![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
উপরের চিত্রটি তুলে ধরলাম। এটি নাস্তিক্যবাদী ব্লগ সংশয় এর। ব্লগটি ধর্ম বিরুদ্ধ লেখা লেখি করে। বিভিন্ন ভিডিওতে বিভিন্ন ব্লগের লেখাতে নাস্তিকদের দাস দাসী প্রথা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা দেখা যায়। তাদের আলোচনা বক্তব্যে এমন মনে হয়ে যেনো ইসলামই দাস প্রথা সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে শুধু মাত্র মুসলিমরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশ্বব্যাপী আর এমন ঘটনা কেউ ঘটায় নাই। আজ আমার এই লেখার কারন হলো দাস প্রথা। দাস প্রথা কেনো ইসলাম বন্ধ করে নাই? আবার যুদ্ধলব্ধ সৈনিকেরা নারী বন্দীদের ধরে নিয়ে দাসী হিসেবে ভাগ করে নিতো এবং তাদের সাথে সেক্স করতো। কিন্ত এগুলো কেনো ইসলামে করা হযেছে? কেনো এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করা হয় নাই। দাস প্রথা বনধ করতে কেনো ইসলাম ভূমীকা রাখে নাই। এ সকল বিষয় নিয়ে নাস্তিক্যবাদী ব্লগগুলোতে ব্যপক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আসলে এই দাস প্রথা কেনো প্রয়োজন ছিলো। ইতিহাস থেকে যা জানা যায় বা উইকপিডিয়া যা আমাদের তথ্য দেয়। দাস প্রথার ওপর প্রাপ্ত নথিপত্রে প্রমাণ মেলে যে, বনেদি সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো ও গ্রামীণ উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে এ প্রথা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল। বাজারে মুক্ত শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর থাকায় সমাজের শক্তিশালী শ্রেণি তাদের উৎপাদন ও প্রাধান্য অব্যাহত রাখতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির লোককে দাসে রূপান্তর করত। অভিজাত শাসকশ্রেণি, তাদের পারিবারিক ও অন্যান্য সামাজিক-রাজনৈতিক পদমর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার তাগিদে, সুবৃহৎ কর্মীবাহিনীর প্রয়োজন অনুভব করে। গণপূর্ত কাজ, যেমন সরকারি ভবন, বাঁধ, সেতু, সড়ক ও প্রধান পথের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাষ্ট্রের এক বিশাল শ্রমশক্তির প্রয়োজন ছিল। সৈন্য চলাচল ও তাদের রসদ সরবরাহের জন্যও শ্রমশক্তির প্রয়োজন ছিল। দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও শ্রেণিভেদ প্রথা যাদেরকে গুরুত্বহীন করে তুলেছিল প্রধানত তারাই দাস প্রথার বলি হতো। এভাবেই সমাজে অভিজাত শ্রেনির প্রেষন দ্বারা দাস-দাসী সৃষ্টি হতে থাকে।
সমাজের প্রয়োজনে দাস প্রথার উদ্ভব হয়েছিলো। যদিও দাস প্রথার ভালো দিক ছিলো। দাস দাসীদের সাথে ভালো ব্যবহারের আইনও ছিলো। তারপরও অনেক দাস দাসীরা নির্যাতনের শিকার হতেন। কথিত আছে যুদ্ধ বন্দি মানুষদের ধরে নিয়ে এনে দাস বানানো হতো। আর এখান থেকেই মূলত দাস প্রথার প্রচলন শুরু হতো। পরবর্তীতে দেখা যায় অনেক পিতা সাংসারিক অভাব বা দেনা পরিশোধের কারনে নিজ পুত্রকে বিক্রয় করে দিতেন। তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় একজন পিতা তার সন্তানদের কথিত মালিক সুবাদে তার সন্তানকে বিক্রয় করার এখতিয়ার রাখতেন। সমাজ তাকে বাধাগ্রস্থ করতো না। ধারের দেনা শোধ করতেও অনেক সময় অনেক পরিবার থেকে একজনকেও দাস হয়ে যেতে হতো। এই ভাবে দাস প্রথা সমাজের একটি নিয়ম বলে গণ্য হতো। দাসদের জন্য অনেক নিয়ম অনেক রাষ্ট্রে আবিভূত হতো। দাসদের আঘাত করা যাবে না। ভালো ব্যবহার করতে হবে। এমনকি দাসদের জন্য আইন বিচার ব্যবস্থা ছিলো। দাসরা মালিকের বিরুদ্ধে অনধিকার গত প্রহারের বিরুদ্ধে শালিশ করেতে পারতেন। দাসদের মধ্যে তাদের মর্যাদা এত উচুঁ ছিল যে, তাদের মালিকগণ তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত ও গৃহ পরিচালনা বিষয়ে এবং রাজনৈতিক ব্যাপারেও তাদের সাথে পরামর্শ করতেন। দাসদের ক্ষুধা নিবারনে খাবার ঠিক মতো না দিতে পারলে দাসরা আইনের আশ্রয় নেতে পারতেন।ফলে মালিককে দাস অন্য কোথাও বিক্রয় করে দিতে হতো আসলে আমরা দাস বলতে এখন যেভাবে অমানবিক বিষয় বলে ভাবি ঠিক তেমনটি তৎকালীন সময়ে ছিলো না। কোন দাসকে অন্যায় ভাবে মালিক প্রহার করলে সমাজের কেউ এটির প্রতিবাদ করতে পারতেন। যতটুকু জানা যায় সমাজের শ্রমবাজার রক্ষা করতে এই প্রথাটির আর্বির্ভাব। দাসপ্রথার উৎপত্তি সময় কাল প্রায় ৫০০০ বছরেরও বেশি বলে অনুমান করা হয়। আজ হতে প্রায় পৌনে ৪০০০ বছর আগের ব্যবলনিয় সভ্যতার কোড অব হাম্বুরিতেও দাসপ্রথার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। দাস প্রথার ইতিহাস প্রায় ৬০০০ বৎসরেরও বেশি। ডেভিড ফোর্সথি লেখেন, "উনিশ শতকের শুরুর দিকে আনুমানিক প্রায় তিন চতুর্থাংশ লোকেরাই দাসপ্রথার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।" ইউরোপের মধ্যে সর্বপ্রথম ১৪১৬ সালে রাগুসা নামক দেশ দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করে। আধুনিক যুগে নরওয়ে এবং ডেনমার্ক সর্বপ্রথম ১৮০২ সালে দাসদের বাণিজ্য বন্ধ করে।বিশ্বজুড়ে দাসপ্রথা বন্ধে ভূমীকা রাখে আমেরিকার গৃহযুদ্ধ। যে গৃহযুদ্ধ মূলত দাসপ্রথা বন্ধের মাধ্যমে সুচিত হয়। আমেরিকায় দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয় ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারিতে। তৎকালীন প্রেসিডেন্টে আব্রাহাম লিংকন আনুষ্ঠানিকভাবে দাসপ্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। দাস প্রথার বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নিয়ে সমগ্র আমেরিকাতে দাস বানিজ্য নিষিদ্ধ করে দিলেন। এবং সকল দাসকে মুক্ত মানুষ বলে ঘোষনা করেন। লিংকনের যুদ্ধ ছিল মানবিকতা, সাম্য, ন্যায়পরায়ণতা, নৈতিকতা, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কাঠামোকে সমুন্নত রেখে অর্থনৈতিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করা। