![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে এলো? আমরা এর ব্যাক্ষা কিভাবে পেতে পারি? আমি আমার পূর্বের পর্বে এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠিয়ে ছিলাম। জীববিজ্ঞানী রাসেল স্পষ্ট ভাষায় বলছে প্রথমে কোষ মৃত ছিলো পরে তাতে প্রান সংযোজন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা উপলব্ধি করলেন ‘প্রাণ’ শক্তিটি কোন কোন পদার্থের সম্মিলিত রাসায়নিক ক্রিয়ায় উদ্ভূত একটি অভিনব শক্তি । আসলেও কি প্রাণ শক্তিটি পৃথিবীতে উদ্ভব নাকি মহাকাশ থেকে আসা কোন এক উপাদান পৃথিবীর উদ্ভাবিত কোষে সংযোজিত হয়ে প্রাণ সৃষ্টি করে? নাকি পৃথিবীর আদি অবস্থায় তাপ, আলো, বায়ুচাপ, জলবায়ুর উপাদান ইত্যাদির পরিমাণ প্রাণ সৃষ্টির অনুকূল ছিল বলে তখন প্রাণের উদ্ভব সম্ভব হয়েছিল? জীববিজ্ঞানীদের এজাতীয় মন্তব্য বা প্রতিটি তত্ত্ব মেনে নিলেও কিছু কিছু বিষয়বস্তু আমাদের প্রশ্নের সম্মুখিন করে তোলে! প্রথম প্রশ্নটি হলো একটি জীবনকে সম্ভব করার জন্য জীন এবং ডিএনএর যে রহস্যময় কারুকাজ তা কি করে সম্ভব এই প্রশ্ন করেছিলেন বিশিষ্ট নাস্তিক বিজ্ঞানি ফ্লিও। তিনি বলেন “আমি মনে করি ডিএনএ তে বিদ্যমান এই বহুমাত্রিক মৌলিক উপাদানকে একটি সুবিন্যস্ত পরিসরে সাজানোর পিছনে অবশ্যই একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বার অস্তিত্ব রয়েছে। এ বহুমাত্রিক জটিল বিন্যাস আমাকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করেছে যে, অবশ্যই তা এক বুদ্ধিমান সত্ত্বার কাজ”। আবার বিশিষ্ট বিজ্ঞানবাদী স্টিফেন সি মেয়ার ঠিক একই ভাষায় কথা বলছেন। তিনি বলেন “জীববিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে মহাবিশ্বটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে, ডিএনএতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে জিনগত তথ্য অবশ্যই জীবনকে সম্ভব করার জন্য উত্থিত হয়েছিল। স্টিফেন সি মায়ারের কথা আমাদের বুঝতে শেখায় যে এত জটিল ডিএনএর প্রোগ্রামিং কিভাবে আপনা আপনি সম্ভব হলো? একটি কোষকে সৃষ্টি করার জন্য প্রাণ স্থাপিত করার জন্য এত জটিল প্রোগ্রামিং কি করে আপনা আপনি ঘটলো? যেখানে মাইক্রোসফ্ট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে সেরা সফটওয়্যারটির প্রোগ্রামিং এর চেয়ে ডিএনএর প্রোগ্রামিং অনেকগুন উন্নত। তাহলে এই উন্নত প্রোগ্রামিং কি আপনা আপনি ঘটতে পারে? আদৌ কি সম্ভব? জীববিজ্ঞানী মাইকেল ডেল্টন আমাদের আরো অবাক করা তথ্য দেয়। তিনি বলেন “প্রাণ কোষের অলৌকিক ঘটনা আমাদের গ্রহে প্রাণের আবির্ভাবের অনেক আগে থেকেই, সমস্ত জীবনের এই মৌলিক এককের জন্য প্রকৃতির নিয়মের সূক্ষ্ম ফিটনেসে,প্রকৃতির ক্রমানুসারে,কার্বন-ভিত্তিক কোষের নকশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবী কোষের মূল পারমাণবিক উপাদানগুলির বৈশিষ্ট্যগুলির চেয়ে এই ফিটনেসটি আর কোথাও স্পষ্ট নয়। জীবনের প্রতিটি পরমাণু-কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সহ, সেইসাথে বেশ কিছু ধাতব উপাদান-কোষে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট, অপরিহার্য ভূমিকা পালন করার জন্য সূক্ষ্মভাবে সাজানো অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির একটি স্যুট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তদুপরি,এই বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে কিছু বিশেষভাবে আমাদের মতো উন্নত বায়বীয় জীবের কোষে অপরিহার্য ভূমিকার জন্য উপযুক্ত”। সুতরাং এগুলো আপনা আপনি গঠন হয় কি করে? একটি নির্দীষ্ট পরিকল্পনা ব্যতিরেকে কোষের গঠন এবং তার ধারাবাহিক বিবর্তন কিভাবে ঘটতে পারে? আধুনিক বিজ্ঞান আজোবধি এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই।
প্রিমর্ডিয়াল সুপ থেকে জীবন সৃষ্টির এই তত্ত্বে আমি গত পর্বে আলোচনা করেছি। কিন্তু আপনা আপনি এই স্যুপ তৈরী হয়ে গেলো আর প্রাণ আবির্ভাব ঘটে গেলো সেটি নিয়েও রয়েছে অসংখ্য অসংগতি, রয়েছে বহু ফাটল, গহ্বর, জোড়াতালি। বিজ্ঞানীরাই ঐ প্রশ্ন তুলেছেন ঐসব অসামঞ্জস্য নিয়ে। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেওয়া হল।অসঙ্গতি-১ঃ পৃথিবীর প্রারম্ভিক পরিমণ্ডলে কি অক্সিজেনের অস্তিত্ব ছিল? যদি আবহমণ্ডলে অক্সিজেন থাকত, তাহলে তৈরী হওয়া সরল যৌগগুলি সংবদ্ধ হয়ে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরী হওয়া সম্ভব হতো না। আবার পরিমণ্ডলে অক্সিজেনের উপস্থিতি না থাকলে মহাজাগতিক রশ্মি (cosmic rays) বিকীরণের প্রভাবে তৈরী হওয়ার পরই বিশ্লিষ্ট হয়ে যেত অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি। বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক আবিষ্কার – ৩.৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩৫০ কোটি বছর পুর্বে লোহাতে অক্সাইড পাওয়া গিয়েছে–অতএব ইতিপূর্বেও পরিবেশ ছিল অক্সিজেন।অসঙ্গতি-২ঃ (জৈব তরলের গঠনঃ) অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি জলের মধ্যে ছিল, নাকি বাহিরে? পরিমণ্ডলে অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি গঠিত হওয়ার পর, অনুমান করা হয়েছে যে ঐ অ্যাসিডগুলি কোনোভাবে মহাসাগরের একই স্থানে গিয়ে পড়েছিল – যাতে করে “অর্গানিক স্যুপ” তৈরী হতে পারে। এখন, যদি অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি জলের মধ্যে থাকে, তাহলে তাঁরা সংবদ্ধ হয়ে প্রোটিনগুলি তৈরী হতে পারবে না, কেননা জল বড় অনুগুলিকে ভেঙ্গে দেয় – তাঁদের সংবদ্ধ হতে দেয় না। আর, অ্যাসিডগুলি যদি জলের বাইরে থাকত, তাহলে মহাজাগতিক রশ্মি-বিকিরণের ফলে তাঁরা মূহূর্তেই বিশ্লিষ্ট হয়ে যেত।সুতরাং জৈব তরলের উদ্ভব হতে পারে না কখনই। “অন্য কথায়”, বিবর্তনবাদী ফ্রান্সিস হিচিং বলেন, “জীবন-উদ্ভবের এই বিবর্তন-ধারায় এমনকি এই প্রথম ও অপেক্ষাকৃত সহজ পর্যায়ের ( অ্যামাইনো অ্যাসিড-যৌগ তৈরী) মধ্য দিয়ে আগ্রসর হওয়ার তত্ত্বগত সুযোগও সম্পূর্ণ ক্ষীণ, শুন্য।“ এর অর্থ, নোবেলজয়ী জৈবরসায়নবিদ জর্জ ওয়াল্ডের মতে “এটিই হচ্ছে সবচেয়ে অসমাধানযোগ্য সমস্যা, আমাদের – বিবর্তনবাদীদের যার মুখোমুখি হতে হয়”। - দি অরিজিন অফ লাইফ, জর্জ ওয়ার্ল্ড পৃ-৪৯-৫০।অসঙ্গতি-৩ঃ (জৈব তরল বা অর্গ্যানিক স্যুপে কিভাবে গঠিত হল সুনির্দিষ্ট কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড?) প্রায় ১০০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, এর মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন অনু তৈরীর জন্য প্রয়োজন ২০ টি বিশেষ অ্যামাইনো অ্যাসিডের। কিভাবে ‘আপনা থেকে’ বাছাই হলো? তাছাড়া অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলির দু’ধরণের গঠন গত আণবিক বিন্যাস রয়েছে। কিছু ‘লেফট-হ্যান্ডেড’, কিছু ‘রাইট-হ্যান্ডেড’। যদি আকস্মিকভাবে তাঁরা সংবদ্ধ হতো, তাহলে উভয় ধরনের অ্যাসিডই সেখানে থাকত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি জীবন্ত কোষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন অনু তৈরী করে, সেগুলি সবই লেফট-হ্যান্ডেড। কিভাবে এটি সম্ভব যে ‘আকস্মিকভাবে’ ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে’ ঠিক নির্দিষ্ট ধরণের, নির্দিষ্ট সংখ্যার এবং নির্দিষ্ট আকৃতির অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি সমাবিষ্ট হল জৈব তরলে? পদার্থবিদ জে ডি বার্ণাল স্বীকার করেছেন “আমরা কোনদিনই এটির ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হব না।“ অসঙ্গতি-৪ঃ (কিভাবে ঠিক সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজনীয় প্রোটিনগুলি গঠিত হল?) জীব-কোষের জন্য যে প্রোটিনগুলি প্রয়োজন, সেগুলি গঠনগতভাবে অত্যান্ত জটিল অনু। ২০টি নির্দিষ্ট লেফট-হ্যান্ডেড অ্যামাইনো অ্যাসিড একটি সুনির্দিষ্ট সিকোয়েন্সে বা বিন্যাসে সংবদ্ধ হলেই কেবল জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপন্ন হওয়া সম্ভব। আকস্মিকভাবে এটি কিভাবে সম্ভব? এটার তুলনা করা যেতে পারে সাদা ও লাল এই দুটি রঙের ১০০টি বিভিন্ন ধরনের বীন বা ডালের বড়ো এক স্তূপের সংগে। ডাল-দানাগুলি সম্পূর্ণভাবে মিশ্রিত। এখন, আপনি যদি ঐ স্তূপের মধ্য ঐ থেকে একটি বড় হাতা দিয়ে এক-হাতা ডাল-দানা তুলে আনেন, তাহলে সেগুলি কেমন হবে? প্রোটিন তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় মৌল উপাদানগুলির প্রতীক স্বরূপ নির্দিষ্ট ডাল-দানা পেতে হলে, আপনার হাতে উঠে আসতে হবে কেবল লাল রঙের দানা – একটিও থাকবে না সাদা। এছাড়াও এই লাল রঙের মধ্যেও থাকতে হবে ঠিক সুনির্দিষ্ট ২০টি ভিন্ন ধরনের ডাল-দানা এবং এর প্রত্যেকটিকে আবার ঠিক সুনির্দিষ্ট স্থানে বিন্যস্ত, সংহত থাকতে হবে। প্রোটিনের জগতের নিয়ম অনুযায়ী, উপরোক্ত নিয়মের সামান্য হেরফের হলেই এমন ত্রুটিপূর্ণ প্রোটিন উৎপন্ন হবে যা কাজ করতে পারবে না। হাতাটি নাড়া চাড়া করলেই আমরা কি উপরোক্ত নির্দিষ্ট সংখ্যক দানার শৃঙ্খলাবদ্ধ বিন্যাস পেয়ে যাব? এ যেন সমুদ্রগর্ভে আকস্মিকভাবে তৈরী হলো মুক্তার মালা বাস্তবে তা কখনই সম্ভব নয়। তেমনি, তাহলে বিজ্ঞানীদের কল্পিত ‘অর্গ্যানিক স্যুপে’ সেটি ঘটা সম্ভব হয়েছিল কিভাবে? আকস্মিকভাবে ঘটনাক্রমে যদি এমনকি একটি সরল অনুকেও অর্গ্যানিক স্যুপে তৈরী হতে হয়, তাহলে অংকের নিয়মে সেই সম্ভাবনা কতটা? বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন যে, সেই সম্ভাবনা হচ্ছে ১০^১১৩ – অর্থাৎ ১- এর পর ১১৩ টি শুন্য দিলে হবে। সেই সংখ্যার ১ ভাগ। কত হাজার হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ? ১-এর পর চারলাইন পর পর শূন্য। কল্পনার অতীত, সম্ভাবনাসীমার বাইরে। তুলনীয়ঃ আপনা থেকে উদ্ভব হলো একটি কোয়ার্টজ ঘড়ির।