নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জীবনের মূল্য নেই। সবার মাঝে বিলিন হতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। কান্না নিজের জন্য আর হাসি সবার জন্য।

ইসমাঈল আযহার

মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।

ইসমাঈল আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসে প্রথমবার অন্যরকম এক রমজান

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৪



একটি বছর ঘুরে আবারও রহমাত, বরকত ও নাজাত নিয়ে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। এ মাস মুসলিমদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার। রাসুল স. সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন, এ মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয়।

অন্যান্য বছর থেকে এবছর রমজান মাস অনেকটা ভিন্ন আমেজে কাটবে মুসলিম উম্মাহর। ইতিহাসে এমন রমজান এই প্রথম। এবার মসজিদগুলোতে দেখা যাবে না আগের মতো তারাবি নামাজ, জমজমাট আয়োজন করে ইফতার ও ইবাদাতের দৃশ্য।

রমজান মাসে সাধারণত যোহরের নামাজের ওয়াক্ত থেকেই মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শুধু বড়রা নয়, কোরআন বুকে নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হয় মহল্লার ছেলে-মেয়েরা। তারা কোরআন খতম করে এবং এর সওয়াব মাসের শেষ দিকে ইমাম সাহেবের দ্বারা তাদের মৃত আত্মীয়-স্বজনদের নামে উৎসর্গ করা হয়।

এই মাসে বড়দের সঙ্গে মসজিদে ছোটদের ব্যাপক উপস্থিতি বেড়ে যায়। ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই তারা মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে আদায় করে। বাবার হাত ধরে শিশুরা জামা টুপি পরে সুগন্ধি আতর লাগিয়ে উপস্থিত হয় মসজিদে। শুধু তাই নয়, অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও রোজা পালন করে।

মসজিদের মেম্বার থেকে ইসলামের অমীয় বাণী শোনান ইমামগণ। ইফতার ও তারাবির আগে অনুষ্ঠিত হয় সম্মিলিত দোয়ার আয়োজন। এমন ইবাদাতে প্রশান্তি খুঁজে পান ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার মসজিদগুলোতে আর জমজমাট ইবাদাতের দৃশ দেখা যাবে না। দেখা যাবে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে নামাজ আদায় ও সম্মিলিত ইফতারের সেই দৃশ্য। শাব্দিক অর্থেই মসজিদগুলোকে দেখা যাবে নির্জীব। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তারাবি নামাজে অংশ পারবেন মাত্র ১২ জন মুসল্লির।

রমজানে মসজিদে নামাজ আদায়, সম্মিলিত ইফতার ও কোরআন তেলাওয়াতের মতো ইবাদগুলো করতে পারবেন না দেখে মন খারাপ করছেন সব শ্রেণির মানুষ। আমাদের এভাবে মন খারাপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদেরকে ঘরেই কোরআন পাঠ, তারাবি আদায়, তাসবিহ আদায়সহ সব ইবাদাত চালিয়ে যেতে হবে। রমজান মাস দোয়া কবুলের মাসও। অতএব এ মাসে আমাদের বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা করোনাভাইরাসের এই বিপদ থেকে দ্রুত আমাদের উঠিয়ে নেন। আমীন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনা মানুষের কিডনী ও ফুসফুস আক্রমণ করে; মানুষ রোজা রাখলে ডি-হাইড্রেশনে ভুগবে; এরপর যদি করোনা হয়, উহা হবে ভয়ংকর; এবার রোজা রাখাটা ভুল হবে।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: চাঁদ সাহেব, আপনার না ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ? সেটাতো মনে হয় মিথ্যে।আপনিতো মনে হইতেছে ডাকদর।আমেরিকায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ যে মারা গেলো আর সারা পৃথিবীতে দুই লক্ষ তারা কি কোভিড -১৯ হয়ে মারা গেলো রোজা রেখে ডিহাইড্রেশনের জন্য ? 'কুল্লু নাফসুন্ যায়েকাতুল মাউত' কথাটা মনে রাখুন তাহলে কিছুটা শান্তি লাগতে পারে । রোজা রাখার জন্য কেউ ডিহাইড্রেশনে মারা যাবে না।সেহেরির সময় পানি খাওয়াতে ইফতার পর্যন্ত সবার হাইড্রেশন ঠিকই থাকবে ইনশাল্লাহ। আপনার বয়স হয়েছে আপনি বরং ইয়া নফসি, ইয়া নফসি করুন তাতে যদি আপনার ইশ্বরের কৃপা হয় । নইলে কে জানে বুড়ো বয়সে ভরপেট খেয়েও কিন্তু এই কোভিড-১৯ -এ টেসে যেতে পারেন ! হাহাহা --জাস্ট কিডিং । আপনার টেসে যাবার দোয়া করছি না বিলকুল শিওর থাকুন ।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ ঈশ্বরকণা, চাদগাজি সাহেব হয়ত এভাবে বলতে পারতেন যে, জ্বর থাক্লে তার প্রকৃতি নির্ণয় না হওয়া পর্যন্ত এবং ভাল না হওয়া পর্যন্ত সেসময় রোজা না রাখাই ভাল।

আর কে কইসে, ডিহাইড্রেশন হয় না? বাংলাদেশে মে জুন মাসে রোজা রেখে ঘরে হান্দায় থাক্লেই তো আর ডিহাইড্রেশন হয় না, তাই না?

