![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল খেলায় ভারতের জয় হোক; ভারতকে জয়ী করা হোক। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যে অনেক অনেক পরিশ্রম করেছে। তারা বহুমুখী নিবিঢ় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে দীর্ঘদিন। শিরোপা না পেলে ইংল্যান্ডে গৌরব উজ্জ্বল ফলাফলের কোনো মূল্য থাকবে না। ভারতকে ফাইনালে বঞ্চিত করা ঘোর নীতিবিরোধী হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আমাদের দেশের রাজনীতিতে বহু চর্চিত টার্ম; এশিয়া কাপেও সব দেশের জন্যে ফিল্ড সমান করতে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) বেশ তৎপর ছিল।
তারপরও ভারতকে সমান সু্যোগ প্রদান করতে তারা ব্যর্থ হয়। যা আমাদের ব্যথিত করেছে। এশিয়া কাপে ভারতের বঞ্চনার তালিকা লিখতে লিখতে মোবাইলের ব্যাটারী ঘুমিয়ে পড়বে তবুও সমাপ্তি টানা যাবে না। কিন্তু আগামীতে যেন এ রকম ক্ষতিকর কিছু না ঘটে তাই অন্ততঃ কয়েকটি পয়েন্ট না লিখলেই নয়।
এক। গ্রুপ এমনভাবে করা হয়েছে যেন দুর্বল পাকিস্থান আর হংকং এর সাথে বিজয়ী হয়ে মনে করে আমি কি হনু রে।
দুই। বাকি সব দলকে ভিন্ন এক হোটেলে রেখে এক ভারতকে আরেক হোটেলে ব্যবস্থা করা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ; ভারতের প্লেয়ারদের একাকীত্বের কারণে খেলাতে মনোনিবেশ করতে সমস্যা হয়েছে।
তিন। একমাত্র ভারতের সব খেলা ছিল দুবাই তে। অন্য দলগুলো দুবাই থাকলেও কিছু খেলার জন্যে ১৫০ কিমি দূরের শহর আবুধাবি বাসে চড়ে যেতে হয়েছে। তারা সাইট সিয়িং করতে পেরেছে, ভিটামিন ডি মাখতে পেরেছে। যা তাদেরকে বেশি চনমনে করেছে। এটা অবশ্যই ভারতের প্রতি অন্যায়।
চার। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের খানিক পূর্বে ঘোষণা করা হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের কোনো মূল্যায়ন করা হবে না; ভারত আগে জানলে এতো ঘাম ঝরিয়ে হংকং এর সাথের ম্যাচ না জিতলেও পারতো।
পাচ। সবগুলো দেশ ১ম জাতীয় দলকে নিয়ে এসেছে কেবল ভারত থেকে এসেছে ২য় সারির দল; এমন কি নিয়মিত ক্যাপ্টেন কোহলিকেও আনতে দেয়া হয় নি।
ছয়। এবারের টুর্নামেন্ট ভারতে হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু শত্রুতা করে আমিরাতে নেয়া হয়েছে যেখানে খেলার কোনো অভিজ্ঞতা কোনো খেলোয়াড়ের নেই। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
সাত। সুপার ফোরের পর ফাইনাল ম্যাচের আগে তিন দিনের গ্যাপ দেয়াও প্রহশনের অংশ; এতে প্লেয়ারদের ফাইট করার পাওয়ার নষ্ট হয়েছে। ১ দিন বিরতি পাওয়াতে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে এগিয়ে গেলো।
আট। আজ এশিয়া কাপ ফাইনাল ম্যাচ। ফিকচার এমনভাবে করা হয়েছিল যেন আরেকটি ভারত পাকিস্থান ম্যাচ হয় এবং ভারত অনায়াসে বিজয়ী হয়, চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কারণে তা হলো না, ভারতের বেনিয়াদের জুয়াড়িদের অনেক লস হয়ে গেলো। খেলোয়াড়দের আজ রাতের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেলো।
আজ ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে মরণ কামড় দিতে পারে আইসিসি।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রতি একটিই বার্তা-
যদি তুমি ভয় পাও
তবে তুমি শেষ;
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও
তবে তুমিই বাংলাদেশ।
ব্লগার রাজীব নুরের আজিব আজিব শিরোনাম পড়তে পড়তে এখানে হেড লাইনটি রাজীব নুর স্টাইল হয়ে গেছে।
আপনি পড়ুন, বাংলাদেশের জয় হোক।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৬
ইসমত বলেছেন: ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলেই বানরের বিশাল খাচা, সেখানে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়, শিশুরা বেশ এঞ্জয় করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভনান হওয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষ এমনটা করেছে। যেখানে বেঙ্গল টাইগাররা আরো পেছনের দিকে কোনার খাচায় পড়ে আছে। বিষয়টা কি এ রকম?
