নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
ধর্ম অবিশ্বাসি আলেজজেন্ডার সোলারিন নামের ছদ্মপরিচয়ধারী একজন নাস্তিক আল কোরআন নিয়ে হাসাহাসি করে। বলে একটি আয়াতে নাকি প্রমান হয় আল কোরআন মিথ্যা। তাই আমি সেই আয়াতটি নেয় লিখতে বসলাম। কিন্তু আমি বুঝলামনা আল কোরআনের আয়াতের ভূল ধরার প্রবনতা এদের মধ্যে কেনো এত ব্যপক? কেনো এত চেষ্টা। কিন্তু আদৌ ওরা কি ভূল ধরতে পারছে? নাকি ওদের ভূল ধরার প্রবনতার মধ্য দিয়ে ওরা আল কোরআনের সঠিকতা বা সত্যতাই তুলে ধরছেন। আমি সেই আয়াতটির আলোচনা করতে এই ভিডিও করলাম। সুরা হামিম সিজদা আয়াত নং ১১- ১২ নং আয়াত। আয়াতটিতে মহাকাশ সৃষ্টির ব্যপারে বলা আছে। “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম। তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” সুরা হামিম সিজদা আয়াত নং ১১-১২।এই আয়াত দুটি নিয়ে নাস্তিকদের হাসিঠাট্টা করার কোন কারনই বুঝলাম না। ১০০% সত্য একটি বক্তব্য। মস্তিস্ক না খাটানোর জন্য তাদের এই অগম্যাতা। প্রিয় ভিউয়ার,আল কোরআন প্রায় ১৪০০ বৎসরের পূর্বে আবির্ভাব ঘটে। যে সময় মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান ছিলো স্বল্পসমৃদ্ধ। সুতরাং সেই সময়ের ধর্মগ্রন্তে বৈজ্ঞানিক ভাবে উল্লেখ করতে রুপক অর্থ ব্যাবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি বলা হয়েছে।কিচু ক্ষেত্রে একুট ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলা হয়েছে।
সুরা হামিম সিজদা আয়াত দুটির আলোচনা করতেই আজ আমার ভিডিও। সুরা হামিম সিজদা ১১ নং আয়াতের এই অংশে বলছে ‘অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ।’ আল কোরআনের আয়াত আমাদের বলছে তখন আকাশ ধুম্রপুঞ্জ ছিলো।বা গ্যাসীয় অবস্থায় বিরাজিত ছিলো। আল কোরআনের এই ধুম্রপুঞ্জ বিষয়টি বুঝতে গেলে ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী মারকুইস ডি ল্যাপলাসের সৌরজগতের উৎপত্তি সংক্রান্ত তার নীহারিকা মতবাদ কে সামনে আনতে হবে। 1796 খ্রিস্টাব্দে তার মতবাদ "Exposition of the Solar System" গ্রন্থে নিহীরিকা মতবাদটি লিপিবদ্ধ করেন। নীহারিকা অনুকল্প নামের এই বহুল পরিচিত ও সর্বজনগৃহীত মডেলটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন ইমানুয়েল কান্ট 1755 খ্রিস্টাব্দে।ইমানুয়েল কান্টের দেওয়া নীহারিকা মতবাদ এর তুলনায় এটি অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত।মারকুইস ডি ল্যাপারাস সৌরজগৎ সহ বিভিন্ন গ্রহমন্ডলি সৃষ্টির একটি অভূতপুর্ব মতবাদ তুলে ধরেন। তার মতে আদিতে পৃথিবী ও সৌরজগৎ অবস্থান ছিল এক ধোঁয়াশার মধ্যে।সেটা ছিল সুবিশাল আকৃতির নীহারিকা বা নেবুলা। মহাকাশে ঘূর্ণায়মান লক্ষ লক্ষ মাইল ব্যাপী ধুলোর একটি মেঘ একত্র হয়ে এই নীহারিকা গড়ে তুলেছিল।পরে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নীহারিকার মধ্যে বিভিন্ন অণু-পরমাণু যতই পরস্পরের নিকটবর্তী হয়েছে, ততই পরস্পরের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং তাদের গতিশীলতা থেকে উদ্ভূত শক্তি তাপে রূপান্তরিত হয়ে তাদের গতিশীলতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পরবর্তীতে তাপ বিকিরণের ফলে নীহারিকাটি সংকুচিত হতে থাকে এবং সংকুচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় ঘূর্ণন বেগ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যে সেই নীহারিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে অভিকর্ষজ বল এবং কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান হয়। নীহারিকাটি যখন আরো সংকুচিত হয় তখন নীহারিকার বাইরের বলয় আকার অংশ সংকোচনে অংশগ্রহণ না করে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওজন শূন্য অবস্থায় নিজের জায়গায় স্থির ভাবে ভাসতে থাকে। নীহারিকাটি সংকুচিত হতে থাকায় একাধিক বলয় আকার অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন বলয় আকার অংশ একত্রিত এবং ঘনীভূত হয়ে গ্রহের সৃষ্টি হয়। গ্রহগুলির ক্রমশ সংকুচিত হওয়ার বলয় আকার অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন বলয় গুলি একত্রিত হয়ে উপগ্রহের সৃষ্টি করে। নীহারিকার কেন্দ্রীয় অংশ সূর্যরূপে অবস্থান করে। প্রাথমিক অবস্থা থেকে সৌরজগৎ অনেক বিবর্তিত হয়েছে। ধুম্রপুজ্ঞ বা গ্যাসীয় অবস্থা থেকে তাপ বিকিরনের মধ্য দিয়ে বস্তু তথা গ্রহ সমুহের উদ্ভব ঘটে। কোন গ্রহের চারদিকে আবর্তনরত গ্যাস ও ধূলিকনার চাকতি থেকে তার উপগ্রহ তৈরি হয়ে থাকতে পারে, আবার কিছু উপগ্রহ ভিন্ন জায়গায় উৎপন্ন হয়ে পরবর্তীতে গ্রহের মহাকর্ষীয় বন্ধনে ধরা দিতে পারে। আমি কি আপনাদের বোঝাতে পারলাম।
