নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।
উরসা মেজর, ছবি প্রথম আলো।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার জাহাজ "উরসা মেজর" গত ২৪ ডিসেম্বর রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় প্রবেশ করে এবং পণ্য খালাসের জন্য বন্দরে নোঙর করার অনুমতি চায়, কিন্তু জাহাজটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকার কারণে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দের ভিড়ার অনুমতি প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। এতে কিছুটা চটে যায় রাশিয়া, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়া হলে দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হবে, কিন্তু তবুও বাংলাদেশ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকে। উপায় অন্তর না পেয়ে রাশিয়া সিদ্ধান্ত নিলো জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে তা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিবে, কিন্তু সেখানেও আরেক সমস্যা, কারণ ওই সময়ে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী 'ডোনাল্ড লু' ভারত সফর করছিলেন এবং তিনি ভারতকে জাহাজটিকে ভারতের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার অনুরোধ করেন, যে কারণে জাহাজটি ভারতেও পণ্য খালাস করতে না পেরে সাগরেই ভাসতে থাকে। অবশেষ সিদ্ধান্ত হলো চীনের কোন এক বন্দরে পণ্য খালাস করে তা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিবে, কিন্তু চীন থেকেও পজিটিভ কোন রেসপন্স না পেয়ে জাহাজটি আবার রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। উল্লেখ্য যে, জাহাজটির আসল নাম "স্পার্টা ৩" সনদ নম্বর ৯৫৩৮৮৯২, কিন্তু রাশিয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিতে জাহাজটির নাম (উরসা মেজর) ও রং পরিবর্তন করে বাংলাদেশের বন্দরে নোঙর করার পাঁয়তারা করে। ভাগ্য ভালো যে বাংলাদেশ বিষটি আগেই টের পেয়ে যায় এবং জাহাজটিকে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। তখন বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন রাশিয়ার প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছিলেন; অহেতুক বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করার জন্য। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে; বাংলাদেশ একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র, এখন পর্যন্ত ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যুতে বাংলাদেশে খুব বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েই আসছে, তবে উক্ত জাহাজটি যদি বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে নোঙর করতে দেয়া হতো তাহলেই পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে রাশিয়ান তাবেদার রাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশের প্রতি খড়গ হস্ত অর্পণ করার সম্ভাবনা ছিল যা আমাদের জন্য মোটেও ভালো কিছু বয়ে আনতো না।
যা হোক উপরের এই বিষয়গুলো সবই হচ্ছে পুরোনো খবর, লেটেস্ট খবর হচ্ছে "উরসা মেজর' নামক জাহাজটি মূলত এতদিন সমুদ্রেই ভেসে বেরিয়েছে রাশিয়াতে ফেরত যায়নি। জাহাজটি আবার বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে চাচ্ছে কারণ এখন আর ডুনাল্ড লু দক্ষিণ এশিয়াতে নেই, এটাই মোক্ষম সময়। কিন্তু বাংলাদেশ এতে রাজি না হওয়াতে গত কাল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আন্দ্রে রোদেনকো রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করেছে এবং তাকে চাপ দিচ্ছে জাহাজটিকে যেন বাংলাদেশের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেয়া হয়। মি: রোদেনকো কামরুল হাসানকে আরও জানিয়েছেন- যেহেতু ৭১ এ রাশিয়া বাংলাদেশর পক্ষেই কাজ করেছে তাই তারা এখন বাংলাদেশকে তাদের পাশেই দেখতে চায়, তিনি হুশিয়ার দিয়ে বলেন- "এর অন্যথা হলে রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে"।
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, ছবি প্রথম আলো।
