নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

লস এ্যাঞ্জেলের দাবানল এবং ব্যাভিচারের শাস্তি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪



ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে যাচ্ছে পাপের শহর লস এ্যাঞ্জেলস্। এখানে ক্যালিফোণিয়ার লাস ভেগাস, লসএ্যাঞ্জেলস, সানর্ফানানন্দ সহ বিভিন্ন শহর আগুনের দাবানলে পুড়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান ধ্বংসাত্মক এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৪০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা। আগুনের গ্রাসে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে অন্তত ১২ হাজার বাড়িঘর। উদ্বাস্তু হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ। ভয়াবহ এই দুর্যোগ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, প্রতিবেশী কাউন্টিগুলো থেকেও আনা হচ্ছে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ও কর্মীবাহিনী। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আগুনে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ পুড়ে গেছে।হলিউড ও হলিউড হিলস এলাকায় দাবানলে বাধ্যতামূলকভাবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টিসিএল চাইনিজ থিয়েটার এবং হলিউড ওয়াক অব ফেমের মতো বিখ্যাত স্থানগুলো এ আগুনের কবলে পড়েছে। এ ছাড়া ঝোড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা। সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ এই সতর্কতা জারি করা হয়। এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

এই দাবানলকে কেন্দ্র করে চারিদিকে আলোচনা সমালোচনা চলছে। হলিউডের কতিপয় অভিনেতা আলোড়নকৃত সমালোচনা করছে।তাদের ধারনা ফিলিস্তিনের উপর আমেরিকার অন্যায় জুলুম কারনে এই দাবানল। ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার পূর্ন সমর্থন এবং সর্বাত্বক সহায়তা ফলের ফিলিস্তিনের গাজা শহরের উপর নির্মম নির্যাতন চালায় ইসরাইল।তাদের ধারনা অমানবিক নির্যাতনের কারনে স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রকৃতির প্রতিশোধ স্বরুপ এই দাবানল। বিভিন্ন মিডিয়া এই সকল প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এ ব্যাপারে আল কোরআনের সুরা রুমের ৪১ নম্বর আয়াতে বলা আছে-মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তিনি তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা সৎপথে ফিরে আসে।এই আয়াতটি মিডিয়াতে বারেবার প্রচার হচ্ছে। পবিত্র কুরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১১)এমন অসংখ্য জাতি স্বত্ত্বাকে স্রষ্টা ধ্বংশ করেছে যুগে যুগে।আল কোরআনের এই প্রতিশ্রুতিশীল আয়াত ও এই জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করবো।



ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রাকৃতিক বিপর্য়য়ে ধ্বংশ হওয়া যাওয়া বেশির ভাগ শহরকে পাপের নগরী বলেই অভিহিত করা হতো।এখন প্রশ্ন আমাদের জানা মতে যে শহর গুলো প্রকৃতিক দুযোগে ধ্বংশ হয়েছে সেই শহরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাপের নগরী বলা হতো কেনো? উদাহরন স্বরুপ আমরা লস এ্যাঞ্জেলস এর কথাই তুলে ধরি। ক্যালিফোনিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এ্যাঞ্জেল শহর অশ্লীলতার জ্ন্য বিখ্যাত। লস অ্যাঞ্জেলেসের সাম্প্রতিক দাবানল যেন এরকমই এক সতর্ক বার্তা। কারণ এই শহর তারকা ও বিত্তশালীদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বাইরে ছিল অন্ধকার এক জগত । অশ্লীলতায় মোড়ানো এই শহরের সান ফারনান্দো ভ্যালি এলাকা পর্নো ভিডিও তৈরির জন্য একটি পরিচিত এলাকা। যার জন্য এই শহরকে অনেকেই ‘পাপের নগরী’ বলেও অভিহিত করেন।সারা বিশ্বের বিনোদন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র হলিউড শুধুমাত্র চলচ্চিত্রের কেন্দ্র হিসেবে নয় কারো কারো কাছে মাদকাসক্তি অমিতব্যয়িতা, নৈতিক অবক্ষয় ও সীমালঙ্ঘনের প্রতীক।এই শহরেই পরিণত হয়েছে এক ভয়ঙ্কর দাবানলে। হাজার হাজার একর জমি আগুনে পুড়ে ছায়। আকাশ ঢেকে গেছে ধোয়ায়। মানুষের চিৎকার যেন বাতাশে মিশে গেছে। সেখানকার সেই হলিউড, সানর্ফানানন্দ পর্নো চলচিত্র খ্যাত ঘৃনিত নগরী, লাস ভেগাস জুয়া ক্যাসিনো সহ পতিতাবৃত্তির বিখ্যাত অপরাধের স্বর্গরাজ্য সব যেনো আগুনের ভয়াবহতায় অগ্নিকুন্ডের এক অভিশপ্ত আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে।‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১১)স্রষ্টার এই বক্তব্য প্রমান করে যুগে যুগেই পাপাচারী জাতিস্বত্তা ধ্বংশ করেন স্রষ্টা। ব্যভিচার, সমকামিতা ও পতিতাবৃত্তির কারণে অতীতে বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে। সেই সব অনুল্লিখিত জাতি ও জনপদের একটি ইতালির পম্পেই নগরী। যৌনতার আগুনে ধ্বংস হওয়া অভিশপ্ত পম্পেই নগরীর নামটি অনেকেরই জানা! এটি এমন এক নগরী, যেটি ধ্বংস হওয়ার সময় সেখানকার মানুষ চোখের পলক ফেলার সময়টুকু পায়নি। মুহূর্তেই মানুষগুলো ভস্মে পরিণত হয়েছিল। অপরাধ ছিল অবাধ যৌনাচার। পুম্পেই নগরী এক রাতের আঘাতে ধ্বংশ স্তুপে পরিনত হয়। যৌনতায় ছিল এরা অন্ধ। শুধু যৌনকার্যের জন্য প্রতিটি বাড়িতে নির্মিত হতো আলাদা স্থাপনা। বাড়িঘরের দেয়ালে দেয়ালে অঙ্কিত হতো নগ্ন পর্ণচিত্র। নিজেরা তো যৌনতায় ডুবে থাকতই, সেই সঙ্গে নিজের ছেলে-মেয়েদের দিয়েও বণিক ও পর্যটকদের যৌন বিনোদনের ব্যবস্থা করতে তারা পিছপা হতো না। এমনকি তারা নিজেরা পশু-পাখির সঙ্গেও যৌন বিকৃতির পিপাসা মেটাত।এভাবেই দিন দিন তৎকালীন আসমানি ধর্ম খ্রিস্টবাদ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে তারা। ক্রমান্বয়ে শহর ছেড়ে চলে যেতে থাকেন সব ধর্মযাজকরা। ধর্মীয় চিন্তা-চেতনায় উজ্জীবিত ইউরোপের কনজারভেটিভ ধর্মীয় সম্প্রদায় পম্পেই শহর পরিভ্রমণ থেকে বিমুখ হতে শুরু করে। এমনই এক অমানবিক, ঘৃণ্যতম ও বর্বরোচিত সমাজব্যবস্থা যখন সেখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল, তখনই নেমে এলো মহান স্রষ্টার ক্রোধের আগুন। জীবন্ত মমিতে পরিণত হলো অনাচার আর পাপাচারের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত থাকা মানুষগুলো। রোমান আর গ্রিক বণিকদের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রে পরিণত সমকালীন বিশ্বের অন্যতম বিত্ত-বৈভব আর অভিজাত নগরী ভূমধ্যসাগরের উপত্যকায় ভিসুভিয়াস পাহাড়ের পাদদেশে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতে জ্যান্ত মমিতে পরিনত হয় সেখানকার মানুষ।পরবর্তীতে ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে কিছু অ্যামেচার আর্কিওলজিস্ট সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরী। শুরু হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ধ্বংসলীলা থেকে মমি হয়ে থাকা মৃতদেহ আর অভাবনীয় সব স্থাপনা উদ্ধারের মহাযজ্ঞ।



আপনি কি জামাইকার পোর্ট রয়্যাল শহর সর্ম্পকে ধারনা রাখেন কিনা জানিনা? পোর্ট রয়্যাল হল দক্ষিণ-পূর্ব জ্যামাইকার কিংস্টন হারবারের মুখে পালিসদোসের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একটি শহর ।স্প্যানিশদের দ্বারা ১৪৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত, এটি একসময় ক্যারিবিয়ানের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর ছিল,১৭ শতকের শেষার্ধে ক্যারিবিয়ান সাগরে শিপিং এবং বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে।‘পাপের নগরী’ খ্যাত এ শহরটি ভয়াবহ ভূমীকম্পে মুহূর্তেই তলিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে। জলদস্যু ও যৌনব্যবসায়ীরা পোর্ট রয়্যালের মূল আকর্ষণ ছিল।এই শহরটি তৎকালীন সময়ে দেহব্যবসার কেন্দ্র ছিলো। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসতো আনন্দ ফূতী করতে। চলত দাস কেনাবেচা, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল জামাইকার পোর্ট রয়্যাল। যত ধরনের কুকর্ম আছে সবই চলতো সেখানে। জলদস্যু, পতিতা ও ক্রীতদাসদের আস্তানা খ্যাত শহরটি হঠাৎ এক ভূমিকম্প ও বিরাট জলোচ্ছ্বাসে বিশ্বের ভূ-গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মারা যায় হাজার হাজার মানুষ। ইতিহাসবিদদের মতে, পোর্ট রয়্যাল এমন একটি শহর ছিল যেখানে মদ, দাসত্ব ও পতিতাবৃত্তিতে আচ্ছন্ন ছিল। সেখানকার প্রতি ৪ ভবন অন্তর একটি করে বার ও পতিতালয় ছিল।১৬৯২ সালে সহিংস ভূমিকম্প পোর্ট রয়ালের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।শহরের দুই-তৃতীয়াংশ ভূমিকম্পের মূল ধাক্কার পরপরই সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিলো।