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন দাসপ্রথার বৈধতার বিষয়ে, স্ব স্ব স্টেটকে ক্ষমতা অর্পণ করে, ‘কানসাস নেব্রাসকা অ্যাক্ট অব ১৮৫৪' ইউএস কংগ্রেসে পাশ করা হয়। উক্ত আইনের বিরুদ্ধে ৩৪টি স্টেটে প্রচণ্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের ১১টি স্টেট দাসপ্রথার বিলুপ্তি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। দক্ষিণাঞ্চলের স্টেটগুলো দাসনির্ভর কৃষি, তুলা, তামাক উত্পাদন এবং তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাদের প্রধান আয় ছিল দাস ব্যবসা। ১৮৬১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পেছনে উপরিউক্ত কারণগুলো অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বলে বিবেচিত হয়। ফলে চারিদিকে একটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের লেলিহান শিখা ভয়ংকর রূপ লাভ করে; কিন্তু লিংকন তার সিদ্ধান্তে অটল ও অবিচল ছিলেন। ১৯৬৫ সালের ৯ এপ্রিল বিপক্ষ জেফারসনের নেতৃত্বাধীন কনভেটারেট বাহিনীকে পরাজিত করে, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন বাহিনী জয় লাভ করে। কনভেটারেটর বাহিনীর কমান্ডার রবার্ট ই লি ‘ইউনিয়ন বাহিনীর কমান্ডার ইউলিশিস এস গ্রান্টের কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মার্কিন গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। গৃহযুদ্ধে প্রায় ৬ লাখ সৈন্য নিহত হয়। প্রায় ৩ লাখের ওপরে সৈন্য আহত হয়। তার পরের ইতিহাস আরো নিষ্ঠুর, বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। এই দাস প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছেলো। সেই গৃহযুদ্ধে হেরে গিয়ে শত্রুরা তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এই দাস প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য তাকে জীবন দিতে হয়েছেলো। যা ছিলো খুই দুঃখজনক ব্যাপার। ওয়াশিংটন ডিসি ফোর্ডস অডিটরিয়ামে, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন রাতে থিয়েটার দেখার সময়, থিয়েটারের একজন অভিনেতা জন উইলকেস বোথ খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে। লিংকন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ১৮৬৫ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে পিটারসন হাউজে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
প্রিয় পাঠক, আমি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সহ ইতিহাস থেকে দাসপ্রথার শুরু থেকে শেষ অবধি কিচু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এই ৬০০০ বৎসরের ইতিহাসের কোন সময় এই দাস প্রথা আর্বিভাবের কোন ঘটনাতেই মুসলিম সাম্রাজ্য বা মুসলিম জনগোষ্টি কোনভাবেই দায়ী নয়। দাস প্রথা সামাজিক একটি প্রক্রিয়া সমাজের প্রয়োজনেই এই প্রথার উদ্ভব ঘটে। সমাজের কারনে এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটে। অথচ নাস্তিক্যবাদী বিভিন্ন ব্লগে দাস প্রথা নিয়ে যেভাবে আলোচনা সমালোচনা করা হয় তাতে প্রোপাগান্ডা এমনভাবে চালানো হয় যেনো মুসলিমরাই এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দায়ী। প্র্রিয় পাঠক এবার আসি যুদ্ধ লব্ধ জনগনকে দাস দাসীতে পরিনত করার ঘটনা। যে ঘটনা আর্ন্তজাতিক বিশ্বের একটি নিন্দনীয় ঘটনায় মুসলিম বিশ্ব কোনভাবেই দায়ী নই।কিন্তু কেন যেন ইসলামের সমালোচনায় দাসপ্রথা একটি বেশ মুখরোচক বিষয়বস্তুতে পরিণয় হয়। আলোচনার ভঙ্গিটাও এমন থাকে যাতে পাঠকের কাছে মনে হতে থাকবে দাসপ্রথার মত ঘৃণ্য একটি ব্যবস্থাকে ইসলাম জন্ম দিয়েছে বা উন্নীত করেছে। আসলে এদের এহেন মনোবৃত্তি খুবই দুঃখজনক । যুদ্ধে নারী ধর্ষন একটি অন্যতম সিস্টেমে পরিনত হয়েছিলো হাজার হাজার বছর ধরে। বিশ্বে যেখানেই যুদ্ধ হতো যুদ্ধে বিজিতা সৈনিকেরা পরাজিত এলাকার নারীদের ধরে আনতো এবং ধর্ষন করতো। নারী পূরুষ নির্বিশেষে ধরে নিয়ে এনে দাস ও দাসি হিসেবে বিক্রয় করে দেওয়ার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১ম বিশ্বযুদ্ধ ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তি উভয় গ্রুপই তার শত্রু দেশ সমূহ জয় করে সেই পরাজিত দেশের অসহায় মেয়েদের কে নিয়ে বিভিন্ন যৌণ ক্যাম্প করত। সেই সব ক্যাম্পে মেয়েদের কে কোন পোশাক ছাড়া রাখা হত। সৈন্যরা যুদ্ধ শেষে এসে সেই সব ক্যাম্পে এসে গণহারে মেয়েদের কে ধর্ষন করত। শত্রু সৈন্যদের ধর্ষনের নির্যাতের অনেক অসহায় মেয়েরা মারাও যেত। জাপান, জার্মানী, রাশিয়া ও ফ্রান্স এরা ইউরোপ আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ করার সময় সেইসব দেশের প্রচুর মেয়েকে যুদ্ধবন্দী বানিয়ে ধর্ষন করত। বিজিত সব দেশই এই একই অবস্থা। তাহলে আমরা কি কোনভাবে বলতে পারি এজাতীয় ঘটনা মুসলিমদের দ্বারা উদ্ঘাটিত।বিশ্বের সকল দেশে যুদ্ধলব্ধ নারী ধর্ষনের স্বীকার হতো। এটার সাথে মুসলিম সাম্রাজ্যে কোন সম্পর্ক নেই। সকল দেশে যেমন নারী ধর্ষন হতো ঠিক তেমনি মুসলিম যুদ্ধে একই ঘটনা ঘটতো।
নাস্তিক ব্লগে প্রচার প্রচারনা চালানো হয় আল কোরআনে এসকল দাসী সেক্স কর্মকান্ডেরর ব্যাপারে মুসলিম জনগোষ্ঠিকে উৎসাহি করা হয়েছে। এই টা নাস্তিকদের অভিযোগ। প্রিয় ভিউয়ার, নাস্তিকদের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলতে চাই। তৎকালীন সময় একটি যুদ্ধ চালানোর জন্য ব্যপক যোদ্ধা প্রয়োজন ছিলো। সেই সব যোদ্ধাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রচলন ছিলো। আর সেই সুবিধার মধ্যে যু্দ্ধ লব্দ সামগ্রী লুটতরাজ ছিলো সৈনিকদের অন্যতম আয়ের উৎস। এই সকল আয়ের জন্য অনেকেই তখন যুদ্ধ সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে যেতো। ঠিক অনুরুপ রেওয়াজ মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যেও ছিলো। নস্তিকদের প্রশ্ন কেনো আল কুরআন এধরনের প্রথা রহিত না করে উৎসাহিত করেছে। এ ধেরনের প্রথা উৎসাহিত করে আল কোরআনের কোন আয়াত নেই। যারা বলছে তারা মিথ্যা বলছে অথবা না বুঝে বলছে। বিভিন্ন জাল হাদীস বা ইসলাম শত্রদের বানানো বিভিন্ন বিষয়বস্তু তুলে ধরে তারা প্রোপ্রাগান্ডা চালচ্ছে। যুদ্ধে লব্ধ নারীদের ধরে নিয়ে এনে সেক্স করা ইসলামে নিষিদ্ধ ছিলো। তবে সেই যুগে উপপত্নি বিষয়টি প্রচলিত ছিলো। অনেক পরিবারের দাসীদের উপপত্নি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেটি ছিলো মধ্যপ্রচ্যের তৎকালীন প্রচলিত রিতী। কিন্ত কোন স্বাধীন নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের কোন সুযোগ মধ্যপ্রাচে ছিলো না। কিন্তু সমাজে দাসপ্রথা বিদ্যমান থাকলে নিজ ক্রীতদাসিকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের অনুমতি সেই যুগে ছিলো। যে ক্রীতদাসির সাথে তার মুনিব শারিরিক সম্পর্ক স্হাপন করে, সে অন্যান্য ক্রীতদাসি থেকে ভিন্ন হয়ে যায়। এ ধরণের ক্রীতদাসিকে বলা হয় সারিয়্যাহ বা উপপত্নী। আরবী সারিয়্যাহ শব্দটি ‘সির হতে আগত যার অর্থ বিবাহ। উপপত্নীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারি পুরুষের কোন বৈবাহিক চুক্তি সম্পাদিত না হলেও এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত ছিলো। এই বিসয়বস্তু গুলো মধ্যপাচ্যের প্রচলিত রিতী হলেও অনেকে এটাকে ইসলামের রিতী বলার মতো প্রচেষ্টা করে থাকে বিভিন্ন জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এই উপপত্নি বিষয়টি তৎকালীন সমাজে কেনো প্রচলিত হয়ে পড়ে। এটি বিভিন্ন সমস্যা দ্বারা এই বিয়ষটি সামজের একটি নিয়মে পরিনত হয়। যেমন অনেক স্ত্রি অলস প্রকৃতির হবার কারনে সংসারের কাজ করতে পারতেন না। তারা পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকার