নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাড়-ত্যাঁড়া ধরণের মানুষ আমি। নিজের ইচ্ছেগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালবাসি। কিছুটা অসামাজিকও বটে।

শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল

কজিতো, এরগো সাম

শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: বিশ্বাসঘাতক

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

হালকা আলোকিত রুমটাতে একটা মাত্র ছায়ামুর্তি। তার হাতে জলন্ত সিগারেট। রুমের মধ্যে ছটফট করছে সে। যেন খাঁচায় বন্দি কোন পাখি!

রুমের বিরাট টেবিলটার উপর শুধু একটা ল্যাপটপ। হালকা আলো কম্পিউটারটার মধ্য থেকে টিকরে বেরিয়ে রুমে একটা মায়াবী আবহ সৃষ্টি করেছে।
হঠাৎ ছটফটানি থামিয়ে টেবিলের দিকে এগিয়ে এলো ছায়ামুর্তিটা। মেইল এড্রেস চ্যাক করতে গিয়েই নতুন মেইলটা দেখলো সে। অজান্তেই ঠোঁটের কোণে স্বস্তির হাসি দেখা দিলো। ছোট্ট মেইলটাতে লেখা আছে - "শুরু করেন."

***

প্রচন্ড রোদে সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এমন গরমে ঘর থেকে বের হওয়া যে কতটা পীড়াদায়ক - সেটা যে বের হয় না, তার পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
ফাহিমের এই টাইমে বের হওয়ার কোন ইচ্ছাই ছিলো না। কিন্তু অনামিকার কারণেই বের হতে হলোই।

আপাতত তাকে যেতে হচ্ছে রমনায়। সেখানেই অপেক্ষা করছে মেয়েটা। রিক্সাতে বসে থাকলেও দরদর করে ঘাম ছুটছে শরীর দিয়ে। বিরক্তিতে নাক-মুখ কুঁচকে গেল ফাহিমের।।

রিক্সাটা থামতেই দ্রুত নেমে এলো সে। ভাড়া মিটিয়ে তাকাল সামনের দিকে। কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়ে আছে অনামিকা। ফাহিমকে দেখেই মুচকি হাসল সে। মেয়েটার হাসি ভয়ংকর সুন্দর - যা ফাহিমকে বার বার মেয়েটার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে!

এগিয়ে এসে ফাহিমের উদ্দেশ্যে বলে উঠল সে - "আজ আমরা কোথায় যাচ্ছি?"

"একটা গোপন জায়গায়.." - বলেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হাসল ফাহিম।
অবাক হলো না মেয়েটা। ফাহিমের এসব পাগলামি তার ভালোই জানা আছে। গত সপ্তাহেই হুট করে কোন আগাম প্ল্যান ছাড়া দুই জনে ছুটছিল সমুদ্রের উদ্দেশ্যে!

তাই, আবারো মুচকি হাসল অনামিকা। তারপর চোখ টিপে বলল,"তাহলে চলো তোমার সেই গোপন জায়গার উদ্দেশ্যে..."

***

বিপ্ বিপ্ শব্দে মোবাইলটা বেজে উঠতেই ঘুম ভেঙে গেল ফাহিমের। মনে মনে কলকারীর চৌদ্দ গৌষ্ঠী উদ্ধার করে হাত বাড়িয়ে ফোনটা তুলে নিল। কল পিক করে কানে লাগাতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো তানভীরের উত্তেজিত কন্ঠ - "শালা, মরে গেছস নাকি? কল রিসিভ করতে এতক্ষণ লাগে?"

"ঘুমাচ্ছিলাম। কি বলবি বল..", বহু কষ্টে কন্ঠটা স্বাভাবিক রেখে জিঙ্গেস করল ফাহিম।
"অনামিকা কিডন্যাপড! পুলিশ তোরে হন্যে হয়ে খুঁজছে! আর তুই ঘুমাচ্ছস?" - চিৎকার করে বলল তানভীর।
চমকে ধড়পড় করে উঠে বসল ফাহিম। কিন্তু কিছু বলার আগেই তানভীরের কন্ঠটা শুনা গেল ফোনের ওপাশে - "জলদি তোর মেস থেকে পালা। শালা, শিল্পপতির মাইয়ার লগে প্রেম করতেছস। এবার বুঝ ঠ্যালা!"

