নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্রেনের ড্রোন আক্রমণে রাশিয়ার সুপারসনিক বোমার ধ্বংস B-)

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০



গতকাল রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গের একটি বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়ে টিইউ-২২ নামক অত্যাধুনিক একটি বোমার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। শব্দের গতির চেয়েও দ্বিগুণ বেগে ছুটে চলার সক্ষমতা সম্পন্ন রাশিয়ার এই সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করাটা ইউক্রেনের জন্য এক বড় অর্জন বলে মনের করেন বিশেষজ্ঞরা। শক্তিশালী রাশিয়ার নিচ্ছিদ্র এয়ার ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে ইউক্রেনের ড্রোন কিভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে তা ভেবে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ঘুম হারাম। বিস্তারিত: বিবিসি

গত দুই মাস ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে চোরাগোপ্তা হামলা করা শুরু করেছে, ইতিমধ্যে মস্কোয় বেশ কয়েকবার পরীক্ষামূলক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এসব ছোট খাটো হামলায় রাশিয়ার প্রাণকেন্দ্র মস্কোর ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে; ইতিমধ্যে বেশকিছু ব্যবসায়ী নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে। নিজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মস্কোর জনগণ বিশেষ করে এলিট শ্রেণী পুতিনের উপর চরম খেপেছে এবং এই যুদ্ধ শুরু করার জন্য তাকেই দায়ী করছে। ভিতর এবং বাহির থেকে প্রচণ্ড চাপে থাকা পুতিনের জন্য ইউক্রেন এখন এক গালার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে; মাত্র দুই দিনে ইউক্রেন দখল করার তার এই উচ্চাভিলাষী আকাঙ্ক্ষা এখন তার জন্য বুমেরাংয়ে পরিণত হয়েছে, সে না পারছে ইউক্রেন দখল করতে না পারছে দলবল নিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে; সবমিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেও তার অনুকূলে নেই ।



ছোট সামরিক শক্তিধর দেশ ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ান বাহিনী এমন নাকানি চুবানি খাবে তা পুতিন কেন দুনিয়ার কেউ'ই হয়তো কল্পনা করেনি। প্রায় দুই বছর হতে চললো এখনো নাকানি চুবানি খেয়েই যাচ্ছে; ইউক্রেন বাহিনীর বুদ্ধিদীপ্ত পাল্টা আক্রমণে একের পর এক দখল করা অঞ্চল হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ; এখন আবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ার মুল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহেও কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ার এক যুদ্ধ জাহাজে নির্ভুল হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ান সেনাদের জন্য এখন এক বিভীষিকা নাম, তাছাড়া আমেরিকা থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইউক্রেনিয়ান স্নাইপার'রা এখন রাশিয়ান বাহিনীর জন্য এক অদৃশ্য আতঙ্কের নাম। B-)



বেচারা পুতিন তোমার সময় ঘনিয়ে আসছে, ব্যক্তিগত সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ইউক্রেন রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে জোরদার আঘাত হানা শুরু করবে। (যদি আমেরিকা থেকে অনুমতি পায় তাহলে, এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে) সত্যিই যদি এমনটা হয় তাহলে রাশিয়ান জনগণই পুতিনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করিবে।