জন্য আলসেমিগত কারনে তারা তাদের স্বামীর ভাগ দিতো আরেকজন দাসীকে। সেই দাসীই উপপত্নি হয়ে সংসারের সকল কাজ করতো সংসার দেখা শুনা করতো। আবার কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রির মৃত্যুর পর বা স্ত্রির অসুস্থতার কারনে এই উপপত্নি বিষয়টি সমাজে প্রচলিত হতে শুরু করে। এই উপপত্নিরাই সংসারের সকল কাজ করে সংসার পরিচালনা করতো । ধীরে ধীরে এটি অভিজাত শ্রেণির একটি সিষ্টেমে পরিনত হয়ে যায়। এবং বেশির ভাগ ঘরে উপপত্নি রাখতে স্ত্রিরাই বাধ্য করতো স্বামীকে। এভাবেই উপপত্নি সিস্টেমটি সমাজে শিকড় গজিযে দেয়। এটি সমাজের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। এখান আপনি যদি প্রশ্ন করেন দাসী বাদী সেক্স কি নোংরামী নয়? আপনি যদি ঐ মুহুত্বে জনম্ গ্রহন করতেন তবে দেখতেন এই বিষয়টি খু্বই স্বাভাবিক কিন্তু আপনি বর্তমান সময়ে জন্ম নেওয়ায় বর্তমান সমাজের মানসিকতা বিবেচনা করে তৎকালীন বিষয়টিকে খুবই তিক্ত বলে অভিহিত করছেন। এই সময়ে আপনি অপনার বাড়ির বেতনভুক্ত কাজের লোক পেয়ে থাকে কিন্তু তৎকালীন সময়ে কাজের লোক পেতে গেলে দাস ক্রয় করতে হতো। আল কোরআন তৎকালীন সময়ে নাজিল হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সমাজব্যবস্থার উপর ভিত্তি করেই তাই আল কোরআনের আয়াত নাযিল হয়ে। একটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েচে- “নিজেদের স্ত্রী বা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ছাড়া, এতে তারা হবে না নিন্দিত। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালংঘনকারী।” সুরা মুমিনুন 5-6 । যদি এখনকার সমাজব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে বা সার্বজনীন সময়ের জন্যে যদি সকল আয়াত নাজিল করা হতো তাহলে মেনে নেওয়া যেতো বিষয়টি সত্যিই নিন্দনীয়। রাসুল তো ১৪০০ বছর পূর্বে জন্ম নিয়েছিলেন তাই আল কোরআন ঐ সময়ের জন্য তাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি এই বিষয়টি এখানকার আাইনব্যবস্থান সাথে তুলনা করছেন কেনো? এখন যেহেতু সমাজ ব্যবস্থাতে দাস দাসী নেই তাহলে এই সকল আয়াত তুলে ধরার পিছনে কি যুক্তি থাকতে পারে? কারন ১৪০০ বছর পূর্বে আল কোরআন ঐ সময়ের সমাজ ব্যবস্থার উপর আয়াত নাজিল করে।
তৎকালীন যুগে দাস দাসীদের যুগ। সেই যুগে দাস প্রথা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ছিলো। সেই সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যে দাস প্রথা প্রচলন ছিলো। কিছুদিন পূর্বে একজন নাস্তিক ব্যাক্তি আমার এক লেখায় কমেন্টে প্রশ্ন করেন ইসলাম কেনো দাস প্রথা নিষিদ্ধ করেনি? আমি তার প্রশ্ন জেনে সতিই অবাক হয়েছি? ইসলাম সম্পর্কে সম্ভবত তাদের ধারনা কম। লোক মুখে নাস্তিক্য প্রোপ্রাডান্ডা জেনে এসব প্রশ্ন করছেন। কুরআনে বেশ কিছু আয়াত রয়েছে যে গুলো দাস প্রথার বিরুদ্ধে। লক্ষ করুন আয়াতটি “অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান- এতীম আত্মীয়কে অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে, অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। [৯০:১১-১৭]”প্রিয় প্রশ্নকারী ও নাস্তিক ভায়েরা লক্ষ্য করুন আয়াতটিতে বলা হচ্ছে- অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি। সেই ধর্মের ঘাটি হচ্ছে দাস মুক্তি। আল কোরআন বলছে ধর্মের ঘাটিতে তোমরা প্রবেশ কর নি। তোমরা দাস মুক্তি করতে পারনি। তোমরা দুঃখী এতিমের জন্য, মিসকিনের জন্য অনাথের জন্য অন্ন দান করতে পারো নি। সেটি যে রাসুলের যুগে প্রতিষ্ঠিত হবে না সেটি স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলকে প্রশ্ন করা হয়েছে তুমি কি জান সেই ধর্মের ঘাটি কি? তা দাস মুক্তি এবং অনাথদের প্রতি সাম্যবাদ। আল কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রকাশ হয়েছে দাসমুক্তি এত সহজেই সম্ভব হবে না। দীর্ঘ সময় পরে। রাসুলের জন্মেরও ৫০০০ বছরপূর্বে দাস প্রথার জন্ম এবং রাসুলের মৃত্যুর ১৩০০ বছর পরে দাস প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। ভয়াবহ এক যুদ্ধের মাধ্যমে এই দাস প্রথা নিষিদ্ধ সুচিত হয় আমেরিকায়। ধারাবাহিক ভাবে তা ধীরে ধীরে সমগ্র বিশ্বের আন্দোলনের কারন হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে এই দাস প্রথা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়। দাস প্রথা রাসুলের যুগে বিলুপ্ত করা সম্ভব হতো না সেটি আল কোরআন প্রকাশ করে। আপনি এই যুগে মাসিক বেতনের বিনিময়ে শ্রমিক পাইলেও সেই যুগে সেটি সম্ভব হতো না। সেইযুগে শ্রমিক প্রয়োজন পড়লে অর্থের বিনিময়ে দাস ক্রয় করে তার ভরন পোষনের বিনিময়ে কাজকর্ম সম্পাদন করানো হতো। তবে দাসদের পক্ষে আল কোরআনের অসংখ্য আয়াত আছে । সুরা বাকারার ১৭৭ নং আয়াতে বলা হচ্ছে- “সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। ” লক্ষ করুন এই আয়াতে দাসদের মুক্তির জন্য অর্থ ব্যায় করার র্নিদেশ দেওয়া হয়েচে। সুরা নাহলের ৭১ নং আয়াতে বলা হচ্ছে - “আল্লাহ তাআলা জীবনোপকরণে তোমাদের একজনকে অন্যজনের চাইতে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন। অতএব যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে স্বীয় জীবিকা থেকে এমন কিছু দেয় না, যাতে তারা এ বিষয়ে তাদের সমান হয়ে যাবে। তবে কি তারা আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকার করে। [১৬:৭১] লক্ষ্য করুন দাস তাদের সমান হয়ে যাবে বলে অনেকে দাস মুক্তির বিষয়ে এগিয়ে আসে না বলে ধিক্কার দেওয়া হয়েচে। সুরা আল নুরে বলছে- “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।]
আল কোরআন দাসদাসী দিয়ে বহু আয়াত এসেছে। ইসলাম আগমনের পর মধ্যপ্রাচ্যে দাস-দাসী বিষয়টি অনেকটা রহিত হয়ে পড়লেও তা সমগ্র বিশ্ব থেকে বিলোপ ঘটানো সম্ভব হয় নাই। তার অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ছিলো কিছু জলদস্যু সমাজ ব্যবস্থার জন্য্। যেমন উদাহরন স্বরুপ বলা যায় জলদস্যুরা জ্যামাইকার পোর্ট রয়্যালের দাস বিক্রয় করতো। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে নিয়ে এসে দাস হিসেবে বিক্রয় করতো। চলত দাস কেনাবেচা। দাস কেনা বেচার জন্য বেশি কিছু শহর তৈরী হতো। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল জামাইকার পোর্ট রয়্যাল। জলদস্যুরা দাস ধরে এসে দাসের দোকান বসাতো। মানুষও দাস কিনতে যাইতো। কারন পরিবারের বিভিন্ন কাজ করতে তাদের কাজের লোক বা দাস দরকার পড়তো। রাসুলের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচে দাস বিষয়টি অনেকাংশে কমে যায়। অনেকে দাস মুক্তি করে দিতো।রাসুলের অনেক মহৎ বক্তব্য শোনার পর থেকে কেউ কেউ দাসদের নির্যাতন করতো না। মধ্যপ্রাচ্যে দাস বিষয়টি রহিত হলেও দাস বিষয়টি বৃদ্ধি পায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন, ব্রিট্রিশ বা অন্যান্য এলাকায়।