মূল কথা- আসল কথা হচ্ছে, গরীব হলে কত জ্বালা!! আর আপনি নিরপেক্ষও থাকতে পারবেন না, তাহলে দু'পক্ষেরই অভিযোগের তীর আপনাকে বিদ্ধ করবে। চীন এবং ভারত এই দু'দেশই রাশিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় কিন্তু রাশিয়া তাদের হুমকি ধামকি দিতে পরছে না, যত দোষ নন্দ ঘোষ। তারা যদি ভারত অথবা চীনকে অনুরোধ করে জাহাজটি তাদের বন্দরে নোঙর করে পণ্য খালাস করতো তাহলে উক্ত পণ্য বাংলাদেশ নিজেদের জাহাজ মাধ্যমে বাংলাদেশে আনতে পারতো ঝামেলা শেষ। এছাড়া বিষয়টা এমন নয় যে রাশিয়ার সব জাহাজেই নিষেধাজ্ঞা আছে, নিষেধাজ্ঞা বিহীন যে জাহাজগুলো আছে সেগুলো দিয়ে পণ্য পাঠালেই আর কোন সমস্যা থাকতো না, অহেতুক বাংলাদেশের মত পিচ্চি একটা দেশকে বিপদে ফেলার কোন মানে হয় না। খুব সম্ভবত রাশিয়া ছোট খাটো এমন রাষ্ট্রগুলোকে ট্র্যাপে ফেলে নিজেদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছে। বর্তমান সময়ে স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রে হামলার কথা চিন্তাও করা যায় না যা ইউক্রেনে রাশিয়া করছে, এটা করে সে নিজে তো ডুবেছে সাথে আরো কয়েকটারে ডুবানোর চেষ্টা করছে। হিটলারের পর পুতিনের মত এমন বিপজ্জনক রাজনীতিবিদ বর্তমান পৃথিবীতে একজনও নেই। গত দুই দশক ধরে সে নিজ দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে- গুম, খুন, দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন যা করার তার সবই সে করছে নিজ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য, আর এখন শুরু করছে দেশের বাইরে ইউক্রেনে, নিজের রাজত্ব প্রসার করার জন্য। পুতিনের পরিণতি ভালো হবে না, ইতিহাসে কোন সৈরশাসকের পরিণতিই ভাল হয় নি।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, বিডি-নিউজ, সময় টিভি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: খুব সিম্পল- শুধু যে জাহাজগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত না সে সকল জাহাজের মাধ্যমে আনলেই হয়, যা আমি পোস্ট উল্লেখ করেছি। আরও অনেক উপায় আছে। কিন্তু রাশিয়া ইচ্ছে করেই বাংলাদেশের সাথে এমনটি করছে, ছোট দেশ বলে। নিষেধাজ্ঞা বিহীন জাহাজ দিয়ে তারা ভারত, চীনে পণ্য পাঠাতে পারলে বাংলাদেশেও পারবে।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
এই জাহাজটি তো যুদ্ধ জাহাজ নয়, ইহার উপর নিষেধাজ্ঞা কেন?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো প্রশ্ন। ঠিক কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমেরিকা রাশিয়ার জাহাজগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সে বিষয়ে আমার তেমন কোন ধারণা নেই, তবে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: কামরুলকে খুজছিলাম বেশ কিছুকাল ধরে , যাক ও এখন রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত । কামরুল হাসান চীনে তৃতীয় সচিব হিসাবে কূটনীতিক জীবন শুরু করেছিল । ও চীনা ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ বছরের কোর্স করেছে ৮০র শেষ দিকে । ভাল লাগলো দেখে ।
যাক কামরুল জাহাজ সমস্যায় ভাল অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যাক অবশেষে আমার পোস্টের কল্যাণে আপনি আপনার হারানো বন্ধুর খোঁজ পেলেন। তাহলে পোষ্ট'টি স্বার্থক হয়েছে বলা যায়। আপনাকে স্বাগতম আমার নীড়ে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওহ!! আর একটি কথা, আপনার যদি কামরুল সাহেবের সাথে যোগাযোগ হয়, তাহলে তাকে বলবেন সে যেন রাশিয়াকে অনুরোধ করে নিষেধাজ্ঞা বিহীন জাহাজে পণ্য পাঠাতে, বাংলাদেশ এমনিতেই অনেক ঝামেলায় আছে নতুন করে আর কোন ঝামেলায় যেন বাংলাদেশকে না ফেলা হয়।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
শাওন আহমাদ বলেছেন: নিষেধাজ্ঞা বিহীন জাহাজ দিয়ে তারা ভারত, চীনে পণ্য পাঠাতে পারলে বাংলাদেশেও পারবে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ওদের উদ্দেশ্যই খারাপ আসলে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক তাই, তবে সময় এসেছে এখন বড় দেশগুলোার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের। বড় দুই শক্তির মাঝে যখন ক্ল্যাশ হয় তখন ছোট ছোট শক্তিগুলোর লাভ হয়। আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই ক্ল্যাশের সুযোগকে বাংলাদেশ যদি স্মার্টলি হ্যন্ডল করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ফুঁলে ফেঁপে কলাগাছ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের রাজনীতিবীদরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা না ভেবে নিজ নিজ আখের গোছাতে ব্যস্ত।
