নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

!তার কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করে,সৎ কর্ম করে আর ঘোষণা দেয় যে, আমি মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত। আল কুরআন।

জাবের খান

আমি একজন মুসলিম এই সুন্দর পৃথিবীকে ভালবাসি ভালবাসি আমার মা বাবাকে আমি আমার জীবনকে ইসলামের বিধি বিধান মোতাবেক গড়তে চাই।চাই এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যান করে বাচতে। আমার প্রোফাইল যে চেক করছেন আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলতেছি ভালো কাজ করুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করুন। নির্ভুল জ্ঞানের উৎস কী?? ইসলামের মতে, একমাত্র আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানই নির্ভুল ও শাশ্বত। বিশুদ্ধ জ্ঞান চিরন্তন সত্য। বিশুদ্ধ জ্ঞান একসময় আবার অশুদ্ধ হয়ে যায় না। তাই আল্লাহর দেওয়া নির্ভুল জ্ঞানের ভিত্তিতে মানব জীবন পরিচালিত হলে কোন সময়ই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে না। মানুষের মেধা, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা যদি আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানকে অবলম্বন করে, তাহলে তারা যত জ্ঞান আহরণ করবে সবই বিশুদ্ধ ও নির্ভুল হবে। আল্লাহর দেওয়া জ্ঞানকে বাদ দিয়ে মানুষ যতই জ্ঞান চর্চা করবে তাতে নির্ভুল জ্ঞানের নিশ্চয়তা নেই। পরিবার গঠন, সমাজ গঠন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার পরিচালনা, অর্থনৈতিক বিধান, শিক্ষা ব্যবস্থা, জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি অগণিত ব্যাপার রয়েছে, যেখানে নির্ভুল জ্ঞান না থাকার কারণে ভুল জ্ঞানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ভুল জ্ঞান প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বাস্তবে সমস্যা দেখা দেয়। তখন নতু করে জ্ঞান লাভ হয়। সে জ্ঞান প্রয়োগ করার পর আবার সমস্যা দেখা দিলে নতুন জ্ঞানের ভিত্তিতে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এভাবে মানবজাতি ভুল সংশোধন করে করেই জীবনের ঘানি টেনে চলেছে। এ বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে জার্মান দার্শনিক ফ্রেডারিক হেগেল Dialectism (দ্বন্দ্ববাদ) নামক থিউরিটি পেশ করেন, যা পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রধান ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত। সহজ ভাষায় তার থিউরিটি হল এ রকম--- মানুষ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিন্তা-গবেষণা, সাধনা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোন জ্ঞানকে সঠিক হিসাবে গ্রহণ করে। এই জ্ঞানটি তখন thesis হিসাবে গণ্য হয়। যখন এই thesis বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় তখন অভিজ্ঞতায় কতগুলো ভুল ধরা পড়ে। এ ভুলগুলোকে তিনি Anti-thesis নাম দিয়েছেন। thesis and Anti-thesis এর দ্বন্দ্বে যা ভুল বলে প্রমাণিত তা বর্জন করে নতুন জ্ঞান সংযোজন করতে হয়। thesis এর মধ্যে যা নির্ভুল তা বহাল রেখে এবং যা ভুল তা পরিবর্তন করে নতুন জ্ঞানের সমন্বয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তার নাম তিনি দিয়েছেন Synthesis. এই Synthesis তখন নতুন thesis এর মর্যাদা পেল। যখন এ নতুন থিথিসটি বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় তখন আবার কতগুলো ভুল ধরা পড়তে পারে। সে ভুলগুলো আবার নতুন এন্টি-থিথিস হিসেবে গণ্য হয়। thesis ও Anti-thesis এর এ দ্বন্দ্বের পরিনামে আবার সিনথিথিসের জন্ম নেয়। হেগেলের মেত, এ দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতেই ভুল সংশোধন করে করে মানব সভ্যতা উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। পাশ্চাত্য সভ্যতা এ মতবাদকেই সঠিক বলে বিশ্বাস করে। এ থিউরি পরিনামে এমন এক বিশ্বাস জন্ম নেয়, যা অত্যন্ত মারাত্মক ও বিভ্রান্তিকর। আর তা হলো, পুরাতনকে পরিত্যাজ্য বলে বিশ্বাস করা। যেহেতু এন্টি-থিথিস হিসেবে যা ভুল হিসেবে ধরা পড়লো তা ত্যাগ করে এগুতে হচ্ছে, সেহেতু যা পুরাতন হিসেবে পরিত্যাগ করা হয় তা চিরকালই পরিত্যাজ্য। এ থিউরি অনুযায়ী যা পুরানো তাকে কিছুতেই গ্রহণ করা চলে না। মানব সভ্যতা নতুনকে গ্রহণ করে করেই এগিয়ে চলছে, পুরানো চিন্তা, মত ও পথ কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ থিউরি যাদের মগজ দখল করে নিয়েছে তারা কুরআন সম্পর্কে এ মন্তব্য করতে বাধ্য যে, ১৪ শত বছরের পুরানো জ্ঞান আধুনিক যুগে অচল। যা অতীত কালের তা এযুগে চলতে পারে না। এ সিদ্ধান্ত কত মারাত্মক। প্রাচীন চিন্তাধারা, জ্ঞান, মত ও পথ সবই বর্জনীয় বলে বিশ্বাস জন্মিলে যা নতুন তা যত ভ্রান্তই হোক, তা গ্রহণীয় বলেই বিবেচিত হতে বাধ্য । অথচ এমন থিউরি যুক্তির কষ্টিপাথরে এক মুহূর্তেও টিকে না। ‘সত্য কথা বলা ভালো’ ‘মিথ্যা বলা মন্দ’- এ চিন্তাটি কত প্রাচীন! প্রাচীন বলেই কি এ মহাসত্য পরিত্যাজ্য বলে কেউ দাবি করতে সাহস করবে? সকল মানবীয় গুলাবলী জ্ঞানের ময়দানে প্রাচীন। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ সবই প্রাচীন। হয়তো এ কারণেই আধুনিকত্ব রোগে আক্রান্ত যারা তাদের নিকট নৈতিক মূল্যবোধের কোন মূল্যই নেই।