ইসলামের দাস সর্ম্পকিত বহু হাদীস আছে যেখানে দাস দাসী বিষয়টি নিষেধ করা আছে। দাসদের অণ্যায় আচরনের বিরুদ্ধে কথা বলা আচে। যুদ্ধবন্দীদের ক্রীতদাস বানানো সেই সময় একটি স্বাভাবিক রীতি ছিল। কোন মুসলিম যদি যুদ্ধে অমুসলিমদের হাতে বন্দী হতো তাকেও এই পরিণতি বরণ করতে হতো। সুতরাং দাস দাসী বিষয়টি সমগ্র বিশ্বের বিষয় এটিকে মুসলিমের ঘাড়ে চাপানো অন্যায়। ইসলামে দাসীদের ধরে এনে জোর করে পাতিতাবৃত্তি কাজে বাধ্য করতে নিষেধ করা আছে। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। আল কোরআনে এ সকল মহৎ বক্তব্য অবশ্যাই দাস প্রথার বিরোধীতা করে। সুতরাং যারা দাস প্রথাকে নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে নিন্দা চর্চা করে তারা আসলে ইসলাম বিদ্মেষী মানুষ। হাদীস শরিফেও দাস প্রথা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বলা আছে- হে আবুজর! তোমাদের মধ্যে বর্বর যুগের ভাবধারা রয়ে গেছে। তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ পাক তাঁদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাবে, তাঁদেরকে তাই খেতে দেবে। তোমরা যে বস্ত্র পরবে, তাঁদেরকেও তাই পরতে দেবে। তোমরা তাঁদের ওপর এমন কোনো কাজের বোঝা চাপাবে না, যা বহন করতে তারা অপারগ হয়। যদি তোমাদের দেয়া কোনো কাজ করতে তারা অসমর্থ হয়, তাহলে তোমরা তাঁদের কাজে সাহায্য করবে।৪১৬৯[৫]
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর এই কারনে যুগে যুগে সংস্কারমূলক ধর্ম এসেছে। আগের স্থানে নতুন ধর্ম এসেছে। আল কোরআন বলছে এসকল কথা। আবারও এই মৌলবাদীদের রুখতে আল্লা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
আমি আল কোরআনের জুখরুফ সুরাটি পড়ুন। বুঝবেন। খুবই সহজ সরল ভাবে বলছে। বলছে তোমরা যদি পূবের্র নবীদের উম্মতদের মতো আচরন কর তাহলে তোমাদের উপর যে কোরআন নাজিল করেছি। তা আামি রহিত করিবো। ইসা আঃ আসবে নতুন তথ্য মানুষকে দেবে। তোমরা যদি বাড়াবাড়ি কর তাহলে কেয়ামতের ভয়াবহতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সুতরাং আল্লা মৌলবাদীতা পছন্দ করে নাই। যুগে যুগে সংস্কারক দুনিয়াতে এসেছে। সংস্কার করেছে। ইসলামেরও সংস্কার হবে আল্লাহর সমর্থ
নে।
-সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ; নিশ্চয় আমি তো একে আরবী কুরআন বানিয়েছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার। আর নিশ্চয় তা আমার কাছে উম্মুল কিতাবে সুউচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, প্রজ্ঞাপূর্ণ। তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি, এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে এ উপদেশবাণী সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেব?------------------------ঈসাতো কিয়ামাতের নিদর্শন; সুতরাং তোমরা কিয়ামাতে সন্দেহ পোষণ করনা এবং আমাকে অনুসরণ কর। এটাই সরল পথ। শয়তান যেন তোমাদের কিছুতেই বাধা দিতে না পারে। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আর যখন ঈসা সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসল, তখন সে বলল, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে হিকমত নিয়ে এসেছি এবং এসেছি তোমরা যে কতক বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত তা স্পষ্ট করে দিতে। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর’। ‘নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই আমার রব ও তোমাদের রব। অতএব তাঁর ইবাদাত কর; এটিই সরল পথ’। অতঃপর তাদের মধ্যকার কতগুলি দল মতভেদ করেছিল। সুতরাং যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক দিনের আযাবের দুর্ভোগ!তারা তো তাদের অজ্ঞাতসারে অকস্মাৎ কিয়ামত আসার অপেক্ষা করছে।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবীজী দাসীদের সাথে সেক্স করতে ভালোবাসতেন।
এবং ইহা পবিত্র পাক কোরআন মজিদেও বলা আছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:২৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কুরআনে কোন আয়াতে বলা আছে নবীজি দাসীদের সাথে সেক্স করতেন?
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০৯
আরোগ্য বলেছেন: ভালো পোস্ট করেছেন। এটা দরকার ছিলো। এ ব্যাপারে মানুষের মাঝে যথেষ্ট অজ্ঞতা বিরাজমান
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নবীজী দাসীদের সাথে সেক্স করতে ভালোবাসতেন। আরেক জনের স্ত্রী কি কারো দাসী হবে? তাহলে মনিব দাসীর সাথে সেক্স না করলে দাসীর সাথে সেক্স কে করবে? একালের কাজের বুয়া আর সেকালের দাসী এক জিনিস না। দাসী কিনে আনা হত। কাজের বুয়া কিনে আনা হয় না। দাসীকে কিনে আনা হয়। আপনি লিভটুগেদারের সমালোচনা করেন না, তবে দাসীর সামালোচনা করেন কেন? একজন ব্যক্তিগত সেবিকা যদি ইয়েতে মলম মালিশ করতে গেলে মেজাজ বিগড়ে যায় তবে মেজাজ ঠান্ডা করার ব্যবস্থা কি? সেজন্য সেকালে সমাজে ব্যক্তিগত সেবিকার সাথে ইয়ে করা দোষনিয় ছিল না। তবে সেবিকার বিয়ে দিয়ে দিলে তার সাথে আর ইয়ে করা হত না। নাবজী তাঁর বাবার দাসী উম্মে আয়মনকে উম্মি ডাকতেন। ব্যক্তিগত দাসী স্ত্রীর মত ছিল। সন্তান হয়ে গেলে তাদেরকে আর দাসী বলা হত না। কারণ সাহেবের সন্তানের মাকে দাদী বলা শোভনীয় ছিল না। বাদশাহদের দাসী এভাবে রানী হয়ে যেত। দাসীকে স্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়া কি দোষের? আর মেয়ে মানুষের ক্ষেত্রে ইয়ে করাও একটা বিষয়।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই ব্যাপারটি আরবের ব্যাটারা জানে। তাই বাংলাদেশ থেকে যে মহিলারা কাজ করতে যায় তারা সেখানে বাপ-ছেলে কর্তৃক --- হয়। তারা এটাকে হালাল বলেই মনে করে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এটা তাদের মানসিক সাইকোলজির ব্যাপার। এই নোংরা বিষয়গুলোর জন্য তৎকালীন আরবীয় কালচার দায়ী। এখনও তাদের কালচার এমনটি শিক্ষা দেয়। এ জাতীয় মানসিক ও দৈহিক বিকারগ্রস্থতা কিচু এলাকার নারী অথবা পুরুষদের থাকে। সৌদি ও পাশ্ববর্তী এলাকার কালচারই এমন। আর এভাবেই হাদীসের মাধ্যমে এই অপ মানসিকতা ইসলামে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করানো হয়েছে। তারা ঠিক হবে। কারন অন্যায় কখনও সহ্য করেন না স্রষ্টা। এই কারনে তাদেরকে সীমালংঘনকারী জাতিও বলা হচ্ছে।“ তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি, এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে এ উপদেশবাণী সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেব?”