প্রিয় পাঠক, এবার আসি আমি আল কোরআনের এই আয়াতটির বৈজ্ঞানিক আলোচনায়। এই আয়াতে ভূমন্ডল বলতে পৃথিবী এবং নভোমন্ডল বা আসমান বলতে সৌরজগাতের উপরের অংশকে অথাৎ পৃথিবী ব্যতিরেকে সৌরজগতের সকল বস্তু সমূহকে বুঝিয়েছে।-“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ।” আয়াতটিতে ধুম্রপুঞ্জ বা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে। ইমানুয়েল কান্ট বা মারকুইস ডি ল্যাপলাস ঠিক একই কথা বলেছেন। তারা বলেছেন আদিতে পৃথিবী ও সৌরজগৎ অবস্থান ছিল এক ধোঁয়াশার মধ্যে। সেটা ছিল সুবিশাল আকৃতির নীহারিকা। মহাকাশে ঘূর্ণায়মান লক্ষ লক্ষ মাইল ব্যাপী ধুলোর মেঘ একত্র হয়ে এই নীহারিকা গড়ে তুলেছিল। সেই নীহারিকা ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে ৫টি ধাপে সৌরজগত সৃষ্টি করে।
এই চিত্রের দিকে লক্ষ করুন।
আগুন আগুন ধোয়া ধোয়া। ঠিক আল কোরআনের ধূম্রপুঞ্জবিশেষ।যেটি একটি নেবুলা বা নীহারিকা।ঘূনায়মান বিশাল মেঘ। এই নীহারিকার পরবর্তী রুপ বি অংশটুকু লক্ষ্য করুন। অগ্নিময় ধোয়াময় গ্যাসীয় নীহারীকা অগ্নিময় হয়ে উঠছে। মধ্যস্থিত সবকিছুর ঘূর্ণন বেগ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায়ে গেছে যে সেই নীহারিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে অভিকর্ষজ বল এবং কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান। পরবর্তী সি অংশ দেখুন অগ্নিময়তা থেকে সকল অংশ প্রায় ঠান্ডা হতে শুরু করেছে। শুধু সূর্য অংশটুকুই অগ্নিময়। নীহারিকাটি যখন আরো সংকুচিত হয় তখন নীহারিকার বাইরের বলয় আকার অংশ সংকোচনে অংশগ্রহণ না করে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওজন শূন্য অবস্থায় নিজের জায়গায় স্থির ভাবে ভাসতে থাকে। নীহারিকাটি সংকুচিত হতে থাকায় একাধিক বলয় আকার অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর দেখুন ডি অংশটুকু ঠান্ডা হয়ে গ্রহ জন্ম নেওয়া শুরু করেছে। নীহারিকাটি সংকুচিত হতে থাকায় একাধিক বলয় আকার অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন বলয় আকার অংশ একত্রিত এবং ঘনীভূত হয়ে গ্রহের সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তী ই অংশে সকল গ্রহের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং গ্রহের গতিশীলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কোন গ্রহের চারদিকে আবর্তনরত গ্যাস ও ধূলিকনার চাকতি থেকে তার উপগ্রহ তৈরি হয়ে প্রায় পূর্নাঙ্গ সৌরজগতের দিকে ধাবিত হয়। আমি কি আপনাদের বোঝাতে পেরেছি আল কোরআনের এই আয়াতের এই অংশ দ্বারা সৌরজগৎ সৃষ্টির বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বোঝানো হয়েছে এবং বিজ্ঞানের একটি তত্ত্বকে সমথর্ন দেওয়া হয়েছে। আমি পুবের্ই বলেছি আল কোরআন হলো ছাকনি। বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব গ্রহন করা যাবে আর কোন তত্ত্ব গ্রহণ করা যাবে না তা আল কোরআন রুপক অর্থে ঠিক বুঝিয়ে দেয়!অতএব ইমানুয়েল কান্ট এর ধারাবাহিকতায় মারকুইস ডি ল্যাপলাসের এই তত্বটি আল কোরআন সঠিক এবং গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব বলেই প্রতিয়মান করছে। এবার আসুন আসুন ১১ নং আয়াতের পরবর্তী অংশের আলোচনায়। “ তিনি ওটাকে ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস। ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম”। এই আয়াতটিতে সরাসরি আসমান শব্দটি ব্যবহার করা হয় নাই।বলা হচ্ছে ওটা। আমরা ধরে নিয়েছি আসমান।অনেক তাফসীরে আসমান বোঝানো হলেও আসমান বুঝে নেওয়াটা ঠিক হবে না।আয়াতটিতে সৌরজগৎ সৃষ্টির একটি পর্যায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পৃথিবী সৃস্টির পর্যায়। আল্লাহ ওটাকে (আকাশ) ও পৃথিবীকে আদেশ করলেন নির্দীষ্ট কোন স্থানে আসতে। শুধুমাত্র পৃথিবী নয় আকাশকেও আসতে বলেছিলেন। আকাশ আসুক আর আকাশের কোন অংশ আসুক এসেছিলো আল্লাহর নির্দেশনা মানতে। পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতে এমন কিছু একটি ঘটেছিলো যাতে ভূমন্ডল ও নভোমন্ডল ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো স্রষ্টার নির্দেশে।আল কোরআনের এই বক্তব্যের সাথে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের একটি মিল পাওয়া যায়।