আপনাকে স্বাগতম আমার পাতায়।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
দারাশিকো বলেছেন: আপনার লেখায় পুরো ঘটনার সামারি পাওয়া গেলো। কোন এনালাইসিস থাকলে হয়তো আরও ভালো হতো।
প্রশ্ন হলো - নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সেটা মেনে নিচ্ছে কেন? বাংলাদেশ, ভারত বা চীন কেউই তো সেই জাহাজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় নাই। এমন কোন বিষয় আছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য? জানা থাকলে জানাবেন। আমি যেটা বুঝি সেটা হলো - সরকার আমেরিকাকে চটাতে চাচ্ছে না, এমনিতেই নানা ইস্যুতে ঝামেলায় আছে।
আর হ্যা, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব যে বক্তব্য মিডিয়ার মাধ্যমে চাপিয়ে দিচ্ছে, তার বাইরেও কথা আছে। রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকেও এই যুদ্ধ দেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি যেটা বুঝি সেটা হলো - সরকার আমেরিকাকে চটাতে চাচ্ছে না, এমনিতেই নানা ইস্যুতে ঝামেলায় আছে।
হ্যাঁ এটা একটা কারণ, তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রাজনীতি দুটোই পশ্চিমা বিশ্ব কেন্দ্রিক। কোন কারণে পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক অবোরধ আরোপ করলে তা বাংলাদেশর জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু রাশিয়ার অবাধ্য হলে রাশিয়া আমাদের ঠিক অতটা ক্ষতি করতে পারবে না।
রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকেও এই যুদ্ধ দেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
রাইট, যুদ্ধ যেহেতু শুরু করেছে অবশ্যই যুদ্ধের পিছনে তাদের যুক্তি রয়েছে। তবে মূল বিষয় হচ্ছে রাশিয়ান আগ্রাসী নীতি, যে কোন মূল্যে তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে চায়।
আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট পড়ে ২ ও ৫ নং প্রশ্ন গুলো আমিও করতে চেয়েছিলাম।
বাংলাদেশ জাহাজ টিকে অনুমতি দিতে পারতো। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে স্পার্টা ৩ এর উপর। বাংলাদেশে যেটা ঢুকতে চাইছে সেটা হচ্ছে উরসা মেজর।কোন দেশ কোন জাহাজের কি নাম রাখলো/পাল্টালো সে খবর রাখা বাংলাদেশের দায়িত্ব নয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমিও সেটাই ভাবছিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞায় থাকা প্রতিটি জাহাজের উপরেই আমেরিকা নজর রাখে। জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের ঠিক দুই দিন আগে ২২ ডিসেম্বর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশকে সতর্ক করে দেয়া হয় যে 'উরসা মেজর' নামক যে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকতে যাচ্ছে সেটা আসলে 'উরসা মেজর' নয় এটিই সেই নিষেধাজ্ঞায় থাকা স্পার্টা ৩, তাই জাহাজটিকে যেন বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেয়া হয়। রাশিয়া ভেবেছিল বিষয়টি হয়তো আমেরিকা ধরতে পারবে না। কিন্তু ২৪ সে ডিসেম্বর জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে বন্দরে নোঙর করতে চাইলে বাংলাদেশ না করে দেয়। তিন দিন অপেক্ষার পর জাহাজটি ভারতের বন্দরে নোঙর করতে চাইলে ভারতও না করে দেয় কারণ সে সময় ডোনাল্ড লু ভারত সফরে ছিলেন এবং তিনিও ভারতকে জাহাজটিকে ভিড়তে না দেওয়ার অনুরোধ করেন।
আমেরিকা বাংলাদেশকে সতর্ক করে দেয়ার আগে যদি জাহাজটি বাংলাদেশের বন্দরে নোঙর করতে পারতো তাহলে আমেরিকা বাংলাদেশকে কোন দোষ দিতে পারতো না।
আমার কথা হচ্ছে, রাশিয়ার তো আর জাহাজের অভাব নেই, সব জাহাজের উপরেই তো আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি, তাহলে এই বিতর্কিত জাহাজটির মাধ্যমেই কেন বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে হবে। আমার মনে হয় রাশিয়া একটু পরীক্ষা করে দেখলো বিষয়টা আমেরিকা ধরতে পারে কি না। ঠিক যেমন কয়েকদিন আগে চীন আমেরিকার আকাশে বেলুন পাঠিয়েছিল।
আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
রাশিয়া নিজেদের দলে বাংলাদেশকে চাইলে,বাংলাদেশের জন্য রাশিয়ার বিপক্ষে কে যাবে??