কিছু না বলে ফোনটা রেখে দিল ফাহিম। তারপর দ্রুত ল্যাপটপ,খুচরো টাকা, মোবাইল - ছোট্ট ব্যাকপ্যাকটাতে ভরে কাঁধে চাপাল সে। আরেকবার রুমের চতুর্পাশে তাকিয়ে এরপর এক ছুটে বেরিয়ে এলো রুম থেকে।
মেসের পিছনের দরজা দিয়ে দৌঁড়ে বের হয়ে 'মজিদ চাচার চায়ের দোকান'-এর দিকে ছুটল সে।

***

হাঁপাতে হাঁপাতে ছোট্ট চায়ের দোকানটাতে ফাহিম ঢুকতেই ছোট্ট একটা আলোড়নের সৃষ্টি হলো। একটান দিয়ে তাকে কোণার দিকের টেবিলে নিয়ে এলো তানভীর। সেখান আরো দুজন বন্ধুবরের দেখা পাওয়া গেল। রাকিব এবং শুভ।।

ফাহিমকে দেখেই দ্রুত কাজের কথায় চলে এলো শুভ। "আজ সকাল থেকে অনামিকা নিখোঁজ। চ্যানেলে চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে!"-বলে উঠল সে।
চিন্তিত ভঙ্গিতে কাঁপা হাতে একটা বেনসন ধরাল ফাহিম। তারপর বললো - "কিভাবে নিখোঁজ হলো ও?"
"সকাল নয়টাই কলেজে গিয়েছিল। কিন্তু আর ফেরেনি। তোর সাথে কথা হয়নি?" - এবার মুখ খোলল রাকিব।
"সকাল সকাল কথা হয়েছিল। এরপর আর কথা হয়নি। বলেছিল বিকেলে ফোন দিবে। আমি তাই নিশ্চিন্তে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলাম!"-কান্নাজড়িত কন্ঠে বলল ফাহিম।
ফাহিমের দিকে তাকিয়ে মায়া হলো তানভীরের। মেয়েটাকে বড্ড ভালোবাসে ছেলেটা!

হঠাৎ এলাকা কাঁপিয়ে দোকানের সামনে দিয়ে ছুটে
গেল পুলিশের একটা গাড়ি। কেঁপে উঠল ফাহিম। বাংলাদেশ পুলিশ এক কাজের হলো কেমনে যে এত দ্রুত তার ঠিকানা বের করে ফেলল!

উঠে দাঁড়াল সে। দ্রুত মোবাইলের সিম খুলে ছুড়ে মারল দূরে। তারপর বেরিয়ে এলো দোকান থেকে। ইতিমধ্যেই ধার নিয়েছে শুভ-এর মোবাইলটা!

***

পুরাতন সিঁড়িটা ভারী শরীরের ওজন সহ্য করতে না পেরে খ্যাচ খ্যাচ করে উঠল। সিঁড়ির চিৎকার থামলো যখন ফাহিমের পা বেজমেন্টের মেঝে ছুঁলো। তারপর ধীরে ধীরে অন্ধকার বেজমেন্টটা আলোকিত হয়ে উঠল জলন্ত মোমবাতির আলোয়।
সামনের ছোটখাটো দেহটার দিকে তাকাল ফাহিম। এখনো জ্ঞান ফেরেনি অনামিকার। হাতের পানির বোতলটা থেকে মেয়েটার মুখে পানি ছিটিয়ে দিল ফাহিম। তারপর যত্নসহকারে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে বিরামহীনভাবে তাকিয়ে রইল অনিন্দ্য সুন্দর মেয়েটার দিকে!

***

জ্ঞান ফিরতেই ফাহিমকে দেখে একটাই শব্দ উচ্চারণ করল অনামিকা - "ট্রেইটর!"

হাসলো ফাহিম। তারপর বলে উঠল - "তুমি কি জানো তোমার পরিণতি কি হবে?"
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল মেয়েটা। আবারো বলে উঠল ফাহিম, "তোমার বাবা পাঁচ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিলেও আমার উপর নির্দেশ আছে তোমাকে মেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলা দেয়ার। আর সেটা আমাকে করতেই হবে। কারণ তুমি আমাকে চিনো।"

"আমি বাঁচতেএএ চাই। প্লিজ এমন করো নাহ!" - কাঁপা কন্ঠে বললো অনামিকা - "তুমি তো তোমার টাকা পাচ্ছই। আমি কিচ্ছু বলবো না!"

আবারো হাসল ফাহিম। "তবুও কাজটা আমাকে করতে হবে। আমার ক্লায়েন্টের নির্দেশ।" - বললো সে।
"তুমি কে? কেই বা তোমার ক্লায়েন্ট?" - মৃত্যুভয়ের মাঝেও প্রশ্ন করলো মেয়েটা। এখন তার বুঝা হয়ে গিয়েছে - যতই অনুরোধ করা হোক না কেন, এই খুনীর মন গলবে না। তাই, শান্ত থাকাই ভালো!

"আমি ফাহিমই। তবে পেশাদার খুনী। আর আমার ক্লায়েন্টেরা নিজের পরিচয় দেয় না!" - গম্ভীরভাবে বলল ছেলেটা।
"তাহলে কি এতদিন সব অভিনয় করেছ? আমাকে তুমি ভালবাসতে না? কক্ষনো ভালবাসনি?" - এক নাগাড়ে প্রশ্নগুলো করে থামল মেয়েটা। ভালবাসার মানুষটার বিশ্বাসঘাতকতাই বিষিয়ে আছে তার মন!