জীব-কোষ তৈরী হতে হলে কিছু প্রোটিন গঠন-কাঠামোগত(স্ট্রকচারাল) উপদান হিসেবে কাজ করে এবং অন্যান্য কিছু প্রোটিন নানা এনজাইম হিসাবে কাজ করে। এনজাইমগুলি কোষের রাসায়নিক বিক্রিয়া ত্বরান্বিত ক্রএ। এনজাইমের এই সহায়তা ছাড়া কোষের উদ্ভব অসম্ভব – কোষের মৃত্যু হত অনিবার্য। এইভাবে প্রোটিন অনুগুলির নানা বিন্যাসে দুভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়াটা যদি আপনা থেকেই ঘটতে হয়, তাহলে তার সম্ভাবনার হার কত? ১০^৪০০০০ অর্থাৎ ১- এর পর ৪০ হাজার শূন্য।গণিতবিদদের মত অনুসারে, যে ঘটনা ঘটার সম্ভাবনার হার ঠিক ১০^৫০- এর ১ ভাগ পেরোলেই তা ঘটার আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তাহলে ১ – এর পর ১১৩ টি শুন্য ভাগের এক ভাগ? গণিতিক নিয়মে অসম্ভব (‘ম্যাথেম্যাটিক্যাল ইম্পসিবিলিটি’)। বিজ্ঞানীদের হিসেব মতো ব্রহ্মাণ্ডে যত পরমানু আছে, এই সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। সুতরাং অর্গানিক স্যুপ তৈরী হয়েছিলো প্রাণ আর্বিভাব হয়েছিলো। কিন্তু এগুলো আপনা আপনি হয় নাই। এগুলো একটি প্রক্রিয়ায় একজন ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনারের তত্ত্বাবধানে এগুলো সৃষ্টি হয়েছিলো।
২| ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৪
যামিনী সুধা বলেছেন:
পড়ে ভালো লাগলো; আপনি দেশকে গাজা, সুদান ও ইয়েমেনের লেভেলে নিতে চাচ্ছেন?
৩| ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: কোরান প্রথমে মুখস্ত করে রখতো।পরে দেখাগেলো জনে জনে আলাদা ভাবে বলছে।তখন খেজুর পাতায় লিখে রাখার চেষ্টা হয়।কিছু আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলে।তখন ওসমান সংরক্ষণ করেন।
ভূল ভাল সংরক্ষনের কথা বলে ওসমানকে হত্যা করে আবুবকরের ছেলে সহ করেক জন।ছাপা খানা চালু হলে মিশরে ছাপা হয় প্রথম।যেটা এখন আমরা পড়ছি।এটাই বিবর্তন।বিবর্তন মানে পরিবর্তন।
১২ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এসব কথা আপনাকে কে বলেছে? ভাই? জাল হাদীস কি বানানো হয়েছে? নাকি? ওসমান তো আল কোরআন নিয়ে হত্যার শিকার হয় নাই। ইসলামের ইতিহাস ভালো করে পড়েন। আরো জানার চেষ্টা করুন।
৪| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সারা জীবন কোনআন স্পর্শ না করেও একজন মানুষ সুন্দর বেঁচে থাকতে পারে।
৫| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
নতুন বলেছেন: এই ব্লগে লেখক কি কি গোজামিল দিয়েছেন? এর বিরুদ্ধে কি জবাব দেওয়া যায়? একটা জবাব দাও।:-
এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিলিপি তৈরীকরণ ক্ষমতা ভারী অনুর মধ্যে কিভাবে এলো? আমরা এর ব্যাক্ষা কিভাবে পেতে পারি? আমি আমার পূর্বের পর্বে এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠিয়ে ছিলাম। জীববিজ্ঞানী রাসেল স্পষ্ট ভাষায় বলছে প্রথমে কোষ মৃত ছিলো পরে তাতে প্রান সংযোজন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা উপলব্ধি করলেন ‘প্রাণ’ শক্তিটি কোন কোন পদার্থের সম্মিলিত রাসায়নিক ক্রিয়ায় উদ্ভূত একটি অভিনব শক্তি । আসলেও কি প্রাণ শক্তিটি পৃথিবীতে উদ্ভব নাকি মহাকাশ থেকে আসা কোন এক উপাদান পৃথিবীর উদ্ভাবিত কোষে সংযোজিত হয়ে প্রাণ সৃষ্টি করে? নাকি পৃথিবীর আদি অবস্থায় তাপ, আলো, বায়ুচাপ, জলবায়ুর উপাদান ইত্যাদির পরিমাণ প্রাণ সৃষ্টির অনুকূল ছিল বলে তখন প্রাণের উদ্ভব সম্ভব হয়েছিল? জীববিজ্ঞানীদের এজাতীয় মন্তব্য বা প্রতিটি তত্ত্ব মেনে নিলেও কিছু কিছু বিষয়বস্তু আমাদের প্রশ্নের সম্মুখিন করে তোলে! প্রথম প্রশ্নটি হলো একটি জীবনকে সম্ভব করার জন্য জীন এবং ডিএনএর যে রহস্যময় কারুকাজ তা কি করে সম্ভব এই প্রশ্ন করেছিলেন বিশিষ্ট নাস্তিক বিজ্ঞানি ফ্লিও। তিনি বলেন “আমি মনে করি ডিএনএ তে বিদ্যমান এই বহুমাত্রিক মৌলিক উপাদানকে একটি সুবিন্যস্ত পরিসরে সাজানোর পিছনে অবশ্যই একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বার অস্তিত্ব রয়েছে। এ বহুমাত্রিক জটিল বিন্যাস আমাকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করেছে যে, অবশ্যই তা এক বুদ্ধিমান সত্ত্বার কাজ”। আবার বিশিষ্ট বিজ্ঞানবাদী স্টিফেন সি