প্রিয় পাঠক,যে ইতিহাসগুলো আমি তুলে ধরলাম সেগুলো আল কোরআন আবির্ভাবের পরের ঘটনা। আমাদের আল কোরানে ও এমন অনেক ঘটনার ইতিহাস বর্ণিত রয়েছে।‘আমি লূত (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলাম। যখন তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা চরম অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতার কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বে কেউ কখনো করেনি। তোমরা কামপ্রবৃত্তি পূরণ করার জন্য মেয়েদের কাছে না গিয়ে পুরুষদের কাছে যাচ্ছ। প্রকৃতপক্ষে তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।(সুরা আরাফ: ৮০-৮১) আয়াতটিতে যে জাতির কথা বলা হয় কাওমে লূত বা হজরত লূত (আ.)-এর জাতি। এই সম্প্রদায় বসবাস করত সাদ্দূম নগরীতে। এই অঞ্চলকে বর্তমানে ট্রান্স জর্দান বলা হয়। এটি ইরাক ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। তারা প্রকাশ্য সভা বানিয়ে অশ্লীলতা-বেহায়াপনা করত।(এ সময়ের স্টেজের যাত্রা নগ্ন নৃত্যের মতো।) এই জঘন্য অপকর্ম তারা প্রকাশ্যে করে আনন্দ লাভ করত। তারাই সর্বপ্রথম সমকামিতার মতো গর্হিত পাপ শুরু করেছিলো।সমকামের পতিতালয় গড়ে ওঠে। এই জাতিকে কঙ্কর বর্ষন করে ধ্বংশ করে দেওয়া হয়েছে বলে আল কোরআনে উল্লেখিত। আল কোরআনে সুরা:হিজর বলা আছে–“অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম।” আজ থেকে ৩১০০ বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ঈসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে এরুপ ধ্বংশলীলী ঘটে।তৎকালীন সময়ে শহর দুটির নাম ছিলো সদম ও গোমরাহ। আজ জর্ডানের ডেড সি নামের যে সী বীচ সেটি তখনকার ধ্বংশের কারনে সৃষ্টি। এইভাবে আল কোরআনের এই বক্তব্যটি বর্তমান প্রমানিত। এই জাতির পাপীদের ওপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক গ্রহানুর আঘাত এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয় এবং আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গ্রহানু নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে সমগ্র সভ্যতা বিলীন হয়ে একটি মৃত সাগরে পরনিত হয়। যা আজ ডেড সী নামে পরিচিত। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এই পানিতে কোন কিছু ডোবে না। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। এ শাস্তি এসেছিল গ্রহানুর আঘাত, ভয়ানক ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নি উদিগরণকারী বিস্ফোরণ আকারে। ভূমিকম্প সে জনপদকে ওলটপালট করে দিয়েছিল।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩০

নতুন বলেছেন: কোন একটা শহরে উল্কা পড়ে ধ্বংষ হয়ে গেছে সেটা নিয়ে পরে কাহিনি চালু হয়েছে এবং পরে সেটা বাইবেল, কোরানে উল্লেখ করেছে।

গাজায় মানুষের উপরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এখন তার জন্য সৃস্টিকতৃা লসএন্জেলেসে আগুন ধরাইয়া দিছে এমন অনেক মুমিন আনন্দ করছে।

একজন মানুষের কস্ট কোন মানুষ আনন্দ করতে পারেনা। মানবিক বোধ থাকলে অবশ্যই সেটা কোন সুস্থ জ্ঞানী মানুষই করতো না। কিন্তু ধর্মী অনুসরন কেন জানি মানুষকে ভিন্ন মতের কারনে হত্যা করতে পযন্ত অনুপ্রানিত করে। এই লস এন্জেলের আগুনে অনেকের উল্লাস দেখে তাই মনে হয়।

লস এন্জেলেস এলাকাতে ২৮টা মসজিদ আছে, ৫ লক্ষের বেশি মুসলমান বসবাস করে। যা ২%
৬৫% মানুষ খৃস্টান এবং ৯% অন্যান্য ধর্মের মানুষ।

২৫% ধর্ম মানেনা।

আপনিও একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সৃস্টিকর্তার সাজা বলে মেলাতে চেস্টা করছেন।

যদি সেটা হয় তবে আপনার সৃস্টিকতার কারনে কতগুলি নিরহ মানুষের কস্ট হয়েছে? নিরহ শিশু, নারী কস্ট পেয়েছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: লস এ্যাঞ্জেল পাপে পূর্নতা প্রাপ্ত। আপনি কি দেখেছেন হলিউডের চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা চরম পর্যায়ে পড়েছিলো। আমেরিকার কচি কাচা মেয়েদের নায়িকা বানানোর কথা বলে মিডিয়া সংস্থা গুলো যেভাবে ব্যভিচার করে। তা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর চলচ্চিত্রে যেভাবে প্রকাশে ব্যাভিচারের ছাড়াছাড়ি যা থেকে তাবৎ আমেরিকা সহ চারিদিকে ব্যাভিচার ছড়িয়ে পড়ছে।

একজন মানুষের কস্ট কোন মানুষ আনন্দ করতে পারেনা। মানবিক বোধ থাকলে অবশ্যই সেটা কোন সুস্থ জ্ঞানী মানুষই করতো না। কিন্তু ধর্মী অনুসরন কেন জানি মানুষকে ভিন্ন মতের কারনে হত্যা করতে পযন্ত অনুপ্রানিত করে। এই লস এন্জেলের আগুনে অনেকের উল্লাস দেখে তাই মনে হয়। আপনি যখন আমাকে মারছেন আমি কষ্ট পাচ্ছি। তখন কি আপনার মনে পড়ছে না আমি কষ্ট পাচ্ছি। কিন্তু আপনি যখন মার খাচ্ছেন তখন মানবিক মূল্যবোধ দেখান। আপনাদের মানবিক মূল্যবোধ আসলে পক্ষপাতিত্ত্বের মূল্যবোধ। আমি কিন্তু বলি নাই গাজা এই ধ্বংশ এর জন্য লসএ্যাঞ্জেল আগুন। আমি বলেছি মিডিয়া এসব প্রচার প্রচারনা করেচে। কিন্তু আসলে ব্যাভিচারের জন্য লসএ্যাঞ্জেলে এই ক্ষতি হতে পারে।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: উনি পাপের কারণে মানুষরে শাস্তি দিতে পারেন অথচ ভালো মানুষগুলারে ভালো কাজের জন্য শান্তি দিতে পারেন না?

প্যালেস্টাইনের দিকে তাকান। আমেরিকায় দাবানল না দিয়া প্যালেস্টাইনে ফেরেসস্তা পাঠাইলে ভালো হইত উনাদের শান্তির জন্য। তবে বদর যুদ্ধের পর থেকে অবশ্য ফেরেস্তা পাঠানো বন্ধ আছে। মানে কি বলব। গত ১৫ মাসে প্রায় ৪০ হাজার প্যালেস্টাইনের মৃত্যুর পরিবর্তে ২৭ জন আমেরিকার দাবানলে মৃত্যু। ভাই আনন্দে প্যান্ট খুলে নাচেন। বুদ্ধি তো আগেই খুলে রাখছেন।

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ যেইখানে শরীয়া আইন আছে (ইন্দোনেশিয়ার দুইটা প্রভিন্সে শরীয়া আইন আছে) সেইখানে সুনামি দিয়া প্রায় দুই লক্ষ মানুষ মুহূর্তে মাইরা ফেললেন অথচ আমেরিকার দাবানলে এখন তিন ডিজিটের মানুষ মানুষ মারতে পারলেন না। আমেরিকায় আবার এইসব বাসার ইন্স্যুরেন্সও করা থাকে, তাই বাড়ির মালিকদের তেমন কোন লস হইছে বলে মনে হয় না।

একবার হজের সময় কত মানুষ পিষ্ট হয়ে মারা গেল তখন না কি পাপ কাজের শাস্তি হজের সময় দেয়া হইছিল? ২০২৪ সালেই হজ্জ করতে গিয়া প্রায় ১৩০০ জন মানুষ মারা গেছেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার লিখিত পোষ্ট- আমার ইসরাইল আর প্যালেস্টাইনি নিয়ে অভিজ্ঞতা পোষ্টটা পড়লাম। আপনার পোস্টের একটি কমেন্ট পড়লাম। কমেন্টে অপশনে আমি নই নামের জনৈক একজন কমেন্ট করে প্রশ্ন করেছে- “আপনি কি বোঝাতে চাইছেন-ইসরাইল আসলে খুব উদার আর ভাল রাস্ট্র?” শোনেন ভাই ইসরাইল সংক্রান্ত লেখায় কেউ যদি আপনাকের প্রশ্ন করতে পারে তাহলে আপনার মনের প্রকাশ কেমন হবে সেটা তো আমার বুঝিয়ে দেয়ার দরকার নেই। আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন আপনি ইসরাইলের .......(আর বললাম না)।
প্যালেস্টাইনের দিকে তাকান। আমেরিকায় দাবানল না দিয়া প্যালেস্টাইনে ফেরেসস্তা পাঠাইলে ভালো হইত উনাদের শান্তির জন্য। তবে বদর যুদ্ধের পর থেকে অবশ্য ফেরেস্তা পাঠানো বন্ধ আছে। মানে কি বলব। গত ১৫ মাসে প্রায় ৪০ হাজার প্যালেস্টাইনের মৃত্যুর পরিবর্তে ২৭ জন আমেরিকার দাবানলে মৃত্যু। ভাই আনন্দে প্যান্ট খুলে নাচেন। বুদ্ধি তো আগেই খুলে রাখছেন। আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে এটাই বলতে হয়। প্যালেষ্টাইনের সাথে ইসরাইলের দন্দে আল্লাহকে যদি ফেরেস্তা পাঠাতে হতো রাসুলের জীবদ্দশায় এত যুদ্ধে রাসুল কে ফেরেস্তা পাঠানো লাগলো না কেনো? রাসুলের মৃত্যুর পর সাহাবীদের সময়তো পাঠানো লাগলো না। সেই সময়ের পারস্য সভ্যতা, রোম সভ্যতা সবই তো মুসলিম দের করায়ত্ত হয়েছে প্রায়। সেনাবাহিনীহীন ছোট্ট একটি পরাধীন রাষ্টে ফিলিস্তিনের মতো একটি রাষ্ট্রে যে নির্মম নির্যাতন করেছে। হিজবুল্লাহর কাছে তো টিকলো না। হুথি তো আমেরিকাকে গুনলো না। তো যাই হোক ভাই। ইসরাইলের মতো রাষ্ট্র কে ঠান্ডা করতে ইরান অথবা তুরস্কই যথেষ্ট। ইরান তো এখন আমেরিকাকে গোনেই না। সময় হলে দেখতে পাবেন। কারন আগুনে লসএ্যাঞ্জেল কাবাব হওয়াতে যেহেতু ‍শান্তি চুক্তি হযে গেলো আর কথা বাড়ায়ে লাভ নেই্।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: কঠিন সময়

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: লস এ্যাঞ্জেল পাপে পূর্নতা প্রাপ্ত। আপনি কি দেখেছেন হলিউডের চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা চরম পর্যায়ে পড়েছিলো। আমেরিকার কচি কাচা মেয়েদের নায়িকা বানানোর কথা বলে মিডিয়া সংস্থা গুলো যেভাবে ব্যভিচার করে। তা বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর চলচ্চিত্রে যেভাবে প্রকাশে ব্যাভিচারের ছাড়াছাড়ি যা থেকে তাবৎ আমেরিকা সহ চারিদিকে ব্যাভিচার ছড়িয়ে পড়ছে।

ভাই আপনি বিশ্বের অন্য দেশের মানুষের সমাজ সম্পর্কে কতটুকু ধারনা রাখেন আমি জানি না।

তবে ইসলামিক মুল্যবোধের চশমা পরলে বিদেশীদের কালচার আপনি খারাপ দৃস্টিতে দেখতে পাবেন।

বিদেশে ১৮ এর আগে সেক্স করা অপরাধ। কিন্তু ১৮ এর পরে দুজন কি করলো তা নিয়ে সমাজ নাক গলায় না।