কেন ভারত একই প্লেয়িং গ্রাঊন্ড থেকে বঞ্চিত হলো কারণ নির্ণয়ে সহযোগিতা করায় আপনাকে ধন্যবাদ।
আজ তবে চাওয়া একটাই, বিজয়ী বাংলাদেশ।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৬
নতুন বলেছেন: শুধুই ভারতের বিরুদ্ধে এতো ভাবলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
সব দলই ৫ তারা হোটেলেই উঠেছে। ভারত উঠেছে হায়াতে বাকিরা ইন্টারকন্টেনেন্টালে.... দুই হোটেলই ৫ তারা হোটেল।
দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে দশ`ক বেশি হয়... এখানে ধারন ক্ষমতা ২৫ হাজার... আগামী কালের টিকিট ১৫০ দিরহাম থেকে শুরু...
তাই যদি ১৬০ দিরহাম গড়ে ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয় তবে আয় ৪ মিলিওন দিরহাম....
আগের খেলাগুলিতে ভারতকে দুবাইয়ে খেলানোর কারন ব্যবসা... এখানে যত বেশি আয় হবে আবুধাবীতে তার অধে`কও আয় হবেনা।
ভারতীয়রা যেহেতু আইসিসিতে শক্ত অবস্হানে আছে তাই একটু সুবিধা তারা নিতে চাইবে।
আগামী কাল জয়ী হয়ে সবাইকে বোঝাতে হবে যে আমারাও কারুর চাইতে কম না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৩
ইসমত বলেছেন: শুধু দুবাই স্টেডিয়ামে দর্শক ভরাতে ভারতকে এতো এতো প্রকারে বঞ্চিত করা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। কেন ভারতকে হায়াতে যেতে বাধ্য করা হলো? আন্তঃমহাদেশীয় হোটেলে থাকতে দেয়া হলো না কেন? কী অন্যায় তারা করেছে যে অন্য দলগুলোর জেনে যাওয়ার ভয় ছিল?
আমরা মাঠে খেলে বিজয়ী হতে চাই; লড়াই হবে মাঠে টেবিলে নয়।
আজ বাংলাদেশের খেলায় যেন প্রাণ জুড়ায়।
আপনাকে ধন্যবাদ নতুন তথ্য সংযোজনের জন্যে।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কিচ্ছু করার নেই কারন আমরা পাকিস্তান না,আমরা বাংলাদেশ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৮
ইসমত বলেছেন: যদি তুমি ভয় পাও
তবে তুমি শেষ,
যদি তুমি রুখে দাড়াও
তবে তুমি বাংলাদেশ।
আমরা বাংলাদেশ বলেই আমরা পারি, আমরা করবো। ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: না তবুও আমরা ভয় পাব না,
ভারত পুরানা দল, মানসিক চাপ বেশী সইতে পারে এই যা,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি বলব বাংলাদেশ জয়ী হোক,
অধীর অপেক্ষায় থাকলাম ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
ইসমত বলেছেন: আমাকেও আপনার পাশে রাখেন, ভালো থাকুন।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: এত চিন্তার দরকার নাই, ভারত জয়ের জন্য যা যা দরকার তা সব করবে বাংলাদেশ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬
ইসমত বলেছেন: আপনি কি 'ভারত বধ' লিখতে চেয়েছিলেন?
আমাদের হারানোর কিছুই নেই, এটা কেবল একটি খেলা। এশিয়া কাপে নিজের দেশ খেলছে এতটুকুই।
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭
সনেট কবি বলেছেন: টাইগারদের জন্য শুভকামনা।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮
ইসমত বলেছেন: ধন্যবাদ কবি, আপনার পাশেই আছি।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি হতাশ জীবন যাপন করছেন, তাবিজ তুবিজ ব্যবহার করেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪
ইসমত বলেছেন: বেশ ভালো পর্যবেক্ষণ সামর্থ আছে বলে আপনার গুণগান ব্লগ জুড়ে দিনমান পড়ি, এ কি সব ঝড়ে বক মারা!
