![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ -
বিয়ের পর এইবারই প্রথম ঈদ পেলো রেবেকা আর ফারুক দম্পতি । প্রথম ঈদ বলেই হয়তো দু’জনের মধ্যে উত্তেজনাটা একটূ বেশি । নাহলে তাদের আবার ঈদ কিসের ?
রেবেকা একটা বাসায় কাজ করে আর ফারুক রিক্সা চালায় । দু’জনেই আয় করে বলে তাদের আর্থিক অবস্থা একেবারে খারাপ না । এক রুমের একটা বাসায় থাকে । ঠিক “বস্তি” না , তার থেকে একটু ভালো জায়গা । কয়েক পরিবারের জন্য একটা রান্না ঘর এবং দুইটা পাকা পায়খানা ।
২ -
রেবেকা অপেক্ষায় আছে ২৬ রোযার কারণ তার ম্যাডাম বলছে তখন তাকে ঈদের বোনাস দেবে । সবে ২০ রোযা , ২৬ রোযা কত দূর লাগে তার কাছে । যদিও সে জানে রোযার মাসে দিনগুলো খুব দ্রুত যায় । বোনাসের টাকা দিয়ে ফারুককে এই ঈদে সে একটা ঘড়ি কিনে দিবে । বেচারার একটা ঘড়ির খুব শখ ।
৩ –
ফারুকের রোযায় ইনকাম ভালোই হচ্ছে । দূরের খ্যাপ নেয় । জ্যাম আর ঈদের বকশিসের নামে ভাড়াও বেশি চাইতে পারে এবং মানুষ দেয়ও । জমার ১২০ টাকা দেয়ার পর যা বাকি থাকা তা দিয়ে দৈনিকের বাজার করে আর বাকি টাকা নিজের কাছে জমিয়ে রাখে , অন্যসময় হলে রেবেকার হাতে জমা দিতো । নতুন বউকে ঈদে লাল শাড়ি দিবে সে , লাল রঙ্গে তার বউকে খুব মানায় । দোকানের একটা শাড়ি তার পছন্দ হয়েছে কিন্তু ঐটা কেনার মতো টাকা এখনো তার জমে নাই । আরো কয়েকদিন সময় লাগবে ।
আজ সোমবার ২৬ রোজা ।
৪ –
ফারুক হিসেব করে দেখলো আর এক/দুই খ্যাপ মারলেই তার শাড়ি কেনার টাকা হয়ে যায় । ভাগ্য ভালো ছিল বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার কাছে শাড়ি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা এসে গেছে । এতো আগে বাড়ি যেতে তার ইচ্ছা করলো না । আরো কিছুক্ষণ রিক্সা চালালো । এরপর শাড়ি কিনে বাড়ি ফিরলো । রেবেকার আসতে দেরি হবে জেনেই সে তার জন্য অপেক্ষা করছিল ।
৫ -
অন্যদিনের চেয়ে রেবেকা আজকে বেশ আগেই কাজে গেলো । দ্রুত সব কাজ শেষ করে তার ম্যাডামের কাছে বোনাসের কথা বলতেই দিয়ে দিলো । সে খুশি মনে বাড়ি ফিরলো । কাপড় পরিবর্তন করে মার্কেটে যেতে হবে । এই জন্যই এতো তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করা । ম্যাডামের বড় ছেলে কি একটা যেন ঘড়ি কিনছে দেখতেও সুন্দর আছে আবার দামও কম । ফারুকের পছন্দ হবে । মার্কেটের নাম জেনে এসেছে সে ।
বাড়িতে এসে দেখে দরজা খোলা । ভিতরে ফারুক শুয়ে আছে । আর খাটের উপরে একটা ব্যাগ রাখা ।
রেবেকাকে দেখে ফারুক হাসি মুখে উঠে বসলো আর রেবেকার দিকে ব্যাগটা বাড়িয়ে দিইয়ে বললো –
“ এই লও তোমার লিগা ঈদের শাড়ি আনছি । খুইলা দেহো পছন্দ হয় নি ?”
