ছে সেটা সবাই বুঝতে পারবে। আর আমরা সবাইই বিশেষভাবে উপকৃত হব।
১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
দুরের পাখি বলেছেন: অতি উত্তম প্রস্তাব । দ্বিমতের কোন জায়গা নাই ।
৩৯| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: ধন্যবাদ @ লীনা দিলরূবা । আমার বাড়ি চাটখিল । তবে শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের একটা বিরাট সময় কেটেছে চিটাগাংএ ।
১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
দুরের পাখি বলেছেন: ওক্কে তাইলে আপনার এডায়িত শব্দগুলার সাথে চাটখিল ট্যাগ করা থাকবে ।
৪০| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯
মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: মন্ড ফল : জামরুল
হের : ছিদ্র আবার পাল্লা Balance কে হের বলে
দোয়ান : দোকান
আইট্টা বা আইটগা কলা : বিচি কলা
নজের মসল্যা : নামাজের বিছানা
১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:২০
দুরের পাখি বলেছেন: ওক্কে । চেক ক্রস রেফারেন্সের পর যোগ করা হবে ।
৪১| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৩
নুশেরা বলেছেন: ও দেশী, লাই-এর দুইটা অর্থ। একটা ঝাঁকা (বাঁশ বা বেতে বোনা বড় ঝুড়িটাইপ); আরেকটা আশকারা (যার আরেকটি স্থানীয় প্রতিশব্দ হলো ফস্কি বা হস্কি)। দমদমা-র আরেকটা স্থানীয় প্রতিশব্দ হলো দর্মা।
ড্যাগা= কচি
কইচ্যা= সবুজ
ছোতরা= সুপারি কাটার যাঁতি
টক্কা= লাফ
কডা= নোনতা
খাডা= টক
হোঁয়া= শশা
গাঁঈ= গাড়ী
গোঁয়া= ঘোড়া
আচ্ছা, সর্বনাম বা প্রোনাউনও দিয়েন। আঁই, তুঁই, হ্যাতে, হেতি এইসব।
লীনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে: আমি টোকিও; মানে মাইজদীর
১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৮
দুরের পাখি বলেছেন: আমার মাইঝা খালারে কয়েকবার কৈতে শুনছিলাম বাতের লাইগা লই আয় । আপনের দেয়া অর্থডাও এডিট কৈরা দিতাছি ।
সর্বনামগুলা পরের চ্যাপ্টারে আসতাছে । কডা আর খাডা শব্দদুইটা মনে করাইয়া দেওনের লাইগা ধইন্যা ।
মাইজদিরে টোকিও কয় নাকি ?
৪২| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: ইচা মাছ = চিংড়ি
উড়ুম = মুড়ি
খন্তা = শাবল
ঠাডা = বজ্রপাত
তরই = ধুন্দুল
দাস্ত = ডায়েরিয়া
মাত্তুল = হাতুড়ি
এই কয়টা শুনেছি আগে -
১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৯
দুরের পাখি বলেছেন: গু--ড । বিলাইয়েও তাইলে শব্দ শুনে
৪৩| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩
নুশেরা বলেছেন: নোয়াখালী জাপান অইলে মাইজদী টোকিও অইতোনা কিল্লাই!