পৃথিবীর সাথে কোন এক গ্রহের সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীর পূনা্ঙ্গ রুপায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে। ব্রিটেনের ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির অধীন ইনস্টিটিউট ফর কম্পিউটেশনাল কসমোলজির এক দল গবেষক জানিয়েছেন,পৃথিবীর সঙ্গে থিয়া নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কার পরপরই চাঁদের সৃষ্টি হয়। সে তত্ব মোতাবেক ধারনা করা হয় পৃথিবীর অবস্থানে থাকা একটি গ্রহের সাথে থিয়া নামক একটি গ্রহ ছুটে এসে সংঘর্ষ ঘটায়।সংঘর্ষ এতটাই ব্যাপক ছিলো যে দুটি সমানুপাতের গ্রহতে পরিনত হয়ে যায এবং আবার সংঘর্ষ ঘটে দুটি গ্রহ একটি গ্রহতে পরিনত হয়ে যায় এবং পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে একটি ডিস্ক সৃষ্টি হয় যা পরবতীতে চাঁদে পরিনত হয়ে যায়। ঠিক ঐ সময়ে থিয়া গ্রহের ধাক্কাতেই পৃথিবী তার কক্ষপথ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে আল্লাহর সেই নিধারিত কোন স্থানে গমন করে যে স্থানটি ছিলো হেরিটেবল জোন বা বাসযোগ্য স্থান। হেবিটেবল জোন হলো একটি নক্ষত্র থেকে যতটুকু দুরত্বে একটি গ্রহ অবস্থান করলে পানি বরফ অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিনত হতে পারে।শুধু তাই নয় আরো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো দুটি গ্রহের এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি গ্রহে পরিনত হওয়ার কারনে পৃথিবী পর্যাপ্ত এবং পারফেক্ট আয়তন গঠন করে যে আয়তনের কারনে পরবর্তী পর্যায়ে পৃথিবীতে ম্যাগনেটিক ফিল্ড গঠন করে বায়ুমন্ডল সৃষ্টিতে সহায়ক হয়।
পরবর্তী ১২ নং আয়াতে বলা হয়। “তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন।” আয়াতের এই অংশের মাঝেও ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যায়। আলোচ্য আয়াতে যে আসমান সমূহের যে বর্ননা দেওয়া হলো সেই আসমান কি? আসমান বলতে আমরা কি বুঝি? আল কোরআনে সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতটিতে আকাশের একটি ব্যাক্ষা দেওয়া হয়েছে। “এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ স্বরূপ। কিন্তু তারা আকাশস্থ নিদর্শনাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়” সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩২ । এই আয়াতে উল্লিখিত একটি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে যেটা হচ্ছে ( سَقْفًا ) সাক্কফান । এই শব্দের দুটি অর্থ আছে সেই দুটি অর্থ নিম্নরূপঃ ⦁ ছাদ , চাল , ছাউনি ⦁ আচ্ছাদান , আবরণ । এই শব্দটি জেনে অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, আকাশ কিভাবে ছাঁদ হতে পারে বা আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে? সাক্কফান শব্দের অর্থ হলো ছাঁদ। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের উপরে কি এমন আছে যা আমাদের ছাঁদ হিসেবে আমাদের কি কোন আবরন আছে যা সুরক্ষা প্রদান করে? আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোনে আমাদের উর্দ্ধে বায়ুমন্ডল রয়েছে এবং বায়ুমন্ডলের আমাদের পৃথিবীকে সুরক্ষিত করে? বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর সহ বিভিন্ন স্তরসমূহ পৃথিবীর জন্য ঢালের এর মত কাজ করছে। যেমন বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর। ওজন স্তরে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে।যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কি:মি:উপরে অবস্থিত। বায়ুমণ্ডলে ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও জীবনের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন উল্কাপিন্ড গ্রহানু বাইরের গ্রহ অথবা এস্টিরয়েড বেল্ট থেকে পৃথিবীর মাধ্যকর্ষনে এর ভিতর পড়লে ওজোন স্তরের কারনে তা ভেংগে চূর্ণ বিচূর্ন হয়ে বিলিন হয়ে যায়। ফলে আমাদের এই পৃথিবিতে এসে পৌছায় ডাস্ট। তাছাড়া বায়ুমন্ডল বাহিরের বিপদ থেকে রক্ষা করে পৃথিবীকে। যদি এই বায়ুমন্ডলে ওজোন স্তর না থাকত তাহলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আর তাপমাত্রায় পুড়ে যেত পৃথিবীর সব কিছু ।