নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই প্রাণ পানি হতেই সৃষ্টি এবং পানি সৃষ্টি প্রানেরই জন্য।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০০

আল কোরআনের বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা -সুরা আম্বিয়া ৩০।



"প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম।"সুরা আম্বিয়া ৩০”
আল কোরআনের "সুরা আম্বিয়া ৩০” আয়াত নিয়ে আলোচনা করছি।আসলে আয়াতের মূল বিষয় হলো পানি। পানি সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরার জন্য আগে আমাদের পানি সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরতে হবে।কারন পানি এবং প্রাণ একটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক জড়িত।পৃথিবী, প্রাণ এবং পানি।আসলে পৃথিবীর নান্দনিকতা এবং প্রানের সৌন্দর্যময়াতা পানির উপর নির্ভরশীল।পৃথিবীর অবস্থান িপানির পরিমান সব কিছু যেনো পরিকল্পিত। আমাদের এই পৃথিবী সূর্য থেকে ১৫ কোটি কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এবং সুর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে।এই অবস্থানে পৃথিবীর থাকার কারনে যদি সৃষ্টির শুরুতে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব কিছুটা কম হতো বা কোন কারনে সূর্য থেকে পৃথিবী ১% কাছে অবস্থান করতো তাহলে এই পৃথিবী সূর্যের অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে জ্বলে পুড়ে শুক্র গ্রহের রুপ ধারণ করতো। ফলে কখনই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হতো না। আর বায়ুমন্ডল সৃষ্টি না হলে কোনভাবেই এই পৃথিবীতে প্রাণ উতপাদন সম্ভব হতো না । শুধু বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়াই বড় কথা নয় অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে পৃথিবীর অভ্যন্তরস্ত জল বাষ্প আকারে ধুমায়িত হয়ে মহাশুন্যে হারিয়ে যেতো। আর যদি পৃথিবী সূর্য হতে ১% দুরে অবস্থান করতো তাহলে সূযের তাপ ও চাপ এর অভাবে পৃথিবী হিম শীতল হয়ে মঙ্গল গ্রহের মতো তুষারাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো । পৃথিবীর অভ্যন্তরস্ত জল ঠান্ডায় বরফে পরিনত হয়ে পড়তো ।ফলে তরল জল না থাকার কারনে এককোষি প্রাণিই উৎপাদিত হতো না বহুকোষি প্রাণিতো পরের কথা।এককথায় প্রাণ উতপাদনের প্রতিটি শর্ত্ই ভঙ্গ হতো।পৃথিবীর এই যথাযথ অবস্থানের কারনেই পৃথিবীতে তরল জল বিদ্যমান। আর তরল জল মানেই প্রাণ।কিন্তু আমাদের জ্ঞাত কোন গ্রহেই জল নেই। তার কারন হলো পৃথিবীর হেবিটেবল জোন! হেবিটেবল জোন মানে কোন নক্ষত্র থেকে একটি নির্দীস্ট দুরত্ব কোন গ্রহ অবস্থান করলে সেই গ্রহের পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে। কোন নক্ষত্র থেকে ঠিক যতটুকু দুরত্ব প্রাণ বিকাশের জন্য প্রয়োজন আমাদের সৌরজগত এবং সত্যি করে বলতে কি আমাদের পৃথিবী ঠিক সেই স্থানেই পড়েছে! এই রহস্যময় বিষয়টিকে অনেকেই আপনি আপনা আপনি বা দূর্ঘটনা বলেই চালিয়ে দিতে পারেন? কিন্তু আমরা পারি না।কারন আমাদের উপলাদ্ধি বোধ নিশ্চিত করে যে এটি একটি পরিকল্পিত বিষয়।মহান স্রষ্টার অবদান।



আমি আগেও বলেছি এই মহাবিশ্ব এই পৃথিবী এই সৌরজগৎ সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের আবির্ভাবের জন্য।পরিকল্পিত ভা্বে।লক্ষ্য করুন পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য স্রষ্টার অদ্ভুদ একটি পদক্ষেপ হলো পৃথিবীতে পানির আর্বিভাব ঘটানো!প্রাণ সৃষ্টি করা এবং প্রাণ সৃষ্টি করে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই পৃথিবীকে সব সময় ঠান্ডা রাখবার প্রয়োজনীয়তাই ছিলো পানি সৃষ্টির মূল কারন। সারাদিন ব্যাপী সুর্যের আলো যে ব্যাপক তাপ ছড়িয়ে দেয় রাতের আধারে সুর্যের অনুপস্থিতেতে বিশাল পানিরাশি ভূপৃষ্ঠের মৃত্তিকাকে তাপমুক্ত করে এবং পরবর্তী দিনের তাপ গ্রহনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাছাড়া বৃষ্টি সরবরাহ করে পৃথিবীর তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করার মতো এবং পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠকে পূনজীবিত করার মতো মহান উদ্যেগ এই পানিচক্র!সমুদ্রের পানিকে বাষ্পায়িত করে মেঘমালায় জমিয়ে রেখে নিদীষ্ট সময় পর বৃষ্টি রুপে ভূপৃষ্ঠকে সিক্ত করে ভূপৃষ্ঠ, উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলকে টিকিয়ে রাখছে।উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পানি চক্রের মাধ্যমে বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে পানি উদ্ভিদের জন্য কার্বনডাইঅক্সাইড সরবরাহ নিশ্চিত করে। অন্য দিকে এবং একই সাথে পৃথিবীতে সৃষ্ট সব প্রাণীর জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে।পানিচক্রের কর্মকান্ডের দিকে গভীর দৃষ্টিপাত করলেই বুঝতে পারবেন যে এই চক্র পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে প্রাণি জগতের টিকে থাকার এবং প্রাণিজগতের স্থায়িত্বের ভিত্তি তৈরি করার একটি অনন্য সিস্টেম হিসেবে পরিগনিত হয়েছে।এটা যেনো প্রকৃতির একটা অপূর্ব দান। প্রকৃতির এই দান শুধু জীবনের উত্থানই নয়,বরং পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ ও অস্তিত্ব রক্ষার পূর্বশর্ত হিসেবেও কাজ করছে। একটি কার্যকরী পরিবেশ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে জীবনের উত্থান,গঠন,জীবন রক্ষা বা বজায় রাখতে সহায়তা ও সামর্থ্য জোগাচ্ছে।




