নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাদ্বীর

সত্য কে জানা ও জানাবার ইচ্ছা

গাদ্বীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাফে বিন হেলাল জামালি

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৩

এস, এ, এ
নাফে বিন হেলাল জামালি ছিলেন ইমাম হুসাইন (আ.) একজন সাহাবী। তিনি ছিলেন কুফাবাসী। তিনি ছিলেন একাধারা কোরআনের কারি, হাদিস বর্ণনাকারী এবং হজরত আলী (আ.) এর সাহাবি। তিনি জামাল, সিফফিন এবং নাহরাওয়ানের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
যখন তিনি ইমাম হুসাইন (আ.) যাত্রার খবর পান তখন তিনি পথিমধ্যে ইমাম (আ.) এর কাফেলাতে যোগ দেন। সে তার কামেল নামক ঘোড়াটিকে আনতে বলেন। তার বন্ধু আমরু বিন খালিদ তার কথা অনুযায়ি ঘোড়াটি তার কাছে এনে দেয়। যখন আমরু বিন কুরাইযা ইমাম (আ.) এর লোকদের হাতে মারা যায়। তখন কুফা থেকে আগত তার ভাই যুদ্ধের ময়দানে আসে।তখন নাফে বিন হেলাল তার উপরে হামলা করে এবং তাকে আহত করে। তার সঙ্গি সাথীরা তাকে
সাহায্যের জন্য আসলে নাফে তাদের সাথে যুদ্ধ করে এবং বলতে থাকে তোমরা যদি আমাকে না চিনে থাক তাহলে আমি নিজেই তোমদেরকে আমার পরিচয় দিচ্ছি। আমি হচ্ছি জামালি গোত্রের লোক আমার আকিদা বা বিশ্বাস হচ্ছে ইমাম হুসাইন (আ.) এর ন্যায়।
মৃত্যুঃ মোযাহিম বিন হারিস নামক এক ব্যাক্তি হেলালের উপরে হামলা করলে তাকে সময়ের সুযোগ না দিয়েই তাকে হত্যা করে। কুফার সৈনিকের সেনাপতি আমরু বিন হাজ্জাজ চিৎকার দিয়ে বলে: তোমরা কি জান কার বিরূদ্ধে যুদ্ধ করছ?! হুসাইন (আ.) এর সৈন্যদে সাথে এককভাবে যুদ্ধ করতে যেন না যায়। নাফে বিন হেলাল তার তীরের অগ্রভাগে বিষ মাখিয়ে রেখেছিল এবং তা দিয়ে সে ওমর ইবনে সাআদের ১২জন সৈন্যকে হত্যা করে
এবং অনেকে আহত হয়।
যখন তার তীরগুলো শেষ হয়ে যায় তখন সে খোলা তরবারি হাতে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আসে এবং বলে আমি হচ্ছি জামালি একজন সাহসী ব্যাক্তি এবং হজরত আলী (আ.)এর অনুসারী। শত্রুরা দলিয়ভঅবে যুদ্ধ করা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় দেখতে পেল না। অতপর তারা নাফেকে চারিদিক থেকে ঘিরে নেয় এবং তাকে উদ্দেশ্যে তীর এবং পাখর ছুড়তে মারতে থাকে। এক সময় নাফের হাত ভেঙ্গে গেলে তাকে বন্দি করে নেয়। শিমর এবং অন্যান্য
এজিদি সৈন্যরা তাকে ওমর বিন আসের কাছে নিয়ে আসে। তখন ওমর সাআদ তাকে বলে তোমার জন্য আমার দয়া হয় হে নাফে কেন ‍তুমি এমন কাজ করলে?! নাফে বলে: খোদার শপথ আমি তোমাদের ১২জন সৈন্যকে হত্যা করেছি যদি আমার হাত ভেঙ্গে না যেত তাহলে তোমরা কখনই আমকে বন্দি করতে পারতে না।
শিমর ওমর ইবনে সাআদকে বলে: তাকে হত্যা কর! ওমর ইবনে সাআদ বলেন: যেহেতু তুমি তাকে এনেছ সুতরাং তুমিই তাকে হত্যা কর। শিমর যখন তরবারি বাহির করে তাকে হত্যা করতে চাই নাফে তাকে বলে: খোদা কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে তিনি আমাকে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম মানুষের হাতে আমাকে শহীদ করেছেন। তখন শিমর তাকে শহীদ করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৬

দ্য েস্লভ বলেছেন: (আঃ) আলাইহিস সালাম আমরা শুধু নবীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করি। হযরত আলী(রাঃ) এবং তার সন্তানগন রসূল(সাঃ)এর অনুসারী ছিলেন। ....সাহাবাদের মধ্যে শেষের দিকে কিছু রাজনৈতিক বিরোধ হয়েছিল। কিন্তু তারা একে অপরের আক্কীদার ক্ষেত্রে বিশ্রদ্ধ ছিলেন না। শিয়ারা অনেক পরে এসে অধিকাংশ সাহাবীদের গালাগালি করে। তারা আল্লাহর কাছে জবাবাদিহি করবেন

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪০

গাদ্বীর বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.