মহাশুন্যের খালি স্থানের তাপমাত্রা -২৭০ ডিগ্রি। ঐ বরফ ঠাণ্ডা তাপমাত্রা পৃথিবিতে আসলে সব জমে বরফ হয়ে যেত । Ocean of Gas layer এই -২৭০ ডিগ্রি বরফ ঠাণ্ডা তাপমাত্রা থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে । আবার এই পৃথিবীকে সূর্যের প্রখর রশ্মি কে ফিল্টার করে সহনিয় মাত্রায় আর সহনিয় আলোকে উজ্জ্বল করে পৃথিবীতে পৌছে দেয়. ফলে সব কিছু পুড়ে যায় না । এই অত্যাধিক তাপমাত্রা থেকে বেচে যাবার কারনে পৃথিবির সকল জীব বসবাস উপযোগি পরিবেশে বেঁচে আছে । "তারা কী দেখেনা তাদের উপরের আকাশের দিকে, কিভাবে আমি তা সৃষ্টি করেছি ও তাকে সজ্জিত করেছি, এবং এতে কোনো ফাটল নেই"-আল কোরআন। যদি কোন ভাবেই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ফাটল বা ছিদ্র থাকতো তাহলে গ্রীণ হাউজ এফেক্টের দ্বারা মহাবিশ্বের আল্ট্রাভায়োলেট রে গামা রে প্রবেশ করে মুহুত্বের মধ্যে পৃথিবীর প্রাণীজগত বিনষ্ট করে দিতো। অতএব আসমান সৃষ্টি বলতে প্রকৃতির নিরাপত্তা বলল। প্রতিটি আসমান প্রতিটি বলয়। কারন আসমান সৃষ্টির সাথে প্রা্ণীজগতের অস্তিত্ব নিভর্রশীল। আমাদের পৃথিবীর অভ্যন্তরে Van allan Belt নামক শক্তিশালি ২ টি চুম্বক ক্ষেত্র রয়েছে যা পৃথিবির কেন্দ্রে Magnetic Field তৈরি করছে এবং বাইরে কয়েক হাজার কি মি পযন্ত বিস্তৃত । এই ভ্যান এ্যোলেন বেল্ট বায়ুমন্ডলকে আটকিয়ে রেখে বায়ুমন্ডল দ্বারা আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করে। এসকল প্রমান আমাদের উপলদ্ধি করাচ্ছে বায়ুমন্ডলই এমন একটি স্থান যেস্থান পৃথিবীকে ছাদের মতো রক্ষা করছে।তাহলে এই বায়ুমন্ডলই কি আসমান। না বায়ুমন্ডল থেকে সৌরজগতের শেষসীমানার আবরন ওল্ড ক্লাউট পর্যন্ত সীমারেখাকে ১ম আসমান বলে। তুর্কী মহাকাশবিজ্ঞানী ড. হালুক নুর বাকি (Haluk Nur Baki)সমগ্র মহাবিশ্বকে ৭টি স্তর বা অংশে বিভক্ত করেছেন। এই স্তরগুলো হচ্ছেঃ (১) ভুমন্ডলের উপরিভাগ বা বায়ুমন্ডল থেকে শুরু করে সৌরজগতের ওল্ট ক্লাউট পর্যন্ত ১ম আসমানের সীমা রেখা। (২) ওল্ড ক্লাউট থেকে ‘মিল্কিওয়ে; বা আকাশগঙ্গার চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে সেই ক্ষেত্রটির আবরন সীমা পর্যন্ত দ্বিতীয় আসমানের প্রতিনিধিত্ব করে। (৩) ছায়াপথসমূহের ‘Local Cluster’ মহাকাশীয় ক্ষেত্র তৃতীয় আসমানের প্রতিনিধিত্ব করে। (৪) ছায়াপথসমূহের সমন্বয়ে গঠিত মহাবিশ্বের কেন্দ্রীয় চৌম্বক ক্ষেত্র চতুর্থ আসমানের প্রতিনিধিত্ব করে। (৫) অতি দূর থেকে আগত আলোকতরঙ্গের উৎসসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী মহাজাগতিক বলয় পঞ্চম আসমানের প্রতিনিধিত্ব করে। (৬) মহাবিশ্বের প্রসারমান ক্ষেত্র ষষ্ঠ আসমানের প্রতিনিধিত্ব করে। (৭) মহাবিশ্বের প্রান্তহীন অসীমত্বের নির্দেশক সর্ববহিরস্থ ক্ষেত্র সপ্তম আসমানের প্রতিনিধিত্ব করে। আসমানের এই স্তরসমূহ অকল্পনীয় স্থান জুড়ে আছে। প্রথম আসমান স্তরের পুরুত্ব আনুমানিক ৬.৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। দ্বিতীয় স্তর তথা আমাদের ছায়াপথের ব্যাস হল ১৩০ হাজার আলোকবর্ষ। তৃতীয় স্তরের বিস্তার ২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। চতুর্থ স্তরের ব্যাস ১০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। পঞ্চম স্তরটি ১ বিলিয়ন আলোকবর্ষের দূরত্বে। ষষ্ঠ স্তরটি অবস্থিত ২০ বিলিয়ন আলোকবর্ষের দূরত্বে। এ কথা বলা বাহুল্য যে, সপ্তম স্তরটি বিস্তৃত হয়ে আছে অসীম দূরত্ব পর্যন্ত। এই তথ্য উল্লেখের উদ্যেশ্য এটা নয় যে এই ৭টি স্তরই কুরআনে বর্ণিত সাত আসমান বা সপ্তাকাশ এটা প্রমাণ করা। তবে এটা মনে করা যেতে পারে যে মানুষের জ্ঞান এখনো ১ম আসমান অতিক্রম করেনি। সেইহেতু এই তথ্য আমরা সঠিক প্রকাশ করতে পারি না। মহাকাশের কোন কোন অংশ সপ্তাকাশ গঠন করে তা মহান স্রষ্টা আল্লাহই ভালো জানেন। এখানে এই স্তরবিভাগ শুধুমাত্র এটা বোঝানোর জন্য দেখানো হল যে দৃশ্যমান মহাকাশ ও এর বাইরের অংশ বিবেচনা করে সমগ্র মহাকাশকে সহজেই ৭ ভাগে বিভক্ত করা যায় তথা সাত আসমান বা সপ্তাকাশরূপে বিবেচনা করা যায়। কাজেই কুরআনে উল্লেখিত তথ্যকে আধুনিক বিজ্ঞান কিংবা যুক্তি কোনটি দিয়েই ভুল প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বরং যারা কুরআনে সপ্তাকাশের তথ্য থেকে ‘ভুল (!) বের করার চেষ্টা করেছেন তারা মূলত নিজ নির্বুদ্ধিতারই প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
