নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৬



আমি দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসতেছি খুব শীঘ্রই 'অ্যাডলফ পুতিন'কে' গ্রেফতার করা হবে, কিন্তু কেউ আমার কথার মর্মার্থ বুঝতে পারলো না, অবশেষ পুতিনকে গ্রেফতার করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো, এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষা। বর্তমান সময়ের এই হিটলার 'অ্যাডলফ পুতিন' ইউক্রেনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন সহ নানা মানবতা বিরোধী নৃশংস কর্মকাণ্ড চালানোর অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।



বিশ্ব যখন কোভিড মহামারী বিপর্যয় থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে নতুন এক পৃথিবী গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই, যুদ্ধবাজ এই নেতা বিশ্বকে ভয়ংকর এক যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে গেলো, ফলাফল; পুরো পৃথিবীতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়! বিনা উস্কানিতে পুতিন বাহিনী অপ্রস্তুত ইউক্রেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো, বর্তমান সময়ে স্বাধীন সার্বভৌম কোন রাষ্ট্রের উপর এমন কাপুরুষিত আক্রমণ নজীর বিহীন, যা মেনে নেয়া যায় না। সাহসী ইউক্রেনবাসীর দুর্বার প্রতিরোধ, এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের অসামান্য সহায়তায় এখন পর্যন্ত তারা খুব ভালো ভাবেই রাশিয়ান সন্ত্রাসী বাহিনীর মোক্ষম জবাব দিচ্ছে। রাশিয়া কখনোই ইউক্রেন দখল করতে পারবে না, এবং পুতিনের হুমকি ধামকিতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যায় নি বরং আরও বেড়েছে, ফিনল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির ন্যাটোতে যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পথে। যে কোন মূল্যে বিশ্ববাসীকে যুদ্ধবাজ এই পুতিনকে থামাতে হবে তা না হলে ধীরে ধীরে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হবে এবং মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই এবং বিশ্ব সন্ত্রাসী পুতিনের বিচার চাই।



খুব শীগ্রই পুতিনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হবে, ব্যাটে বলে ঠিক মিলছে না তাই একটু দেরী হয়ে যাচ্ছে তবে বেশিদিন সে আর ক্ষমতায় থাকতে পরছে না। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশিদিন ধরে পুতিন নামক এই সিন্দাবাদের ভূত মস্কোবাসীর ঘাড়ে চেপে রয়েছে কিছুতেই তাকে অপসারণ করা যাচ্ছে না- হত্যা, খুন, গুম, দুর্নীতি, নির্যাতন এহেন কোন অপকর্ম নেই যা পুতিন ও তার ষণ্ডা বাহিনী রাশিয়ান জনগনের সাথে করেনি, তবে এখন জেগে উঠেছে মস্কোবাসী এবার তাকে অপসারণের পালা। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুতিনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের বিকল্প কিছু নেই।



ছবি: The Moscow Times, BBC, and ft dot com.


মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: জাতিসংঘ তদন্তে কোন অপরাধ খুঁজে পায় নাই।আপনার কোন এজেন্ট মনে হয় এই ওয়ারেন্ট ইস্যু করছে ।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওয়ারেন্ট ইস্যু করছে (আইসিসি) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। view this link

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আইসিসি এর আগে, সুদানের ওমর আল বাশার এবং লিবিয়ার গাদ্দাফির বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
পুতিনের পরিণতিও গাদ্দাফি, সাদ্দামের মতই হবে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার কথাই সত্য হয়েছে

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? অন্তত পক্ষে রাশিয়ার ভেতর থেকে পুতিনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে না। তবে আশার কথা হচ্ছে মস্কোতে দিন দিন পুতিনের বিরুদ্ধে জনরোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই জনরোষটাকে কাজে লাগিয়ে একটা ক্ল্যু করতে হবে তা না হলে একদিন পুতিন বিশ্বকে ধ্বংস করে দিবে।

হতাশার কথা হচ্ছে, অভ্যন্তরীন রাজনীতির কারণে আমেরিকার ট্রাম্প সাপোর্টারা সব পুতিনের ভক্ত। এরা তলে তলে পুতিনর পক্ষেই কথা বলে।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

পুটিনের পরিণতি সাদ্দাম/গাদ্দাফীর মত হলে বেমানান দেখাবে। পুটিন চাপে পড়লে ব্যাগ থেকে এটম বের করবে।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুতিন খুবই বিপজ্জনক এক রাজনীতিবিদ, বিষয়টা ন্যাটো খুব ভালো করেই জানে, তা না হলে এতদিন কবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিতো। পুতিনকে সরাসরি না চটিয়ে ন্যাটো একটু ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে, একদিন দেখা যাবে রাশিয়ার জনগনই হয়তো পুতিনকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। দীর্য ২১ বছরে রাশিয়ার ভিতরেই পুতিনের বিরুদ্ধে বিশাল এক প্রতিপক্ষ তৈরী হয়েছে।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:




লেখক বলেছেন: কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?