ঐ সব দেশে নায়িকা বানানোর জন্য যদি কোন পরিচালক জোর করে তাহলে সেটা প্রকাশ পেলে তার সাজা হয়/ ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ঐখানে নায়িকা হবার জন্য অনেকেই বিছানায় সেচ্ছায় যায়।

বাইরের দেশে পরকিয়াকে খারাপ চোখে দেখে। কিন্তু অবিবাহিতরা যার সাথে ভালো লাগে তার সাথেই সম্পর্ক করে।

এটা ওদের সমাজে খারাপ না। ওদের ধর্মে নিষেধ থাকলেও অনেকে মানেনা।

উপরে আরাফাত ভাই ভালো তথ্য দিয়েছে।
২০২৪ এ সৌদি আরবে ১৩০১ জন হাজি মারা গেছে।
২০০৪ এ ৯৮% মুসলমানের শহর বান্দা আচে তে 167,540 people মানুষ মারা গেছে? ঐকানে একটা বারও নাই, শরিয়া আইন চলছে এখন।

কিন্তু লস এন্জেলেসে ২৫ জন মারা গেছে। তাহলে বির্ধমীদের ক্ষতি হলেই গজব আর মসলমানদের ক্ষতি হলে পরিক্ষা?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিদেশে ১৮ এর আগে সেক্স করা অপরাধ। কিন্তু ১৮ এর পরে দুজন কি করলো তা নিয়ে সমাজ নাক গলায় না।
ঐ সব দেশে নায়িকা বানানোর জন্য যদি কোন পরিচালক জোর করে তাহলে সেটা প্রকাশ পেলে তার সাজা হয়/ ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ঐখানে নায়িকা হবার জন্য অনেকেই বিছানায় সেচ্ছায় যায়।
বাইরের দেশে পরকিয়াকে খারাপ চোখে দেখে। কিন্তু অবিবাহিতরা যার সাথে ভালো লাগে তার সাথেই সম্পর্ক করে।

এই যে আপনি বলছেন না ১৮ িএর পরে দুজন কি করলো তা নিয়ে সমাজ নাক গলায় না। কিন্তু এখানেই আপনাদের সাথে আমাদের পাথক্য । করান আমারা একে ব্যভিচার বলি। অন্যায় বলি। বিবাহ ব্যাতিরেকে আমরা সেক্সকে অবৈধ বলি। আর অবৈধ সেক্স এর জন্যই এসকল আজাব আসে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাছাড়া বিভিন্ন রোগ জীবানু আসে বলেই আমাদের ধর্ম
গ্রন্থ জানাই তাই এগুলো থেকে আমরা দুরে থাকি। আপনি এই যে বলছেন কিন্তু ঐখানে নায়িকা হবার জন্য অনেকেই বিছানায় সেচ্ছায় যায়। আমরা এসকল বিষয়কে অপরাধ বলে গণ্য করি। আমদের মতে এভাবে নারীকে পন্য বলে গন্য করা হয়। এভাবেই সমাজে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়েছে। সন্তানের বৈধতা হারিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে ধর্ষন ব্যাভিচারে সমাজ কুলষিত। ইংল্যান্ডে প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে ৮৬ জন নারী বিয়ে ছাড়াই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। প্রতি ৩ জন নারীর একজন বিয়ের পূবেই সত্বিত্ব সম্পদ হারিয়ে বসে। আমেরিকার বিদ্যালয় সমূহে অশ্লীল ম্যাগাজিনের চাহিদা এত বেশি যে এগুলো অধ্যায়ন করে আমেরিকার স্কুল কলেজের নারীরা চরম যৌন উত্তেজনায় ভূগতে থাকে। ফলে ব্যাভিচারের পরিধি চরমে পৌছেছে। হাইস্কুলের শতকরা ৪০ জন ছাত্রী স্কুল ত্যাগ করার পূর্বেই চরিত্রভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। অবাধ যৌনাচারে সমগ্র আমেরিকা ছেয়ে গেছে। আমেরিকার গড়ে ১ জন মানুষ ৮ জন মানুষের সাথে যৌন সম্ভোগের পর একজনের সাথে থাকার ব্যবস্থা শুরু করে। ব্রিটেনেও শতকরা ৮৬ জন যুবতী বিয়ের সময় কুমারী থাকে না। এ ব্যাপারে ডাঃ চেসার তার “সত্বীত্ত কি অতীতের স্মৃতি?” বইতে লিখেছেন ব্রিটেনের নারী সমাজের অধঃপতনের বিষদ বর্ণনা। ইনডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ এর ডিরেক্টর জেনারেল অবতার সিংহ পেইন্টাল বলেন “আমাদের নারীদেরকে আমরা সতী বলে মনে করতাম। কিন্তু অবৈধ যৌনকর্ম এখানে এতো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে লোকে ভীত না হয়ে পারে না”। চীনে যৌন স্বাধীনতার দাবী সম্বলিত পোষ্টারে যার সাথে খুশি যৌন মিলনে কুণ্ঠিত না হবার আহ্বান জানানো হয়। ইউরোপে যৌন স্বাধীনতার দাবীতে পুরুষের মত নারীরাও নৈতিকতা হারিয়ে উচ্ছৃংখল ও অনাচারী হয়ে পড়েছে এবং সুযোগ পেলেই হন্যে হয়ে তৃপ্ত করছে যৌনক্ষুধা। পাশ্চাত্যে ক্রমবর্ধমান অবৈধ যৌন স্বাধীনতাই সবচাইতে ক্ষতি সাধন করেছে। নারীর দেহকে বানিজ্যিক রুপ দেয়ার কোন প্রচেষ্টাই বাকী রাখা হয় নাই। যার কারনে নারী দেহকে সম্পূর্ণ ভাবে ভোগ করার প্রকিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে মডেলিং বানিজ্যের মাধ্যমে। অশুভ এই প্রবনতার ফলে বৈবাহিক জীবন ও পরিবারের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উন্নত দেশ সমূহে লিভ টুগেদার ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। আমরা এ জাতীয় উন্নত শ্রেনির মানুষের নামে নোংরামি চাই না। ব্যাভিচার চাই না।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১২

লুধুয়া বলেছেন: এইরকম ভাবনা মুসলিম সমাজে দেখা যাই। যখন কোনো কিছুতে পেরে উঠে পারেনা। তখন ন্যাচারাল calamity কে আকরে ধরবে। Wildfire ঘটনা আমেরিকা তে সহসা দেখা যাই। যেমন ভারত/বাংলাদেশ এ সাইক্লোন।এখন এটাকে প্যালেস্টাইনিদের অত্যাচারে প্রতিশোদ বললে কেও সিরিয়াসলি নেবেনা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পেরে উঠা না পেরে উঠার বিষয়ে আপনি বলতেই পারেন। তবে মনে রাখবে ছোট্ট এক মক্কা আর মদিনা থেকে ইসলাম যাত্রা শুরু করেছিলো। সেই ইসলাম তৎকালীন পারষ্য সভ্যতার মতো বিশাল সভ্যতাকে করায়ত্ত্ব করেছে রোম সভ্যতার মতো বিশাল সভ্যতাকে করায়ত্ব করেছে। ইহুদী খ্রিষ্টানদের পুন্য ভূমী ছিলো মধ্যপ্রাচ্যে কিন্তু তারা কি মধ্যপ্রাচ্যে আছে? হারিয়ে গেছে। এখন যদি আমেরিকা ইসরাইল কে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এর কিচু ভূমী দখল করতে যাই তবে মনে রাখবেন এটা কিন্তু আমেরিকা ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভূল করবে। কারন মুসলিম বিশ্ব রাশিয়াকে সাথে নিয়ে সমস্ত ইউরোপিয় ইউনিয়ন দখলে মাঠে নামবে। আপনি দেখবেন মুসলিম বিশ্বের বিশাল সৈন্যবাহিনী। কারন অস্ত্র প্রতিযোগীতায় মুসলিম জাতিও এগিয়ে যাচ্ছে। ইরানের দিকে তাকান তুরস্ক এর দিকে তাকান।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শত্রুর হলে,'আল্লার গজব',নিজের হলে,'ঈমানী পরিক্ষা' এই হল আমাদের ধার্মীকদের অবস্থা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি এটা বললে বলতে পারেন। সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যভিচারেই কারনে জাতিস্বত্তা ধ্বংশ হয় এটা আমাদের র্ধমে বল আছে। তবে যাই বলুন না ভাই এই ক্যালিওফেনিয়িার এই দাবানল শান্তি চুক্তি ঘটিয়েছে। আমেরিকা ভয় পেয়েচে।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৮

কু-ক-রা বলেছেন: কতিপয় নাস্তিক্যবাদি অত্র ব্লগে আসিয়া পাঁদড়ামি করিতেছে, উহাদিগকে উপেক্ষা করুন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বুজেছি। সমস্যা নেই। ১২ বছর বিভিন্ন ব্লগে লিখছি। অভ্যাস হযে গেছে। ইদানিং ওদের প্রশ্নের উত্তর দিতে ভালোই লাগে।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: @নতুন,ধর্মা মানুষকে মানবিক করে না,করে অনুগত।আল্লাহ ও রাশুলের প্রতি অনুগত।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সেনাবাহিনী হীন একটি জাতির উপর বিমান হামলা করা যদি মানবিক হয় তাহলে তো আর আমার কিচু বলার নেই। কিন্তু আমি তো তাদের কাপূরুষ বলি। কারন তোর ক্ষমতা থাকলে শক্তিশালী কোন রাস্ট্রের উপর বিমান হামলা কর। যেমন ইরানের উপর তুরস্কের উপর। মাজা ভেঙ্গে দিবে। নিরীহ একটা পরাধীন জাতির উপর বিমান হামলা অসহায়ের উপর মাস্তানী বলেই মনে করি।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের আলোকে ব্যবিচার প্রমান করা এক অসম্ভব বিষয়।চার জন সাক্ষী লাগবে যারা যোনির ভিতর লিঙ্গ প্রবেশ করতে দেখেছে।নারী সাক্ষী হলে আট জন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এরকম সাক্ষী তো আমাদের দেশীয় আইনেও লাগে। সাক্ষী ছাড়া কি কোন কিছু প্রমান করা সম্ভব? আর সেই ১৫০০ বছর পূর্বে রাসুল কে আল্লা সেই সময়ের পরিবেশ অনুসারে বলেছে। এখন সেই অবস্থান তুলে ধরে কি প্রমান করতে চান ধর্ম খুব খারাপ! হা হা হা হা হা। কেনো এখন ডিএনএ টেস্ট করা যায় না? প্রমান করা কি খুব কঠিন বিষয়। যে কোন মামলাতেই সাক্ষি লাগে। যে কোন দেশের মামলাতেই সেটি প্রয়োজন। তাহলে এখানে অসম্ভব কেনো বলছেন বুঝলাম না।

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: গাঁজা বাসির উপর হামলাকে কেউ মানবিক বলে নাই।রাজনৈতিক কারণে কেউ কেউ সমর্থন করছে।সেটাও ঠিক না।আগে আক্রমন কিন্তু হামাস করে ছিলো।নিরপরাধ মানুষ গুলিকে হত্যা করে, অনেককে আটকে রেখেছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আগে আক্রমন কিন্তু হামাস করে ছিলো। নিরপরাধ মানুষ গুলিকে হত্যা করে, অনেককে আটকে রেখেছে।
আপনি যেমন জানেন সেটা আমরাও জানি। এটা তো হামাসের সমস্যা? কিন্তু সমগ্র ফিলিস্তিন জাতি স্বত্ত্বা কি দোষ করেছিলো? যে এভাবে নিরীহ জনগোষ্ঠিকে নির্মমভাবে হত্যা করতে হবে? তারা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরায়ে দিয়ে গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে হামাসের সকল নেতার ফাসী দিতো। কিন্তু নিরীহ জনগন কি এমন অন্যায় করেছে? যে ৪৫০০০ জনগনের মৃত্যুর শিকার হতে হবে। গলিত লাশ কুকুর দিয়ে খাওয়াতে হবে। এই ন্যাক্কারজনক অন্যায় আল্লাহ কি মানে?