সুতরাং মনে রাখবেন তাদের অভিরুচী ধর্মের নামে চালানো যাবে না।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫
নতুন বলেছেন: রাসুল তো ১৪০০ বছর পূর্বে জন্ম নিয়েছিলেন তাই আল কোরআন ঐ সময়ের জন্য তাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি এই বিষয়টি এখানকার আাইনব্যবস্থান সাথে তুলনা করছেন কেনো? এখন যেহেতু সমাজ ব্যবস্থাতে দাস দাসী নেই তাহলে এই সকল আয়াত তুলে ধরার পিছনে কি যুক্তি থাকতে পারে? কারন ১৪০০ বছর পূর্বে আল কোরআন ঐ সময়ের সমাজ ব্যবস্থার উপর আয়াত নাজিল করে।
ঠিক আছে কোরান নাজিল হয়েছিলো ১৪০০ বছর আগের সমাজের জন্য। তাই তখন কার আইন বর্তমানে নিয়ে আসা যাবেনা।
তেমনি বর্তমানের জন্য ১৪০০ বছরের পুরানো কোরানিক নির্দেশনা ও পুরানো সেটাও মেনে নিতে হবে আপনাদের তাই না?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ১৪০০ বছরের পুরানো কোরানিক নির্দেশনা ও পুরানো সেটাও মেনে নিতে হবে আপনাদের তাই না? অবশ্যই। যেগুলো তৎকালীন সময়ের জন্য আয়াত সেই আয়াতগুলো শুধুমাত্র সেই সময়ের জন্য। যেমন একটি আয়াতে বলছে “ তোমরা ইহুদীদের হত্যা কর” এখন আপনি যদি এই আয়াতের পেক্ষিতে সকল ইহুদীদের হত্যা করতে শুরু করেন তাহলে তো সকল ইহুদীদের হত্যার দায়ভার মুসলিমদের উপর বর্তায়। আসলে ভাই আপনাকে বিষয়টি বুঝতে হবে। কারন আল কোরআনের এই আয়াতিটি ঐ সময়ের যুদ্ধের পরিপেক্ষিতে নাজিল হয়েছিলো। তাই ঐ যুদ্ধের পেক্ষিতে ইহুদীদের হত্যা করতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেই যুদ্ধ শেষ এখন কি আমরা ইহুদী হত্যা করতে পারি? না পারি না। কারর ঐ আয়াতটি তৎকালীন নির্দেশনা ছিলো। কিন্তু আল কোরআনের আয়াতে বলছে তোমরা সালাত আদায় কর। তুমি ব্যভিচার কর না। হত্যা কর না। আপনি যদি এখন বলেন ১৪০০ বছরের পুরানো কোরানিক নির্দেশনা মানবো কেনো? মানবেন কারন এই আয়াতটি সাবজনীন। সকল সময়ের জন্য। এটি কোন নিদীষ্ট সময়ের জন্য নয়। আসলে আপনাকে কোরান বুঝতে হবে। বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা। আর আপনি যদি অতি চালাক হন তাহলে তো “আমি বুঝি না আমাকে বোঝায় কোন শালা”।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
নতুন বলেছেন: দাসদের জন্য অনেক নিয়ম অনেক রাষ্ট্রে আবিভূত হতো। দাসদের আঘাত করা যাবে না। ভালো ব্যবহার করতে হবে। এমনকি দাসদের জন্য আইন বিচার ব্যবস্থা ছিলো। দাসরা মালিকের বিরুদ্ধে অনধিকার গত প্রহারের বিরুদ্ধে শালিশ করেতে পারতেন। দাসদের মধ্যে তাদের মর্যাদা এত উচুঁ ছিল যে, তাদের মালিকগণ তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত ও গৃহ পরিচালনা বিষয়ে এবং রাজনৈতিক ব্যাপারেও তাদের সাথে পরামর্শ করতেন। দাসদের ক্ষুধা নিবারনে খাবার ঠিক মতো না দিতে পারলে দাসরা আইনের আশ্রয় নেতে পারতেন।ফলে মালিককে দাস অন্য কোথাও বিক্রয় করে দিতে হতো আসলে আমরা দাস বলতে এখন যেভাবে অমানবিক বিষয় বলে ভাবি ঠিক তেমনটি তৎকালীন সময়ে ছিলো না। কোন দাসকে অন্যায় ভাবে মালিক প্রহার করলে সমাজের কেউ এটির প্রতিবাদ করতে পারতেন।
আগের দিনে দাসেরা মালিকের সম্পত্তি ছিলো, বেশির ভাগ সমাজেই তাদের হত্যা করলেও মুনিবের সাজা হতো না।
আর আপনি বলছেন দাসদের মর্যাদা এত উচু ছিলু তারা ব্যবসা সংক্রান্ত ও গৃহ পরিচালনা বিষয়ে এবং রাজনৈতিক ব্যাপারেও তাদের সাথে পরামর্শ করতেন ? কোথায় পেলেন এই তথ্য?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সেই অবস্থাতো এখনও বিরাজ করে। অনেক গরীব অসহায় মানুষকে মারলে কোন বিচার পাওয়া যাই না। ক্ষমতাবানরা নীচুস্তরের মানুষদের এখনও মেরে এলাকা থেকে বের করে দেয়। আধুনিক বিশ্বে আগের মতো সরাসরি দাস ব্যবসা না থাকলেও মানব পাচার অব্যাহত রয়েছে। সমাজবিজ্ঞানীদের অভিমত হচ্ছে- দাসপ্রথার ভয়াবহতা এখন না থাকলেও এর রূপান্তর ঘটেছে, কিন্তু সমাজে তা এখনও বিদ্যমান। তাদের মতে, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে দাস রয়েছে। তারা হচ্ছে, আমরা যাদের কাজের লোক বলি। তারা আমরা ঘুম থেকে ওঠার আগে বিছানা থেকে ওঠে, শুতে যায় আমরা শুতে যাওয়ার পরে। তাদেও কোন কর্ম ঘণ্টা নেই, নেই নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো, ছুটি নেই। অনেক বাড়িতে তাদের ভালোমত খাবার দেয়া হয় না। অনেকে নিজেদের জন্য ভালোটা আর কাজের মানুষদেও জন্য কমদামের চাল বরাদ্দ করেন। এসব কিছুই তো প্রকান্তরে দাসপ্রথার কথাই মনে করিয়ে দেয়। আমরা তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণি এ নিয়ে কোন প্রতিবাদ করি না। কারণ তাহলে আমরা সুবিধাবঞ্চিত হবো। তাই এই প্রথা বজায় থাকছে। দাস সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা গুলো পড়েন পাবেন। আপনি তো সবসময় নেগেটিভ খোজেন তাই আপনার এই সমস্য পজেটিভ কিছু খোজেন পাবেন।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭
নতুন বলেছেন: প্রিয় পাঠক, আসলে এই দাস প্রথা কেনো প্রয়োজন ছিলো। ইতিহাস থেকে যা জানা যায় বা উইকপিডিয়া যা আমাদের তথ্য দেয়। দাস প্রথার ওপর প্রাপ্ত নথিপত্রে প্রমাণ মেলে যে, বনেদি সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো ও গ্রামীণ উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে এ প্রথা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল। বাজারে মুক্ত শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর থাকায় সমাজের শক্তিশালী শ্রেণি তাদের উৎপাদন ও প্রাধান্য অব্যাহত রাখতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির লোককে দাসে রূপান্তর করত।
চমতকার আপনার মতন জ্ঞানী মানুষ দাস প্রথার পক্ষে আছেন দেখে অবাক লাগলো। একজন মানুষের স্বাধিনতা ধংষ করে তাকে বন্দি করে, পরিবার থেকে আলাদা করে, কঠর পরিশ্রম করানোর মতন একটা প্রথা আপনার কাছে খারাপ লাগছে না দেখে অবাক হোলাম।
টাকা দিলে অবশ্যই শ্রমিক পাওয়া যেতে। কিন্তু ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে ধরে এনে তাদের দিয়ে কাজ করাতে পারলে কেন বেতন দেবে?