এবার সুরা হামিম সিজদা ১২ নং আয়াতের পরবর্তী অংশ “আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ”। প্রিয় ভিউয়ার,আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি? যা দিয়ে এই পৃথিবীকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এই বিষয়টিকে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে আল কোরআনে আরেকটি আয়াতে। “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি”। সুরা মূলক আয়াত নং ৫। খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় বলা আছে এবং যার মধ্যে লুকিয়ে আছে ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য। আল্লা আকাশে এমন কিছু উপকরণ প্রদীপমালা রেখেছেন যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়। এই শয়তান ইবলিশ নয় এই শয়তানেরা মানুষরুপী শয়তান যারা পৃথিবীতেই বসবাস করে।যে মানুষেরা শয়তানকে অনুসরন করে। লক্ষ্য করুন আল কোরআনের সুরা বাকারা ১৪ নং আয়াতে এধরনের শয়তান মানুষদের সম্পর্কে বলা হয়েছে-“আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়,তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি এবং যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী ” এ আয়াতে শয়তান বলতে মানুষেরই একটি শ্রেণিকে বোঝানো হয়েছে। এই শয়তানপন্থি মনুষ্যরুপী শয়তানদেরকে বোঝানো হচ্ছে যারা পৃথিবীতেই বসবাস করে।তাহলে বলুনতো আকাশে এমনকি কোন উপকরণ আছে যা দিয়ে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়? আকাশে সৃষ্টি করা প্রদীপমালা কি তিনি সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া যায়? আল কোরআনের উল্লেখিত প্রদীপমালা বলতে মঙ্গলগ্রহের পাশ্ববর্তী গ্রহানুর এস্টেরয়েড বেল্টের কথা বলা হচ্ছে।
আপনি এই চিত্রের দিকে লক্ষ্য করুন।
মঙ্গলগ্রহের পাশ্ববতী বিশাল এরিয়া জুড়ে শুধু গ্রহানু আর গ্রহানু যার একটি যদি কোন ক্রমে পৃথিবীর কোন অংশে আঘাত করে তবে তা ৫টি পারমানবিক বোমার মতো শক্তিশালী আঘাত হানে। বহু সভ্যতা ধ্বংশ হয়েছে গ্রহানুর আঘাতে। গ্রহানুর আঘাতে ভুমিকম্প সুনামিসহ বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে মনুষ্য সভ্যতা!ইতিহাস এমন সাক্ষি দেয়। এখন বিজ্ঞানীদের কাছে এটা স্বীকৃত সত্য যে ডাইনোসর প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ এক ধূমকেতু বা গ্রহাণুর আঘাত। ঘটনাটি ঘটে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে। এই মহাপ্রলয়ে তখনকার পৃথিবীতে যত রকমের জীব ও উদ্ভিদ ছিল তার শতকরা ৭৬ ভাগই ধ্বংস হয়ে যায়। এরকম ঘটনা পৃথিবীতে একবার নয়, বহুবার ঘটেছে। আল কোরআনের এমন জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা এস্টিরয়েডের আঘাতে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। যার জলজ্যান্ত একটি উদাহরন দেওয়া যায় জর্দানের ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে। এইভাবে কঙ্কর বর্ষন করে ধ্বংশ করে দেওয়া জাতি সর্ম্পকে আল কোরআনে সুরা:হিজর বলা আছে–“অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম।” আল কোরআনের এই বক্তব্যটি বর্তমান প্রমানিত। আজ থেকে ৩১০০ বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ঈসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে এরুপ ধ্বংশলীলী ঘটে।তৎকালীন সময়ে শহর দুটির নাম ছিলো সদম ও গোমরাহ। লুত (আ.)-এর জাতির পাপীদের ওপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক গ্রহানুর আঘাত এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয় এবং আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গ্রহানু নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে সমগ্র সভ্যতা বিলীন হয়ে একটি মৃত সাগরে পরনিত হয়। যা আজ ডেড সী নামে পরিচিত। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এই পানিতে কোন কিছু ডোবে না। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। এ শাস্তি এসেছিল গ্রহানুর আঘাত, ভয়ানক ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নি উদিগরণকারী বিস্ফোরণ আকারে। ভূমিকম্প সে জনপদকে ওলটপালট করে দিয়েছিল।
প্রিয় পাঠক, আল কোরআনের এই আয়াতটি নিয়ে নাস্তিকদের হাস্যরস আমি মেনে নিতে পারি নাই। এই আয়াত দুটি নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করে তাই আমি বসেছিলাম আপনাদেরকে আয়াতগুলো একটি ব্যাক্ষা দিতে। আমিস আশা করবো আমি হয়তো আপনাদের আল কোরআনের এই বক্তব্য বোঝাতে সক্ষম হয়েচে। আয়াতে নিহারীকা মতবাদ, ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির চাদ সৃষ্টি মতবাদ,বার্যুমন্ডল বা মহাজাগতিক আবরন সৃষ্টির মতবাদ,এস্টরিয়েড বেল্ট সৃষ্টি সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য আল কোরআন আমাদের দেয়। প্রিয় ভিউয়ার ভালো থাকুন আজকের মতো বিদায়। আসসালামু আলাইকুম।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কামাল ভাই ভিডিওটা এখনও ইউটিউবে দিতে পারি নাই। ভিডিও করেই উঠতে পারি নাই। আরো ২/১ দিন সময় লাগবে। ব্যস্ত মানুষ ভাই। এখন প্রায় লিখতেই পারি না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভিডিওর জন্যই এইটা লেখা কিন্তু ভিডিওটা এখনও করতে পারি নাই ভাই। লিংক দিবো। ইনশাল্লাহ।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আরেক জাকের নায়েক।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