পানি সৃষ্টি না হলে আমরা আজ পৃথিবীতে যে ভাবে আছি হয়তো সেভাবে থাকতে পারতাম না! হয়তো এমন কোন প্রাণই পৃথিবীতে থাকতো না! পানির আছে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যা জীবনধারণের জন্য খুবই উপযোগী। এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন ব্রিটিশ প্রকৃতি বিজ্ঞানী উইলিয়াম হুইওয়েল। তিনি ১৮৩২ সালে তার লেখা ‘Astronomy and General Physics Considered with Reference to Natural Theology’ বইতে তা তুলে ধরেন । তিনি পানির তাপীয় বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃতির আইন লঙ্ঘন করে। পানির অস্বাভাবিক তাপ ধারণ ক্ষমতা, যা না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণ টিকে থাকতে পারত না। পানির অস্বাভাবিক দ্রবণ করার ক্ষমতা, যা না থাকলে প্রাণীদের শরীরে পুষ্টির বিতরণ ঠিকভাবে হতো না। পানি বরফ হলে তার আয়তন না কমে উল্টো বেড়ে যায়, যার কারণে নদী, পুকুর, সমুদ্রের উপরের স্তরেই শুধু বরফ হয়, পুরোটা জমে বরফ হয়ে সব প্রাণীকে মৃত্যুর সম্মুখিন করে না এরকম বহু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পানি দেখলে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, একে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বানানোই হয়েছে প্রাণ সৃষ্টির জন্য। পানি থেকেই প্রাণ এটি মাথায় রেখেই স্রষ্টা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক পানিকে পৃথিবীর মধ্যে আর্বিভাব ঘটিয়েছিলেন। এ সকল জটিল ভাবনাচিন্তা থেকেই তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছেন এবং বলেন “পানিকে সৃষ্টি করা হয়েছে জীবনের জন্য বিশেষ উপযোগী করে।” তারও প্রায় ১০০ বছর পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স হেন্ডারসন লিখেন ‘দ্য ফিটনেস অব দ্য এনভায়রনমেন্ট’ বইটি। এখানে তিনি বলেছেন, পানির তাপীয়, ভৌতিক ও রাসায়নিক কিছু বেশিষ্ট্যের কথা। সব তরলই তাপমাত্রা হ্রাসের সাথে সাথে আয়তনে সঙ্কুচিত হয় এবং তাদের ঘনত্ব যায় বেড়ে, এক সময় তারা কঠিন পদার্থে পরিণত হয় । ফলে তরলের চেয়ে তাদের কঠিন রূপটাই বেশি ভারী হয়। অথচ পানির ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারে উল্টো। পানি জমে বরফে পরিণত হলে তা তলানিতে অধঃপ্তি না হয়ে উপরিতলে ভাসতে থাকে ওজন কম হওয়ার কারণে কিন্তু অন্য তরল পদার্থগুলো জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হলে এতই ভারী হয় যে, নিচে বা তলানিতে অধঃপ্তি হয় । পানির এইটি অদ্ভুদ একটি গুনাবলী। যদি পানি এ রকম অস্বাভাবিক আচরণ না করত, বরং সেও অন্য তরলের মতো আচরণ করত, তাহলে কী হতো? সমুদ্র, নদী বা হ্রদের পানি ক্রমেই বরফ হয়ে নিচে ডুবে যেত, আর নিচের পানি উপরে উঠে আসত। এরাও বায়ুমণ্ডলে তাপ ছেড়ে দিয়ে বরফ হতো, আর নিচে ডুবে যেত। এভাবে সব পানি বরফ হয়ে যেত, আর এদিকে পানির নিচে যেসব প্রাণী থাকে, তারাও বাঁচত না, পানির নিচের জীবজগতের কোনো অস্তিত্ব থাকত না! কী ভয়াবহ ব্যাপার হতো তাহলে!

পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে পৃথিবীতে মোট পানির পরিমাণ একই রয়ে গেছে। রহস্যজনক হলেও প্রশ্নটি করতে হচ্ছে এই মোট পানির পরিমান নির্ধারিত হলো কি করে? এগুলো কি আপনা আপনি নির্ধারিত হলো? কতটুকু পানি বরফে পরিনত হবে-কতটুকু সমুদ্রে তরল আকারে থাকবে আর সমুদ্রের তরল পানি কতটুকুই বা বায়বীয় আকারে মেঘে পরিনত হবে সেটিও নির্ধারিত হয়েছিলো প্রাণিজগতের কথা মাথায় রেখে। পৃথিবীতে পানির উৎপাদন যেমন গুরুত্বর্পূণ এবং অলৌকিক একটি বিষয় ঠিক তেমনি আরেকটি অলৌকিক বিষয় হলো পানির পরিমান। সমগ্র মহাবিশ্বে গ্রহ উপগ্রহে বিভিন্ন স্থানে তদন্ত করে পানি পাওয়া যায় নাই কিন্তু আমাদের এই পৃথিবীতে পানি এলো কোথা থেকে? হয়তো বলবেন পৃথিবী হেবিটেবল জোন এ অবস্থান করছে! হেবিটেবল জোনে অবস্থান করলে পানি তরল অবস্থান থাকতে পারে। কিন্তু হেবিটেবল জোনের কারনে পানির আর্বিভাব বা সৃষ্টি হতে পারে না! অতএব পৃথিবীতে পানি আবিভূর্ত হয়েছিলো কোন না কোন ভাবে! এবং এই পানিকে পৃথিবীর বুকে আটকে রাখবার জন্য পৃথিবীর নির্দীষ্ট পরিমান মধ্যাকর্ষন শক্তি নির্ধারন করা হয়েছিলো। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তির ক্ষেত্রে একটি প্যারামিটার নির্ধারণ করাটিও স্রষ্টার একটি পরিকল্নপনাই বলা যায়। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন যদি বর্তমানের চেয়ে বেশি হতো তবে পানি মেঘ হয়ে আকাশে যেতে পারতো না। আবার যদি কম হতো তাহলে পানি জাতীয় মেঘ বায়ুমন্ডল কিছুই পৃথিবী ধরে রাখতে পারতো না। হারিয়ে যেতো। অতএব এই পানি,এই পৃথিবী এই মহাবিশ্ব কোন কিছু আপনা আপনি সৃষ্টি হতে পারে না। যদি তাই হতো তবে প্রতিটি প্যারামিটার এতটা সুক্ষভা্বে সমন্ময়কৃত হতো না। এটাকে সত্যিই রহস্যজনক বলেই ভাবতে হবে। মেনে নিতে হবে মহাপরাক্রমশালী আল্লার অস্তিত্ব।



পানি হতেই প্রাণ সৃষ্টি।আল কোরআন বলে-"প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম।"সুরা আম্বিয়া ৩০। আল কোরআন পানি থেকে প্রাণ সৃষ্টির বিষয়টি আরেকটি আয়াতে উল্লেখ করেছেন। লক্ষ্য করুন (সূরা মুরসালাত-আয়াত ২০-২৩) “আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ তরল থেকে সৃষ্টি করিনি? অতঃপর আমি তা রেখেছি সংরক্ষিত আধারে। এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি,আমি কত নিপুণ স্রষ্টা।”কত বৈজ্ঞানিক একটি বক্তব্য লক্ষ্য করেছেন। আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে কত অদ্ভূদ রকম মিল রেখে বিজ্ঞান মহলের চিন্তা।ভাসেলডরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উইলিয়াম মার্টিন এবং গ্লাসগোতে স্কটিশ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ সেন্টারের প্রফেসর মাইকেল রাসেল প্রথম কোষ সৃষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন “প্রাণ সৃষ্টির আগে কোষের জন্ম হয়। প্রথমে কোষ জীবন্ত ছিল না। এটি মৃত ছিল এবং এর সৃষ্টি হয় আয়রন সালফাইড হতে। বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, জীবনের সৃষ্টি হয়েছিল সমূদ্রের তলদেশে অন্ধকারে জলমগ্ন ক্ষুদ্র পাথুরে পরিবেশে অর্থাৎ আয়রন সালফাইড পাথরের তৈরি অতি ক্ষুদ্র প্রোকষ্ঠ ইনঅরগ্যানিক ইনকিউবেটরে।তাদের বর্ণনা অনুসারে সতন্ত্র ও সংরক্ষিত কোন স্থানে বা আধারে প্রথমে জীব কোষের গঠন সম্পন্ন হয়। প্রথমে কোষ মৃত ছিল। পরবর্তীতে তা প্রাণের মলিকিউলে পূর্ণ হয় অর্থাৎ কোষে প্রাণ সঞ্চার ঘটে।”
প্রিয় পাঠক, আসলেই এই প্রাণ পানি হতেই সৃষ্টি এবং পানি সৃষ্টি প্রানেরই জন্য।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২০

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভালো লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.