আমি নিজেই তাবিজ দেই আপনার মতো হতাশ মানুষদের। লাগলে আওয়াজ দিবেন।
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৪
কলাবাগান১ বলেছেন: "এত চিন্তার দরকার নাই, ভারত জয়ের জন্য যা যা দরকার তা সব করবে বাংলাদেশ। "
গুজব প্রচারকারীর মতে বাংলাদেশ ইচ্ছা করে হেরে যাবে!!!!! এই রাজাকার বান্ধব রা সবসময় দেশের ভালোর বিরুদ্ধে
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪
ইসমত বলেছেন: পেয়ারে পাকিস্থানকে মেছো বাঙালিরা হারিয়ে দেয়ায় তাদের দিল ছারখার হয়ে গেছে। একটু তো সান্ত্বনার মলম তারা কামনা করতেই পারে। নয় কি?
আসলে বাংলাদেশে এই ধরনের মানুষরা আছে বলেই দেশে হিউমারের অভাব হয় না, নানা সমস্যাও আমরা হাসি প্রাণখোলা হাসি।
আজ দিন হোক বাংলাদেশের।
৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: অস্বীকার করার উপায় নেই, টিম ইন্ডিয়া সবদিক দিয়ে শক্তিশালী। স্বাভাবিক খেলা হলে ওরাই জিতবে। তবে আমরা চাই টাইগাররা ভুলগুলো শুধরে ভালো খেলাটা খেলুক।।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
ইসমত বলেছেন: ইন্ডিয়ার শক্তির সাথে আমাদের তুলনা চলে না, একটাই কামনা টাইগাররা নিজেদের উজার করে খেলুক।
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমার কাছে হার-জিত কোন ব্যাপার না । ভালো খেলাটাই আসল কথা। ভালো খেলে হারলেও খারাপ কিছু দেখি না।
সমস্যা হল টাইগাররা একই ভুল বারবার করে। কোন ম্যাচে জিততে পারলে, ভুলগুলোকে ভুলে যায়। অথচ দরকার ছিল, হারি বা জিতি সামনের ম্যাচে যেন আগের ভুলগুলো না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা।
টাইগারদের জন্য শুভকামনা।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
ইসমত বলেছেন: পাকিস্থানের মতো নয় আফগানিস্থানের মতো খেলুক, লড়াই হোক ময়দানেই। আহাম্মক একই ভুল বার বার করে। ইনশাল্লাহ টাইগাররা সেই বৃত্ত ছেড়ে বেরিয়ে আসবে আজই।
১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হেড লাইন খুব সুন্দর হয়েছে ভাইজান।
লিখেছেন খুব সুন্দর। আমি এই রকম একটা পোষ্ট লিখতে চেয়েছিলাম।
এবার ভাতরকে খুব বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক না।
ভালো থাকবেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
ইসমত বলেছেন: ক্রিকেটে বাড়তি সুবিধা পেয়েও খুব ভালো কিছু করে দেখাতে পেরেছে কি ভারত? আজো পারবে না আশা করি।
১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: স্যাটায়ার ভালো হয়েছে। কিন্তু গড়ে প্রতি চার বছরে একটা পোস্ট!!!!!!!!!!!!!!!!!!
যারা প্রতিদিন একটা করে পোস্ট দিচ্ছে, তারাতো আপনার অচ্ছুৎ ঘোষণা করে দেবে স্যার!