মই মানে ladder-কে কিন্তু চঙ্গা বলেই জানি। মাকড়সাকে ম্যাটকরি বলে। আর গান্ধী পোকাকে বলে হাদরা হোঁক। কোঁচোকে ক্যাঁচ্ছা বা কুঁইচ্চা। কাঁকড়াকে ক্যাম্বা। বড়শিকে বোরি (উচ্চারণ ব'ওরি)
১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
দুরের পাখি বলেছেন: মই আমাদের ঐদিকে হাঁটফা নামেই চলে
মাকড়সা = মেড-লি (আপনার দেয়া আঞ্চলিক ভ্যারিয়েশন যোগ করা হবে)
কাঁকড়া = কে-মা (ক্যাম্বাটা যোগ করা হবে)
বড়শি = বরই/ বরি (আমাদের ঐদিকে)
৪৪| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৬
নুশেরা বলেছেন: জলজ আগাছাকে হেঁনজা বলে নাকি? শিওর? আমি তো জানতাম হ্যানা (<পানা)। আর হেঁনজা হলো সজারু। সজারুর কাঁটার মতো খাড়া চুল হলে তাই নাম রাখা হয় হেনজা মিয়া বা অপভ্রংশে হেনজাইয়া।
১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৩
দুরের পাখি বলেছেন: হেঁনজা শিওর । হ্যানা বলা হয় মূলত কচুরিপানাকে ।
৪৫| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০
নুশেরা বলেছেন: কমেন্টটা পুরো আসেনি। পানা->ফেনা->হ্যানা= জলজ আগাছা।
হেঁনজা= সজারু। এজন্য সজারুর কাঁটার মতো খাড়া চুলের ছেলেদের নাম রাখা হয় হেনজা মিয়া বা অপভ্রংশে হেনজাইয়া।
১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
দুরের পাখি বলেছেন: হাহাহা । ভালো জিনিস শিখলাম ।
আমাদের গ্রামে এক লোকেরে ডাকা হৈত হেনজা । আমার ভাই একদিন ঐটারে দেইখা কইলো হেনজা লেনজা ছিঁ- হালামু । আর শুরু হৈল টম জেরি দৌড় ।
৪৬| ১৯ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
নুশেরা বলেছেন: হৈর= পুকুর, ফকির--- এই দুটোও হয় কিন্তু। উচ্চারণে প্রলম্বনের সামান্য বেশকম আছে।
গুন্টি বা ঘুন্টি= ঘুড়ি
হরমুল= পাটখড়ি
ট্যাংরাবেড়া= সরু বাঁশ ফালি করে নেটের মতো বেড়া (বাগানে দেয়া হয়)
১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
দুরের পাখি বলেছেন: হরমুল বা হইরমুল পরিচিত । গুন্টি ঘুড্ডি থাইকাই বিবর্তিত ।
ট্যাংরাবেড়া নতুন শুনলাম ।
৪৭| ১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
কেল্টূ দা বলেছেন: না এইডা হইবনা,
এহানে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত হইতাছে
১৯ শে মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
দুরের পাখি বলেছেন: খিক খিক । দুইন্যার নোয়াখাইল্যা এক হউ ।
৪৮| ২০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৪০
হক মাহবুব বলেছেন:
চাই চাই লন, বাছি বাছি লন!
হাতাইরা - পাশাপাশি
দিঘইল্যা - উপর-নিচ
হুঁইন্যা - পোষ্য নেয়া
হেঁডাই - বোকা
হোরা - ময়লা
হাগ - শাক
চুদুর বুদুর - নয় ছয় করা
তালি বালি - এড়িয়ে যাওয়া
কাশ্মির - চালাক অর্থে
বেয়ান - সকাল
বিয়াল - বিকাল
হাইঞ্জা - সন্ধ্যা
কোরা - বড় টুকরি (লাই ও বলে)
চালইন - চালুনী
আঁডা - হাঁটা
নাইয়ল- নারিকেল
কাডল - কাঁঠাল
কইয়া - পেঁপেঁ
খেতা - কাঁথা
রজাই - কম্বল
কত্তি - লোটা
চাঁইয়া - চড়ুই
কাউয়া - কাক
হিয়ল - শেয়াল
লেইঞ্জা - নকূল
লেঞ্জা - লেজ
কোম্বা - কুমড়া
লেদা/ছুটকিয়া - ছোট ছেলে মেয়ে
আঁইন্না - আঙ্গিনা
হাতরাজি - ঠাট্টা মস্করা
জাউরা / জাইরবা - জারজ (গালি অর্থে)
হলদানি - মার
হন্দি - সম্বন্ধি
চঁইয়া চাক - চষা খেত
ব্যাস্ অনেক হয়েছে । এবার চলেন ভাইছা চাদে গিয়ে ছাঁদ দেখে আসি।
৪৯| ২২ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪১
অগ্নিকন্যা বলেছেন: ডর খাইছি এইটা কি নোয়াখাইল্লা দুনিয়া নি? যাই হোক ভালো হইছে পোস্ট........।++++++
৫০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: দুইন্যার নোয়াখাইল্যা এক হউ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শয়তান বলেছেন: উড়ুম । এইটাও বহুদিন বাদে শুনলাম