আপনার কথা মনে হচ্ছে সমাজে দাসদের নির্যাতনের যে সব কাহিনি প্রচলিত আছে সেগুলি ভুল, তারা মুনিব দের সাথে ব্যবসা, গৃহ পরিচালনা এমন কি রাজনিতি নিয়েও আলোচনা করতেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: চমতকার আপনার মতন জ্ঞানী মানুষ দাস প্রথার পক্ষে আছেন দেখে অবাক লাগলো। একজন মানুষের স্বাধিনতা ধংষ করে তাকে বন্দি করে, পরিবার থেকে আলাদা করে, কঠর পরিশ্রম করানোর মতন একটা প্রথা আপনার কাছে খারাপ লাগছে না দেখে অবাক হোলাম। আমি কেনো পৃথিবীর কোন মানুষই দাস প্রথার পক্ষে বলবে না। আমার সমস্যা হলো আমি জীবনভর আমার কোন লেখা আপনাকে বোঝাতে পারি না্ই। হয়তো কখনও আপনি নিজে বোঝার চেষ্টা করেননি অথবা আমার বোঝাবার উপস্থাপন ঠিক ছিলো না। তাই বোঝেন নি। ------ ইতিহাস থেকে যা জানা যায় বা উইকপিডিয়া যা আমাদের তথ্য দেয়। দাস প্রথার ওপর প্রাপ্ত নথিপত্রে প্রমাণ মেলে যে, বনেদি সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো ও গ্রামীণ উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে এ প্রথা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল। বাজারে মুক্ত শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর থাকায় সমাজের শক্তিশালী শ্রেণি তাদের উৎপাদন ও প্রাধান্য অব্যাহত রাখতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির লোককে দাসে রূপান্তর করত। এইযে এই কথাটা আপনি আমার ধরেছেন- এটি তো আমার কথা নয়। এটি উইকপিডিয়ার তথ্য যা আমি হুবহু লিখেছি। উইকপিডিয়া যদি দাস প্রথার পক্ষে লিখে থাকে তাহলে সেই দোষে উইকপিডিয়াকে দোষী করেন। নইলে আমাকেও ডাকেন মামলা ঠুকে দিই উইকপিডিয়ার বিরুদ্ধে।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩
নতুন বলেছেন: দাস প্রথা সামাজিক একটি প্রক্রিয়া সমাজের প্রয়োজনেই এই প্রথার উদ্ভব ঘটে। সমাজের কারনে এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটে। অথচ নাস্তিক্যবাদী বিভিন্ন ব্লগে দাস প্রথা নিয়ে যেভাবে আলোচনা সমালোচনা করা হয় তাতে প্রোপাগান্ডা এমনভাবে চালানো হয় যেনো মুসলিমরাই এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দায়ী। প্র্রিয় পাঠক এবার আসি যুদ্ধ লব্ধ জনগনকে দাস দাসীতে পরিনত করার ঘটনা। যে ঘটনা আর্ন্তজাতিক বিশ্বের একটি নিন্দনীয় ঘটনায় মুসলিম বিশ্ব কোনভাবেই দায়ী নই।কিন্তু কেন যেন ইসলামের সমালোচনায় দাসপ্রথা একটি বেশ মুখরোচক বিষয়বস্তুতে পরিণয় হয়। আলোচনার ভঙ্গিটাও এমন থাকে যাতে পাঠকের কাছে মনে হতে থাকবে দাসপ্রথার মত ঘৃণ্য একটি ব্যবস্থাকে ইসলাম জন্ম দিয়েছে বা উন্নীত করেছে। আসলে এদের এহেন মনোবৃত্তি খুবই দুঃখজনক ।
যদি কেউ দাসপ্রথার জন্য ইসলামকে দায়ী করে সেটা অবশ্যই তার ভুল ধারনা। দাস প্রথা আগেও ছিলো, ইসলাম চলতে দিয়েছে, নবী, সাহাবীরা নিজেরা দাস প্রথা অনুসরন করেছেন। একটা যঘন্য প্রথার বিরুদ্ধে না গিয়ে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার সাথেই অবস্থান করেছিলো কোরানের আইন।
কিন্তু দাস প্রথার মতন জিনিসকে সমর্থন দেওয়া অবশ্যই ভুল। যেখানে ইসলাম দাবী করছে ভবিষ্যতের সব গাইডলাইন কোরানে আছে সেখানে দাসীদের হালাল করা অর্থ ঐসময়ের দাবী পুরন করা। ভবিষ্যতের সমাজের জন্য ঐ আইন চলবে না।
সেই কারনেই বলি সকল ধর্মই মানুষের রচনা করা।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নতুন ভাই আপনি কিন্তু দিন দিন পুরানো হয়ে যাচ্ছেন। আপনার কমেন্টে বিষয় উপলদ্ধি করা যাচ্চে। কিন্তু দাস প্রথার মতন জিনিসকে সমর্থন দেওয়া অবশ্যই ভুল। কিন্তু আমি দাস প্রথাকে সমর্থন দিলাম কোথায়? আপনি তো আমার লেখাটা পড়েন নি। আল কোরআনও দাস প্রথাকে সমর্থন করেননি। ডাইরেক্ট বলছে দাস কে মুক্ত করাই ধর্মের ঘাটিতে প্রবেশ করা। দাসদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেচে।
কিন্তু দাস প্রথার মতন জিনিসকে সমর্থন দেওয়া অবশ্যই ভুল। যেখানে ইসলাম দাবী করছে ভবিষ্যতের সব গাইডলাইন কোরানে আছে সেখানে দাসীদের হালাল করা অর্থ ঐসময়ের দাবী পুরন করা। ভবিষ্যতের সমাজের জন্য ঐ আইন চলবে না।
না অবশ্যই চলবে না। আমি ৬ নং কমেন্টে আমি আপনাকে বলেছি। আবারও বলছি। যেগুলো তৎকালীন সময়ের জন্য আয়াত সেই আয়াতগুলো শুধুমাত্র সেই সময়ের জন্য। যেমন একটি আয়াতে বলছে “ তোমরা ইহুদীদের হত্যা কর” এখন আপনি যদি এই আয়াতের পেক্ষিতে সকল ইহুদীদের হত্যা করতে শুরু করেন তাহলে তো সকল ইহুদীদের হত্যার দায়ভার মুসলিমদের উপর বর্তায়। আসলে ভাই আপনাকে বিষয়টি বুঝতে হবে। কারন আল কোরআনের এই আয়াতিটি ঐ সময়ের যুদ্ধের পরিপেক্ষিতে নাজিল হয়েছিলো। তাই ঐ যুদ্ধের পেক্ষিতে ইহুদীদের হত্যা করতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেই যুদ্ধ শেষ এখন কি আমরা ইহুদী হত্যা করতে পারি? না পারি না। কারর ঐ আয়াতটি তৎকালীন নির্দেশনা ছিলো। কিন্তু আল কোরআনের আয়াতে বলছে তোমরা সালাত আদায় কর। তুমি ব্যভিচার কর না। হত্যা কর না। আপনি যদি এখন বলেন ১৪০০ বছরের পুরানো কোরানিক নির্দেশনা মানবো কেনো? মানবেন কারন এই আয়াতটি সাবজনীন। সকল সময়ের জন্য। এটি কোন নিদীষ্ট সময়ের জন্য নয়। আসলে আপনাকে কোরান বুঝতে হবে।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
নতুন বলেছেন: যুদ্ধে লব্ধ নারীদের ধরে নিয়ে এনে সেক্স করা ইসলামে নিষিদ্ধ ছিলো। তবে সেই যুগে উপপত্নি বিষয়টি প্রচলিত ছিলো। অনেক পরিবারের দাসীদের উপপত্নি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেটি ছিলো মধ্যপ্রচ্যের তৎকালীন প্রচলিত রিতী। কিন্ত কোন স্বাধীন নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের কোন সুযোগ মধ্যপ্রাচে ছিলো না। কিন্তু সমাজে দাসপ্রথা বিদ্যমান থাকলে নিজ ক্রীতদাসিকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের অনুমতি সেই যুগে ছিলো। যে ক্রীতদাসির সাথে তার মুনিব শারিরিক সম্পর্ক স্হাপন করে, সে অন্যান্য ক্রীতদাসি থেকে ভিন্ন হয়ে যায়।
৪ : ২৪ وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَكَتۡ اَیۡمَانُكُمۡ ۚ كِتٰبَ اللّٰهِ عَلَیۡكُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَكُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِكُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِكُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِهٖ مِنۡهُنَّ فَاٰتُوۡهُنَّ اُجُوۡرَهُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡكُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِهٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلِیۡمًا حَكِیۡمًا ﴿۲۴﴾
কোরানের এই আয়াত নাজিল হবার কারন টা আপনি জানেন কি?
আপনি জানেন কি দুই মুসলিম দেশ বা গোত্র বা গোস্ঠির মাঝে যুদ্ধ হলে পরাজিত দলের নারী দের কি দাসী বানানো যায় কি না? তাদের নারীরা দাসী হলে এই আয়াত অনুযায়ী হালাল কি না?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ৪ : ২৪ وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَكَتۡ اَیۡمَانُكُمۡ ۚ كِتٰبَ اللّٰهِ عَلَیۡكُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَكُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِكُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِكُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِهٖ مِنۡهُنَّ فَاٰتُوۡهُنَّ اُجُوۡرَهُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡكُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِهٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلِیۡمًا حَكِیۡمًا ﴿۲۴﴾
কোরানের এই আয়াত নাজিল হবার কারন টা আপনি জানেন কি?