-এত তাড়াহুড়ো কেন, বিড়ালের মাংসের কাচ্চি করার কথা ভাবছেন নাকি?

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিপজ্জনক পুতিনকে তাড়াহুড়া করে শায়েস্তা করা যাবে না এটা সত্য।
আমি বাদুর, ব্যঙ, ঝিনুক, এবং কাকড়া খেয়েছি, কিন্তু বিড়ালের মাংস খাওয়া হয়নি কখনো, সুলতান ডাইন এ একদিন যেতে হবে বিড়ালের কাচ্চি খাওয়ার জন্য। :-P

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:৪১

ইলি বলেছেন: অবশেষে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ান------!!!!! থামেন থামেন জনাব আসলে কে পরোয়ানা জারি করলো আর কে তাকে গ্রেফতার করবে??? আমেরিকার ইউরোপ তথা বিশ্বে আমেরিকার চামচাদের সঙ্ঘঠন নেটোর সাথে টানা ১ বছর যাবত যুদ্ধ করে যাচ্ছে, ইউক্রেনের বারোটা বাজাইতেছে প্রতিদিন, সেখনে এই পরোয়ানা যুদ্ধের বর্ষ পূর্তিতে সিলি জোক অফ দি ইয়ার !!! রাশিয়া ইরান, বেলারুস সাথে চায়না আসলে খেলা ফাইনাল। মধ্যপ্রাচে ইরান সউদি খাজুর রা মিলে গেলে আমেরিকা ইস্রাইলের গেম চেঞ্জ হওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র। অবশেসে!!! পুতিন কাক্কু ঝানু ও সলিড কে জি বির মাল এত এত স্যাংসন দিয়ে রাশিয়ার একটা চুল ও বাকাইতে পারেনাই মাঝ থেকে আম্রিকার ২ ব্যঙ্ক হাওয়া!!! ইউরোপের নাভিশ্বাস। রাশিয়া জনগন ইরাক আফগান লিবিয়া বা সিরিয়া জনতার মত আবাল নয়। বিশ্ব রাজনিতিতে রাশিয়া তথা পুতিন কাকুর একটা প্রভাব আছে থাকবে এই যুদ্ধ তাকে আর ও পাকা পোক্ত করবে। ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এমন যুদ্ধবাজ, রক্ত পিপাসু একজন নেতাকে কাকু বলা কি ঠিক? আপনি কি পুতিনকে ভয় পাইছেন?
যতদিন পুতিন ক্ষমতায় আছে ততদিন বিশ্ব নিরাপদ নয়।



রাশিয়া ইরান, বেলারুস সাথে চায়না আসলে খেলা ফাইনাল। নাহ চায়না সে ভুল কখনোই করবে না চায়নার পুরো অর্থনীতি পশ্চিমা বিশ্ব কেন্দ্রিক। সরাসরি পুতিনের পক্ষ হয়ে কাজ করার মত সাহস চীনের এখনো হয় নি, তারা বড়জোর মধ্যস্থতা করতে পারে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে ফাঁয়দা লুটতে পারে, যা ওরা এখন করছে। একথা সত্য বর্তমানে চীন এবং ভারত ছাড়া রাশিয়া অচল, চীন এবং ভারত রাশিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে রাশিয়ার ধ্বংস অনিবার্য।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: গাদ্দাফি,বাশারের কি অবস্থা করেছিল আইসিসি।যদি একটু বিস্তারিত বলেন।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তাদের খুব খারাপ পরিস্থিতি হয়েছিল, বিশেষ করে গাদ্দাফির The moment the arrest of Muammar Gaddaf

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

বিটপি বলেছেন: উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের সময় একটা জনপ্রিয় গান ছিল, "বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে এই জনতা" - এরকম পরোয়ানা জারি করে বিচারপতিরা না আবে বেকায়দায় পড়ে যায়।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: "বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে এই জনতা" রাশিয়ান জনতাই এবার পুতিনের বিচার করবে, দীর্ঘ ২১ বছর তারা পুতিনের অনেক অবিচার সহ্য করেছে আর নায়, জেগে উঠেছে এবার রাশিয়ান জনতা।


৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সকালে টিভি খুলেই দেখি এ খবর :) ব্লগে ঢুকেও আপনার এ খবর!