এভো বলেছেন: ৪১--৯ বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
এখানে সবার আগে আল্লাহ পৃথিবীকে সৃষ্ঠি দুই দিনে , এবং পৃথিবীকে যে সবার আগে তৈরী করা হয়েছে সেটা সমর্থন করে এই আয়াত ---- সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? ------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় আকাশ মন্ডলি এবং পৃথিবী আগে থেকেই তৈরি ছিল কিন্তু তাদের মুখ বন্ধ ছিল । যখন আল্লাহ মুখ খুলে দেয় তখন পৃথিবী এবং আকাশমন্ডলি ( যেটা ধুম্রকুঞ্জ ছিল ৪১-১১) বেরিয়ে আসে , সে হিসাবে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন বৎসর হওয়ার কথা ।
৪১-১০ তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় প্রথম দুই দিনে পৃথিবীকে ফর্ম করার পরে তৃতিয় দিনে অটল পর্বত মালা স্থাপন করা হয় এবং চতুর্থ দিনে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন । তারে মানে চতুর্থ দিনে সব প্রাণী গাছ পালা সৃষ্ঠি করেছেন , তানা হোলে কাদের জন্য ৪ নং দিনে খাদ্যের ব্যবস্থা কোরলেন ।
৪১-১১ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম
---- চার দিন পার হওয়ার পরে আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যেটা ছিল ধুম্রকুঞ্জ ---- তারমানে তখন কোন তারা সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি হয় নি , সব ছিল ধুম্রকুঞ্জ
৪১-১২ অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
-- তার আকাশকে বিন্যাশ করলেন সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি কোরলেন ।
কি বুঝলেন এখন ? পৃথিবী সৃষ্ঠি হয়েছে সূর্যের আগে , সুর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবী সৃস্ঠি হয় নি । সুর্য এবং তারাকা রাজি সৃষ্ঠি হওয়ার আগে পৃথিবীতে জীব যন্তু গাছ পালা সৃষ্ঠি হয়ে গেছে এবং তাদের খাদ্যের ব্যবস্থ হয়েছে চতুর্থ দিনে ।
তাহোলে ৫ম দিনে সুর্য নক্ষত্ররাজিকে সৃষ্ঠি করা হয়েছিল ।
এবার বলুন চারদিন পর্যন্ত তো কোন সুর্যই ছিল না -- তাহোলে দিন টা হোল কি করে সুর্যের আলো ছাড়া । সুর্যের আলো এবং তাপ ছাড়া পানি বাস্পায়িত হোয়ে তারপর মেঘ হয়ে বৃষ্ঠি পাত কি করে হোল এবং গাছ গাছরা কি ভাবে শালোক সংশ্লেসন করে খাদ্য গ্রহন করে বাচা থাকলো ।
বিজ্ঞান বলে ৪ বিলিয়ন বৎসর আগে পৃথিবী সুর্য হতে বিছিন্ন হয়ে সৃষ্ঠি হয়েছে কিন্তু কোরান অনুযায়ি পৃথিবীকে প্রথম ২ দিনে বানান হয়েছে -- ৩য় ও দিনে পাহাড় পর্বত এবং ৪র্থ দিনে প্রাণী সৃষ্ঠি করে , তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে , ৫ম দিন হতে সুর্য নক্ষত্র কে সৃষ্ঠি করে বিন্যাশ করা হয়েছে ।
সুর্য আলো সৃষ্ঠি হয় ৫ম দিন হতে -- তাহোলে প্রথম ৪ টা দিন কি করে দিন হোল যদি সুর্য ৫ম দিনে সৃষ্ঠ হয় ? প্রথম চারটা তথাকথিত দিনে তো সুর্যই ছিল না ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অনেক দিন পর এভো ভাই আপনার কমেন্ট পেলাম। াামি ব্যস্ত মানুষ তাই আপনার বিশাল বিশাল প্রশ্নের সময় দিতে পারি না। সংক্ষেপে যতটুকু পারবো। ৪১:৯ নং আয়াত “তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।” এই আয়াতে বিস্ফোরনের মাধ্যমে সমস্ত সৃষ্টির সময়কালকে বোঝানো হচ্ছে। আসলে এটাকে বিস্ফোরন না বলে প্রকাশিত হওয়া বলতে পারেন। সৃষ্টির উপাদানের আত্মপ্রকাশ ঘটা। প্রথমে ৭ম আসমানের উপাদান সমূহের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তারপর ৬ষ্ঠ আকাশের উপাদানের আত্মপ্রকাশের সময়। তারপর ৫ম আকাশের, ৪র্থ আকাশের, ৩য়, ২য় এ ভাবেই ১ম আসমান সহ পৃথিবীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সৃষ্টির সকল উপাদানের আত্মপ্রকাশ। এই সকল উপাদান আত্মপ্রকাশে পৃথিবী পর্যন্ত উপস্থিত করতে ২ টি সময়কাল অতিবাহিত হয়। ৪১:১০ আয়াত কিন্তু ৪১:৯ আয়াতের পরবর্তী আয়াত নয় কারন ৪১:১০ আয়াত ধারবাহিকতা মিনিং করা হয় নাই। কারন এখানে অতঃপর শব্দ ব্যবহার করা হয় নাই। কারন এখানে ৪ টি সময়কাল তুলে ধরা হয়েছে যে