![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কজিতো, এরগো সাম
টানা কয়েকদিন ধরে রাতে দু:স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে আরাফাতের। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, প্রতিবারই ঘুম ভাঙছে একই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নটাও অদ্ভুত। ভীষণ অদ্ভুত।
আরাফাত স্বপ্নের প্রথম কয়েক মুহুর্তে দেখে, তার গলার দিকে দ্রুত বেগে এগিয়ে আসছে বিরাট সাইজের একটা তলোয়ার। কিছু বুঝে উঠবার আগেই তলোয়ারটা দু'ফাঁক করে দিল তার গলা। স্বপ্নের শেষ মুহুর্তটা সবচে ভয়ানক। কারণ, তখনই সে দেখে, তার শরীরটা আসলে মানুষের নয়। গরুর।
আজকেও রুটিনের ব্যতয় হলো না। দু:স্বপ্নটা শেষ হতেই ঘুম ভাঙলো তার। শরীরটা ঘামে ভিজে চুপচুপ করছে। বিছানা থেকে নেমে বাতি জ্বালালো ও। দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল পৌনে পাঁচটা বাজে। ভোর হয়ে গেছে প্রায়।
কুসংস্কার আছে, ভোরের স্বপ্ন সত্যি হয়। আরাফাত কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয়। সে শিক্ষিত, বিজ্ঞানমনষ্ক ছেলে। তারপরও বুকটা কেঁপে উঠলো একটু। সিদ্ধান্ত নিল, আজই দেখা করবে ভালো কোন সাইক্রিয়াটিস্টের সাথে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ন'টায় আরাফাত রওনা হলো মেহেদিবাগের উদ্দেশ্যে। খোঁজ নিয়ে জেনেছে সেখানেই ড. ইব্রাহিম এর চেম্বার। দশটা পার হওয়ার আগেই পৌঁছে গেল ও। ডক্টরের চেম্বারে যখন ঢুকলো তখন দশটা দুই।
ড. ইব্রাহিম বয়সে তরুন। স্বাস্থ্যবান শরীর। মাথায় ছোট করে কাটা চুল। চোখে হাই পাওয়ারের চশমা। চশমার ভেতর দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত চোখে আরাফাতকে পরখ করতে করতে তিনি ছেলেটার সব কথাই শুনলেন। শুনতে শুনতে তাঁর ঠোঁটের কোণায় রহস্যময় একটা হাসি ফোটে উঠল। তাঁর বানানো নতুন মেশিনের গিনিপিগ পেয়ে গেছেন তিনি। স্রষ্টা নিজেই পাঠিয়ে দিয়েছেন।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: এটাকে মাইক্রো ফিকশন বলা যায়। মাইক্রো ফিকশনের বাংলা কি খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তাই অণুগল্প বলে চালিয়ে দিলাম আর কি!
বিশ্বাসের প্রতি আঘাত বলতে কি শেষ লাইনটাকে বুঝিয়েছেন নাকি পুরো থিমটাকেই?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গল্প হিসেবে ভাবলে, গল্পটায় অনেক কিছুই বাকি। অনুগল্প হলেও ভাব পুরোপুরি আসা লাগে। এখানে ভাবটা আসেনি।
আর, গল্পের খাতিরে লেখায় একটা বিশ্বাসের প্রতি আঘাত আসলো না একটু???