প্রবল শক্তিধর রাশিয়াকে প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের জনগণকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। যুদ্ধের শুরুতে দেখেছি ইউক্রেনের সাধারণ জনগণকে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ফ্রন্ট লাইন কভার করতে। দেশপ্রেম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি তা তারা দেখিয়ে দিয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে দেশের জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সামনে আগায় তাহলে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন বহিঃশত্রুকে ধরাশায়ী করা সম্ভব (যা আমরা মুক্তিযুদ্ধে দেখিয়েছি :D )। যুদ্ধাবস্থায় সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ এবং মোটিভেটেড রাখা। আর এই কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, ইস্পাত সম দৃঢ় মনোবলের অধিকারী এই প্রেসিডেন্ট বর্তমান বিশ্বের এক রাজনৈতিক নায়ক। যুদ্ধের শুরুতেই আমেরিকা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি'কে ইউক্রেন থেকে সেফ এক্সিট করার অফার করেছিলো; যাতে রাশিয়ান আক্রমণ থেকে বেচারার প্রাণ'টা অন্তত বাঁচে, কিন্তু প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এই প্রেসিডেন্ট "থ্যাংকস বাট নো, থ্যাংকস" বলে বিনয়ের সহিত আমেরিকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এর মাধ্যমেও পুতিন জেলেনস্কি'কে অনেক লোভনীয় অফার করেছিলেন যা ইউক্রেনের জনগণের জন্য অবমাননাকর ছিল, তিনি সমস্ত লোভনীয় অফার দৃঢ় চিত্তে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। "মরতে যদি হয় যুদ্ধ করেই মরবো, বাঁচতে যদি হয় সিংহের মতোই বাঁচবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়াবো, Hallelujah" এটাই ছিল প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একমাত্র মটো। জেলেনস্কি হচ্ছেন এ যুগের বঙ্গবন্ধু।



পুতিন ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা খুব ভালো করেই জানতো শুধুমাত্র এই জেলেনস্কি'কে হত্যা অথবা আটক করতে পারলেই ইউক্রেনের পরাজয় নিশ্চিত, যে কারণে ওরা শুরুতেই রাজধানী কিয়েভে আক্রমণ শুরু করেছিল, কিন্তু বিধিবাম!! ইউক্রেনের জনগণ রাশিয়ার সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করে দিয়েছে, তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। বর্তমানে রাশিয়ান সেনাবাহিনী কিয়েভের ধারে কাছে ঘেষতে পারছে না। এভাবেই ইউক্রেনের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করেছে। আর এদিকে বাংলার নাদান ফেসবুকিয় জনগোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি'কে 'জোকার' উপাধি দিয়ে ফেসবুক গরম করে তুলছে; "দুই দিনের মধ্যেই জেলেনস্কি রাশিয়ান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে" এমন গুজব রটাচ্ছে X(( । অথচ মস্তিষ্কহীন এই গবেট বঙ্গ জনগোষ্ঠী জানেইনা এই 'জোকার' জেলেনস্কিকে'ই কেন্দ্র করে বর্তমান বিশ্বের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে।



'জোকার' নয় বরং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি'কে 'সিসু' উপাধি দেয়া যেতে পারে। 'সিসু' হচ্ছে ফিনিশ একটা শব্দ যার যুতসই কোন ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই তবে এর মানে হচ্ছে- "ইনসেইন লেভেলের আত্মবিশ্বাস, হেরে গিয়েও হারবো না, মরেও মরবো না" এমন একটা অবস্থা আরকি।



'সিসু' এর কথা যেহেতু উঠেছে তাহলে 'সিসু' নিয়ে একটু বয়ান করি। আমার একটি পোস্টে ব্লগার রাজীব নুর আমাকে 'সিসু' মুভিটি দেখার সাজেষ্ট করেন। 'সিসু' হচ্ছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত ফিনল্যান্ডের একটি মুভির নাম, এ বছর জানুয়ারিতেই মুক্তি পেয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে অনেক মুভি'ই নির্মিত হয়েছে ইতিমধ্যে, সুতরাং নতুন করে এখানে আর কি দেখার আছে, কিন্তু মুভিটি দেখার পর বুঝলাম মুভিটির মাধ্যমে ফিনিশ নির্মাতারা মূলত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা চিন্তা করে ফিনিশ জনগণকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ান সেনাবাহিনী ফিনিশিয়দের কাছে ব্যাপকভাবে ধরাশায়ী হয়েছিলো, সে ইতিহাসই মূলত নতুন করে মুভিটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যাতে যে কোন ধরণের যুদ্ধে তাদের দেশের জনগণের আত্মবিশ্বাসের পারদ উচ্চ পর্যায়ে থাকে। যেহেতু চারিদিকে যুদ্ধ যুদ্ধ একটা ভাব তাছাড়া নব্য ন্যাটোতে যোগদান করা ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার কয়েক হাজার কিলোমিটারের লম্বা সীমান্ত লাইন রয়েছে, তাই যে কোন মুহূর্তে ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার সেই পুরোনো ক্ল্যাশ'টা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে সেজন্য আগে থেকেই জনগণকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার কাজটিই করে রাখছেন ফিনিশ নির্মাতারা। তাই আমি বলবো এটি একটি সময়োপযোগী মুভি। গত সপ্তাহে আমি মুভিটি দেখেছি, রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ফিনিশ সাধারণ মানুষের হাতে নাস্তানাবুদ হতে দেখে খুব মজা পাইসি :D, চাইলে আপনিও মুভিটি দেখতে পারেন। ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এডভান্স চিন্তাভাবনা করে, আর আমরা আছি পরিমনি রাজ, শাকিব বুবলিকে নিয়ে।



