![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কজিতো, এরগো সাম
তিন্নিদের এক্যুরিয়ামে একটা ক্যাটফিশ আছে। রূপালি গায়ে কালো ছোপছোপ দাগওয়ালা। কয়েকদিন আগে তিন্নির বাবা নিয়ে এসেছেন ওটা। আনার পর থেকেই তিন্নির একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যাটফিশটাকে খাওয়ানো।
তিন্নি প্লেট থেকে নিয়ে পানির মধ্যে ছিটিয়ে দেয় খাবারের দানাগুলো। পড়তেই না পড়তেই টুপ করে সেগুলো মাছটার পেটে চলে যায়। এক্যুরিয়ামে অবশ্য আরো চার-পাঁচটা গোল্ডফিশ আছে। কিন্তু প্রতিযোগীতায় ক্যাটফিশের সাথে তারা কেউই পেরে উঠে না।
তিন্নি খাবার দিতে দেরি করলেই সেটা হা করে তিন্নির দিকে তাকিয়ে তাকে৷ যেন না খাওয়ালে কেঁদেই দিবে। ভীষণ আদুরে লাগে ওটাকে তখন।
খাওয়াতে খাওয়াতে দু'য়েকদিনেই বেশ বড় হয়ে গেছে মাছটা। যখন এনেছিলো তখন ছিলো দুই বা তিন ইঞ্চি লম্বা, ইতোমধ্যেই সেটা কমপক্ষে ছয় ইঞ্চিতে পরিণত হয়েছে। তিন্নিদের বিড়ালটা আগে যখনি ও খাবার দিতো মাছগুলোকে তখন ওর পাশে এসে বসতো। এখন সেটা এক্যুরিয়ামের কাছেও ঘেষে না। দূরে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ পরপর ঘোঁতঘোঁত করে। মনে হয় ভয় পায়। অবশ্য সেদিকে তিন্নির খুব একটা খেয়াল নেই। মাছটাকে খাওয়ানোর আনন্দে এখনো একটুও ভাটা পড়েনি ওর।
তিন্নির বাবা জামাল সাহেব ব্যবসায়ী মানুষ। সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। ঘরে খুব একটা সময় দিতে পারেন না। একদিন কাজ সেরে ঘরে ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেলো তাঁর। ভাগ্যিস দরজার বাড়তি একটা চাবি নিজের কাছে সবসময়ই রাখেন, তাই কাউকে বিরক্ত না করেই নিশব্দে ঢুকে যেতে পারলেন তিনি। দরজার পাশেই বসার ঘর। ওখান থেকে উদ্ভট একটা শব্দ শুনেছেন মনে হলো উনার। কৌতুহল বশত বসার ঘরের বাতি জ্বালাতেই চমকে উঠলেন। রুমের মাঝে দাঁড়িয়ে গরগর শব্দ করছে পোষা বিড়ালটা। জ্বলজ্বল চোখে তাকিয়ে আছে এ্যকুরিয়ামের দিকে। সেখানে বিশাল লম্বা ক্যাটফিশটাকে দেখেই চমকে উঠেছেন জামাল সাহেব। এত বড় হলো কিভাবে ওটা?
ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে বিধায় বেশি কিছু চিন্তার অবকাশ পেলেন না। তড়িঘড়ি করে গিয়ে শুয়ে পড়লেন বিছানায়।
পরেরদিন জামাল সাহেবের ঘুম ভাঙলো গগনবিদারী চিৎকার শুনে। গলাটা উনার মেয়ের। লাফ দিয়ে খাট ছেড়ে শব্দের উৎস লক্ষ্য করে ছুটলেন তিনি। বসার ঘরে এসে দেখলেন রুমের মাঝখানে তাঁদের পোষা বিড়ালটার ধড়হীন মাথা পড়ে আছে। বিস্ফোরিত চোখে এখনো বিড়ালটা তাকিয়ে আছে এক্যুরিয়ামের দিকে। ক্যাটফিশটা এখনো আছে ওখানে। রূপালী মাছটা লম্বায় অন্তত দুই ফুট হবে এখন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
দজিয়েব বলেছেন: মাইন্ডব্লোয়িং...
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। সাবধানে থাকবেন।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু ক্যাটফিশ না একুরিয়ামের যে কোনো মাছ যত খাবার দিবেন ততই খেতে থাকে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩২
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: তা ঠিক। সীমাহীন ক্ষিধা!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Excellent