নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দু\'পয়সায় নিঃসঙ্গতা কিনেছি কোটি বছরের\nআস্তিনে সূর্য্যস্নান রেখে কালিমাখা চোঁখ হাঁ করে গিলে শহুরে পার্ক;\nবেঞ্চি ভরা ভালোবাসার লুটোপুটি আর ছেঁড়া গোলাপের পাপড়িতে আমি নিঃসঙ্গতা কিনেছি দু\'পয়সায়।\n\nনিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই বলার নাই।\nনিজেকে বিচার করার ক্ষম

জুবায়ের আহমদ\nআইসিটি টেকনিশিয়ান\nউপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়\nসিলেট সদর, সিলেট।

জুবায়ের আহমদ

শুধু একজন মানুষ।

জুবায়ের আহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ নিয়ে আমার ভাবনা।

১২ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

ঈদ প্রত্যেক মুসলামানদের জন্য আনন্দের একটি দিন।

এই ঈদকে সামনে রেখে আমরা নানা আয়োজনে ব্যস্থ হয়ে পড়ি।
নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষেরই ঈদ নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকে।
সেই পরিকল্পনাকে কাজে লাগাতে গিয়ে কত ধরণের কলা কৌশলই অবলম্বন করে তিনটি শ্রেণীর লোকেরা।
সবাই তাদের সাধ্যমত ভাল ভাবে ঈদকে উদযাপন করার চেষ্টা করে।
কিন্তু তারপরও তালিকার বাইরে কিছু মানুষ থেকে যায় ঈদের এই আনন্দ থেকে।
সবার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে শুধু অজোরে চোখের পানি ফেলে নিশাচরে।
আমরা দেখেও না দেখার ভান করি তাদের দিকে।
অথবা আমাদের কিছু করার নেই বলে চোখ ফিরিয়ে
নিজেদের নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়ি।
আবার অনেকেই আছে যারা নিজেদের নিয়ে চিন্তা করেও হিসাব মেলাতে বড্ড কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
সবমিলিয়ে পুষিয়ে উঠতে না পারার আক্ষেপেও অনেকই রাতের বেলা অঝোরে চোখের পানি ফেলেন।
এমন অনেক কিছু নিয়েই আমাদের সকলের ঈদ আয়োজন।

আমি এগুলোর বাইরে ঈদ নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু আয়োজন করব বলে
চিন্তায় ঘোরপাক খাচ্ছি। চিন্তারটি আরেকটু ফলপ্রসু করার জন্য সকলের সাথে শেয়ার করার
প্রয়োজনিয়তাবোধ থেকে লিখাটি উপস্থাপন করছি।
আমার পরিকল্পনা হল নিজের সাধ্যের ভিতর চেনা জানা মানুষের জন্য কিছূ একটা করব।

পরিচিত প্রত্যেক বন্ধুদের কাছ থেকে তাদের সাধ্যের ভিতর কিছু টাকা তুলব।
সেই টাকা দিয়ে আমাদের পরিচতদের মধ্যে যাদের ঈদ টা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে
তাদের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করব। এর সাথে আলাদা আরেকটা পরিকল্পনা রয়েছে
প্রয়োজনে কিছু ঈদ সামগ্রী কিনে রাতের আধারে লোকজনের আলাড়ে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করব।
পরিচিত সকলের কাছ থেকে নতুন জামা সংগ্রহ করেও রাতের আধারে সেই সব প্রতিবেশীর বাড়ি
পৌছে দেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা প্রয়োগ করব।
প্রত্যেক পরিচিত পরিবারের কাছ থেকে খাতার অবশিষ্ট অংশ এবং বাড়তি কলম সংগ্রহ করে
সেই সব ছেলে-মেয়েদের দেয়ার চেষ্টা করব।

(গোপনে তাদের বাড়িতে যাবো শুধু মাত্র নিন্দুকদের চোখ এড়ানোর জন্য)

আমরা হয়তবা বেশি কিছু করব না, কিন্তু এইটুকু তে আমাদের আলাদা একটা প্রাপ্তি।
সেই প্রাপ্তির সাধটুকু যেন আমরা সঠিক ভাবে উপভোগ করতে পারি সবাই একসাথে।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেকেই আছে যারা নিজেদের নিয়ে চিন্তা করেও হিসাব মেলাতে বড্ড কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
সবমিলিয়ে পুষিয়ে উঠতে না পারার আক্ষেপেও অনেকই রাতের বেলা অঝোরে চোখের পানি ফেলেন।
এমন অনেক কিছু নিয়েই আমাদের সকলের ঈদ আয়োজন।

নিষ্ঠুর সত্য। কিন্তু স্বার্থান্ধ এই কর্পোরেট জামানায় কে রাখে কার খবর????

কেবলই সারভাইবের দৌড়ে চোখে ঠুরি বাধা অন্ধ ষাড়ের মতো উদব্রন্ত দৌড়ে ব্যস্ত সবাই!!


আপনার উদৌগে সালাম। গত দু-বছর ধরে আমিও চেষ্ট করছি্ নিজে প্রতিদিন একবেলার আহার্য না খাওয়া বাবদ বেচে যাওয়া মিনিমাম ৫০ টাকা ধরে জমিয়ে মাসের শেষে ২-৩ পরিবারকে ঈদ বাজার করার জন্য হাতে তুলে দিয়েছি। যদিও সাগরের বুকে একফোটা জলের মতো এ চেষ্টা- তবুও নিজের মনকে প্রবোধ দিতেই ক্ষুদ্র চেষ্টায় সান্তনা লাভের আশা!!!!!!

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

জুবায়ের আহমদ বলেছেন: কথা একটাই, নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু পারা যায় এতেই আমাদের সান্তনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.