ভালো থাকবেন সবাই।
------------------------------------------------

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আরও পড়ুন:

পুতিনের হুমকি ধামকিতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ হবে না।

অবশেষে ন্যাটো জোটে ফিনল্যান্ডের যোগদানের চুরান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো

রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি, মস্কোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

যেভাবে রাশিয়া বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার পাঁয়তারা করছে

অবশেষে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: শেষ লাইনটা মেনে নিতে পারছি না।পরিমনিদের জন্য আমরা চিন্তা চেতনায় পিছিয়ে পড়ছি না,আমরা পিছিয়ে পড়ছি ধর্মের কারনে।

রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়ছে না লড়ছে ন্যাটোর বিরুদ্ধে।সমস্ত ইউরোপ এই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একমাত্র আমেরিকা লাভবান হয়েছে।তাই এই যুদ্ধ সহজে বন্ধ হবার নয়।


পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হবে তত আমেরিকার লাভ,তাই আমেরিকা সারা বিশ্ব যুদ্ধ বাদিয়ে রাখতে চায়।
আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলো মিয়ানমারের কিছু অংশ দখল করে সেখানে রুহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী করতে।প্রয়োজনে আমেরিকা সাহায্য করবে।সেই পরামর্শ গ্রহন না করার পর থেকেই বর্তমান সরকারের উপর আমেরিকা নাখোশ।গনতন্ত সুশাসন এগুলি ভাঁওতা।বর্তমান টার্গেট বঙ্গোপসাগর।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মায়ানমারের আরকান রাজ্য দখল করার মোক্ষম একটা সুযোগ হাতছাড়া করছে বাংলাদেশে, পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছু বাংলাদেশের অনুকুলে ছিলো। তাছাড়া ৫০০ বছর আগে আরকান রাজ্য বাংলাদেশেরই অন্তর্গত ছিলো। তবে এখনো সময় আছে, শেখ হাসিনা পরবর্তী টার্মে এই রিস্ক নিলে নিতেও পারে।

হ্যাঁ যুদ্ধে তো পক্ষ বিপক্ষ থাকবেই, তবে শুরু থেকেই আমি ইউক্রেনের পক্ষে আছি, তা না হলে রাশিয়া এতদিনে কবেই ইউক্রেন দখল করে নিতো। B-)

আর ধর্মের কথা কিছু বইলেন না তাহলে চাকরি থাকবে না। :-P

মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ইয়াহু ----------------------------------- জয় ইউক্রেন !!!

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: উহহুহুহু!! Glory to Ukraine B-)



সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ বস।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


যুদ্ধে এখন পৃথিবীবাসী অভ্যস্ত হয়ে গেছে; পুতিনকে সরানো যাবে না,নিজে না সরলে।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুমম!! কথা ঠিক। পুতিনকে সরানো একটু কঠিনই বটে তবে অসম্ভব নয় আর এজন্য রাশিয়ার ভিতর থেকে কাজ চালাতে হবে। তবে আশা করা যাচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ পুতিনকে যে কোন উপায়ে অপসারণ করা হবে।

গুড লাক।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জয় ইউক্রেন !