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারীর কথায় লজিক আছে।
আর আপনি লজিকের ধারধারেন না। আপনার আছে বিশ্বাস। আপনি একটা কুসংস্কারের আঁধার।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পূরুষ আমরা যার যার সাথে ইচ্ছা সেক্স করবো। এটাকে যদি আপনি লজিক বলেন বলতে পারেন আমরা সেই লজিককে অপরাধ বলে গণ্য করি। কারন একজন নারী একজন পুরুষের সাথেই সেক্স করতে পারে। যাকে পছন্দ হবে তার সাথেই করবে এটি গন্য বিবাহ বাহির্ভূত সম্পর্ক কে আমরা অপরাধ বলি। যার সাথে ইচ্ছা সেক্স করা মানসিকতাকে আমরা লুচ্চামি মানসিকতা বলে অভিহিত করি। অপরাধ বলে গণ্য করি। এ ক্ষেত্রে আপনি আমাকে কুসংস্কারে আধার বললে বলতে পারেন। কিন্তু লুচ্চামিকে আমরা সংস্কার বলতে পারি না।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩১

নতুন বলেছেন: এই যে আপনি বলছেন না ১৮ িএর পরে দুজন কি করলো তা নিয়ে সমাজ নাক গলায় না। কিন্তু এখানেই আপনাদের সাথে আমাদের পাথক্য । করান আমারা একে ব্যভিচার বলি। অন্যায় বলি। বিবাহ ব্যাতিরেকে আমরা সেক্সকে অবৈধ বলি। আর অবৈধ সেক্স এর জন্যই এসকল আজাব আসে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাছাড়া বিভিন্ন রোগ জীবানু আসে বলেই আমাদের ধর্ম
গ্রন্থ জানাই তাই এগুলো থেকে আমরা দুরে থাকি।


ইসলামে নারীদের ভোগ করার তরিকা আছে। সেই তরিকা অনুসরন করলে নারীরা নিয়ন্ত্রনে থাকবে। ধর্মে পুরুষদের নারী ভোগের কোন বাধা নাই।

* পুরুষ যে কোন সময় নারীকে বিবাহ করতে পারে, তবে বর্তমানে সবোচ্চ ৪ জন লিমিট করে দিয়েছে।
* পুরুষ যে কোন সময় স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে, কোন কারন দেখানোর বাধ্যকতা নাই, এবং তালাক দিয়েই আবার ৪ জনের কোটা পুরন করতে পারবে।
* যুদ্ধের সময় বন্দি নারীদের দাসী হিসেবে ভোগ করতে পারবে, কোন বাধা নাই।


বর্তমানের সমাজে নারীরা পুরুষের ভোগের সামগ্রী হয়ে উঠতে চায় না বরং নিজেরাও জীবন উপভোগ করতে চায় সেটাই আপনার পুরুষ ধর্ম ইসলামের ভয়।

আপনার কাছে হাইমেনই নারী। কিন্তু অন্যদের কাছে নারী একজন মানুষ। পার্থক্য এখানে।

আর আপনি সম্ভবত বাইরের সমাজের সাথে মিশেন নাই তাই আপনার কাছে এতো ভয়াবহ অবস্থা মনে হচ্ছে। ভালো খারাপ সকল সমাজেই আছে। আপনি যেই খারাপ জিনিস গুলি উল্লেখ করেছেন সেটা আমাদের সমাজেও ভয়াবহ ভাবে আছে।

সকল সমাজেই কিছু মানুষ এমন অবাধ যৌনতা, দূনিতি, নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত থাকে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: * পুরুষ যে কোন সময় নারীকে বিবাহ করতে পারে, তবে বর্তমানে সবোচ্চ ৪ জন লিমিট করে দিয়েছে।
* পুরুষ যে কোন সময় স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে, কোন কারন দেখানোর বাধ্যকতা নাই, এবং তালাক দিয়েই আবার ৪ জনের কোটা পুরন করতে পারবে।
* যুদ্ধের সময় বন্দি নারীদের দাসী হিসেবে ভোগ করতে পারবে, কোন বাধা নাই।

আপনার ১ম বক্তব্য বিবাহ ৪ জন লিমিট করে দিয়েছে। এটি আপনি কোথায় পাইলেন। আল কোরআন ৪ জন বিবাহ কথা বলে কিন্তু আপনি কেনো ৪ জন বিবাহ করবেন। ১ম স্ত্রি কি আপনাকে অনুমতি প্রদান করে? আপনি কি সেক্সুয়াল পাওয়ারফুল এতই বেশি যে আপনার স্ত্রি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনার প্রেসারে তার কষ্ট হচ্ছে। সে সেক্সুয়াল নির্যাতন বলে মনে করছে? যদি এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার স্ত্রিকে অবশ্যই জানাতে হবে আমি আর পারছি না তার আরেকজন স্ত্রি লাগবে। তাহলেই আপনি ২য় বিয়ে করতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন আল কোরআন ১৫০০ বছর আগে নাযিল হয়েছিলো। সেই সময়ে নারীদেরকে ঠিক সঠিক সম্মান প্রদর্শন করা হতো না। সেই সময়ে আল কোরআনে ঘোষনা করা হয় বিয়ে করবে ১টা। ৪টি বিয়ের যুক্তি ছাড়া তো আপনি বিয়ে করত েপারবেন না। * পুরুষ যে কোন সময় স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে, কোন কারন দেখানোর বাধ্যকতা নাই, এবং তালাক দিয়েই আবার ৪ জনের কোটা পুরন করতে পারবে। এই বিষয়টি আপনি ভূল বললেন আপনি আপনার স্ত্রিকে তালাক দিতে পারবেন। কিন্তু তো কারন থাকতে হবে। লক্ষ্য করুন আল কোরআন বলছে “তোমরা যদি পরস্পরকে সহ্য করতে না পারো”। যে কোন তালাকের ক্ষেত্রে কারন থাকতে হবে। সব কিচু আল কোরআন আনেন কেনো? মানুষের কি বিবেক বোধ থাকে না? আর যদি তালাক দিলে তাকে ইদ্দত দাও বলা আছে। এটাকে দেনমোহর বলে ভূল করবেন না। সম্পদ এর অংশ দিতে হয়। * যুদ্ধের সময় বন্দি নারীদের দাসী হিসেবে ভোগ করতে পারবে, কোন বাধা নাই। ---- এই যে কথা বললেন এটিও ভূল। কারন এই আয়াতটি ওই সময়ের জন্য বলা হয়েছিলো। এখন কি বিশ্বে দাস প্রথা কার্যকরী আছে? নাই। তাহলে কেনো দাসী হিসেবে ধরে নিয়ে বিক্রী করে দিবেন? ঐ সময়ে বন্দী নারী পূরুষকে ধরে নিয়ে এনে দাস দাসি হিসেবে বিক্রী করে দেওয়া হতো। এই সিস্টেম মধ্যপ্রাচ্যের সকল এলাকায় কার্যকরী ছিলো। যুদ্ধবন্দিীর এই সিস্টেম মুসলিমদের মধ্যেও ছিল। সেই হিসেবে মুসলিমরাও দাসী ভাগ করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় তখনকার সময়ে দাসীদের মালিকরা দাসীদের সাথে সেক্স করাতো। কিন্তু এখনকার যুগে দাস দাসী প্রথা নেই এখন যদি মুসলিমদের কোন যুদ্ধ হয় তবে এই রকম দাসী পাবার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যাবে না। সুতরাং ইসলামে বর্তমান সময়ের জন্য এই আয়াতটি কার্যকর নয়। কারন ঐ সময়ের জন্য রাসুল কে ঐ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। সেই নির্দেশনা সকল সময়ের জন্য নয়।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩

নতুন বলেছেন: আমেরিকা বা ইউরোপের শিক্ষিত সমাজ ভদ্র, অতিথি পরায়ন, তারাও স্বালীন পোষাক পরে। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন টাইপের পোষাক পরে।

আমেরিকার হলিউডের ছবি দেশে যদি আপনি আমেরিকার সামাজিক অবস্থা বুঝে ফেলেন তবে সমস্যা,

যদি বিদেশিরা ঢাকার ডিপজলের ছবি দেখে বাংলাদেশের নারীদের পোষাক আষাক চাল চলন সম্পর্কে ধারনা নেয় তবে কেমন হবে?