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এ এক জটিল হিসেব!! তবে বাংলাদেশর উচিৎ হবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দু'পক্ষ থেকেই সুবিধা আদায় করা। সময় এসেছে এখন বড় দেশগুলোার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের। বড় দুই শক্তির মাঝে যখন ক্ল্যাশ হয় তখন ছোট ছোট শক্তিগুলোর লাভ হয়। আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই ক্ল্যাশের সুযোগকে বাংলাদেশ যদি স্মার্টলি হ্যন্ডল করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ফুঁলে ফেঁপে কলাগাছ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের রাজনীতিবীদরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা না ভেবে নিজ নিজ আখের গোছাতে ব্যস্ত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট পড়ে ২ ও ৫ নং প্রশ্ন গুলো আমিও করতে চেয়েছিলাম।
বাংলাদেশ জাহাজ টিকে অনুমতি দিতে পারতো। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে স্পার্টা ৩ এর উপর। বাংলাদেশে যেটা ঢুকতে চাইছে সেটা হচ্ছে উরসা মেজর।কোন দেশ কোন জাহাজের কি নাম রাখলো/পাল্টালো সে খবর রাখা বাংলাদেশের দায়িত্ব নয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমিও তাই ভাবছিলাম। উপরের কমেন্টে লিখছি।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আগে বলেন মালামাল পরিবহনের জাহাজ নোঙ্গর ও পণ্য খালাসের নিষেধাজ্ঞা কারা দিল?
ভারত ও চীন দিনের পর দিন রাশীয়ার জাহাজে করে মাল আমদানী করছে তাতে কোন দোষ নেই কিন্তু আমরা জরুরী পণ্য আনলেও সমস্যা!
ইউরোপের যখন উক্রাইনের খাদ্য সশস্য লাগবে তখন রাশীয়ার হাতে পায়ে ধরে মানবতার কথা বলে যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা করে যেন তেন উপায়ে খাদ্য নেয়।
শুধু পুতিনের কথা বললে হবে বাইডেন আর ওর দোসরদের কথা বলেন?
ভারতই বলেছিল ওদের বন্দরে মাল খালাস করবে। পরে ডোনাল্ড লু'র কথা বলে পল্টি খেল। বলত তখন ঠিকাছে কয়দিন পরে আনো। আপনার কি জানা আছে ওই জাহাজ ফিরে যাবার পরে ভারত এ পর্যন্ত কত মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানী করেছে রাশিয়া থেকে? সব কি অন্য পতাকাবাহী জাহাজে করেছে?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় জাহাজটি একসময় যুদ্ধ জাহাজ ছিল, যদিও আমি ঠিক জানি না ঠিক কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমেরিকা রাশিয়ার জাহাজগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, বিষয়টা নিয়ে একটু গবেষণা করা যেতে পারে।
সেটা আমারও কথা, ভারত ও চীনে লক্ষ লক্ষ টন পন্য নিষেধাজ্ঞা বিহীন জাহাজ দিয়ে পাঠাতে পারলে বাংলাদেশে কেন বিতর্কিত জাহাজ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে? নাকি আমরা গারীব বলে?
আপনার কি জানা আছে ওই জাহাজ ফিরে যাবার পরে ভারত এ পর্যন্ত কত মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানী করেছে রাশিয়া থেকে?