বাই দ্য ওয়ে, আপনাকে তো প্রায় দেখি ব্লগার প্যানেলে লগড ইন হয়ে সবার উপরে থাকেন, তাহলে লেখেন না কেনো?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
ইসমত বলেছেন: এতোদিনও সেই ঘোষণা না দেয়াতেই অবাক হলাম। সবাই খুব ভালো লিখছে। এখন আমাদের পড়ার সময়।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আলীম দার কে নিয়ে আসুক icc তথা ইন্ডিয়া
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
ইসমত বলেছেন: আলীম দার এর সংখ্যা এখন অনেক বেশী। টাইগাররা কোনো চাপ না নিয়ে স্বাভাবিক খেলুক তাই চাওয়া।
১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০০
হাবিব বলেছেন: গতরাতে ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন দেখলাম। মনে হচ্ছিল স্বপ্নের মধ্যেই কান্না করছি। স্বপ্নে কি দেখলাম সে বিষয়ে এবার বলি।
স্বপ্নে দেখলাম এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলায় দুবাইয়ের মাঠে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। বুঝার আর বাকি রইলো না নিশ্চয় কোন অঘটন ঘটতে যাচ্ছে আজ। খেলার আগে দুই দেশের অধিনায়ক আলোচনায় বসেছে। আলোচনা গোপনে নয় প্রকাশ্যেই, তাও আবার টিভি ক্যামেরার সামনেই। আলোচনার এক পর্যায়ে ভারতের অধিনায়ক এক অদ্ভুত দাবী করে বসলো। তার তিন দফা দাবী ছিল
(১)- তাদের দলে কিছু দুর্বল ও অসুস্থ খেলোয়াড় রয়েছে সুতরাং তারা ১৪ জন মিলে খেলবে তবে বাংলাদেশকে ১১ জন নিয়েই খেলতে হবে।
(২)- মাঝে মাঝেই পানি পানের বিরতি দিতে হবে ( কারন তারা জানতো বেশি বেশি পানি খেলে বেশি বেশি মূত্র বিসর্জন দেয়ার অজুহাতে একটু জিরিয়ে নেয়া যাবে
(৩)- শেষ ওভারে মুস্তাফিজ কিংবা রুবেল কে দিয়ে বল করানো যাবে না।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিশ্চুপ। সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কি করবেন। এক মিনিট চোখ বন্ধ করে ভাবলেন, শর্ত মেনে নিলে কি লাভ আর কি ক্ষতি হবে। শর্ত মেনে নিলে হয়তো আজকের ম্যচটা হারবেন কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। শর্ত মেনে না নিলে যদি আসাম থেকে ১০ লক্ষ মানুষকে দেশে পাঠিয়ে দেয় অথবা যদি বাংলাদেশকে পানি না দেয় তখন কি হবে?
অবশেষে শর্তে রাজী হয়ে খেলতে নামলেন। কিন্তু একি টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেই বাজিমাত করলো বাংলাদেশের টাইগাররা। ১৪ জন মিলেও ১০০ রান পর্যন্ত কোন উইকেটের দেখা পেলেন না। হতাশ ভারতীয়রা। ভারতের অধিনায়ক দেখলেন এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ ৩০০ রান করে ফেলবে। কি করা যায় কি করা যায়? যে করেই হোক বাংলাদেশকে থামাতেই হবে। হঠাৎ করেই পানি পানের বিরতিতে যেতে চাইলো ভারত। পানি পানের বিরতিতে গিয়েই বাংলাদেশের অধিনায়ককে আরেকটু কম রান করার জন্য বলা হলো। এই ফাঁকে ভারতের অধিনায়ক শর্তের কথা মনে করিয়ে দিলেন আর একবার।
পানি পানের বিরতি শেষ। খেলতে নেমেই একের পর এক বাংলাদেশের উইকেটের পতন হতে লাগলো। ২০০ রান করতে না করতেই প্রায় সব শেষ। শেষমেশ ৫০ ওভারও খেললেন না বাংলাদেশ দল। এত চাপ নিয়ে কি খেলা যায়? ২২২ রানেই সন্তুষ্ট থাকলেন। টার্গেট দিলেন ২২৩ রানের। এবার ভারতের ব্যাটিং করার পালা।
ভারততো মহাখুশী শর্ত অনুযায়ী সব হচ্ছে দেখে। শুরু হলো ব্যাটিং। কয়েক ওভার যেতে না যেতেই পানি পানের বিরতি। বিরতির পর আবার খেলা শুরু। কয়েক ওভার যেতে না যেতেই মূত্র বিসর্জনের বিরতি। এ দিকে ভারতের ১৩ নম্বর খেলোয়াড় যিনি বোলিং প্রান্তে আছেন বোলারদের বলে দিচ্ছেন কখন কেমন বল ডেলিভারি দিতে হবে, তিনি তো বেশ উদ্ভিগ্ন। আশঙ্কা করছেন ভারতের প্লেয়াররা যেভাবে ঘন ঘন বিরতিতে যাচ্ছেন তাতে করে একদিনে খেলা শেষ করতে পারবেন কিনা। নাকি ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন নিয়ম চালু করবেন তা নিয়েও ICC এর সাথে তার কানে লাগানো হেডফোনে বার বার কথা বলছেন। ICC তাকে অভয় দিয়ে বললো চিন্তা করবেন না, যে কোন নতুন নিয়মই ICC সাদরে গ্রহন করবে। কারন পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে আর কতদিন?