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১

কু-ক-রা বলেছেন: পাঁদগাজী (ওরফে "জেনারেশন ৭১";) এখনও এই ব্লগের খবর পায় নাই? এই লেখা পড়িলে উহার মাথায় দাবানল জ্বলিয়া উঠিতে পারে।

১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪

আঁধার রাত বলেছেন: গজব বেশী মারতে পারে নাই মাত্র ২৭ জন। ৫০ হাজারের সমান মাত্র ২৭ জন। আবার ফাইট দিয়ে আল্লাহর গজবের আগুন নিভায়ে ফেলছে। কয়েক মাসের মধ্যে বাড়িগুলোও রিস্টোর করে ফেলবে।
তাই
লস এঞ্জেলেসের আগুন গজবের আগুন কইলে সমস্যা হইলো প্রমান করা যাবে যে আল্লাহর গজবের আগুন হেলিকপ্টারের পানি দিয়ে নিভায়ে ফেলা যায়। আবার মানুষ বেশী মারতে পারে না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি এটাকে গজব বলছেন কেনো? এটা গজবের সুচনা। লক্ষ্য করুন -“মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তিনি তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা সৎপথে ফিরে আসে।আয়াত-আল কোরআনের সুরা রুমের ৪১ নম্বর আয়াত। এই আয়াতে পাপীষ্ঠ জাতিস্বত্ত্বা সতর্ক করতে বলা হচ্ছে। তারা যেনো ঠিক হয়ে যায়। তারা যেনো জালিম রুপ পরিবর্তন করে ভালো হয়ে যায়। এগুলো হলো আল্লার সতর্ক মূলক পদক্ষেপ। আমেরিকার উপর যে গজবটা দেওয়া হয়েছে সেটি সতর্ক রুপে পদক্ষেপ। পরবর্তীতে আরেকটি আয়াত ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১১) এই আয়াতে লক্ষ্য করুন সেই জাতিস্বত্ত্বাকে একেবারে ভ্যানিস করে দেওয়া হয়েছে। অথাৎ এটি চুড়ান্ত গজব। মনে সেই জাতি শেষ। সুতরাং আমেরিকার উপর যে গজব দেওয়া হয়েছে সেটি সতর্কমূলক। অপেক্ষা করুন।

১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫

নতুন বলেছেন: আপনার ১ম বক্তব্য বিবাহ ৪ জন লিমিট করে দিয়েছে। এটি আপনি কোথায় পাইলেন। আল কোরআন ৪ জন বিবাহ কথা বলে কিন্তু আপনি কেনো ৪ জন বিবাহ করবেন। ১ম স্ত্রি কি আপনাকে অনুমতি প্রদান করে? আপনি কি সেক্সুয়াল পাওয়ারফুল এতই বেশি যে আপনার স্ত্রি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনার প্রেসারে তার কষ্ট হচ্ছে। সে সেক্সুয়াল নির্যাতন বলে মনে করছে? যদি এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার স্ত্রিকে অবশ্যই জানাতে হবে আমি আর পারছি না তার আরেকজন স্ত্রি লাগবে। তাহলেই আপনি ২য় বিয়ে করতে পারবেন।

ইসলামী শরিয়া আইন সম্পর্কে আপনার আরো একটু জানতে হবে।
ইসলামী আইন অনুযায়ী ২ বিবাহ বা বহু বিবাহের জন্য বর্তমান স্ত্রীর অনুমুতির দরকার নাই।

"আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, এতিমদের ব্যাপারে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে বিয়ে কর এমন নারীদের মধ্যে যাকে তোমরা পছন্দ কর — দুইজন, তিনজন অথবা চারজন। কিন্তু যদি আশঙ্কা কর যে, তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনই যথেষ্ট..."
(সূরা নিসা: আয়াত ৩)

এবং হাদিসও কোথাও নাই যে স্ত্রির অনুমুতি নিয়ে ২/৩/৪ বিয়ে করতে হবে।

বর্তমানে যেটা চলছে সেটা আধুনিক সিদ্ধান্ত মাত্র। সহী ইসলাম না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: "আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, এতিমদের ব্যাপারে ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে বিয়ে কর এমন নারীদের মধ্যে যাকে তোমরা পছন্দ কর — দুইজন, তিনজন অথবা চারজন। কিন্তু যদি আশঙ্কা কর যে, তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনই যথেষ্ট..." (সূরা নিসা: আয়াত ৩) আপনি কি আল কোরআনের আয়াতটি কি বুঝতে পড়েছেন? আমার তো মনে হয় আপনি বুঝতে পারেন নি। এই আয়াতে যেই এতিম এর কথা তুলে ধরা হয়েছে সেই মা মারা যাওয়া এতিম এর কথা বলা হচ্ছে। যে বাবা স্ত্রি মারা গেছে সেই সন্তানের সাথে ন্যায় বিচারের কথা বলা হচ্ছে। তাদেরকে তাদের সম্পদ দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতিমদের এক ভাগ আরেক ভাগ নিজের জন্য রেখে বিয়ে করতে বলছে। বিয়ে সবোচ্চ ৪টা করা যাবে। কিন্তু সবকিছুকে ধর্ম বলেন কেনো বিবেক বা গনমত বলে সামাজিক ন্যায্যতা বলে তো একটা বিষয় থাকে।

ইসলামী শরিয়া আইন সম্পর্কে আপনার আরো একটু জানতে হবে।
ইসলামী আইন অনুযায়ী ২ বিবাহ বা বহু বিবাহের জন্য বর্তমান স্ত্রীর অনুমুতির দরকার নাই।

আপনি পূর্বের যে শরিয়া আইনের কথা বলছেন সেটি সম্পর্কে আমি জানি। শরিয়া আইনে ৩% আল কোরআন ২৭% হাদীস আর বাদ বাকী কিয়াস ইজমা ফিকাহ। এটাকে কি আল্লার আইন বলা যায়। তাছাড়া শরিয়া আইন আধুনিক মতাদর্শ নিয়ে ইসলামিক স্কলারবৃন্দ বসে জ্ঞানি মানুষ গন বসে আবার শরিয়া আইন পরিবর্তন করা সম্ভব। আল কোরআনের ৩% ব্যতিরেকে সব পরিবর্তন করা যাবে। এটি সম্ভব। কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর নেতৃত্ববৃন্দরা যখন গনতন্ত্রের, সমাজতন্ত্রের বীপরিতে সুন্দর মানানসই আধুনিক ইসলামী চিন্তা সমৃদ্ধ রাস্ট্রিয় দর্শনের প্রয়োজন ফিল করবে তখন ঠিকই একটি নতুন ইসলামি শরিয়া আইন তৈরী সম্ভব। কারন পূর্বের শরিয়া আইনে অনেক সমস্যা আছে। ব্যাভিচারের শাস্তি স্বরুপ পাথর মেরে হত্যা এটি গ্রহণযোগ্য নই। এটি নাকি হাদীসের? কিন্তু আল কোরআন বলে ব্যাভিচারি ও ব্যাভিচারীনী বেত্রাঘাত শাস্তি। তাহলে পাথর মেরে হত্যা। সুতরাং পাথর মেরে হত্যা এটি সহী হাদীস নই। কারন এই আইন তৎকালীন মধ্যপ্রাচ্যের শাস্তি ছিলো। মধ্যপ্রাচ্যের কানুন একটি প্রক্রিয়ায় হাদীিসের নামে শরিয়া আইনে প্রেবেশ করেছে। এটি সময় হলে সব ঠিক হবে। এর জন্য দরকার ইসলামী জাগরন।
আল কোরআনের সব আয়াত সর্ব সময়ের জন্য নয়। যেমন একটি আয়াতে বলছে তোমরা ইহুদীদের হত্যা কর। তাহলে আপনি কি বলবেন এখন যত ইহুদী আছে সবাইকে হত্যা করতে হবে। নারে ভাই তখন যুদ্ধকালীন সময় ঐ সময় এই নির্দেশ এসিছিলো। যুদ্ধ শেষ আল কোরআনের এই নির্দেশনা ও শেষ। সুতরাং সবকিচু চিরন্তন বলে মানুসকে বিভ্রান্ত করার দরকার নেই।

১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪

নতুন বলেছেন: * যুদ্ধের সময় বন্দি নারীদের দাসী হিসেবে ভোগ করতে পারবে, কোন বাধা নাই। ---- এই যে কথা বললেন এটিও ভূল। কারন এই আয়াতটি ওই সময়ের জন্য বলা হয়েছিলো। এখন কি বিশ্বে দাস প্রথা কার্যকরী আছে? নাই। তাহলে কেনো দাসী হিসেবে ধরে নিয়ে বিক্রী করে দিবেন? ঐ সময়ে বন্দী নারী পূরুষকে ধরে নিয়ে এনে দাস দাসি হিসেবে বিক্রী করে দেওয়া হতো। এই সিস্টেম মধ্যপ্রাচ্যের সকল এলাকায় কার্যকরী ছিলো। যুদ্ধবন্দিীর এই সিস্টেম মুসলিমদের মধ্যেও ছিল। সেই হিসেবে মুসলিমরাও দাসী ভাগ করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় তখনকার সময়ে দাসীদের মালিকরা দাসীদের সাথে সেক্স করাতো। কিন্তু এখনকার যুগে দাস দাসী প্রথা নেই এখন যদি মুসলিমদের কোন যুদ্ধ হয় তবে এই রকম দাসী পাবার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যাবে না। সুতরাং ইসলামে বর্তমান সময়ের জন্য এই আয়াতটি কার্যকর নয়। কারন ঐ সময়ের জন্য রাসুল কে ঐ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। সেই নির্দেশনা সকল সময়ের জন্য নয়।

কোরানে কি দাসপ্রথা বাতিলের আয়াত আছে? থাকলে একটু দিয়েন।

কোরানে যেহেতু বাতিলের আয়াত নাই। তাই আইএসআইস ইয়াজিদি নারীদের দাসী হিসেবে ব্যবহার করেছে। :|

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কোরানে কি দাসপ্রথা বাতিলের আয়াত আছে?
আপনি কি বলেন ভাই? ঐ সময়ে কি আল কোরআনে দাস প্রথা বাতিলের আয়াত দিলে রাসুল সাঃ যে জাগরন সৃষ্টি করেছিলেন সেটি কি সম্ভব হতো। অবিশ্বাসীদের শক্তি চরম বৃদ্ধি পেতো এই সিদ্ধান্তের কারনে। সুতরাং এই বিষয়টি কখনও আল কোরআনে দেওয়া সম্ভব হতো না। কারন তখন বিশ্ব বিবেক দাস প্রথার পক্ষে কারন বাড়ি ঘরের কাজ তো করাতে হবে কাউতে দিয়ে যারা করবে তারাই দাস। এই প্রথাটা র্দীঘ দিনের ফসল। সহজেই কি এটি বন্ধ করা সম্ভব হতো? তাহলে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতো। দাস প্রথা বন্ধ হয়েছে তো মাত্র ১০০ বছর পূর্বে।1807 সালে ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশগুলির সাথে দাস বাণিজ্য বাতিল করে। ক্যারিবীয় অঞ্চলে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ফিয়াট দ্বারা দাসপ্রথা বিলুপ্ত করা হয়, যা কার্যকর হয় 31 জুলাই, 1834, যখন ব্রিটিশ প্ল্যান্টেশন উপনিবেশের 776,000 ক্রীতদাসকে মুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু রাসুল দাস প্রথার বিরুদ্ধে ছিলো। তিনি তার দাসদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি অবাক হলাম আই এস নিয় আপনার মন্তব্য শুনে! আরে ভাই আই এস তো ইসরাইলের খেলোয়ার ছিলো। ইসরাইলের সেনাবাহিনী গোয়েন্দা বাহিনী তাদের কে যুদ্ধ ট্রেনিং দিতো। এটি ইসরাইলের একটি মিশন ছিলো। ইসরাইল তো চাইছিলো এটা। এগুলো যদি আই এস কে দিয়ে না করানো সম্ভব হতো তাহলে আমেরিকাকে দিয়ে মানবাধিকারের ধোয়া তুলে রাষ্ট্র দখল করা সম্ভব হতো না। রাষ্ট্র দখল বলতে তেল ক্ষেত্র দখল। কিন্ত এটা তো ইরান হতে দেয় নাই।

১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩

নতুন বলেছেন: আপনি যেমন জানেন সেটা আমরাও জানি। এটা তো হামাসের সমস্যা? কিন্তু সমগ্র ফিলিস্তিন জাতি স্বত্ত্বা কি দোষ করেছিলো? যে এভাবে নিরীহ জনগোষ্ঠিকে নির্মমভাবে হত্যা করতে হবে? তারা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরায়ে দিয়ে গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে হামাসের সকল নেতার ফাসী দিতো। কিন্তু নিরীহ জনগন কি এমন অন্যায় করেছে? যে ৪৫০০০ জনগনের মৃত্যুর শিকার হতে হবে। গলিত লাশ কুকুর দিয়ে খাওয়াতে হবে। এই ন্যাক্কারজনক অন্যায় আল্লাহ কি মানে?