আমার জানা মতে নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোন জাহাজ দিয়ে ভারত বা চীনে রাশিয়া কোন পণ্য পাঠাচ্ছে না। বিশেষ করে ডুনাল্ড লু'র সফরের পর থেকে।
হুমম, দোষ তো কম বেশি দু পক্ষরই আছে, তবে এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও স্বাধীন, সার্বভৌম কোন রাষ্ট্রের উপর এমন বর্বরোচিত হামলা মেনে নেয়া যায় না। আমরা যুদ্ধ থামাতে না পাড়ি, তবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা তো বলতে পারি।
আপনার গঠানমূলক মন্ত্যবে প্রীত হলাম
ধন্যবাদ
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার পোষ্টের বিষয় বস্তু আমার ভালো লাগেনি। আপনিতো আমেরিকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত না, আপনার লেখায় ভয় আসবে কেন?
রাশিয়ার প্রতি তথা আমাদের উপর অন্যায় হয়েছে এটা বলা উচীৎ ছিলো আপনার। যেই জাহাজ টি পাঠিয়েছে এটা নিচক কার্গো জাহাজ, এমন জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা মানে সেই ১৯৭৪ পুন রচনা। আর রাশিায় সম্পর্কে আপনার ধারণা একেবারেই অমুলক। ইতিহাস এবং বর্তমান থেকে জেনে নিন কে কার বন্ধু।
শুভ কামনা
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাশিয়া সম্পর্কে আগে আমার ভালো ধারণাই ছিলো এবং পুতিনকেও বেশ বুদ্ধিমান মনে করতাম। কিন্তু এখন আমি পুতিনকে দেখতে পারি না সঙ্গত কারণেই।
আপনার মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২২
অনল চৌধুরী বলেছেন: পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা না যে সেটা সবাইকে মানতে হবে।
কিউবা, ইরান, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ এ্যামেরিকার বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পার কিন্ত লুটপাটের কারণে গরীব বাংলাদেশ সেটা করতে গেলে মহাবিপদে পড়বে।
৭১ এ রাশিয়া বাংলাদেশর পক্ষেই কাজ করেছে তাই তারা এখন বাংলাদেশকে তাদের পাশেই দেখতে চায়, -মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেন-সহ সব সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রই সাহায্য করেছে।
সেইসময়ের রাষ্ট্রপতি ব্রেজনেভ ছিলেন ইউক্রেনীয়।
সুতরাং এককভাবে কেো পক্ষে যাওয়ার সুযোগ নাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: স্বাধীন সিন্ধান্ত নেওয়ার মত সময় এখনও বাংলাদেশের হয় নি আরও অনেক পথ পারি দিতে হবে। হ্যাঁ কারো পক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই, "সবার সাথেই বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়" এই নীতিতেই বাংলাদেশকে আগাতে হবে।
আপনার মতামতকে সাধুবাদ জানাই।
নিচে 'শেরজা তপন' আপনার উদ্দ্যেশে কিছু একটা বলেছেন।
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাহাজে সাধারণত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় চোরাচালান পণ্য বহন করলে, বা কারণে জরিমানা বা বন্দরের শুল্ক পরিশোধ না করে পালিয়ে গেলে।
এই জাহাজটা আরো একটু বড় অপরাধ করেছে। বেয়ানিভাবে নাম চেঞ্জ করে ফেলেছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইন মেনে চলা একটি স্বাক্ষরিত দেশ। আইন ভঙ্গ করলে সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ।
এই দুই নম্বরি রাশিয়ান জাহাজটিকে ভারত ও তাদের বন্দরে ভিড়াতে দেয়নি। বাংলাদেশের অবস্থান সঠিক আছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এখন বাংলাদেশের উচিৎ নিষেধাজ্ঞা বিহীন জাহাজে করে পাণ্য পাঠাতে রাশিয়াকে চাপ প্রদান করা, তাহলে আর কোন ঝামেলা থাকলো না। আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: @অনল চৌধুরী
ব্রেজনেভকে টেনে আপনি ভুল করছেন- এটা এককভাবে ব্রেজনেভের সিদ্ধান্ত ছিল না। সেটা ছিল সম্ভবত সোভিয়েত পলিটব্যুরোর(কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নীতিনির্ধারণী পরিষদ) সিদ্ধান্ত!