সময়কালের মাঝে ডিএনএ বা জেনিটিক মেটিরিয়াল আবির্বাব হয়েছে বোঝানো হয়েছে। ৪১:৯ এর পরবর্তী আয়াত টি হলো ৪১:১১ নং আয়াত। “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম “ এই আয়াতে অতঃপর শব্দ ব্যবহার করে ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। অথাৎ ৪১:১০ নং আয়াত ৪১:৯ নং এর ২ সিময় কাল এবং ৪১:১১ এর ২ সময় কাল বোঝানো হয়েচে। অথাৎ ৪১:১০ নং আয়াতে ৪১:৯ এবং ৪১:১১ নং আয়াত যৌথ সময়কাল। অথাৎ ৪১:১০ নং এর ৩সময় কাল এবং ৪১:১১ এর ৩ সময় কাল একই সময়কাল। আমি কি বোঝাতে পারলোম। ৪১:১১ নং আয়াতে বোঝাচ্ছে সকল উপাদান আত্মপ্রকাশ করার পর আকাশে দেখা গেলো সব ধোয়া ধোয়া যা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেমুহুত্ত্বে আকাশের একটি অংশ থিয়া নামক একটি গ্রহ পৃথিবীতে আঘাত করে। ফলে পৃথিবী এবং থিয়া দুটি গ্রহতে অগ্নুৎপাৎ ঘটতে শুরু কেরে ভিতরের বস্তু পৃথিবীর উপরে পড়তে থাকে দুটি গ্রহেরই বস্তু এক বস্থুতে পরিনত হয় কিচু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চাদ এর সাকের্ল তৈরী করে পরে চাদ হয়। এই আঘাতের ফলেই পৃথিবীর অগ্নুৎপাত ঘটে পৃথিবীর প্লেট এলোমেলো হয় পবর্ত একটি নিদীষ্ট প্যাটনের আবদ্ধ হয়। আগ্নেয়গিরির মধ্য দিয়ে ভিতরের সব জিনীষ বের করে দেয়। পৃথিবীর লাভা এবং থিয়া গ্রহের লাভা এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূপৃষ্ঠির উপরিভাগে বিক্রিয়া ঘটাতে থাকে সৃষ্টি হতে থাকে প্রাণের জেনিটিক মেটিরিয়াল সৃষ্টি হয় ডিএনএ সৃষ্টি হয় বিশাল পানি রাশির মাঝে সৃষ্টি হতে থাকে প্রান শুরু হয়। যাকে খাবার হিসেবে বোঝানো হয়। পরবর্তী ২ টি সময় কাল ৪১-১২ নং আয়াতে বলা আচে। “ অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” এই ২ সময়কালে আকাশের আবরন সৃষ্টি করা হয় আকাশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা হয় এবং আলাদা আলাদা আবরনে গঠন করা হয়। আপনি বলছেন সুর্য পরে সৃষ্টি। না ভাই সৃষ্টি সব একই সাথে শুধুমাত্র সময় ক্ষেপন আর বস্তুর ঠান্ডা হওয়া যত ঠান্ডা হয়েছে ততটাই সকল বস্তু প্রকাশিত হয়েছে। ঠান্ডা করা হয়েছে আর বস্তুকে আলাদা আলাদা আবরনে আকাশ রুপ দিযেচে। লক্ষ্য করুন ৪১:১২ নং আয়াতের শেষ অংশে বলা হয়েছে “আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” এখানে পৃথিবীর উপর নিক্ষিপ্ত হবার জন্য এ্যারিস্টেয়েড বেল্ট সৃষ্টি করা হয় সৃষ্টি করা হয় কুইপার বেল্ট। পৃথিবীর বুকে প্রানি সৃষ্টি বিকাশ ও ধারাবিাহিকতার জন্য এই গ্রহানু এবং এদের সামঞ্জস্যর যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা ছিলো। এই গ্রহানু রক্ষাকবজ হিসেবে সৃষ্টি করা হয় বৃষ্পিতি গ্রহ। বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগত এবং গ্রহ উপগ্রহের একটি মডেল তৈরী করে দেখেছেন আমাদের সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের ভর এবং অবস্থান সুক্ষ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন। আর এই ভর এবং অবস্থানের নিত্যতা ১৪০০ কোটি বতসরের সৌরব্যবস্থার সাম্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করেছে। বৃহস্পতি গ্রহটি যেনো সৌর পরিবারে মা এর মতো দায়িত্¦ পালন করে চলছে। এই গ্রহটি এমন একটি অবস্থানে অবস্থান করছে যে এই গ্রহটির বর্তমান অবস্থান অন্যান্য গ্রহগুলোকে তাদের অবস্থানে থাকতে সাাহায্য করছে। পৃথিবীর উপর বৃহস্পতি গ্রহের প্রভার এতটাই বেশি যে তার অবস্থানের উপর পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব নির্ভর করে। এই গ্রহটি যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরুতেই তা ধ্বংশলীলাতে নিপতিত হতো। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের এসকল গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার “How Special Jupiter Is” পুস্তকে। সুতরাং শয়তান শ্রেনির মানুষের উপর আঘাতের জন্য উল্কা গ্রহানু সৃষ্টি। পৃথিবীতে আবার এই আঘাত হান হবে। আল কোরআনে বলে “ হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর আমি প্রস্তরখন্ড নিক্ষিপ্ত করবো না।” অ্তএব এই পৃথিবীর উপর আবার গ্রহানুর আঘাত আসছে কারন মানুষ কিন্তু নাস্তিকতা নিয়ে এত বেশি পাপ করেছে যে তার প্রায়শ্চিত্ত নেওয়ার সময় এস গেছে। আপনি বলবেন সময় কাল কখন? আল কোরআন বলে তোমরা প্রথম আসমানের সময় অতিক্রম করতে চাও কর কিন্তু আমার অনুমতি ব্যতিরেকে তা পারবে না। মনে রাখবেন আমরা এখনও প্রথম আসমানের সীমানা অতিক্রম করতে পারি নাই। আমাদের ভয়েজার -০১ আমাদের ভয়েজার - ০২ সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম বা উল্ট ক্রাউড অতিক্রম করতে পারে নাই। পৃথিবীতে আল্লার নিত্যতা সত্যতা প্রমান না হওয়া পর্যন্ত আপনারা ছায়াপথের সীমারেখায় পৌছতে পারবেন না। ইনশাল্রাহ। এ ধাক্কা আস্তীক্যবাদ প্রতিষ্ঠা দিবে বিজ্ঞানের গতিপথ পরিবর্তন করে দিবে। মাথায় রাখেন।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