আপনি ইসরাইলকে দোষী বলছেন যে তারা হামাসের দোষে পুরো ফিলিস্তিনিদের সাজা দিলো কেন??? /:)

আর ইসলাইলের দোষে গোটা একটা এলাকা পুড়িয়ে ২৫ জন মেরে ফেললো, হাজার প্রানী মারা গেলো, কোটি কোটি পোকামাকর মারা গেলো? সেটার সৃস্টিকর্তা করলে ঠিক আছে?

আমি ইসরাইলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। ফিলিস্থিনের স্বাধীনতার দরকার এখুনি। নারী/শিশুরা প্রতিদিন জীবিত থেকেও মৃতের মতন জিবন জাপন করছে।

কিন্তু আপনার মতন এমন অযৌক্তিক দাবী করে মানুষের কস্টে উল্লাস যেই সব মুমিনরা করলে তারা জে ভুলের মাঝে আছে তাদের অজ্ঞতা দেখে অবাক লাগে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কিন্তু আপনার মতন এমন অযৌক্তিক দাবী করে মানুষের কস্টে উল্লাস যেই সব মুমিনরা করলে তারা জে ভুলের মাঝে আছে তাদের অজ্ঞতা দেখে অবাক লাগে। আপনি এটি ভূল অভিযোগ করছেন অথবা আমরা ধার্মীক বলে আমাদের সকল বক্তব্যের বিরোধীতা মূলক বিদ্মেষ পোষন করা আপনার অভ্যাস বলেই আমি মনে করবো। কারন আমার লেখা অিাপনি হয় পড়েন নািই নইলে আমার কথা হয়তো আমি আপনাকে বোঝাতে পারি নাই। আমি বোঝাতে চেয়েছি এটি আমেরিকার অপরাধে পরিবর্থে স্রষ্টার সতর্কতা। এটা গজবের সুচনা। লক্ষ্য করুন -“মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তিনি তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা সৎপথে ফিরে আসে।আয়াত-আল কোরআনের সুরা রুমের ৪১ নম্বর আয়াত। এই আয়াতে পাপীষ্ঠ জাতিস্বত্ত্বা সতর্ক করতে বলা হচ্ছে। তারা যেনো ঠিক হয়ে যায়। তারা যেনো জালিম রুপ পরিবর্তন করে ভালো হয়ে যায়। এগুলো হলো আল্লার সতর্ক মূলক পদক্ষেপ। আমেরিকার উপর যে গজবটা দেওয়া হয়েছে সেটি সতর্ক রুপে পদক্ষেপ। পরবর্তীতে আরেকটি আয়াত ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১১) এই আয়াতে লক্ষ্য করুন সেই জাতিস্বত্ত্বাকে একেবারে ভ্যানিস করে দেওয়া হয়েছে। অথাৎ এটি চুড়ান্ত গজব। মনে সেই জাতি শেষ। সুতরাং আমেরিকার উপর যে গজব দেওয়া হয়েছে সেটি সতর্কমূলক। অপেক্ষা করুন। যদি আমেরিকা ঠিক না হয় তাহলে আসছে .........
আমি তো পূর্বেই বলেছি আমি মার খাবো কোন সমস্যা নেই কিন্তু কেউ মার খাছ্চে সেটা বলতেও পারবো না। কারন মানবাধিকারে নামে আপনার স্বজনপ্রিতী করেন। এখানে স্বজনপ্রিতী বলতে পক্ষপাতিত্ব বোঝালোম।

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

Ruhin বলেছেন: [[ আপনি কি দেখেছেন হলিউডের চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা চরম পর্যায়ে পড়েছিলো]

বাইরে হলিউডে তাও আমি হয় , মেক্সিকো, ইতালি,স্প্যান, ফ্রান্স এর মুভি দেখছেন কখনো? এমন তুরস্ক, মিশর, সিরিয়া, লেবানন‌ও এরকম মুভি করে ।

একটা বিষয় জানেন ? ৭০ দশকের আগে লিপ কিসিং, বিকিনি দৃশ্য,নগ্ন দৃশ্য আমেরিকা মুভি থেকে তার্কিশ ,মিশরীয়,সিরিয়ান, ইরানিয়ান, লেবানিজ মুভিতে বেশি থাকতো । আমেরিকা মুভি খোলামেলা হয়েছে ৭০ দশক থেকে।

আপনার যুক্তিতে এটাও বলা যায় , চলচিত্রে অশ্লীলতার কারনে লেবাননের এই অবস্থা। সিরিয়া ,মিশর,লেবাননের মুভি,সিরিজ গুলো দেখেন । ঐখানে নাটকেই সবসময় মেয়েরা ক্লিভেজ দেখায় আর অনেক শর্ট ড্রেস পড়ে ,হাঁটুর অনেক উপরে,মানে মিনি স্কার্ট। অথচ বাংলাদেশের নাটকে মেয়েরা টাইট গ্যান্জি অথবা স্লিভলেস ড্রেস পড়লেই সমলোচনা করে অশ্লীল বলে বলে। আর ওদের মতো ড্রেস পড়ার কথা বাদ‌ই দিলাম । এগুলো পড়লে সবাই বেশ্যা বলতো।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি ১০ বছর বাংলা চলচ্চিত্রের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত ছিলাম। মাসুদ পারভেজের সহকারী রুপে। পরবর্তীতে
টিভি মিডিয়ার সাথে ছিলাম। তারপর এই জগৎ পরিহার করি। তাই চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছুটা ধারনা রাখি। অসভ্যতার কতটা নোংরা পর্যােয়ে এর যেতে পারে তা আমি জানি। বিশ্ব চলচ্চিত্রে প্রথম নগ্নতা শুরু করে ফ্রান্স। সেটি শৈল্পিক রুপে। কিন্তু হলিউডে বানিজ্যিক চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতা শুরু হয়ে তখন তা বিশ্বব্যাপি প্রচারনা পায় পুরোদমে অশ্লীল চলচ্চিত্র বলেই ব্যপক জনগোষ্টি দেখতে শুরু করে। ফ্রান্স বা আর্জেটিনা যতটা না অশ্লীল চলচ্চিত্র বানিয়েছে তার চেয়ে বেশি প্রচার করেছে হলিউড। ফ্রান্সের ছলচ্চিত্রে একটি ধারা বা রিয়েলিটি থেকে নগ্নতা চলচ্চিত্রে আসে। 1960 সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধারাটি প্রথম আবির্ভূত হয়। প্রাথমিকভাবে তিনটি বিস্তৃত ধরন ছিল: " নগ্নতা " যেমন দ্য ইমোরাল মিস্টার টিস (1959), ডটার অফ দ্য সান (1962) এর মতো নগ্নতাবাদী শিবিরে সেট করা চলচ্চিত্র এবং আরও কিছুটা "শৈল্পিক" বিদেশী ছবি, যেমন দ্য টোয়াইলাইট গার্লস ( 1961)। নগ্নতা বা যৌন সুড়সুড়ি জাতীয় চলচিচেত্রের জন্য আমেরিকায় দায়ী। বিশ্ব মোড়ল হিসেবে সেই বিশ্ববাসীকে নোংরামী শিখিযেছে।
কিন্তু আমেরিকা এটাকে বানিজ্যিক রুপে ছড়িয়েছে। তাছাড়া পর্ণ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। বিশ্বজুড়ে নোংরাময় র্প্ন
ছলচ্চিত্র আমেরিকা ছড়িয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের সান ফার্নান্দো ভ্যালি অঞ্চলটি এই শিল্পের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে বিশ্বব্যাপী অশ্লীল চলচ্চিত্র শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় রেখেছে। এই শিল্পের আকারের বেশিরভাগ পরিসংখ্যান কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই উল্লেখ করে। পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র স্টুডিওগুলি হিউস্টন, লাস ভেগাস ভ্যালি, নিউ ইয়র্ক সিটি, ফিনিক্স এবং মিয়ামিতে কেন্দ্রীভূত। এগুলি প্রাথমিকভাবে অপেশাদার বা "স্বতন্ত্র" পর্ন চলচ্চিত্রগুলি উৎপাদন করে।

২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোরানে কি দাসপ্রথা বাতিলের আয়াত আছে?
আপনি কি বলেন ভাই? ঐ সময়ে কি আল কোরআনে দাস প্রথা বাতিলের আয়াত দিলে রাসুল সাঃ যে জাগরন সৃষ্টি করেছিলেন সেটি কি সম্ভব হতো। অবিশ্বাসীদের শক্তি চরম বৃদ্ধি পেতো এই সিদ্ধান্তের কারনে। সুতরাং এই বিষয়টি কখনও আল কোরআনে দেওয়া সম্ভব হতো না। কারন তখন বিশ্ব বিবেক দাস প্রথার পক্ষে কারন বাড়ি ঘরের কাজ তো করাতে হবে কাউতে দিয়ে যারা করবে তারাই দাস। এই প্রথাটা র্দীঘ দিনের ফসল। সহজেই কি এটি বন্ধ করা সম্ভব হতো? তাহলে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতো।


মদ হারাম করা গেলো আর দাস প্রথা হারাম করা গেলো না?
রাসুল সা: এর ইন্তেকালের আগেও কি দাস প্রথা হারাম করা যেতো না? ( হাসাইলেন)

তার অর্থ হইলো সৃস্টিকর্তা ঝামেলা হইবে বলে দাস প্রথা হারাম করতে পারেন নাই বরং বিধর্মী বিবেকবান মানুষেরাই দাস প্রথা নিষেধ করার পক্ষে আইন করেছে! :|

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মদ সর্ম্পকে কি বলছে আগে জানেন। প্রথম াায়াত টি দেখেন ।“হে ঈমানদারগণ! নিশ্চিত জেনো, মদ, জুয়া, মূর্তি এবং তীর নিক্ষেপ এসবগুলোই নিকৃষ্ট শয়তানী কাজ। কাজেই এসব থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে থাক, যাতে তোমরা মুক্তিলাভ ও কল্যাণ পেতে পার। মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে; আর আল্লাহর যিকর ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখাই হল শয়তানের একান্ত কাম্য, তবুও কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে না?" (আল মায়িদাহ:৯০-৯১) এখানে আল কোরআনে এক শ্রেণির মেলা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি বলছে। তৎকালীন সময় বিভিন্ন মুর্তী পূজাকে নিয়ে মেলা উৎসব আয়োজন করা হতো। মেলাতে মদ খেয়ে উন্মত্ত্বতা, সাথে জুয়া খেয়া হতো, তারপর তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে জুয়া হতো। আল কোরআনের এই মেলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েচে। মেলার এই কাজ গুলো কর না। মদ জুয়া তীর নিক্ষেপ এগুলো শয়তানের কাজ। মূর্তী পূজা এগুলোও খারাপ। পরবর্তীতে আরেকটি াায়াতে বলছে-“তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে, তবে এ- গুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়”। (বাকারা-২১৯) লক্ষ্য করুন এখানে মদ উপকারি বলছে কিন্তু উপকারিতার চেয়ে অপকারিতার পরিমানই বেশি। সুতরাং আল কোরআন মদের উপকারিতা সর্ম্পকে স্বীকার করে।

মদ হারাম করা গেলো আর দাস প্রথা হারাম করা গেলো না? রাসুল সা: এর ইন্তেকালের আগেও কি দাস প্রথা হারাম করা যেতো না? ( হাসাইলেন) তার অর্থ হইলো সৃস্টিকর্তা ঝামেলা হইবে বলে দাস প্রথা হারাম করতে পারেন নাই বরং বিধর্মী বিবেকবান মানুষেরাই দাস প্রথা নিষেধ করার পক্ষে আইন করেছে!