রেবেকা বুঝতে পারছিল না যে সে খুশি হবে নাকি কারণ ফারুকের হাব ভাব দেখে মনে হচ্ছিল যে , সে আর আজকে রিক্সা চালাতে যাবে না । তাহলে রেবেকাও বের হতে পারবে না । রেবেকা পড়ে গেলো মহা মুশকিলে ।
হাসি মুখে শাড়িটা নিয়ে রেবেকা বললো , “ বাহ , ভালা হইছে । তয় মেন্দি আনছেন ?”
ফারুকের মুখটা চুপসে গেলো । তার বউইয়ের যে হাতে পায়ে মেহেদী দেয়া অনেক পছন্দের সে তা ভুলে বসে আছে ।
রেবেকা বুঝতে পারল আর একটু খুশিই হলো তাতে কিন্তু উপরে উপরে দেখালো যে সে কষ্ট পেয়েছে । তড়িঘড়ি করে ফারুক মেহেদী আনতে বেরিয়ে পড়লো ।
আর রেবেকা ঘড়ি কেনার জন্য বেরিয়ে পড়লো ।
৬ –
বউ যখন মেহেদী চেয়েছে ভালো জায়গা থেকেই দিতে হবে । ফারুক রাস্তা দিয়ে হাটছিল আর রেবেকাকে কল্পনা করছিল লাল শাড়িতে , হাতে কনুই পর্যন্ত মেহেদী আঁকা , সাদা পায়ে লাল মেহেদী টকটক করছে । সেই সুখের কল্পনাকে সঙ্গী করে সে ভালো দোকান খুঁজছে মেয়েদের কস্মেটিকের জিনিস পাওয়া যায় এমন ।
৭ –
রোযার মাসে রাস্তায় অনেক ভীর থাকে । আর রেবেকা সাধারণত একা মার্কেটে আসে নি এর আগে কখনো । রাস্তার ওপাড়ে মার্কেটটা কিছুতেই সে রাস্তা পাড় হতে পারছিল না । সব গাড়ি যখন সিগনালে থামলো তখন সে রাস্তা পাড় হওয়ার জন্য পা বাড়ালো আর বিপরীত থেকে আসা একটা মোটর সাইকেল রেবেকাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পায়ের উপর দিয়ে চলে গেলো ।
৮ –
ফারুক খুশি মনে হাতে মেহেদী নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিল । হঠাৎ করে তার মোবাইলে ফোন আসে । সে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যায় । হাসপাতালে গিয়ে দেখে জরুরি বিভাগের মেঝেতে শুয়ে রেবেকে কাতরাচ্ছে । পা দুটো থেতলে গেছে আর আর............... পা দুটো লাল রঙ্গে রাঙ্গা , আস্তে আস্তে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে তার ।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, আপনি আপনার মতো করে লিখুন; হঠাৎ অকারণে গল্পের ট্রেজিক মোড় ভালো লাগেনি।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩৪
জাবের তুহিন বলেছেন: অনেকদিন পর রিপ্লাই দিচ্ছি , দুঃখিত ।
লিখা দেয়ার কিছুক্ষণ পরই ওমন কমেন্ট পেয়ে হকচিয়ে গিয়েছিলাম । কষ্টও পেয়েছিলাম , স্বাভাবিক । কারণ ওমন মন্তব্য কখনো পাই নি । সমালোচনা করলেও সরাসরি ওভাবে কেউ বলে নি ।
কিছুদিন পর নিজেই বুঝতে পারি লিখাটা আসলেই বাজে ছিল । একটা বিষয় নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম এরপর আরেকদিক দিয়ে অন্যদিকে চলে গিয়েছি । লিখে সন্তুষ্ট ছিলাম কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পারি ।
ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পের প্লট ভালই ছিল, প্রথমে আমি মনে মনে আশা করছিলাম gift of the magi টাইপের কোন গল্প পাব, সমাজের দরিদ্রতম এই জুটির কাছ থেকে। যাই হোক, একটু ঠিকঠাক করে দিলে, ভালো একটা গল্প দাঁড়িয়ে যাবে।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বালের গল্প লিখেছেন?
শেষ প্যারা মুছে দেন, হাউকাউ লেখক।