কাঁউটাল বলেছেন: এভো , মায়ের পেটে যখন ছিলেন তখন তো আর মুখ দিয়ে খাইতেন না, নাক দিয়ে দম নিতেন না, তাইলে বাঁইচা ছিলেন কিভাবে?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি তো আমার বিপদের বন্ধু। যুগে যুগে দেখে গেলাম। ধন্যবাদ ভাই।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
হাইস্যকর।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই আপনি আমার লেখায় কমেন্ট করবেন না তো ভাই। অসংলগ্ন কমেন্ট আমার ভালো লাগে না। মাথার মধ্যে গোবর নিয়ে আমার লেখা বুঝবেন না।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৩
এভো বলেছেন: আপনার চালাকি এবং বিভ্রান্তি তৈরী করার কায়দা কানুন আমার জানা আছে -- অযথা --- অপ্রাংগিক বর্ণনা দিয়ে ফালতু বর্ণনার মুল উদ্দেশ্য যাতে পাঠক খেই হারিয়ে ফেলে ।
৪১:৯ নং আয়াত “তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।” এই আয়াতে বিস্ফোরনের মাধ্যমে সমস্ত সৃষ্টির সময়কালকে বোঝানো হচ্ছে। আসলে এটাকে বিস্ফোরন না বলে প্রকাশিত হওয়া বলতে পারেন। সৃষ্টির উপাদানের আত্মপ্রকাশ ঘটা।
আপনার শব্দ চয়ন বোঝান হচ্ছে বা বলতে পারেন --- কোরান থেকে দলিল দিতে হবে , এগুলো তো আপনার গোজামিল মতামত কিন্তু এমন ভাব নিচ্ছেন যেন ইসলামিক দলিল , সাইন্সের সাথে মিলাবার জন্য গোজামিল এবং অযথা বর্ণনা দিয়ে মানুষের খেই হারিয়ে ফেলার চালাকি ।
প্রথমে ৭ম আসমানের উপাদান সমূহের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তারপর ৬ষ্ঠ আকাশের উপাদানের আত্মপ্রকাশের সময়। তারপর ৫ম আকাশের, ৪র্থ আকাশের, ৩য়, ২য় এ ভাবেই ১ম আসমান সহ পৃথিবীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সৃষ্টির সকল উপাদানের আত্মপ্রকাশ।
এটাও গোজামিল কৌশল ।
যেহেতু সাইন্সের সাথে ম্যাচ করছে না তাই আপনার আবিষ্কার --
অথাৎ ৪১:১০ নং আয়াত ৪১:৯ নং এর ২ সিময় কাল এবং ৪১:১১ এর ২ সময় কাল বোঝানো হয়েচে। অথাৎ ৪১:১০ নং আয়াতে ৪১:৯ এবং ৪১:১১ নং আয়াত যৌথ সময়কাল। অথাৎ ৪১:১০ নং এর ৩সময় কাল এবং ৪১:১১ এর ৩ সময় কাল একই সময়কাল। আমি কি বোঝাতে পারলোম। ৪১:১১ নং আয়াতে বোঝাচ্ছে সকল উপাদান আত্মপ্রকাশ করার পর আকাশে দেখা গেলো সব ধোয়া ধোয়া যা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে
আপনার গোজামিল তত্ত্ব ম্লান হয়ে যায় সুরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতের মাধ্যমে ।
৪১--৯ বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
এখানে সবার আগে আল্লাহ পৃথিবীকে সৃষ্ঠি দুই দিনে , এবং পৃথিবীকে যে সবার আগে তৈরী করা হয়েছে সেটা সমর্থন করে এই আয়াত ---- সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? ------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় আকাশ মন্ডলি এবং পৃথিবী আগে থেকেই তৈরি ছিল কিন্তু তাদের মুখ বন্ধ ছিল । যখন আল্লাহ মুখ খুলে দেয় তখন পৃথিবী এবং আকাশমন্ডলি ( যেটা ধুম্রকুঞ্জ ছিল ৪১-১১) বেরিয়ে আসে , সে হিসাবে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন বৎসর হওয়ার কথা ।
আপনি মানুষকে খেই হারিয়ে ফেলার জন্য সাইন্সের বড় বর্ণনা দিয়ে গোজামিল কৌশলে কোরানের আয়াতের সাথে মিলিয়ে , ইসলামিক ব্যাখা বলে দাবি করেন ,, এটা যে কত বড় মিথ্যাচার প্রতারনা এবং কোরান বিরুধি কার্যক্রম সেটা আপনার উপলদ্ধি করা উচিত , সব চেয়ে বড় মিথ্যাচার নিজের মন গড়া গোজামিল দিয়ে কথা গুলোকে ইসলামিক বলে দাবি করা। সাইন্সের থেকে রেফারেন্স দিয়ে সাইন্সের সত্যতা দেখাচ্ছেন কিন্তু কোন দলিল নিয়ে এসে , কোন রেফারেন্স নেই ।
প্রথমে ৭ ম আসমান, তারপরে ৩য় শেষে ১ম আসমান বানানোর কল্পকাহিণী লিখে বিভ্রান্তি সৃষ্ঠির পায়তারা করেছেন ( যেটার পক্ষে কোন কথাই ইসলামিক দলিলে নেই ) যাতে পাঠক , এত বড় তাত্ত্বিক বিশ্লেষন পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে ।
আপনি এত বড় মিথ্যাবাদি প্রতারক কেন ?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার ভিডিওটি কোখায়।ব্লগে একটি লেখা দেখছি।