এককথায় বলতে হবে সেটা ছিল অখন্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত। সেখানে মালদোভিয়ার মত ছোট দুর্বল দেশ ও ছিল।
ব্রেজনেভ ১৯২৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির যুব সংগঠন কসমোলে যোগ দেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যতা লাভ করেন ১৯২৯ সালে।
কিন্তু তিনি ১৯৩০ থেকে ৩৩ সাল পর্যন্ত উক্রাইনে ' হলোদোমোর' মানবসৃষ্ঠ দুর্ভিক্ষের কারনে কমবেশী ৭০ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিল তার জীবদ্দশায় কোনদিনও শোক প্রকাশ করেননি বা প্রতিবাদ করেননি। এমনকি পুরো ঘটনাটা যাতে বহির্বিশ্বের আড়ালে থাকে সে চেষ্টাই তিনি করেছেন। আমি বলব ক্ষমতার লোভে তিনি জন্মভুমির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সে অনেক কথা, এতকিছু আমি জানি না। আশা করি অনল চৌধুরী উনার মতামত জানাবেন।
শুভ কামনা সবসময়।
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: সমস্যাটা নিষেধাজ্ঞায়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বী, সে কথাই তো বলছি। আর বাংলাদেশ কেন রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছে না নিষেধাজ্ঞা বিহীন জাহাজে করে পণ্য পাঠাতে? তাহলেই তো ঝামেলা চুকে যায়।
১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৪
সাদিয়ার আব্বু বলেছেন: বাংলাদেশ অলরেডি বিপদের মধ্যে পরে আছে তা কুটনৈতিক ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেখা যাক বিষয়টা কোনদিকে গড়ায়।
ওয়াও!! আপনার দেখি ভেরী ফ্রেশ একাউন্ট, মাত্র ৬৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড বয়স আপনার, আর এটাই আপনার প্রথম কমেন্ট।
সামহয়্যারইন ব্লগ নেটওয়ার্কে আমনাকে সাদর সম্ভাষণ।
১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩১
মুহামমদ মিনহাজ বলেছেন: যত হিসেবই করা হোক শেষমেষ কিন্তু ক্ষতি বাংলাদেশেরই হচ্ছে, বিদেশি দেশের সাথে সম্পর্কের কথা পাশে রাখলেও আমাদের যেই পণ্য জাহাজে আঁটকে আছে সেই পণ্যের মূল্যবৃ্দ্ধি থেকে শুরু করে দেশের মুনাফাখোরদের গরিব মানুষ কে লুটে নেয়ার ঝুঁকি বাড়ছে ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: Exactly right. মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: শেরজা তপন , বিপ্লবের পর সোভিয়েত ইউনিয়নে অনেকবার দুরিইবক্স হয়েছে।১৯৩০-এর দুর্ভিক্ষ।ষেরসময় শাসক ছিলেন স্টালিন। ব্রেজনেভ একজন সাধারণ সদস্য। সুতরাং তার করার কিছু্ ছিলোনা।
সোভিয়েত ইউনিয়নে কেনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেউ একা নিতে পারতেন না। কিন্ত যিনি দেশ পরিচালনা করেন, স্বাভাবিকভাবেই ভালো-খারাপ সব কাজের কৃত্বিত্ব-দোষ সবকিছুই তাকে দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে রাশিয়াকেও তাহলে কৃতিত্ব দেয়া যায় না কারণ প্রজাতন্ত্র ছিলো ১৫টা।
তিনি সেনাবাহিনীর বীর সদস্য হওয়ার কারণেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, যেটা ভিয়েতনাম যুদ্ধে সোভিয়েত সহায়তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
একা ৪ পরাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা কোনো সহজ ব্যাপার ছিলোনা।
কোনো ব্যাক্তি বা রাষ্ট্র যদি খারাপও হয়,তারপরও কেউ তাদের কাছ থেকে উপকার পেলে সেটার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়। ব্রেজেনেভের সময়েই আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণ শুরু হয়,যেটা সমর্থন করতে পারিনা। কিন্ত এজন্য তখন বা পরে কেউ তার নিন্দাও করেনি। তারণ সেটা না করলে আরো আগে সোভিয়েত ভাঙ্গতো।
দুরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখলে ধর্ম-প্রচারক বা স্রষ্টারও অনেক দোষ খূজে বের করা সম্ভব।
১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। আপনার বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা চমৎকার লেগেছে!!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার নীড়ে আপনাকে স্বাগতম।
১৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