আপনি ভাই ধর্ম সর্ম্পকে জানেন কম। আল কোরআন দাস প্রথা নিয়ে অবশ্যই বলেছে। অসংখ্যবার বলেছে। কিন্তু রাসুলের উপর দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে না। কারন দাস প্রথা ঐ মুহুত্বেও পুরোপুরো বন্ধ করা সম্ভব হতো না। যা াারো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আজ হতে প্রায় পৌনে ৪০০০ বছর আগের ব্যবলনিয় Code of Hammurabi-তেও দাসপ্রথার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কিন্তু কেন যেন ইসলামের সমালোচনায় দাসপ্রথা একটি বেশ মুখরোচক বিষয়বস্তুতে পরিণয় হয়, আর আলোচনার ভঙ্গিটাও এমন থাকে যাতে পাঠকের কাছে মনে হতে থাকবে দাসপ্রথার মত ঘৃণ্য একটি ব্যবস্থাকে ইসলাম জন্ম দিয়েছে বা উন্নীত করেছে। আসলে আপনাদের এহেন মনোবৃত্তি খুবই দুঃভজনব। আল কোরআন সম্পর্কে না জানার জন্য আপনারা এধরনো রসিকতা করেন। আল
কুরআনের কিছু আয়াত রয়েছে যে গুলো দাস প্রথার বিরুদ্ধে।
আয়াত-১: দাসমুক্তকরণ ধর্মের ঘাঁটি।
“অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান- এতীম আত্মীয়কে অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে, অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। [৯০:১১-১৭]”
আয়াত-২: মুক্তিকামি ক্রীতদাসের জন্য সম্পদ ব্যয় করা বড় সৎকাজ
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। [২:১৭৭, প্রাসঙ্গিক অংশ]
আয়াত-৩: নিজেদের সমান হয়ে যাবার ভয়ে দাস-দাসীদের দান না করা আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করার নামান্তর
আল্লাহ তা’আলা জীবনোপকরণে তোমাদের একজনকে অন্যজনের চাইতে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন। অতএব যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে স্বীয় জীবিকা থেকে এমন কিছু দেয় না, যাতে তারা এ বিষয়ে তাদের সমান হয়ে যাবে। তবে কি তারা আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকার করে। [১৬:৭১]
আয়াত-৪: নিঃস্ব হলেও সৎকর্মপরায়ণ দাস-দাসীদের বিবাহ দিয়ে দিতে হবে
তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। [২৪:৩২] আল কোরআন দাসদাসী দিয়ে বহু আয়াত এসেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন ঘটেনি। ঘটানো যাই নাই কিচু জলদস্যু সমাজ ব্যবস্থার জন্য্। যেমন উদাহরন দিই জলদস্যুরা জ্যামাইকার পোর্ট রয়্যালের দাস বিক্রয় করতো। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে নিয়ে এসে দাস হিসেবে বিক্রয় করতে। চলত দাস কেনাবেচা, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল জামাইকার পোর্ট রয়্যাল জলদস্যুরা দাস ধরে এসে দাসের দোকান বসাতো। মানুষও দাস কিনতে যাইতো। কারন পরিবারের বিভিন্ন কাজ করতে তাদের কাজের লোক বা দাস দরকার পড়তো। রাসুলের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচে দাস বিষয়টি অনেকাংশে কমে যায়। অনেকে দাস মুক্তি করে দিতো। কেউ কেউ দাসদের নির্যাতন করতো না। দাস বিষয়টি বৃদ্ধি পায়। ইউরোপিয় উইনিয়ন, ব্রিট্রিশ বা অন্যান্য এলাকায়। ইতিহাস দেখেন বুঝবেন। ওদের ব্যবসা ছিলো এমন বিভিন্ন স্থানে জাহাজ নিয়ে যাইতো এবং লোকজন ধরে নিয়ে এসে দাস হিসেবে বিক্রয় করতো।
ইসলামের দাস সর্ম্পকিত বহু হাদীস আছে যেখানে দাস দাসী বিষয়টি নিষেধ করা াাছ্। দাসদের উপর অণ্যায় আচরনের বিরুদ্ধে কথা বলা আচে। যুদ্ধবন্দীদের ক্রীতদাস বানানো সেই সময় একটি স্বাভাবিক রীতি ছিল। কোন মুসলিম যদি যুদ্ধে অমুসলিমদের হাতে বন্দী হতো তাকেও এই পরিণতি বরণ করতে হতো। সুতরাং দাস দাসী বিষয়টি সমগ্র বিশ্বের বিষয় এটিকে মুসলিমের ঘাড়ে চাপানো অন্যায়। ইসলামে দাসীদের ধরে এনে জোর করে পাতিতাবৃত্তি কাজে বাধ্য করতে নিষেধ করা আছে। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। [প্রাসঙ্গিক অংশ, ২৪:৩৩]
সুতরাং দাস বিষয়টি নিয়ে এত হাসির কিছু নেই। বির্ধমী বলতে আপনি খ্রিষ্টানদের কথা বলছেন তো? তো তারা তো ইসলামের বহু পুর্বেই আগমন করেছিলেন্। তো তারা দাস প্রথা নিষিদ্ধ করে নাই কেনো? ইহুদীরা তো আরো আগে এসেছিলো। তারা দাস প্রথা বিলুপ্ত করে নাই কেনো? দাস প্রথা বিলুপ্ত করেন আব্রাহাম লিংকন। লিংকনের যুদ্ধ ছিল মানবিকতা, সাম্য, ন্যায়পরায়ণতা, নৈতিকতা, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কাঠামোকে সমুন্নত রেখে অর্থনৈতিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করা। লিংকন অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন জানুয়ারি ১, ১৮৬৩ আনুষ্ঠানিকভাবে দাসপ্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তারপর ধীরে ধীরে সকল বিশ্বে দাস প্রথা বিলুপ্ত হতে শুর করে। লিংকন তো পোপ ছিলো না ছিলো ধর্ম ঠিক মতো না মানা একজন মানুষ। তাহলে আপনি কেনো বিধর্মী দ্বারা দাস প্রথা বিলুপ্তি হয়েছে বলেছেন? এই দাস প্রথা বিলুপ্তির পর দক্ষিণ অঞ্চলের ১১টি স্টেট দাসপ্রথার বিলুপ্তি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের লেলিহান শিখা ভয়ংকর রূপ লাভ করে; কিন্তু লিংকন তার সিদ্ধান্তে অটল ও অবিচল ছিলেন। এপ্রিল ৯, ১৯৬৫ জেফারসনের নেতৃত্বাধীন কনভেটারেট বাহিনীকে পরাজিত করে, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন’ বাহিনী জয় লাভ করে। এপ্রিল ৯, কনভেটারেটর বাহিনীর কমান্ডার রবার্ট ই লি ‘ইউনিয়ন’ বাহিনীর কমান্ডার ইউলিশিস এস গ্রান্টের কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মার্কিন গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। গৃহযুদ্ধে প্রায় ৬ লাখ সৈন্য নিহত হয়। প্রায় ৩ লাখের ওপরে সৈন্য আহত হয়। তার পরের ইতিহাস আরো নিষ্ঠুর, বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। আপনি কি জানেন এই দাস প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছেলো। সেই গৃহযুদ্ধে হেরে গিয়ে শত্রুরা তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এই দাস প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছেলো। যা ছিলো খুই দুঃখজনক ব্যাপার। ওয়াশিংটন ডিসি ফোর্ডস অডিটরিয়ামে, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন রাতে থিয়েটার দেখার সময়, থিয়েটারের একজন অভিনেতা জন উইলকেস বোথ খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে, লিংকন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এপ্রিল ১৫, ১৮৬৫ সকালে পিটারসন হাউজে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আর আপনি দাস প্রথা বিলুপ্তিকে এত সহজেই শেষ করতে বলিছিলেন আবার হেসেছিলেন।
দাস প্রথা বন্ধ হয়েছিলো রাসুলের মৃত্যুরও প্রায় ১৩০০ বৎসর পূর্বে। আর আপনি প্রশ্ন করেন কেনো রাসুল পারেন নি? আপনি হাস্যকর প্রশ্ন করেন। আপনার এসব প্রশ্ন শুনে বোঝা যায় আপনি একজন ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ।

২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭

Ruhin বলেছেন: [[[। বিশ্ব চলচ্চিত্রে প্রথম নগ্নতা শুরু করে ফ্রান্স। সেটি শৈল্পিক রুপে। কিন্তু হলিউডে বানিজ্যিক চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতা শুরু হয়ে তখন তা বিশ্বব্যাপি প্রচারনা পায় পুরোদমে অশ্লীল চলচ্চিত্র বলেই ব্যপক জনগোষ্টি দেখতে শুরু করে। ফ্রান্স বা আর্জেটিনা যতটা না অশ্লীল চলচ্চিত্র বানিয়েছে তার চেয়ে বেশি প্রচার করেছে হলিউড। ফ্রান্সের ছলচ্চিত্রে একটি ধারা বা রিয়েলিটি থেকে নগ্নতা চলচ্চিত্রে আসে। 1960 সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধারাটি প্রথম আবির্ভূত হয়। প্রাথমিকভাবে তিনটি বিস্তৃত ধরন ছিল: " নগ্নতা " যেমন দ্য ইমোরাল মিস্টার টিস (1959), ডটার অফ দ্য সান (1962) এর মতো নগ্নতাবাদী শিবিরে সেট করা চলচ্চিত্র এবং আরও কিছুটা "শৈল্পিক" বিদেশী ছবি, যেমন দ্য টোয়াইলাইট গার্লস ( 1961)। ]