কিন্তু এ যুদ্ধের মূল প্ররোচনাকারী, যার উসকানিতে এ যুদ্ধ বাঁধাতে পুতিন বাধ্য হলো, সেই বাতেনের নামে তো আরো আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা উচিত ছিল। তবে, রাশিয়াকে ইরাক, লিবিয়ার সাথে এক পাল্লায় মাপার জো নাই।

রাশিয়ান জনগণ যদ্দিন পুতিনের বিপক্ষে ত্যক্ত বিরক্ত ক্ষিপ্ত হয়ে পুতিনকে ঘাড় ধরে গদি থেকে না সরাবে, তদ্দিন বাতেন বা আইসিসির কোনো ক্ষমতা নাই তাকে সরানোর। অপেক্ষা করতে হবে, এর বিপরীতে পুতিন বা রাশিয়া কী করে।

সারাবিশ্বে যে অর্থনৈতিক ধ্বস নামছে, তার ভার শুধু পুতিনের ঘাড়ে একা না, বাতেন ভাইয়াকেও নিতে হবে।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাতেন না থাকলে ইউক্রেন আজ রাশিয়ান কলোনিতে রুপান্তর হতো, ধীরে ধীরে সে পুরো ইউরোপকে গ্রাস করে নিতো। স্বৈরাচারী পুতিনের উত্থানে পৃথিবীতে গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। পুতিন এখনো স্বপ্ন দেখে সোভিয়েত আমলের হারানো ভুমি সব দখল করার। ভুমিদস্যু পুতিনের অরাজকতায় বাঁধা দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র বাতেনর'ই আছে।



আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আইসিসির হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। আইসিসি বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি। তাই পুতিনকে আপাতত এই আদালতের কাছে সমর্পনের কোনো সুযোগ নেই।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সাধু ভাই কেমন আছেন আপনি? অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম, সব ঠিক আছে তো?

জ্বী বিষয়টি জানি, আসলে আইসিসির আইন বাস্তবায়নের জন্য তাদের নিজস্ব কোন বাহিনী নেই, তারা বিভিন্ন দেশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে। পুতিনকে রাশিয়ার বাইরে পেলেই তাকে আটক করা হবে, এ ব্যাপারে সিআইএ কাজ করে যাচ্ছে। পুতিন খুবই বিপজ্জনক এক নেতা তাই তাকে ধীরে ধীরে কৌশলে শায়েস্তা করতে হবে।

ভালো থকবেন সবসময়।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২০

চারাগাছ বলেছেন:
পুতিন তো চিপায় পড়ছে তাহলে !
এইবার রাশিয়া যুদ্ধ থামিয়ে দেবে কি বলেন ?

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নাহ, পুতিনকে যতদিন পর্যন্ত গ্রেফতার করা না হবে, বা ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা না হবে ততদিন পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলতেই থাকবে। পুতিনকে ধীরে ধীরে শায়েস্তা করতে হবে, সে খুবই বিপজ্জনক এক নেতা। পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে যু্দ্ধবাজ নেতা, তাই ন্যাটো খুব সাবধানে পা ফেলেছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: পুতিন কে থামাতে হবে। পুতিন হিংস্র। নইলে সারা বিশ্বের বিপদ।
এরপর থামাতে হবে কিম কে। এরা বিশ্বের জন্য অভিশাপ।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুতিনের পরাজয় অনিবার্য, কিম পুতিনের চেয়ে ভালো লোক বলে আমি মনে করি কারণ সে যা করে নিজ দেশে করে, আর পুতিন রাশিয়ার আশেপাশের সব দেশ দখল করার পাঁয়তারা করতেছে।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি। অপরাধ, ইউক্রেন নামের আরেকটা দেশের স্বাধীন সার্বভৌম দেশে আক্রমন।

মনে হচ্ছে সারা পৃথিবীতে এই প্রথম নিরাপত্তার অজুহাতে আরেকটা দেশ আক্রমন করলো!