রানার ব্লগ বলেছেন: গরীবের সুন্দুরী বউ। কারো ভাবী কারো দাবি !!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গরীব হলে সমস্যার অন্ত নেই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথমত আমি ধারণা করছি- রাশিয়া বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্থ্য করতে পারবেনা। তবে মার্কিন চক্রব্যুহ থেকে বাংলাদেশের নিস্তার নাই। বাংলাদেশের জন্য রাশিয়া কখনোই বিপদজনক নয়- যতটা বিপদজনক ইন্ডিয়া এবং মার্কিন যুক্ত রাস্ট্র। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুযোগ আছে কুটনৈতিক শক্তিমত্তা ব্যবহার করে খুব বেশী লাভবান হওয়া। আমি মনে করি- রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ করতে বাধ্য করেছে ইংগ-মার্কিন এবং ইউরোপীয় ইউনয়ন। এই যুদ্ধ জিয়িয়ে রাখার পেছনেও একই চক্র সক্রিয়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশ যেদিন নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে সেদিন আর কেউ-ই আমাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারবে না, তখন সবাই বন্ধু হতে চাইবে। ভারত আমেরিকা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু কথায় আছে না, বন্ধু বিভীষণ। "কেউ বন্ধু নয় কেউ-ই শত্রু নয়" বাংলাদেশের এই নীতিতে চলতে হবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে।
আমি মনে করি- রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ করতে বাধ্য করেছে ইংগ-মার্কিন এবং ইউরোপীয় ইউনয়ন।
যুদ্ধ শুরুর আগে তারা সব ধরণের চেষ্টাই করেছে পুতিনকে থামাতে, একমাত্র বাইডেন ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের এমন কোন রাষ্ট্র নয়ক নেই যে কি না মস্কোতে যায় নি পুতিনকে বুঝাতে। বিপরীত দিকে পুতিন কোথায়ও যায়নি কারো সাথে আলোচনা করার জন্য, সে নিজে নিজেই ভাবছে নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এখন আবার পারমানবিক হামলার হুমকি দিচ্ছে, যাতে তার সব দাবি মেনে নেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে পুতিনের মত এমন বিপজ্জনক রাজনীতিবীদ পৃথিবীতে আর একজনও নেই্ । বিশ্ব যদি আপনাকে নেতা হিসেবে মেনে না নেয়, যুদ্ধ বাঁধিয়ে কখনো এককভাবে বিশ্ব নেতা হতে পারবেন না, যে বিষয়টা পুতিনের মাথায় ঢুকছে না।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং সকলের মন্তব্য গুলো পড়লাম। মন্তব্যের উত্তর গুলোও পড়লাম।
কিন্তু আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। কারনা আমি আন্তজার্তিক বিষয় কিচ্ছু বুঝি না।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যে যার মত পারছে বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে, তবে দেখতে হবে কার বিশ্লেষণের মধ্যে যৌক্তিকতা আছে।
পুতিনকে আমাদের দেশের মানুষ যতটা মহান ভাবে মস্কোর মানুষ ঠিক ততটাই তাকে ক্রিমিনাল ভাবে, এমন ভয়ঙ্কর সৈরাচারী শাসক বর্তমান পৃথিবীতে একটিও নেই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #জ্যাক স্মিথ
রিদমিক ইনস্টল করে নিন। স্বাচ্ছন্দ্যে বাংলা লিখতে পারবে
এই কমেন্ট পোস্টের সাথে সম্পর্কিত নয়
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ, আপি। হ্যাঁ রিদমিক ইনস্টল করেছি অনেক আগেই কিন্তু এখানে বাংলা লেখার তিনটি অপশন, অভ্র, প্রভাত, আর জাতীয়। অভ্র দিয়ে- "আমি ভাত খাই, আমি বাড়ি যাই" এরকম সহজ বাংলা লিখতে পারি আর প্রভাত ও জাতীয় দিয়ে অক্ষর খুঁজে পেতেই ঘাম ঝড়ে যায়। আপনি কোনটা ইউজ করেন, অভ্র, প্রভাত নাকি জাতীয়? আসলে আমার মোবাইল দিয়ে বাংলা লিখার অভ্যেস নেই যে কারণে এ অবস্থা!! কিছুদিন প্র্যাকটিস করলেই হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
২৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- জাহাজ ঘটনাটাকি বাংলাদেশের জন্য শাখের করাতের মতো হয়ে গেলো!!
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একদম তাই, ভালো থাকবেন দস্যু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল আসবে কি করে?