জাবের খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীরের জাতী

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

বীরের জাতিঃ একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্পঃ
একদা, এক বনে এক বাঘের বাচ্চার মা-বাবা মারা গেল।
এক দিন এক রাখাল ছেলের বাঘের বাচ্চাটিকে
দেখে খুব মায়া হল এবং সে বাচ্চাটাকে নিজের
ভেড়ার পালের সাথে লালন পালন করতে লাগল।
বাঘের বাচ্চাটা শিকার ধরার পরিবর্তে, ঘাস খাওয়া শুরু করল
এবং সে একেবারেই ভুলে গেল যে, সে
বাঘের বাচ্চা! তাই, সে নিজেকে ভেড়ার বাচ্চা মনে
করতে লাগল এবং ভেড়ার মত আচরন করতে শুরু
করল। কিন্তু, তার একটি দুঃখ ছিল; বাকি ভেড়াদের মত তার
কোন শিং নেই, ফলে সবাই তাকে শিং দিয়ে গুতো
মারে সে কিছুই করতে পারে না! তো, একদিন
বনের কিছু বাঘ এটি দেখল এবং তারা তাকে বুঝাল যে,
"তুই ভেড়ার বাচ্চা না, তুই বাঘের বাচ্চা; তুই একটা হুংকার
দিয়ে দেখ, ভেড়ার পাল জান নিয়ে পালাবে।"
তাদের কথা মত বাঘের বাচ্চাটি ভেড়ার পালের কাছে
গিয়ে যেই না একটা হুংকার দিল, অমনি সব ভেড়া জান
নিয়ে পালিয়ে গেল!
আমরা মুসলিম জাতিরা ও বাঘের মত, "বীরের জাতি"!
আমরা বিজাতিদের কালচার অনুসরন করতে করতে
নিজেদের আসল পরিচয় ভুলে গেছি! ভুলে গেছি
আমরা মুসলিম! জেনে রাখুন, আমরা মুহাম্মদ বিন কাসিম,
সালাউদ্দীন আয়ুবী, ওমর, খালিদ বিন ওয়ালিদ, হামজা এর
জাতী! আমরা ঐ জাতি, যাদের ভয়ে বাতিলেরা থর থর
করে কাপত!! দুনিয়ার অর্ধেক যারা শাসন করত!
আসুন আরও একবার হুংকার দেই !! ইনশাআল্লাহ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: ভাল।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

জাবের খান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.