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: সোনালি কাবিন,
ইদানিং আপনাকে অনেক মন্তব্য করতে দেখি আপনি ধর্মতত্ববিদ না ডাক্তার সেটা আপনার মন্তব্য থেকে বোঝা খুব কঠিন । একটা কথা বলি আপনাকে,বাংলাদেশে জুন মাসের কঠিন গরমের দিনগুলোতে রোজা রেখে আমি ক্রিকেট খেলেছি বাংলাদেশের ন্যাশনাল টিমের ক্রিকেটারদের সাথে। আমার দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমের সে সময়ের ক্যাপ্টেন ফারুক আহমেদ। মাঝে মাঝে আকরাম খান, শ্রীলংকার অশোকা ডি সিলভা, এফি (এই নামগুলো কি পরিচিত ? না হলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাস খুঁজে দেখতে পারেন ) এসে মাঝে মাঝে আমাদের প্রাকটিস করাতেন ।সেটা কঠিন প্রাকটিস । ঠাট্টা মশকরার কোনো প্রাকটিস না সেটা । প্রাকটিসের শুরুতে পুরো মাঠ প্র্যাকটিসে দৌড়াতে হতো তিনবার (গলি ঘুপচির মাঠ না কিন্তু সেটা । সেখানে দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ হতো) ।আমি সেই গরমে রোজা রেখেই প্রাকটিস নেটে পেস বোলিং করতাম, ওপেনিং ব্যাটস্ম্যান হিসেবে অনেক্ষন ব্যাটিং করতাম (খেলায় ফারুক ভাইয়ের সাথে ইনিন্স ওপেন করতাম আমি দলের হয়ে ), ফিল্ডিং প্রাকটিসতো করতে হোতই । সেই তিন চার ঘন্টা প্রাকটিসের পরেই কোনো একদিন রোজা রেখে সারা দিন দেশের সেরা প্লেয়ারদের সাথে ওয়ানডেও খেলতে হতো । পাঁচ বছর খেলেছি তেমন । খেলায় ফিন্ডিংয়ের সময় যে কোনো খেলোযাড়ের চেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকতাম। এই জন্য নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই আমি জানি যে সেহেরীতে ঠিকঠাক মতো পানি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হবার কোনো কারণ নেই । যদি কেউ খুব অসুস্থ্য থাকে সেটা অন্য কথা। কারো ফিজিক্যাল ইস্যু থাকলে সে ধরণের মানুষের জন্য রোজা না রাখার বিধান আছেই ।তাই আপনার আর চাঁদ সাহেবের সাজেশন এখানে একেবারেই ইডিয়টিক ।ধর্ম না বিশ্বাস করেন সেটাতে সমস্যা নেই । কিন্তু ক্রিকেট না খেলে থাকলে ব্লগে রোজা আর ডিহাইড্রেশন নিয়ে এমন ইডিয়টিক কথাবার্তা না বললে সবারই ভালো লাগবে।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ সুনিপুণ কারিগর । আর আমরা সুনিপুন ফাঁকিবাজ ।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ ঈশ্বরকণা, আপ্নে তো জ্ঞানের ইডিয়ট। ঠিকাছে। আপ্নে আলাদা হয়া গেছেন দেখে দুনিয়ার সবাই আলাদা হয়ে যায় নাই। ধর্ম বিশ্বাস যারা করেন, তারা নিজেদের বিপক্ষে যায় এমন কথা বলবেন না এটাই স্বাভাবিক। আর উলটা পাল্টা শব্দ কিন্তু এক্টু সাবধানে, ওকে পিগমি। আপ্নি শুরু করেছেন আগে, সো...

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ ঈশ্বরকণা বলেছেন, মাঝে মাঝে আকরাম খান, শ্রীলংকার অশোকা ডি সিলভা, এফি (এই নামগুলো কি পরিচিত ? না হলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাস খুঁজে দেখতে পারেন ) এসে মাঝে


## আপ্নি যেই যুক্তি ইস্টাব্লিশ করতে চাচ্ছেন, সেখানে বেহুদা খোচার তো দরকার নাই। এই নামের সাথে সেটার তো কোন সম্পর্ক নাই। ধান ভানতে শীবের গীত

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ ইশ্বরকণা, ব্লগে আপ্নার মন্তব্যগুলোও একটু দেখলাম। আপ্নি কাস্টোমাইজড বা মডারেট মুসলিম নাকি বোঝা গেল না।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

সোনালি কাবিন বলেছেন: চাদগাজির বিপরীতে ঈশ্বরকণা বলেছেন

রোজা রাখার জন্য কেউ ডিহাইড্রেশনে মারা যাবে না

## এখানে চাদগাজি তো এমন কথা বলে নাই

বক্তব্যের মোড় ঘুরানো বা অন্যদিকে প্রবাহিত করা অতি ভক্তি প্রদর্শনকারীদের এক্টা অন্যতম অভ্যাস

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে মানুহশের আস্থা বিশ্বাস দিন দিন উঠেই যাচ্ছে।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ঈশ্বরকণা,

আমেরিকার অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্হার কারণে করোনা এখানে আগে এসেছে ও ছড়িয়ে গেছে; বাংলাদেশে বা ঐ ধরণের অশিক্ষিত জাতির মাজে এভাবে ছড়ালে ১০ লাখ মানুষ মার যেতো; আপনার কমনসেন্স কম।

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৫৯

মা.হাসান বলেছেন: আসলে এবছর অন্যরকমের রোজা এসেছে। মানবিকতার হাত আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রসারিত করা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.