মেয়ার ঠিক একই ভাষায় কথা বলছেন। তিনি বলেন “জীববিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে মহাবিশ্বটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে, ডিএনএতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে জিনগত তথ্য অবশ্যই জীবনকে সম্ভব করার জন্য উত্থিত হয়েছিল। স্টিফেন সি মায়ারের কথা আমাদের বুঝতে শেখায় যে এত জটিল ডিএনএর প্রোগ্রামিং কিভাবে আপনা আপনি সম্ভব হলো? একটি কোষকে সৃষ্টি করার জন্য প্রাণ স্থাপিত করার জন্য এত জটিল প্রোগ্রামিং কি করে আপনা আপনি ঘটলো? যেখানে মাইক্রোসফ্ট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে সেরা সফটওয়্যারটির প্রোগ্রামিং এর চেয়ে ডিএনএর প্রোগ্রামিং অনেকগুন উন্নত। তাহলে এই উন্নত প্রোগ্রামিং কি আপনা আপনি ঘটতে পারে? আদৌ কি সম্ভব? জীববিজ্ঞানী মাইকেল ডেল্টন আমাদের আরো অবাক করা তথ্য দেয়। তিনি বলেন “প্রাণ কোষের অলৌকিক ঘটনা আমাদের গ্রহে প্রাণের আবির্ভাবের অনেক আগে থেকেই, সমস্ত জীবনের এই মৌলিক এককের জন্য প্রকৃতির নিয়মের সূক্ষ্ম ফিটনেসে,প্রকৃতির ক্রমানুসারে,কার্বন-ভিত্তিক কোষের নকশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবী কোষের মূল পারমাণবিক উপাদানগুলির বৈশিষ্ট্যগুলির চেয়ে এই ফিটনেসটি আর কোথাও স্পষ্ট নয়। জীবনের প্রতিটি পরমাণু-কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সহ, সেইসাথে বেশ কিছু ধাতব উপাদান-কোষে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট, অপরিহার্য ভূমিকা পালন করার জন্য সূক্ষ্মভাবে সাজানো অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির একটি স্যুট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তদুপরি,এই বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে কিছু বিশেষভাবে আমাদের মতো উন্নত বায়বীয় জীবের কোষে অপরিহার্য ভূমিকার জন্য উপযুক্ত”। সুতরাং এগুলো আপনা আপনি গঠন হয় কি করে? একটি নির্দীষ্ট পরিকল্পনা ব্যতিরেকে কোষের গঠন এবং তার ধারাবাহিক বিবর্তন কিভাবে ঘটতে পারে? আধুনিক বিজ্ঞান আজোবধি এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই।
প্রিমর্ডিয়াল সুপ থেকে জীবন সৃষ্টির এই তত্ত্বে আমি গত পর্বে আলোচনা করেছি। কিন্তু আপনা আপনি এই স্যুপ তৈরী হয়ে গেলো আর প্রাণ আবির্ভাব ঘটে গেলো সেটি নিয়েও রয়েছে অসংখ্য অসংগতি, রয়েছে বহু ফাটল, গহ্বর, জোড়াতালি। বিজ্ঞানীরাই ঐ প্রশ্ন তুলেছেন ঐসব অসামঞ্জস্য নিয়ে। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেওয়া হল।অসঙ্গতি-১ঃ পৃথিবীর প্রারম্ভিক পরিমণ্ডলে কি অক্সিজেনের অস্তিত্ব ছিল? যদি আবহমণ্ডলে অক্সিজেন থাকত, তাহলে তৈরী হওয়া সরল যৌগগুলি সংবদ্ধ হয়ে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরী হওয়া সম্ভব হতো না। আবার পরিমণ্ডলে অক্সিজেনের উপস্থিতি না থাকলে মহাজাগতিক রশ্মি (cosmic rays) বিকীরণের প্রভাবে তৈরী হওয়ার পরই বিশ্লিষ্ট হয়ে যেত অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি। বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক আবিষ্কার – ৩.৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩৫০ কোটি বছর পুর্বে লোহাতে অক্সাইড পাওয়া গিয়েছে–অতএব ইতিপূর্বেও পরিবেশ ছিল অক্সিজেন।অসঙ্গতি-২ঃ (জৈব তরলের গঠনঃ) অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি জলের মধ্যে ছিল, নাকি বাহিরে? পরিমণ্ডলে অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি গঠিত হওয়ার পর, অনুমান করা হয়েছে যে ঐ অ্যাসিডগুলি কোনোভাবে মহাসাগরের একই স্থানে গিয়ে পড়েছিল – যাতে করে “অর্গানিক স্যুপ” তৈরী হতে পারে। এখন, যদি অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি জলের মধ্যে থাকে, তাহলে তাঁরা সংবদ্ধ হয়ে প্রোটিনগুলি তৈরী হতে পারবে না, কেননা জল বড় অনুগুলিকে ভেঙ্গে দেয় – তাঁদের সংবদ্ধ হতে দেয় না। আর, অ্যাসিডগুলি যদি জলের বাইরে থাকত, তাহলে মহাজাগতিক রশ্মি-বিকিরণের ফলে তাঁরা মূহূর্তেই বিশ্লিষ্ট হয়ে যেত।সুতরাং জৈব তরলের উদ্ভব হতে পারে না কখনই। “অন্য কথায়”, বিবর্তনবাদী ফ্রান্সিস হিচিং বলেন, “জীবন-উদ্ভবের এই বিবর্তন-ধারায় এমনকি এই প্রথম ও অপেক্ষাকৃত সহজ পর্যায়ের ( অ্যামাইনো অ্যাসিড-যৌগ তৈরী) মধ্য দিয়ে আগ্রসর হওয়ার তত্ত্বগত সুযোগও সম্পূর্ণ ক্ষীণ, শুন্য।“ এর অর্থ, নোবেলজয়ী জৈবরসায়নবিদ জর্জ ওয়াল্ডের মতে “এটিই হচ্ছে সবচেয়ে অসমাধানযোগ্য সমস্যা, আমাদের – বিবর্তনবাদীদের যার মুখোমুখি হতে হয়”। - দি অরিজিন অফ লাইফ, জর্জ ওয়ার্ল্ড পৃ-৪৯-৫০।