এদিকে আম্পায়ার পুরুষ হয়েও একটি নতুন নিয়মের জন্ম দিয়ে দিয়েছেন ভারতের এক প্লেয়ার কে দুইবার ব্যাট করার সুযোগ দিয়ে। এই অসাধারন নিয়মের জন্ম দিয়ে ইতিমধ্যেই আম্পায়ার Mother of cricket এর উপাধী লাভ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই নিয়মের Father কেউ হতে চাচ্ছে না। ক্রিকেট বোদ্ধারা ভাবছেন Father ছাড়া এই আইন কি বৈধতা পাবে? পাশ থেকে একজন মনে করিয়ে দিল ভারতে গত দুইদিন আগে পরক্রিয়া বৈধতা পেয়েছে, এটা হইতো তারই ফসল। আবার কেউ ভাবছেন যেহেতু একজন পুরুষ মা হয়েছেন তাহলে হইতো এটা সমকামিতার ফসলও হতে পারে।
যাই হোক, এদিকে খেলা প্রায় শেষ। টানটান উত্তেজনা, জিততে হলে আরো ১০ টি রান করতে হবে। এমন সময় অসুস্থ খেলোয়াড়কে আবার মাঠে নামানো হলো। কথামত রুবেল ও মুস্তাফিজের ওভার আগেই শেষ। শেষ ওভার দেয়া হল একজন স্পিনার কে। ফলাফল যা হবার তাই হল।
ভারত পাক্কা তিন উইকেটে জিতে গেল। স্বপ্নটা দেখে ঘুম থেকে আর উঠতে ইচ্ছা করছিল না। উঠতামও না। এর একটু ঘুমাতাম যদি অফিসটা না থাকতো। ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে ঢু মারলাম। সর্বনাশ, রাতে যা যা স্বপ্নে দেখেছি তা কি করে সত্যি হলো?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
ইসমত বলেছেন: ওহ, আপনার স্বপ্নের দোষেই বাংলাদেশ হেরে গেলো!
তবে এটা বলতেই হয়, লিখেছেন বেশ ভালো। গুড।
১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
রকিব লিখন বলেছেন: স্লোগানটি বিকৃত করলেন কেন ভাই?? এটা তো এমন করে লিখেছিলাম..স্লোগানটি বিকৃত করলেন কেন ভাই?? এটা তো এমন করে লিখেছিলাম..
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
ইসমত বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখিত, ঠিক করে দিলাম।
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেশতো।
১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: ভাল আছেন?
নতুন পোস্ট দিন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
ইসমত বলেছেন: বেশ ভালো আছি।
১৮| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অনলাইনে দেখা যায়, অথচ পোষ্ট দিচ্ছেন না। নুতন পোষ্ট দিন। ফিরে আসুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪২
রাকু হাসান বলেছেন: আইসিসির এমন অদ্ভুদ হিসাবের খেলা বাদ দিতে হবে ,ক্রিকেট কে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে চাইলে । কেন ভারত সব ম্যাচ একই মাঠে খেলবে ! এখানে ভারতকে দোষারুপ করেও লাভ নেই । বিষয়টা অর্থনৈতিক। আমি কেউ কে অর্থনৈতিক দিক ভালো ভাবে সার্পোট দিলে ,হয়ত আমিও চাইবো ,আমাকে বেশি সুযোগ সুবিধা দিতে হবে । ভারত ঠিক সেটাই কাজে লাগাচ্ছে । আইসিসির সময় থাকতে ভারত প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে । এমমটা চলতে থাকলে ক্রিকেটের বিশ্বায়ন হবে না । ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় বাংলাদেশ ও বড় বাজার ক্রিকেটের । ভারতের পর কিন্তু আমাদের নীতি নির্ধারকরা সে ভাবে স্পনসরের মন জয় করতে পারছে না । প্রয়োজনে সদস্য দেশগুলো বেশি চাঁদা বহন করে হলেও এই প্রভাব বলয় থেকে বের হওয়া উচিত । আইসিসি এমনটা করতে অনেকটা বাধ্য ,এতটাই .....ভারত ক্রিকেটের খুব বড় িএকটা বাজার । তাদের পাশ কাটিয়ে কিছু একটা করতেই পারছে না স্বাধীনভাবে ।