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইউক্রেন হারলে বিশ্ব হারবে, সুতরাং জয় হতেই হবে। আশার কথা হচ্ছে পুতিন ধীরে ধীরে ধরাশায়ী হচ্ছে। :D

ভালো থাকুন।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার এক মামা ইউক্রেনের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানে থাকত, তার দুই মেয়ে একজন কলেজে পড়ে আরেকজন সদ্য ইউনিভার্সিটিতে। আমার মামা যুদ্ধের পরপরই বউ, আর ছোট ছেলেকে নিয়ে শরনার্থী হিসেবে নেদারল্যান্ড চলে গেছে, তবে মেয়েরা যাবে না বলছিল, তারা অস্র নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিল (সম্প্রতি মেয়েরাও নেদারল্যান্ডে গেছে)। নেদারল্যান্ডে নাকি তারা বেশ জামাই আদরে আছে, ইউক্রেনের শেইফ দিয়ে রান্না বান্না করে খাওয়াচ্ছে, থাকতে দিয়েছে বিশাল বড় বিল্ডিং এ, কাজের পারমিটো দিয়েছে, মামা মামি যা কামায় সবই সেইভ, থাকা খাওয়ার জন্য কিছু ব্যয় করতে হয়না।

রাশিয়ার এই যুদ্ধে অংশগ্রহন না করে উপায় ছিল না! আমরা যতই গৌতম বুদ্ধের মত ভাব ধরে বলি না কেন "আই হেইট যুদ্ধু", ন্যাটোকে বাড়ির কাছে রাখা রাশিয়ার দৃষ্টিকোন থেকে খুব সুখকর ছিল না!

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যাক আপনার মামার পরিবার নিরাপদে আছে জেনে খুশি হলাম।

ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকগন স্বতস্ফূর্তভাবে সহয়তা না করলে রাশিয়ান আক্রমণের সামনে এতদিন টিকে থাকতে পারতো না।

হ্যাঁ যুদ্ধে দুই পক্ষেরই স্বার্থ বিদ্যামান কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে স্বাধীন সার্বভৌম কোন রাষ্ট্রে এমন ন্যক্কারজনক হামলা মেনে নেয়া যায় না।

নিরন্তর শুভকামনা।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: ইউক্রেন দখলের জন্য এই যুদ্ধ এই ধারনা ঠিক না।রাশান ভাষাভাষীর উপর দীর্ঘ দিন ধরে যে নির্যাতন চলছিলো সেখান থেকে তাদের উদ্দার করার জন্য এই যুদ্ধ। এখানে রাশিয়া সফল।এখন যুদ্ধ হচ্ছে ন্যাটোর ইচ্ছায়।ন্যাটো আজকে চাইলে কালকেই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ যুদ্ধে দুই পক্ষেরই স্বার্থ বিদ্যামান কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে স্বাধীন সার্বভৌম কোন রাষ্ট্রে এমন ন্যক্কারজনক হামলা মেনে নেয়া যায় না।

এই যুদ্ধ বন্ধ করার দায় একমাত্র পুতিনের কারণ সেই আগে হামলা চালিয়েছে, এর পিছনে তার যে যুক্তিই থাকুক না কেন সে কখনোই এই যুদ্ধের দায় এড়াতে পারে না।

দেখেন বাইডেন কাকু কি বলে। :D

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমাদের দেশে ডিমের দাম নাকি বেরে গেছে ঐ দুই দেশের যুদ্ধের কারণে!! মরগি গুলা ডিম পারা বন্ধ করে যুদ্ধে যোগ দিতে চলে গেছে কিনা কে জানে।

- সিসুটা বেশ ভালো।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিছুদিন আগে মুরগীর দাম বেড়ে গিয়েছিল এখন আবার ডিমের দাম, সব দোষ পুতিনের। =p~