অসঙ্গতি-৩ঃ (জৈব তরল বা অর্গ্যানিক স্যুপে কিভাবে গঠিত হল সুনির্দিষ্ট কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড?) প্রায় ১০০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, এর মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন অনু তৈরীর জন্য প্রয়োজন ২০ টি বিশেষ অ্যামাইনো অ্যাসিডের। কিভাবে ‘আপনা থেকে’ বাছাই হলো? তাছাড়া অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলির দু’ধরণের গঠন গত আণবিক বিন্যাস রয়েছে। কিছু ‘লেফট-হ্যান্ডেড’, কিছু ‘রাইট-হ্যান্ডেড’। যদি আকস্মিকভাবে তাঁরা সংবদ্ধ হতো, তাহলে উভয় ধরনের অ্যাসিডই সেখানে থাকত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি জীবন্ত কোষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন অনু তৈরী করে, সেগুলি সবই লেফট-হ্যান্ডেড। কিভাবে এটি সম্ভব যে ‘আকস্মিকভাবে’ ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে’ ঠিক নির্দিষ্ট ধরণের, নির্দিষ্ট সংখ্যার এবং নির্দিষ্ট আকৃতির অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি সমাবিষ্ট হল জৈব তরলে? পদার্থবিদ জে ডি বার্ণাল স্বীকার করেছেন “আমরা কোনদিনই এটির ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হব না।“ অসঙ্গতি-৪ঃ (কিভাবে ঠিক সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজনীয় প্রোটিনগুলি গঠিত হল?) জীব-কোষের জন্য যে প্রোটিনগুলি প্রয়োজন, সেগুলি গঠনগতভাবে অত্যান্ত জটিল অনু। ২০টি নির্দিষ্ট লেফট-হ্যান্ডেড অ্যামাইনো অ্যাসিড একটি সুনির্দিষ্ট সিকোয়েন্সে বা বিন্যাসে সংবদ্ধ হলেই কেবল জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপন্ন হওয়া সম্ভব। আকস্মিকভাবে এটি কিভাবে সম্ভব? এটার তুলনা করা যেতে পারে সাদা ও লাল এই দুটি রঙের ১০০টি বিভিন্ন ধরনের বীন বা ডালের বড়ো এক স্তূপের সংগে। ডাল-দানাগুলি সম্পূর্ণভাবে মিশ্রিত। এখন, আপনি যদি ঐ স্তূপের মধ্য ঐ থেকে একটি বড় হাতা দিয়ে এক-হাতা ডাল-দানা তুলে আনেন, তাহলে সেগুলি কেমন হবে? প্রোটিন তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় মৌল উপাদানগুলির প্রতীক স্বরূপ নির্দিষ্ট ডাল-দানা পেতে হলে, আপনার হাতে উঠে আসতে হবে কেবল লাল রঙের দানা – একটিও থাকবে না সাদা। এছাড়াও এই লাল রঙের মধ্যেও থাকতে হবে ঠিক সুনির্দিষ্ট ২০টি ভিন্ন ধরনের ডাল-দানা এবং এর প্রত্যেকটিকে আবার ঠিক সুনির্দিষ্ট স্থানে বিন্যস্ত, সংহত থাকতে হবে। প্রোটিনের জগতের নিয়ম অনুযায়ী, উপরোক্ত নিয়মের সামান্য হেরফের হলেই এমন ত্রুটিপূর্ণ প্রোটিন উৎপন্ন হবে যা কাজ করতে পারবে না। হাতাটি নাড়া চাড়া করলেই আমরা কি উপরোক্ত নির্দিষ্ট সংখ্যক দানার শৃঙ্খলাবদ্ধ বিন্যাস পেয়ে যাব? এ যেন সমুদ্রগর্ভে আকস্মিকভাবে তৈরী হলো মুক্তার মালা বাস্তবে তা কখনই সম্ভব নয়। তেমনি, তাহলে বিজ্ঞানীদের কল্পিত ‘অর্গ্যানিক স্যুপে’ সেটি ঘটা সম্ভব হয়েছিল কিভাবে? আকস্মিকভাবে ঘটনাক্রমে যদি এমনকি একটি সরল অনুকেও অর্গ্যানিক স্যুপে তৈরী হতে হয়, তাহলে অংকের নিয়মে সেই সম্ভাবনা কতটা? বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন যে, সেই সম্ভাবনা হচ্ছে ১০^১১৩ – অর্থাৎ ১- এর পর ১১৩ টি শুন্য দিলে হবে। সেই সংখ্যার ১ ভাগ। কত হাজার হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ? ১-এর পর চারলাইন পর পর শূন্য। কল্পনার অতীত, সম্ভাবনাসীমার বাইরে। তুলনীয়ঃ আপনা থেকে উদ্ভব হলো একটি কোয়ার্টজ ঘড়ির।জীব-কোষ তৈরী হতে হলে কিছু প্রোটিন গঠন-কাঠামোগত(স্ট্রকচারাল) উপদান হিসেবে কাজ করে এবং অন্যান্য কিছু প্রোটিন নানা এনজাইম হিসাবে কাজ করে। এনজাইমগুলি কোষের রাসায়নিক বিক্রিয়া ত্বরান্বিত ক্রএ। এনজাইমের এই সহায়তা ছাড়া কোষের উদ্ভব অসম্ভব – কোষের মৃত্যু হত অনিবার্য। এইভাবে প্রোটিন অনুগুলির নানা বিন্যাসে দুভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়াটা যদি আপনা থেকেই ঘটতে হয়, তাহলে তার সম্ভাবনার হার কত? ১০^৪০০০০ অর্থাৎ ১- এর পর ৪০ হাজার শূন্য।গণিতবিদদের মত অনুসারে, যে ঘটনা ঘটার সম্ভাবনার হার ঠিক ১০^৫০- এর ১ ভাগ পেরোলেই তা ঘটার আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তাহলে ১ – এর পর ১১৩ টি শুন্য ভাগের এক ভাগ? গণিতিক নিয়মে অসম্ভব (‘ম্যাথেম্যাটিক্যাল ইম্পসিবিলিটি&rsquo। বিজ্ঞানীদের হিসেব মতো ব্রহ্মাণ্ডে যত পরমানু আছে, এই সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। সুতরাং অর্গানিক স্যুপ তৈরী হয়েছিলো প্রাণ আর্বিভাব হয়েছিলো। কিন্তু এগুলো আপনা আপনি হয় নাই। এগুলো একটি প্রক্রিয়ায় একজন ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনারের তত্ত্বাবধানে এগুলো সৃষ্টি হয়েছিলো।