হুম আর তুরস্ক, মিশর, লেবানন, সিরিয়া ফ্রান্সকে‌ই ফলো করতো। এমনকি কালচারেও । ফরাসি কোনো মুভিতে লিপ কিস, বিকিনি বা নগ্ন দৃশ্য দেখালে তা পরের বছর‌ই মিশরীয়, তুরস্ক,লেবানিজ,সিরিয়ান মুভিতে দেখা যেতো । আর অভিনেত্রীদের ড্রেস সম্পুর্ন সংক্ষিপ্ত ও পশ্চিমা। এটা এখন তাও কমছে ১৯৩০-৬০,৭০,৮০ দশকের মিশরের মুভিতে লিপ কিস খর বিকিনি দৃশ্য একেবারে কমন ছিল । আবার ১৯৪০-৬০ দশককে মিশরের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বর্ণযুগ বলা হতো, সেটা বলা হতো গল্পের উন্নতমানের জন্য, কিন্তু সেসব মুভিতে বিকিনি দৃশ,ফোরপ্লে, লিপ কিস প্রচুর কমন ছিল । কিন্তু আমাদের দেশে ফিল্মের স্বর্ণযুগ বলতে শালীনতাও বুঝানো হয়,কারন আমাদের ৫০,৬০-৭০ দশকের মুভি ছিল পুরো‌ই শালীন , কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে আরবে মিশর, লেবানিজ, সিরিয়া, ইরানিয়ান মুভিগুলো ছিল প্রচুর নগ্নতায় ভরা তখন আর লিপ কিসকে কোনো অস্বাভাবিক দেখা হতো না ভারত, বাংলাদেশের মতো, একেবারে স্বাভাবিক বিষয় ছিল,যেমনটা আমেরিকা, ফ্রান্স,ইতালি,জাপানিজ মুভিতে সাধারণভাবে দেখা হয়। তবে একটা পার্থক্য ছিল শুধু মিশর, সিরিয়ার মুভিতে ফ্রান্সের মতো নিচের টা দেখাতো না

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

নতুন বলেছেন: দাস প্রথা বন্ধ হয়েছিলো রাসুলের মৃত্যুরও প্রায় ১৩০০ বৎসর পূর্বে। আর আপনি প্রশ্ন করেন কেনো রাসুল পারেন নি? আপনি হাস্যকর প্রশ্ন করেন। আপনার এসব প্রশ্ন শুনে বোঝা যায় আপনি একজন ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ।

আমি মনে করে ধর্ম মানুষের সৃস্টি। তবে আমি কোন ধর্মের প্রতি কোন বিদ্বেষ পোষন করিনা্।

আপনি জোর করে কিছু গোজামিল দিতে চেস্টা করে যাচ্ছেন তাই বিষয়টা নিয়ে খুজে দেখেছি আসল ঘটনা কি।

উপরে আমার কমেন্টের জবাবে আপনি মোহাম্মাদ সাদাতের যেই লেখা থেকে কপি করেছেন সেখানে কিন্তু আছে যে কেন ইসলামে দাস প্রথা হারাম করে হয়নাই।

এই সব জিনিসেই বোঝা যায় যে ধর্ম মানুষের সৃস্টি। সৃস্টিকর্তা মানুষ কি মনে করবে বলে দাসপ্রথার মতন যঘন্য একটা জিনিস নিষেধ করেনাই। এবং এখনো সেটা বাতিল হয় নাই। এবং যুদ্ধ লাগলে অবশ্যই কিছু মানুষ সেটা ব্যবহার করবে।

একজন শিশু, নারীকে দাস হিসেবে জায়েজ রাখা কখনোই সৃস্টিকর্তার মতন আইডিয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারেনা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মোহাম্মাদ সাদাত কে? আমি জানিনা। তবে দাস প্রথা সংক্রান্ত আল কোরানের আয়াত উল্লেখ করে সাচ করেই আমি আল কোরআনের আয়াতগুলো সংগ্রহ করেছি। সেটা করো লেখার সাথে থাকতেই পারে। আমি এই তথ্য গুলো নিয়েছে এখন আমি বলতে পারি না সেই লেখাগুলো কার। আল কোরআনের আয়াতগুলো সংগ্রহ করা কিংবা তথ্য সংগ্রহ করা কপির মধ্যে পড়ে কিনা তা আমার জানা নেই। আমি একটি আয়াত আবার আপনার সামনে তুলে ধরলাম। এই আয়াতটিও কপি করা। একটি অনলাইন আলকোরআন সাইট https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=6037 “তবে সে বন্ধুর গিরিপথটি অতিক্রম করতে সচেষ্ট হয়নি। আর কিসে তোমাকে জানাবে, বন্ধুর গিরিপথটি কি? তা হচ্ছে, দাস মুক্তকরণ” । আল কোরআন কিন্তু বলছে এই বিশাল একটি দুগম এরিয়া তোমরা অতিক্রম করতে সচেষ্ট হওনা। আর সেটি হলে দাস মুক্তি। মানুষ এটি পারেনি। তারপরও আবার আপনি হাসাচ্ছেন। কারন ধর্ম বিদ্মেষ আমার যাতনার কারন।
এই সব জিনিসেই বোঝা যায় যে ধর্ম মানুষের সৃস্টি। সৃস্টিকর্তা মানুষ কি মনে করবে বলে দাসপ্রথার মতন যঘন্য একটা জিনিস নিষেধ করেনাই। এবং এখনো সেটা বাতিল হয় নাই। এবং যুদ্ধ লাগলে অবশ্যই কিছু মানুষ সেটা ব্যবহার করবে। এমন যুদ্ধক্ষেত্রে নারী ধর্ষনে শুধু ইসলামের দুর্নাম হয় কিন্তু এটা বিশ্ব জুড়ে এর প্রচলন আছে। আমাদের স্বাধীনতার সময় ৩০ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুটতরাজ হয়েছেলো। বিশ্বের সকল যুদ্ধে নারীদের ধরে এনে ধর্সন করা হয়। আর আপনাদের মিথ্যা ইতিহাস দাসেী সেক্স নামের মিথ্যা গল্প দিয়ে ইসলামকে কলংকিত করা হেয় অপচেষ্টা করেন। বিশ্বের ইতিহাস ঘেটে দেখেন না। নামিবিয়ায় হেরেরো বিদ্রোহ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ককেশাস রণাঙ্গন, দ্বিতীয় চীন—জাপান যুদ্ধ, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পোল্যান্ডে জার্মান আক্রমণ ও জার্মাণী সোভিয়েত যুদ্ধ। ১৯৪১ সালের ২২ জুন জার্মানি এবং এর মিত্ররাষ্ট্রসমূহ (ইতালি, রুমানিয়া, হাঙ্গেরি ও অন্যান্য রাষ্ট্র) অতর্কিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করার পর সোভিয়েত সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত হাজার হাজার মহিলা ডাক্তার, সেবিকা এবং ফিল্ড মেডিক আগ্রাসী সৈন্যদের হাতে বন্দি হন। তারা জার্মান ও অন্যান্য আক্রমণকারী সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষিত হন, এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ধর্ষণের পর তাদেরকে হত্যা করা হয়। আর আপনি ইসলামের প্রতি বিদ্মেষপ্রসুত দাসী সেক্স নিয়েই আছে। আপনাকে বোঝানো আমার দ্বারা সম্ভব হবে।? নাকি আল কোরআনের সেই আয়াত সত্য হবে। হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসিহত কর সে বুঝিবে না কারন তার দুই চোখে পর্দা দিয়েছে কানে পর্দা দিয়েছি।” যদি তাই হয় তাহলে আপনাকে বোঝানো সম্ভব না।

২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নতুন বলেছেন: ১৯৪১ সালের ২২ জুন জার্মানি এবং এর মিত্ররাষ্ট্রসমূহ (ইতালি, রুমানিয়া, হাঙ্গেরি ও অন্যান্য রাষ্ট্র) অতর্কিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করার পর সোভিয়েত সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত হাজার হাজার মহিলা ডাক্তার, সেবিকা এবং ফিল্ড মেডিক আগ্রাসী সৈন্যদের হাতে বন্দি হন। তারা জার্মান ও অন্যান্য আক্রমণকারী সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষিত হন, এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ধর্ষণের পর তাদেরকে হত্যা করা হয়। আর আপনি ইসলামের প্রতি বিদ্মেষপ্রসুত দাসী সেক্স নিয়েই আছে। আপনাকে বোঝানো আমার দ্বারা সম্ভব হবে।? নাকি আল কোরআনের সেই আয়াত সত্য হবে। হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসিহত কর সে বুঝিবে না কারন তার দুই চোখে পর্দা দিয়েছে কানে পর্দা দিয়েছি।” যদি তাই হয় তাহলে আপনাকে বোঝানো সম্ভব না।

আপনি যদি বুঝতেই পারতেন তবে তো ইসলামের দাসপ্রথার পক্ষে কথা বলতেন না। আপনি যদি ধর্মের ঘাপলাগুলি বুঝতে পারতেন তবে আমার কথা বুঝতে পারতেন।
বিষয়টা যাদু দেখার মতন। অনেকেই যাদুকরের যাদু দেখে বিশ্বাস করে ফেলে। খুবই কম মানুষ পেছনের রহস্য বুঝতে পারে।

অবশ্যই যুদ্ধের সময় সকল দেশের সেনারাই অন্যায় করে অন্য পক্ষের সাথে। সেটা সবাই খারাপ ই বলে।

আর সকল যুদ্ধে নারীদের ধর্ষন করলেই সেটার মতন আইন ইসলামে করেছে সেটার পক্ষে যাওয়া যায় না।

যুদ্ধে যে অস্র ধারন করবে তাকে হত্যা করতে পারে কিন্তু একজন নারী বন্ধি হলে তার সাথে সেক্স করা বৈধ করতে সৃস্টিকর্তা আয়াত নাজিল করতে পারেনা। তখন সেটা ততকালিন পুরুষদের ইচ্ছার বহিপ্রকাশই হয়।

যাই হোক আপনি যেহেতু বুঝতে পারবেন না আপনাকে আর কস্ট দেবো না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যদি বুঝতেই পারতেন তবে তো ইসলামের দাসপ্রথার পক্ষে কথা বলতেন না। আপনি যদি ধর্মের ঘাপলাগুলি বুঝতে পারতেন তবে আমার কথা বুঝতে পারতেন। আমি ইসলামের দাসপ্রথার পক্ষে কবে কথা বললাম। আপনি কি সব আবোল তাবোল বলছেন? আল কোরআন তো সব সময় দাস প্রথার বিপক্ষে। অসংখ্য আয়াত তার প্রমান রক্ষা করে। আমি আবার কপি করলাম। কুরআনের কিছু আয়াত রয়েছে যে গুলো দাস প্রথার বিরুদ্ধে।
“অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান- এতীম আত্মীয়কে অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে, অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। [৯০:১১-১৭]”
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। [২:১৭৭, প্রাসঙ্গিক অংশ]
যেখানে আল কোরআন বলছে এই দুগম গিরি পথটি তোমরা পেরোতে পারলে না। দাসী প্রথা বাদ দেওয়া যে অসম্ভব। এবং সেটা তোমরা করতে পারলে না। তারপরও দাস প্রথা যেনো ইসলামের আবিস্কার আপনার ভাবখানা কিন্তু এমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.