হুম, সিসুটা আমারও ভালো লেগেছে।

ভালো থাকবেন সবসময়।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভগণার গ্রুপ ভাড়াটে সেনার চলে যাওয়ার পর রাশীয়ানরা ডিফেন্সিব পজিশনে। ওদের স্থল হামলা সম্পুর্ন বন্ধ আছে।
আমেরিকান সর্বাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ক্রিমিয়া উদ্ধার করতে ইউক্রেন এখন অগ্রসর হচ্ছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি দুইজন ইউক্রেনিয়ানের কাছ থেকে প্রায় এরকমই তথ্য পেয়েছি, সত্য মিথ্যা জানিনা তবে আপনার তথ্যের সাথে অনেকাংশেই মিল রয়েছে। দেখা যাক সামনে কি ঘটে, আমরা অপেক্ষা করি। তবে রাশিয়ার জন্য সামনে আরও অনেক দূর্গতি আছে তা কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে তথ্যের সত্যতা আছে বলতে হবে, ভিতরে ভিতরে পুরোদমেই কাজ চলছে ।

লেটেস্ট নিউজ হচ্ছে- ইউক্রেনে পৌঁছেছে প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান B-)

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধ্বংসস্তুপের মাঝে ছোট একটা বিজয়। আশার আলো।
যুদ্ধের খবর দেখতেই আর ইচ্ছা করে না। একটা সাজানো দেশ মানুষের সাজানো জীবন কি ভাবে যন্ত্রনায় দগ্ধ হচ্ছে।
যত অযুহাতই দেক পুতিন এভাবে হামলা করে বসা আমিও মানতে পারি না।

বিশ্ব যুদ্ধর উপর ছবিগুলো আমার ভালোলাগে। সিসু দেখা হয় নাই দেখব সময় পেলে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে যুদ্ধের পক্ষে কোন অযুহাতই থাকতে পারে না। যুদ্ধের প্রতি আপনার মনোভাব জানতে পেরে প্রীত হলাম।

সমস্যা নেই খুব শীঘ্রই পুতিনকে ধরাশায়ী করা হবে।

আপনাকে আমার পেজে স্বাগতম।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক বিশ্বে সবার একমত হতে হবে- আমরা যুদ্ধ চাই না।
যারা যুদ্ধ করবে, যুদ্ধ চাইবে তাদের শাস্তি হবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক তাই আমাদের যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যে কোন মূল্যে পুতিনকে থামাতে হবে। শুধুমাত্র একজন মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার জন্য পুরো পৃথিবী সাফারার হতে পারে না।

ভালো থাকবেন।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: লেটেস্ট নিউজ হচ্ছে- জর্জিয়া ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করা মাত্রই পুতিন জর্জিয়া আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে।

এবার জর্জিয়ার দুটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার হুমকি

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪২

করুণাধারা বলেছেন: যুদ্ধ কেবল ক্ষতি এবং দুর্দশা বাড়ায়, যুদ্ধ কারো কাছে কাম্য হতে পারেনা।

তবে আমার মনে হয় না রাশিয়া খুব তাড়াতাড়ি হার মানবে বলে! :(

আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে। অনেক তথ্য, এবং আরো জানার কিছু লিংক দিয়ে দিয়েছেন। আশা করি পরে সময় নিয়ে পড়বো।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিন্তু পুতিন শুধু যুদ্ধই খোঁজে, নতুন করে জর্জিয়াকে হুমকি দিছে তারা যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তাহলে পরিণতি ভালো হবে না, বলে।

কিন্তু রাশিয়াকে পিছু হঁটতে বাধ্য করা হবে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমানB-) সামনে আরও আসবে।

পোস্ট ভালো লগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম । :)

শুভ কামনা সবসময়।


১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাপক জনসমর্থন যেকোন যুদ্ধজয়ের প্রথম পূর্বশর্ত। ইউক্রেনের সেটা আছে। তবে যুদ্ধজয়ের জন্য আরও অনেক শর্ত রয়েছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দ্বিমত করার কোন কারণ নেই।

আপনার মন্তব্যে পেয়ে বাধিত হলাম, জনাব আহসান। :)

ভালো থাকবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.