৬| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
নতুন বলেছেন:
আপনার ব্লগের লেখায় গ্রোকে দিয়ে সেটাতে সম্ভাব্য কি কি গোজামিল থাকতে পারে খুজলে বলেছিলাম। নিচে গ্রোকের জবাব। :-
### লেখকের ব্লগে সম্ভাব্য গোজামিল (Distortions)
লেখক রাশিদুল ইসলাম লাবলু তার ব্লগে প্রাণের উদ্ভব এবং ডিএনএ-র জটিলতা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে তিনি ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন (ID) তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তবে, এতে বেশ কিছু গোজামিল বা বিকৃতি রয়েছে:
1. **বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জন**:
- লেখক দাবি করেছেন যে জীববিজ্ঞানী রাসেল বলেছেন, "প্রথমে কোষ মৃত ছিল, পরে তাতে প্রাণ সংযোজন হয়েছে।" এটি একটি অস্পষ্ট ও ভুল ব্যাখ্যা। বৈজ্ঞানিকভাবে, কোষের উদ্ভব নিয়ে আলোচনা হয় অ্যাবায়োজেনেসিস (abiogenesis) তত্ত্বের আলোকে, যেখানে বলা হয় জৈব অণু থেকে ধীরে ধীরে জীবনের উদ্ভব হয়েছে। "মৃত কোষে প্রাণ সংযোজন" ধারণাটি বৈজ্ঞানিক নয়, বরং ধর্মীয় বা দার্শনিক।
- লেখক বলেছেন, "প্রাণ শক্তি পৃথিবীতে উদ্ভূত নয়, মহাকাশ থেকে এসেছে।" এটি প্যানস্পার্মিয়া (panspermia) তত্ত্বের একটি অতিরঞ্জিত রূপ, যা বৈজ্ঞানিকভাবে এখনো প্রমাণিত নয়। এটি একটি অনুমান মাত্র, কিন্তু লেখক এটিকে প্রায় নিশ্চিতভাবে উপস্থাপন করেছেন।
2. **বিজ্ঞানীদের বক্তব্যের বিকৃতি**:
- লেখক ফ্লিও নামক একজন "বিশিষ্ট নাস্তিক বিজ্ঞানী" এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে ডিএনএ-র জটিলতা একজন "বুদ্ধিমান সত্তা"র কাজ। কিন্তু এই ফ্লিও নামে কোনো বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি সম্ভবত একটি বানোয়াট উদ্ধৃতি বা ভুল তথ্য।
- স্টিফেন সি. মেয়ারের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও অসম্পূর্ণ। মেয়ার ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন আন্দোলনের একজন সমর্থক, এবং তার দাবিগুলো বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ে ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। লেখক এটি উল্লেখ করেননি, যা পাঠকের কাছে একপক্ষীয় ধারণা দেয়।
- বিল গেটসের উদ্ধৃতি ("ডিএনএ-র প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারের চেয়ে উন্নত" সঠিক হলেও, এটি ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা ভুল। গেটস এটি রূপক হিসেবে বলেছিলেন, ডিজাইনারের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য নয়।
3. **বিবর্তন তত্ত্বের বিরুদ্ধে অসঙ্গতি উপস্থাপন**:
- লেখক প্রিমর্ডিয়াল স্যুপ তত্ত্বের কিছু অসঙ্গতি (যেমন, অক্সিজেনের উপস্থিতি, অ্যামিনো অ্যাসিডের সংযোজন) তুলে ধরেছেন, যা আংশিকভাবে সঠিক। তবে, তিনি এটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন এই অসঙ্গতিগুলো বিবর্তন তত্ত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। বাস্তবে, বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন এবং বিকল্প তত্ত্ব (যেমন, হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট হাইপোথিসিস) প্রস্তাব করেছেন।
- লেখক বলেছেন, "অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো শুধু লেফট-হ্যান্ডেড হবে কেন?" এটি একটি বৈধ প্রশ্ন, কিন্তু এর উত্তর নিয়ে গবেষণা রয়েছে। কিছু গবেষণা বলে যে পৃথিবীর প্রাথমিক অবস্থায় নির্দিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং পরিবেশগত কারণে লেফট-হ্যান্ডেড অ্যামিনো অ্যাসিড পছন্দ হয়েছিল। লেখক এই গবেষণাগুলো উপেক্ষা করেছেন।
4. **গাণিতিক সম্ভাবনার অপব্যবহার**:
- লেখক দাবি করেছেন যে প্রোটিন গঠনের সম্ভাবনা ১০^১১৩ বা ১০^৪০০০০, যা গাণিতিকভাবে "অসম্ভব।" এটি একটি সাধারণ যুক্তি যা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন সমর্থকরা ব্যবহার করেন। কিন্তু এই হিসাব ভুল। প্রাণের উদ্ভব আকস্মিক নয়, বরং কয়েক বিলিয়ন বছর ধরে ধীরে ধীরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটেছে। সময় এবং পরিবেশের ভূমিকাকে উপেক্ষা করে এই সম্ভাবনা হিসাব করা অবৈজ্ঞানিক।
5. **বৈজ্ঞানিক ঐকমত্যের উপেক্ষা**:
- লেখক বলেছেন, "আধুনিক বিজ্ঞান এখনো এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।" এটি ভুল। অ্যাবায়োজেনেসিস এবং বিবর্তন নিয়ে গবেষণা চলমান, এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে, যেমন হাইড্রোথার্মাল ভেন্টে জৈব অণুর গঠন। লেখক এই অগ্রগতিগুলো উল্লেখ করেননি, যা পাঠকের কাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