আচ্ছা, এই আইসিসি এর আগে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বুশের বিরুদ্ধে ইরাক, আফগানিস্তগানে ২২ বছর ধরে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ বেসামরিক মানুষের রক্ত ঝরানো অপরাধে আমেরিকার রাষ্ট্রপতিদের নামে কি এই ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল?

কিংবা নিরাপরাধ লিবিয়া এবং ভিয়েতনামে আমেরিকার নির্মম আক্রমনের জন্য?

নাকি আইসিসি হচ্ছে পাশ্চাত্য দেশগুলো বিশেষ করে আমেরিকার তাবেদারি প্রতিষ্ঠান? যা শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনে এইসব পরোয়ানা জারি করে, যেন তালগাছটা শুধু আমার!

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘টয়লেট পেপার’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর চেয়ে উপযুক্ত শব্দ এর জন্য আর কিছু কি হতে পারে?

পুতিনকে এরেস্ট করতে যাবে কে? কার এতবড় হ্যাডম আছে?

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি দেখি ইউটিউবের কমেন্টারদের মত অতীতের তামাম দুনিয়ার যুদ্ধ দিয়ে এই যুদ্ধকে জাস্টিফাই করার অপচেষ্টা লিপ্ত। আপনি যে সকল যুদ্ধের কথা বলেছেন ওগুলা আসলে যুদ্ধ নয়, অত্যাচারী শাসক এবং জঙ্গী গোষ্ঠীর কবল থেকে সাধারণ জনগনকে মুক্ত করার জন্য আমেরিকা সারা পৃথিবীর অনুমুতি নিয়েই উক্ত দেশগুলোতে আক্রমন করে অত্যাচারী শসকদের অপসারণ করেছে, এবং কার্য সম্পাদন হবার পর তারা নিজ দেশে চলে গিয়েছে, তারা কোন দেশ দখল করার জন্য একতরফা আক্রমন চালায় নি।

পুতিনের এরেস্ট সময়ের ব্যাপার মাত্র। পুতিনকে সাদ্দাম এবং গাদ্দাফির মতই পরিণতি বরণ করতে হবে। The moment the arrest of Muammar Gaddaf

কোন স্বৈরাচার শসকেরই পরিণতি কখনো ভালো হয় না, ইতিহাস স্বাক্ষী।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আর কিছুদিন গেলে অনেক গুলো বিষয় পরিস্কার হবে।

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিন্তু রাশিয়াকে ইউক্রেন ছাড়তে হবে, এছাড়া তাদের সামনে দ্বিতীয় আর কোন পথ খোলা নেই।

দ্বিতীয়বার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ব্লেয়ার আর বুশেরতো কিছু হয়না!!

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ব্লেয়ার আর বুশের কল্যাণে মধ্যপ্রাচ্যে এখন শ্বান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইরাক, লিবিয়ার জনগন এখন অত্যাচারী স্বৈরাচারী শাসকের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। সাদ্দাম, গাদ্দিফি এক সময় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, তাদের এই ত্রাস আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। শ্বান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন আছে। বুশ, ব্লেয়ার কখনোই কোন দেশ দখল করার জন্য আক্রমণ চালায়নি, তারা অত্যাচারী শাসকদের অপসারণ করেছে মাত্র।
ধন্যবাদ।

১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি সত্যি সত্যি পুতিন গ্রেফতার হয় তাহলে সেটা সম্ভব হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ হবে তীর ধনুক আর বর্শা দিয়ে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুতিনকে এখনই হয়তো গ্রেফতার করা সম্ভব হবে না, তবে গ্রেফতার পরোয়ানার ঘোষনাটি পুতিনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের স্পষ্ট একটি বার্তা। উক্ত নোটিশের মাধ্যমে মূলত পুতিনকে এক ঘরে করে ফেলা হলো, এর মাধ্যমেই রাশিয়া বনাম পশ্চিমা বিশ্বের বিবাদ সবে মাত্র শুরু হলো। ইচ্ছে করেই কোন ধরণের সতর্ক সংকেত না দিয়ে আমেরিকান ড্রোনে হামলা চালানোর বিষয়টি আমেরিকা বেশ গুরুত্ব সহকারেই নিয়েছে, ড্রোনে হামলা চালানোর ঠিক তিন/চার দিন পরেই পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়না জারি সে বিষয়েরই ইঙ্গিত দেয়। আমার মনে হয় বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের লোকদের না খেয়ে মরার চেয়ে পারমাণবিক বোমার আঘাতে মৃত্যু অনেক সম্মানজনক হবে। যুদ্ধ যদি করতেই হয় ভালো করে করা উচিত। আমার মতে খুব ভালো রকম একটা যুদ্ধ বাধুক যেন পৃথিবীর সকল দেশ যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা পুনরায় স্মরণ করতে পারে। কোন দেশ মীমাংসায় যদি এগিয়ে আসে তাহলে যুদ্ধ আরও প্রলম্বিত হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কি আর বলবো, আসলে এই পৃথিবীটা খুবই আনফেয়ার একটা পৃথিবী। বড় একটা যুদ্ধ বাঁধলে ধনী রাষ্ট্র গরীব আর গারীব রাষ্ট্র ধনী হয়ে যেতে পারে।