"নাহ। প্রেমের অভিনয়টা তোমাকে কিডন্যাপড করার প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তবে আমি চাইলেই কক্সবাজারে তোমাকে কিডন্যাপ করতে পারতাম। তবে সেক্ষেত্রে বাসায় বলে এসেছিলে বিধায় ঝুঁকি ছিলো অনেক।" - ব্যাখা দিয়ে উঠে দাঁড়াল ফাহিম। তারপর হাতের রডটা দিয়ে জোরে একটা আঘাত করে আবারো অজ্ঞান করে দিল মেয়েটাকে!

***

বেজমেন্ট থেকে বেড রুমে ফিরেই ল্যাপটপটা ওপেন করলো ফাহিম। এই বাড়িটা তার খালার। তবে খালা-খালু এবং তাদের সন্তানেরা আমেরিকা থাকে বিধায় এত বড় বাড়িটা খালিই পড়ে থাকে। চাবি নিজের কাছে থাকায় ফাহিমের তাই এই বাড়িটা কাজে লাগে অনেক। আন্ডারওয়ার্ল্ডে তার প্রবেশের পর থেকে সব কটা খুন সে এই বাড়িতেই করেছে।

মেইল আইডি থেকে ছোট্ট ম্যাসেজটা ক্লায়েন্টের কাছে পাটিয়ে দিয়ে ফাহিম হাতে তুলে নিল ছোট্ট রিভলবারটা। কিছুক্ষন সেটা চ্যাক করার সময়ই নতুন আরেকটা মেইল চলে আসল। ছোট্ট মেইলে লেখা - "সময় কি আর বাড়ানো যায় না?"

কটাকট শব্দ তুলে টাইপ করল ফাহিম - "নাহ। শুধুমাত্র দুইদিন। পাঁচ কোটি টাকা নগদ না পেলে হত্যা করা হবে আপনার মেয়েকে।"
তারপর পাটিয়ে দিল অনামিকার বাবার কাছে। ভদ্রলোক মেয়েকে বড্ড ভালবাসেন... টাকাটা দিতে তিনি বাধ্য।

আবারোও মেইল আসল অপর পাশ থেকে - "কিভাবে দিব টাকাটা?"
"কাল রাত দশটায় আজিমপুর মসজিদের পূর্ব পাশে যে বড় পুকুর আছে তার ঘাটে রেখে যাবেন টাকা। একদিন পর ফেরত পাবেন মেয়েকে। খবরদার! চালাকি করার চেষ্ঠা করবেন না!" - লিখে উত্তর দিলো ফাহিম। তারপর দড়াম করে বন্ধ করে দিলো ল্যাপটপের ঢালাটা।

***

গাঢ় অন্ধকার চতুর্দিকে। সেই অন্ধকার ছেদ করে পুকুর পাড়ে এসে থামল কালো পাজেরোটা। সেখান থেকে নেমে এলো মধ্য বয়স্ক এক লোক। হাতে কালো সুটকেস। এগিয়ে এসে ঘাটে সুটকেসটা রেখে আবারো গাড়িতে ফিরে এলেন তিনি। তারপর গাড়ি ছুটালেন মেইন রোডের দিকে।

মধ্য বয়স্ক লোকটা চলে যাওয়ার আধা ঘন্টা পর ঘাটে আগমন ঘটল কালো পোশাকধারী ফাহিমের। সুটকেসটা দেখেই মুখে হাসি ফুটলো। এই সুটকেসের অর্ধেক টাকা তার!

***

ভয়ে কাঁপতে থাকা অনামিকার দিকে তাকাল ফাহিম। মেয়েটাকে কি নিষ্পাপ লাগে!

মেয়েটাকে মারতে হবে ভেবে খারাপ লাগল তার। ওর চোখের দিকে তাকালে কেমন যেন ঘোর লেগে যায়!

হঠাৎ মোবাইলের ম্যাসেজ টিউন বেজে উঠতেই ঘোর ভাঙলো ফাহিমের। মোবাইলটা হাতে নিতেই ছোট্ট একটা ম্যাসেজ দেখল সে - "গীভ মি আপডেট!"

ম্যাসেজ দেখেই বুঝতে বাকি রইল না - এটা তার অধৈর্য ক্লায়েন্টেরই ম্যাসেজ। তবে কল দিয়ে ফোন অফ পাওয়ায় বাধ্য হয়ে মেইল এড্রেস অপেন করতেই হলো ফাহিমের। তারপর লিখলো - "টাকা হাতে। আপনার ভাগ নিতে নির্দিষ্ট জায়গাটাতে চলে আসুন"...