আপনি জানেন কি দুই মুসলিম দেশ বা গোত্র বা গোস্ঠির মাঝে যুদ্ধ হলে পরাজিত দলের নারী দের কি দাসী বানানো যায় কি না? তাদের নারীরা দাসী হলে এই আয়াত অনুযায়ী হালাল কি না? আপনি আমার লেখা হয়তো পড়েন নাই। হালকা চোখ বুলিয়ে অনেক কয়টা কমেন্ট করে গেছেন। বাংলায় আয়াতটি বললে আপনাকে বলতে পারতাম আপনি আয়াতটি বুঝতে পেরেছেন। তো যাই হোক আমি বাংলায় লেখি। আগের আয়াতসহ-“ তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” ৪:২৩ “আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমর সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” ৪:২৪ । আমি আপনাকে ৪:২৩ এবং ৪:২৪ নং আয়াত দুইটি তুলে ধরলাম। কারন বিষয়টি বোঝাতে দুইটি আয়াতই লাগবে। এ্ই আয়াতে পুরুষের বিবাহ করার বিষয় তুলে ধরা হয়েচে। কাকে বিবাহ করা ঠিক হবে কাকে বিবাহ করা ঠিক হবে না।এক কথায় কাদের সাথে সেক্স করা যাবে কাদের সাথে সেক্স করা যাবে না। আয়াতে বলছে অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া কোন সধবার এর সাথে মিলিত হওয়া যাবে না। এটি পাপ। বিবাহ ব্যাতিরেকে। আয়াতে কঠোরভাবে ঘোষনা করা হচ্ছে অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয় বিবাহের মাধ্যমে তথা নারীকে মোহর পরিশ্বোধ করতে হবে। ৪:২৩ আয়াতে কাদের সাথে যৌন সম্পর্ক বা বিবাহ করা যাবে না তা উল্লেখ করা আছে। ৪:২৪ এ বাকী অংশটা সর্ম্পুন করা হয়েচে। এখানে কোন সমস্যা নেই সমস্যা বলতে আপনি হয়তো অধিকার ভুক্ত দাসীকে বোঝাচ্ছেন। কারন অধিকারভুক্ত দাসী শব্দটার অর্থ হয়তো আপনি বোঝেন নাই| অধিকারভুক্ত দাসী বলতে যারা উপপত্নি । উপপত্নিদের বিবাহ করার কথা বলা আছে। উপপত্নি বিষয় এখন আপনার কাছে খারাপ থাকলেও সেই যুগে বিশ্বের সকল স্থানে উপপত্নি বিষয়টি প্রচলিত ছিলো। অনেক পরিবারের দাসীদের উপপত্নি হিসেবে ব্যবহার করা ছিলো মধ্যপ্রচ্যের তৎকালীন প্রচলিত রিতী। কিন্ত কোন স্বাধীন নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের কোন সুযোগ ছিলো না। যে ক্রীতদাসির সাথে তার মুনিব শারিরিক সম্পর্ক স্হাপন করে, সে অন্যান্য ক্রীতদাসি থেকে ভিন্ন হয়ে যায়। এ ধরণের ক্রীতদাসিকে বলা হয় সারিয়্যাহ বা উপপত্নী। আরবী সারিয়্যাহ শব্দটি ‘সির হতে আগত যার অর্থ বিবাহ। উপপত্নীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারি পুরুষের কোন বৈবাহিক চুক্তি সম্পাদিত না হলেও এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত ছিলো। এই বিসয়বস্তু গুলো মধ্যপাচ্যের প্রচলিত রিতী হলেও অনেকে এটাকে ইসলামের রিতী বলার মতো প্রচেষ্টা করে থাকে বিভিন্ন জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এই উপপত্নি বিষয়টি তৎকালীন সমাজে কেনো প্রচলিত হয়ে পড়ে। এটি বিভিন্ন সমস্যা দ্বারা এই বিয়ষটি সামজের একটি নিয়মে পরিনত হয়। যেমন অনেক স্ত্রি অলস প্রকৃতির হবার কারনে সংসারের কাজ করতে পারতেন না। তারা পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকার জন্য আলসেমিগত কারনে তারা তাদের স্বামীর ভাগ দিতো আরেকজন দাসীকে। সেই দাসীই উপপত্নি হয়ে সংসারের সকল কাজ করতো সংসার দেখা শুনা করতো। আবার কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রির মৃত্যুর পর বা স্ত্রির অসুস্থতার কারনে এই উপপত্নি বিষয়টি সমাজে প্রচলিত হতে শুরু করে। এই উপপত্নিরাই সংসারের সকল কাজ করে সংসার পরিচালনা করতো । ধীরে ধীরে এটি অভিজাত শ্রেণির একটি সিষ্টেমে পরিনত হয়ে যায়। সংসারের কাজ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে বেশির ভাগ ঘরে উপপত্নি রাখতে স্ত্রিরাই বাধ্য করতো স্বামীকে। এভাবেই উপপত্নি সিস্টেমটি সমাজে শিকড় গজিযে দেয়। এটি সমাজের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। একটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েচে- “নিজেদের স্ত্রী বা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ছাড়া, এতে তারা হবে না নিন্দিত। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালংঘনকারী।” সুরা মুমিনুন 5-6 ।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: না বুঝে অনেকেই ম্যা ম্যা করছে; আমি তাদের কিচ্ছু বলবোনা কারণ ছাগলের ধর্মই ম্যা ম্যা করা।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
নতুন বলেছেন: আপনি যদি এখন বলেন ১৪০০ বছরের পুরানো কোরানিক নির্দেশনা মানবো কেনো? মানবেন কারন এই আয়াতটি সাবজনীন। সকল সময়ের জন্য। এটি কোন নিদীষ্ট সময়ের জন্য নয়। আসলে আপনাকে কোরান বুঝতে হবে। বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা। আর আপনি যদি অতি চালাক হন তাহলে তো “আমি বুঝি না আমাকে বোঝায় কোন শালা”।
ভাই আমি বুঝি তাই আমি কখনোই মতের পার্থক্যের কারনে,ভিন্ন মত প্রকাশ করে বক্তব্য দেবার কারনে কাউকে ছাগল বলিনা, সকল মানুষকে সন্মান করি। কিন্তু কিছু ধামির্ক অন্ধভক্তরা মানুষকে ছাগলের সাথে তুলনা পযন্ত করে, সেটা সম্ভবত ধর্ম থেকেই তারা শেখে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধর্ম এগুলো মানুষকে শেখায় না। তবে এটা সত্য আপনি সম্ভবত আমার লেখাটা পড়েন নাই। সম্পুর্ন পড়লে আপনি আমাকে এত কমেন্ট করতেন না। কারন এই সকল বিষয় আমার লেখাতে সবই উল্লেখ করা আছে। আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনার এত প্রশ্ন করা লাগতো না। ধর্ম কখন কাউকে খারাপ কিচু শিক্ষা দেয় না। মানুষের ব্যাক্তিগত সমস্যাকে ধর্মরে ঘাড়ে চাপানো ঠিক না।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩
নতুন বলেছেন: আধুনিক বিশ্বে আগের মতো সরাসরি দাস ব্যবসা না থাকলেও মানব পাচার অব্যাহত রয়েছে।
মর্ডান ডে স্লেভারি চলছে। এক হিসেবে সেই রকমের একজন কামলা আমি নিজেও। হয়তো ইদুর দৌড়ে উপরে উঠতে পেরেছি বলেই ব্লগে এসে তত্বকথা লিখতে পারছি নতুবা প্রতিদিন কাজ করেই কুল পেতাম না। তখন শুধুই প্রতিদিন ভাগ্যের দোষ দিতাম।
আপনার মতের সাথে ঘাপলাটা হইলো আপনি ঘৃন্য এই দাসপ্রধার পক্ষে সাফাই গাইছেন কারন সেটা ইসলাম নিষেধ করেনাই। কিন্তু আমার মতে মানুষের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় এমন কিছু সমর্থন করা যায় না। যেহেতু আপনি মুমিন তাই ধর্মের নিয়মের প্রসংসা করবেন কিন্তু আমি দাস প্রথার মতন একটা প্রথার ভালো কিছু বলতে পারিনা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার মতের সাথে ঘাপলাটা হইলো আপনি ঘৃন্য এই দাসপ্রধার পক্ষে সাফাই গাইছেন কারন সেটা ইসলাম নিষেধ করেনাই। কিন্তু আমার মতে মানুষের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় এমন কিছু সমর্থন করা যায় না। যেহেতু আপনি মুমিন তাই ধর্মের নিয়মের প্রসংসা করবেন কিন্তু আমি দাস প্রথার মতন একটা প্রথার ভালো কিছু বলতে পারিনা। দাস প্রথা ভালো এ কথা আমি কেনো কেউই বলবে না। কেউই বলে না। আসলে আপনি আমার লেখা পড়েন নাই নইলে লেখা পড়ে বুঝতে পারেন নাই।
১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম ধর্ম নারীদের সর্বনাশ করেছে।
১৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫
নতুন বলেছেন: ৪:২৪ এ বাকী অংশটা সর্ম্পুন করা হয়েচে। এখানে কোন সমস্যা নেই সমস্যা বলতে আপনি হয়তো অধিকার ভুক্ত দাসীকে বোঝাচ্ছেন। কারন অধিকারভুক্ত দাসী শব্দটার অর্থ হয়তো আপনি বোঝেন নাই| অধিকারভুক্ত দাসী বলতে যারা উপপত্নি । উপপত্নিদের বিবাহ করার কথা বলা আছে। উপপত্নি বিষয় এখন আপনার কাছে খারাপ থাকলেও সেই যুগে বিশ্বের সকল স্থানে উপপত্নি বিষয়টি প্রচলিত ছিলো।
বিষয়টা আপনি সম্ভবত বুঝতে পারেন নাই নতুবা বুঝতে চাইছেন না।
আয়াতের শানে নুযুল (অবতীর্ণ হওয়ার কারণ) সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যখন কোন কোন যুদ্ধে কাফেরদের মহিলারা মুসলিমদের হাতে বন্দিনী হল, তখন ঐ সকল মহিলারা বিবাহিতা হওয়ার কারণে মুসলিমরা তাদের সাথে সহবাস করার ব্যাপারে ঘৃণা অনুভব করল। অতঃপর নবী করীম (সাঃ)-কে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-গণ এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে এই আয়াত অবতীর্ণ হল। (ইবনে কাসীর) এ থেকে জানা গেল যে, যুদ্ধলব্ধ কাফের মহিলারা মুসলিমদের হাতে বন্দিনী হয়ে এলে, তাদের সাথে সহবাস করা জায়েয, যদিও তারা বিবাহিতা হয়। তবে গর্ভমুক্ত কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া জরুরী। অর্থাৎ, এক মাসিক দেখার পর অথবা গর্ভবতী হলে প্রসবের পর (নিফাস বন্ধ হলে তবেই) তার সাথে সহবাস করা যাবে।
এই আয়াতে কি হালাল করা হয়েছে। :-
* যুদ্ধে কোন দম্পতি দাসী হলে সেই দাসীর কে ইদ্দত শেষে ভোগ করা যাবে।
* স্বামী জিবিত এবং বন্ধি থাকলেও দাসী হিসেবে তাকে ভোগ করা যাবে।
আর গর্ভবতি না হলে দাসীকে বিক্রি করে দেওয়া যাবে।
যেমন অনেক স্ত্রি অলস প্রকৃতির হবার কারনে সংসারের কাজ করতে পারতেন না। তারা পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকার জন্য আলসেমিগত কারনে তারা তাদের স্বামীর ভাগ দিতো আরেকজন দাসীকে। সেই দাসীই উপপত্নি হয়ে সংসারের সকল কাজ করতো সংসার দেখা শুনা করতো। আবার কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রির মৃত্যুর পর বা স্ত্রির অসুস্থতার কারনে এই উপপত্নি বিষয়টি সমাজে প্রচলিত হতে শুরু করে। এই উপপত্নিরাই সংসারের সকল কাজ করে সংসার পরিচালনা করতো । ধীরে ধীরে এটি অভিজাত শ্রেণির একটি সিষ্টেমে পরিনত হয়ে যায়। সংসারের কাজ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে বেশির ভাগ ঘরে উপপত্নি রাখতে স্ত্রিরাই বাধ্য করতো স্বামীকে। এভাবেই উপপত্নি সিস্টেমটি সমাজে শিকড় গজিযে দেয়। এটি সমাজের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে।
আর আপনি কি মনে করেন স্ত্রীরা আলসেমিগত কারনে স্বামীকে দাসীর সাথে যৌন কর্ম করতে অনুমতি দিতো?