আপনার মতামতকে সাধুবাদ জনাই।

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

বিটপি বলেছেন: ১২ নং মন্তব্যের উত্তরে আপনি লিখেছেন "অত্যাচারী শাসক এবং জঙ্গী গোষ্ঠীর কবল থেকে সাধারণ জনগনকে মুক্ত করার জন্য আমেরিকা সারা পৃথিবীর অনুমুতি নিয়েই উক্ত দেশগুলোতে আক্রমন করে অত্যাচারী শসকদের অপসারণ করেছে"

এই সারা পৃথিবী বলতে আপনি পৃথিবীর কোন অংশকে বুঝাচ্ছেন? প্রেসিডেন্ট বুশ এই আক্রমণের সময় সারা পৃথিবীর মতামতের কোন তোয়াক্কাই করেনি। আল্টিমেটাম দিয়ে সরাসরি কুকুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

- আফগানিস্তানকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল লাদেনকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হোক। তালেবানরা শর্তসাপেক্ষে রাজীও হয়েছিল, কিন্তু আক্রমণ এড়াতে পারেনি।

- ইরাকে বলেছিল অস্ত্র পরিদর্শক দলকে ঢুকতে দিতে। সাদ্দাম সেই ব্যবস্থাও করেছে, কিন্তু আমেরিকা কি তাকে ছেড়ে দিয়েছে? তখন সাদ্দাম যদি পদত্যাগও করত, তাহলেও আমেরিকার আক্রমণ ঠেকানো যেতোনা।

প্রেসিডেন্ট বুশের বাহিনীর তখন মুসলিম রক্তের নেশা - অন্য কিছু দিয়ে এই নেশা কাটানোর কোন উপায় তখন ছিলনা।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওইসব যুদ্ধের সাথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কোন সম্পর্ক নেই, পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ দখল করে বসে নেই, তারা অত্যাচারী শসককে অপসারণ করে চলে গেছে। সাদ্দাম আর গাদ্দাফিকে উৎখাত করার পর মধ্যপ্রাচ্যে এখন আগের চেয়ে বেশি শ্বান্তি বিরাজ করছে, তারা দীর্ঘ বছর মধ্যপ্রাচ্য তথা আফ্রিকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে সাদ্দাম এবং গাদ্দাফির বাহিনী। তালেবানকে পুরোপুরি উৎখাত করতে পারলে ভালো হতো কিন্তু এটা আমেরিকার ব্যর্থতা।

তাছাড়া, বুশ আর ব্লেয়ার যা করেছে পুতিনকেও তাদের ফলো করে তাই করতে হবে এমন কোন কথা নেই। পুতিন যদি আজ দক্ষিন এশিয়া অথবা মধ্যপ্রাচ্যে হামলা চালায় আপনি কি বুশ ব্লেয়ারের দোহাই দিয়ে পুতিনকে সাপোর্ট করবেন?

ধন্যবাদ।

১৮| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লেয়ার আর বুশের কল্যাণে মধ্যপ্রাচ্যে এখন শ্বান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এতবড় ডাহা মিথ্যা কথা সম্ভবত ব্লেয়ার আর বুশও বলতে লজ্জা পেত।
কোন দুনিয়ায় আছেন আপনি কে জানে! তবে পাশ্চাত্যদেশগুলোর মিডিয়ার সুর পালটে যেতে শুরু করেছে।
আপ্নিও বাস্তবে আসবেন তবে তখন আর কাউকে মুখ দেখাতে পারবেন না।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এসব পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ কি? তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে এখন আগের চেয়ে হানাহানি অনেকাংশেই কমেছে এটা সবাই জানে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.