---
### বিরুদ্ধে জবাব (Counter-Response)
লেখকের ব্লগ পোস্টে বৈজ্ঞানিক তথ্যের বিকৃতি এবং একপক্ষীয় উপস্থাপনার বিরুদ্ধে নিচে একটি যুক্তিসংগত জবাব দেওয়া হলো:
---
মাননীয় রাশিদুল ইসলাম লাবলু, আপনার ব্লগে প্রাণের উদ্ভব এবং ডিএনএ-র জটিলতা নিয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা পড়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। আপনি ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, কিন্তু এতে বেশ কিছু ভুল ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যের অপব্যবহার রয়েছে।
প্রথমত, আপনি বলেছেন যে জীববিজ্ঞানী রাসেল দাবি করেছেন "কোষ মৃত ছিল, পরে প্রাণ সংযোজন হয়েছে।" এটি বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক নয়। প্রাণের উদ্ভব নিয়ে অ্যাবায়োজেনেসিস তত্ত্ব বলে যে জৈব অণু (যেমন, অ্যামিনো অ্যাসিড) ধীরে ধীরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনের প্রাথমিক রূপে পরিণত হয়েছে। এটি কোনো "মৃত কোষে প্রাণ সংযোজন" নয়, বরং একটি ধীর প্রক্রিয়া, যা পৃথিবীর প্রাথমিক পরিবেশে (যেমন, হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট) ঘটতে পারে।
দ্বিতীয়ত, আপনি ফ্লিও নামক একজন "নাস্তিক বিজ্ঞানী" এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন, কিন্তু এই নামে কোনো বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি আপনার যুক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এমনকি স্টিফেন সি. মেয়ারের বক্তব্য উল্লেখ করলেও, আপনি বলেননি যে তার ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ে ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যাত। বিজ্ঞানীরা এটিকে ধর্মীয় ধারণার পুনঃপ্রকাশ হিসেবে দেখেন, কারণ এটি কোনো পরীক্ষণযোগ্য প্রমাণ দিতে পারে না।
তৃতীয়ত, আপনি প্রিমর্ডিয়াল স্যুপ তত্ত্বের অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন, যেমন অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অ্যামিনো অ্যাসিডের সংযোজন নিয়ে সমস্যা। এগুলো বৈধ প্রশ্ন, কিন্তু আপনি উপেক্ষা করেছেন যে বিজ্ঞানীরা বিকল্প তত্ত্ব নিয়ে কাজ করছেন। উদাহরণস্বরূপ, হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট হাইপোথিসিস বলে যে গভীর সমুদ্রের তাপ উৎসে জৈব অণু গঠিত হতে পারে, যেখানে অক্সিজেনের প্রভাব কম। আপনি শুধু সমস্যা তুলে ধরেছেন, সমাধানের প্রচেষ্টাগুলো উল্লেখ করেননি।
চতুর্থত, আপনি গাণিতিক সম্ভাবনার (১০^১১৩ বা ১০^৪০০০০) উল্লেখ করে বলেছেন যে প্রোটিন গঠন আকস্মিকভাবে অসম্ভব। এটি একটি ভুল ধারণা। প্রাণের উদ্ভব আকস্মিক নয়, বরং কয়েক বিলিয়ন বছর ধরে অসংখ্য রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল। সময়, পরিবেশ, এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ভূমিকা উপেক্ষা করে এই সম্ভাবনা হিসাব করা অবৈজ্ঞানিক।
অবশেষে, আপনি বলেছেন যে "আধুনিক বিজ্ঞান এখনো এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।" এটি সত্য নয়। অ্যাবায়োজেনেসিস নিয়ে গবেষণা অগ্রসর হচ্ছে, এবং ডিএনএ-র জটিলতা বিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক আরএনএ অণু (RNA World Hypothesis) প্রাণের উদ্ভবের একটি সম্ভাব্য পথ দেখায়। আপনার ব্লগে এই গবেষণাগুলো উপেক্ষা করে শুধু ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া একপক্ষীয়।
ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন একটি ধর্মীয় বিশ্বাস হতে পারে, কিন্তু এটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নয়, কারণ এটি কোনো পরীক্ষণযোগ্য প্রমাণ দিতে পারে না। বিজ্ঞান প্রশ্নের উত্তর খোঁজে, আর বিশ্বাস সেখানে থামিয়ে দেয়। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি বৈজ্ঞানিক তথ্যের আরও সঠিক ও নিরপেক্ষ উপস্থাপন করবেন।
---
এই জবাবটি লেখকের ভুল ব্যাখ্যা এবং একপক্ষীয় উপস্থাপনার বিরুদ্ধে যুক্তিসংগতভাবে সাড়া দেয়, এবং বিজ্ঞানের বর্তমান অগ্রগতি তুলে ধরে।
১২ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: **বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জন**:
- লেখক দাবি করেছেন যে জীববিজ্ঞানী রাসেল বলেছেন, "প্রথমে কোষ মৃত ছিল, পরে তাতে প্রাণ সংযোজন হয়েছে।" এটি একটি অস্পষ্ট ও ভুল ব্যাখ্যা। বৈজ্ঞানিকভাবে, কোষের উদ্ভব নিয়ে আলোচনা হয় অ্যাবায়োজেনেসিস (abiogenesis) তত্ত্বের আলোকে, যেখানে বলা হয় জৈব অণু থেকে ধীরে ধীরে জীবনের উদ্ভব হয়েছে। "মৃত কোষে প্রাণ সংযোজন" ধারণাটি বৈজ্ঞানিক নয়, বরং ধর্মীয় বা দার্শনিক। - লেখক বলেছেন, "প্রাণ শক্তি পৃথিবীতে উদ্ভূত নয়, মহাকাশ থেকে এসেছে।" এটি প্যানস্পার্মিয়া (panspermia) তত্ত্বের একটি অতিরঞ্জিত রূপ, যা বৈজ্ঞানিকভাবে এখনো প্রমাণিত নয়। এটি একটি অনুমান মাত্র, কিন্তু লেখক এটিকে প্রায় নিশ্চিতভাবে উপস্থাপন করেছেন।
রাসেল বললেন যে সাগরতলের ফাটলের চারপাশে একটি তাপীয় তারতম্য (thermal gradient) তৈরি হয় যার বাহিরে ঠান্ডা ও কেন্দ্রে উষ্ণ। এই তাপীয় তারতম্য থার্মোফোরেসিস নামক একটি তাপীয়-পরিচলন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। থার্মোফোরেসিস বৃহৎ জৈব-অণুকে কুঠুরীতে আটকে ফেলে সুগার, অ্যামিনো এসিড, লিপিড ও নিউক্লিয়োটাইডের মতো জীবনের জৈব-ইট তৈরিতে উদ্দীপনা দিতে পারে। গভীর সাগরতলের ভীষণ চাপ ও ফাটল থেকে বের হওয়া উষ্ণ প্রস্রবণের উচ্চতাপে এধরনের জৈব-ইট একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহত্তর ও জটিল অণু গঠন করে। রাসেল ও মার্টিনের অনুকল্প অনুসারে, এর পরপরেই বংশগতির উপাদান নির্মিত হওয়া শুরু করলো। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জটিল জৈব-অণুর ঘন সরবরাহের সুযোগ নিয়েছিলো নবনির্মিত বংশগতির উপাদান। স্বপ্রতিলিপিকারী রাসায়নিক ব্যবস্থা শিলার এক কুঠুরী থেকে অন্যটিতে ছিদ্র দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে আরম্ভ করলো। এসব ছিদ্রাকার-শিলা সমান তালে নতুন নতুন কুঠুরি বানাতে থাকলো আর নব্য-প্রাণের উপনিবেশ তৈরির অঞ্চলের আওতাও বাড়তে থাকলো। এখান থেকেই প্রথম কোষের উদয় ঘটে। রাসেলের মতে একমাত্র যৌক্তিক ব্যাখ্যা হলো: “প্রাণের উদ্ভব আসলে একটা ভূতাত্ত্বীক ঘটনা। এভাবে যদি আপনি বিষয়টা না দেখেন তাহলে আপনি একটি মনগড়া প্রাথমিক শর্ত তৈরি করে ফেলবেন।”
আসলে প্রাণ কাকে বলে? ভাই আমি পরে লিখবো খুবই ব্যাস্ত
১৫ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্যান্সপার্মিয়া যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব তার অর্সংখ্য প্রমান বিদ্যমান। পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের প্রমাণ পাওয়া যায় ৩৫০-৩৮০ কোটি বছর আগের মাইক্রোফসিল রেকর্ড হতে। এই মাইক্রোফসিল রেকর্ড হচ্ছে এককোষী অণুজীবের, যাদের সরাসরি উত্তরসূরী আজকের নানা রকমের ব্যাক্টেরিয়া ও আর্কিয়ারা। এই সময়ের আগে পৃথিবীর উপর মহাকাশ থেকে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ চলেছিলো বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। না, ভিনগ্রহের প্রাণীরা নয়, এই গোলাবর্ষণ ছিলো আসলে মুষলধারে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকা অজস্র উল্কার পতন। এই উল্কাবৃষ্টির শেষের সময়ের সাথে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উদ্ভবের সময়টা মিলে যায়। ব্যাপক উল্কাবৃষ্টির যুগ ও প্রাণের উদ্ভবের সময় মিলে যাওয়ার এই উপপত্তি (Argument) তাই প্যান্সপারমিয়াকে একটি যৌক্তিক ভিত্তি দেয়। তাছাড়া এই উল্কাপাত যুগের আগে যদি পৃথিবীতে প্রাণ থেকেও থাকে, এ রকম দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা ভয়াবহ উল্কাবৃষ্টির ফলে তা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। এই বক্তব্যও প্যান্সপারমিয়াকেই সমর্থন করে।
৭| ১২ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: দ্বিতীয়ত, আপনি ফ্লিও নামক একজন "নাস্তিক বিজ্ঞানী" এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন, কিন্তু এই নামে কোনো বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি আপনার যুক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
ফ্লিও ছিলেন একজন সায়েন্টিফিক ফিলোসোফার। তার সম্পর্কে সকলের জানে আর আপনি জানলেন না।
Antony Flew (born Feb. 11, 1923, London, Eng.—died April 8, 2010, Reading) was an English philosopher who became a prominent defender of atheism but later declared himself a deist.
https://www.britannica.com/biography/Antony-Flew
৮| ১৫ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন:
কিছু উল্কাপিণ্ডে নাসার বিজ্ঞানীরা নিউক্লিক-এসিড ক্ষারের সন্ধান পেয়েছেন। এসব নিউক্লিক-এসিড ক্ষার হলো বংশগতীয় উপাদান – ডিএনএ ও আরএনএ-র অন্যতম গাঠনিক একক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:১৭
অপলক বলেছেন: চমৎকার। ভাল লাগছে। এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেললাম। আরও চাই...