স্বামীরা স্ত্রীদের চাপে দাসী রাখতো যার সাথে যৌন কর্ম করার অনুমুতি দিতো?
আপনি নারীদের সম্পর্কে এই ধারনা পোষন করেন?
আপনি একটু ভাবির সাথে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে কোন নারী তার স্বামীকে কতটুকু সেয়ার করতে পারে সেটার একটু ধারনা করে নিয়েন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি তাফসীর কারক ইবনে কাসীরে তাফসীর তুলে ধরেছেন। কিন্তু সেটি তো তাফসীর। তাফসীর কি আল কোরআনের মতোই মেনে নিতে হবে। বেদ বাক্যের মতোন। নাকি? ইবনে কাসীর সম্পর্কে কয়েকজন ইসলামী স্কলার এর মন্তব্য আমি তুলে ধরলাম।
১। দাউদী তার প্রশংসা করেছেন এভাবে- ‘আমরা যাদেরকে পেয়েছি তাদের মধ্যে ইব্ন কাসীর (র) হাদীসের মূল পাঠ কণ্ঠস্থকারীদের মধ্যে অগ্রগামী ছিলেন ।
২। হাফিজ যাহাবী বলেন, "তিনি হাদীসসমূহের উৎস নির্ণয় করেছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করেছেন, গ্রন্থ রচনা করেছেন, তাফসীর গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং এসব ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্ৰহণ করেছেন"।
৩। আল মুজামুল মুখতাস গ্রন্থ প্রনেতা বলেছেন, ‘তিনি ফতোয়াবিশারদ ইমাম, প্রাজ্ঞ ও প্ৰসিদ্ধ মুহাদিছ, বিজ্ঞ ফকীহ এবং হাদীসের বরাত সমৃদ্ধ তাফসীরে সিদ্ধহস্ত।’
এই তিনজন ইসলামী স্কলারগন স্বিকার করছেন যে তিনি হাদীসের উপর ডিপেন্ড করে আল কোরআনের তাফসীর করতেন। কিন্তু ভাই আপনি কি হাদীসের সত্যাসত্য প্রমান করতে পারবেন? তারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে যে হাদীসে কোন ভূল নেই জাল নেই বা মিথ্যা নেই? যদি না পারেন তবে আমরা হাদীস কেন্দ্রীক তাফসীর ১০০% গ্রহনযোগ্যতা দিয়ে বেদ বাক্য বানাবো কেনো? আল কোরআন তো বলে-তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যাকে সংমিশ্রন কর না। তাহলে এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে আমরা এই তাফসীর বিশ্বাস করতে হবে। রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ বৎসর পরে বুখারীর হাদীস কতটুকু সত্য সমৃদ্ধ তাই তো প্রমান করার প্রয়োজন। তাহলে কিভাবে আমরা আল কোরআনের তাফসীর হাদীস কেন্দ্রীক করতে পারি। আল কোরআনের মতো সত্যের সাথে জাল হাদীস কেন্দ্রেীক মিথ্যাকে সংমিশ্রন করতে বলছেন। তাইতো? তিনি জ্ঞানি মানুষ কিন্তু তাই বলে হাদীস কেন্দ্রীক জ্ঞান! আমাকে আপনি হাসালেন। আসলে এই তাফসীরটি কিছু জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে করা হয়েচে। তৎকালীন সময়ে কিছু ইহুদী আলেম য়ড়যন্ত্র করে ইসলামের মধ্যে নোংরামি প্রবেশ করানোর ষড়যন্ত্র করেছিলো। ইসলাম কে উপহাসকৃত বাননোর এই ষড়যত্নে অনেক মুসলিম ও টাকা খেয়ে হাদীস বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। সোজাসুজি বাংলা ভাষায় পড়লেই তো আপনি বুঝতে পারছেন আল কোরআনে কি বলছে। এত তাফসীর দেখাতে হবে কেনো? এখানে অধিকারভুক্ত নারী বলতে উপপত্নি বোঝানো হয়েছে। সমাজস্বিকৃত উপপত্নি যার উপর অধিকার থাকে। অনেক পরিবারের দাসীদের উপপত্নি হিসেবে ব্যবহার করা ছিলো মধ্যপ্রচ্যের তৎকালীন প্রচলিত রিতী। কিন্ত কোন স্বাধীন নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের কোন সুযোগ ছিলো না। যে ক্রীতদাসির সাথে তার মুনিব শারিরিক সম্পর্ক স্হাপন করে, সে অন্যান্য ক্রীতদাসি থেকে ভিন্ন হয়ে যায়। এ ধরণের ক্রীতদাসিকে বলা হয় সারিয়্যাহ বা উপপত্নী। আরবী সারিয়্যাহ শব্দটি ‘সির হতে আগত যার অর্থ বিবাহ। উপপত্নীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারি পুরুষের কোন বৈবাহিক চুক্তি সম্পাদিত না হলেও এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত ছিলো। এই বিসয়বস্তু গুলো মধ্যপাচ্যের প্রচলিত রিতী হলেও অনেকে এটাকে ইসলামের রিতী বলার মতো প্রচেষ্টা করে থাকে বিভিন্ন জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে।
১৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম এগুলো মানুষকে শেখায় না। তবে এটা সত্য আপনি সম্ভবত আমার লেখাটা পড়েন নাই। সম্পুর্ন পড়লে আপনি আমাকে এত কমেন্ট করতেন না। কারন এই সকল বিষয় আমার লেখাতে সবই উল্লেখ করা আছে। আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনার এত প্রশ্ন করা লাগতো না। ধর্ম কখন কাউকে খারাপ কিচু শিক্ষা দেয় না। মানুষের ব্যাক্তিগত সমস্যাকে ধর্মরে ঘাড়ে চাপানো ঠিক না।
ভাই আমিতো আপনার লেখার অংশ কোট করেই কমেন্ট করেছি, পড়া বাকী রাখলাম কই?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সেটিতো বুঝলাম। কিন্তু জাল জালিয়াতির উপর আগ্রহ দেখান বেশি। কারন ইসলামের ভূল কিভাবে ধরবেন সেই চিন্তায় জাল জালিয়াতির প্রতি অগাধ টান। জাল জালিয়াতি দিয়ে ভূল ধরা যায়।
১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবীজী দাসীদের সাথে এবং ,মালে গণিমতের নারীদের সাথে সোহবত করতে ভালোবাসতেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের রিফর্ম দরকার।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।মৌলবাদীরা এটা চায় না।