এরপর মেইলটা পাটিয়ে অনামিকার দিকে তাকিয়ে সুন্দর করে হাসল সে।

***

রাত তিনটা ছুঁই ছুঁই। গাঢ় অন্ধকারে ছেঁয়ে আছে এলাকা। নদীর পাড়ে পায়চারী করতে থাকা ছায়ামুর্তিকে দেখে এক সেকেন্ড থমকে দাঁড়াল ফাহিম।
তারপর আবারও হাঁটা দিলো ছায়ামুর্তির উদ্দেশ্যে। কাছে পৌঁছেই আস্তে করে বলে উঠল - "হ্যালো, তানভীর!"

প্রচন্ড চমকে ফিরে তাকাল ছায়ামুর্তিটা। হাতে চলে এসেছে ছোট্ট একটা রিভলবার। কিন্তু ছায়ামুর্তির চেয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া হলো ফাহিমের। এক লাথিতে সে ফেলে দিল হাতের রিভলবারটা। দ্রুত একশ আশি ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরে গেল সে। চলে এলো ছায়ামুর্তির পেছনে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছায়ামুর্তির গলায় চেপে বসলো ছোট কিন্তু ধারালো নাইফটা।

জোরে হেসে উঠল ফাহিম। নিস্তব্ধ নদীর পাড়ে বার বার প্রতিধ্বনিত হয়ে ভয়ঙ্কর শুনাল হাসিটা। তারপর বললো সে - "এত বড় বড় ডিল করস, অথচ এতটা বোকা কেমনে হলি?"

বিস্মিত দৃষ্টিতে ঘাড় বাঁকা করে তাকাল তানভীর তথা ছায়ামুর্তি। বলে চলল ফাহিম - "আমার ব্যক্তিগত নাম্বারটা শুধু কয়েকজনই জানে। তারা হলো - তুই, অনামিকা, শুভ, রাকিব। যখন সেই নাম্বারে ম্যাসেজ এলো, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম তোদের মধ্যে কেউই হবে আমার ক্লায়েন্ট। তবে নিশ্চিত ছিলাম না সেটা কে। তবে এখানে এসে তোর শারীরিক গঠন দেখেই বুঝছিলাম সেটা তুই। কিন্তু তুই আমার আন্ডারওয়ার্ল্ডের পরিচিত কিভাবে বের করলি সেটা একটা রহস্যও বটে!"

দীর্ঘ ব্যাখা শেষ করে থামল ফাহিম। তাড়াতাড়ি কৈফিয়ত দিল তানভীর,"আমি এর আগে এত বড় কোন ডিল করিনি। তাই নার্ভাস ছিলাম। তোর পক্ষ থেকে আপডেট আসতে দেরি হচ্ছিলো বলে আর ধৈর্য্য ধরতে পারিনি। জানতাম না ঐ নাম্বারটা শুধু কয়েকজনকে দিছস। কিন্তু তুই আমার গলা থেকে ছুরি সরা। এখানে তো আমাদের দুজনেরই লাভ!"

একটা দীর্ঘস্বাস ফেলে ফাহিম বলল,"অনামিকাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি রে, দোস্ত। এবং ওর ক্ষতি করতে চাই এমন কোন মানুষেরই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার নেই!"..
দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠল তানভীর,"শালা, বিশ্বাসঘাতক!"...
আবারো জোরে হেসে উঠল ফাহিম।
তারপর কিছু বুঝার আগেই তানভীরের গলাটা দুই ভাগ হয়ে গেল ছোট্ট ছুরিটার আঘাতে!

_পরিশিষ্ট_

"অ্যাই, এই ড্রেসটা দেখো তো?" - হাতে ছোট্ট একটা ফ্রক ধরে ফাহিমকে দেখাল অনামিকা। সেদিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলো ফাহিম। তাদের বাবুটার পৃথিবীতে আসার আগেই এত্ত প্ল্যান, আর আসলে কি হতে পারে - সেটা ভেবে হাসি পেল ফাহিমের।

বিয়ের পরও একটুও পাল্টায়নি অনামিকা। ঠিক আগের মতোই চঞ্চল। কি সহজেই না ভুলে বসে আছে - এই ফাহিমই তাকে কিডন্যাপড করেছিলো!

মনে মনে আবারও একবার বন্ধু রাকিবকে ধন্যবাদ দেয় ফাহিম। রাকিবের আবিষ্কৃত 'ব্রেন ওয়াশ' পদ্ধতিটা ব্যবহার না করলে ফাহিমের এই সুখের সংসার বাঁধা যে হতো না!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভয়ংকর গল্প।
শেষে কিনা 'ব্রেন ওয়াস"!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: হেহে! ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাকিবের আবিষ্কৃত 'ব্রেন ওয়াশ' পদ্ধতিটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.