নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সাপোর্ট করেছে তাদের কোন রাইট নেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলার

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৫০



জেলেনস্কি যদি কমেডিয়ান হয়ে থাকে তাহলে হামাস কি? এই কমেডিয়ান রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ না করে নিজ দেশের জনগণ এবং পশ্চিমাদের সহয়তায় শক্তিশালী রাশিয়াকে রুখে দিচ্ছে। পশ্চিমারা যতই সহায়তা প্রদান করুক না কেন সে যদি নিজ দেশের জনগণের সমর্থন না পেতো তাহলে এতদিন রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হতো না। এই সেই কমেডিয়ান জেলেনস্কি যে কিনা পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে, যে কি না যুদ্ধের শুরুতে আমেরিকার কাছ থেকে সেফ এক্সিটের অফার পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে নিজ দেশের জনগণকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে, সেই সাথে বহির্বিশ্ব থেকে সমর্থন এবং সহয়তা দুটোই আদায় করে নিচ্ছে, আর সেই জেলেনস্কি হচ্ছে বঙ্গ পিপ্পলদের কাছে একজন কমেডিয়ান। B:-)

রাশিয়া ইউক্রেনে যত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বঙ্গ পিপ্পল ততই বাহবা দিয়েছে, কে যেন বলেছিল 'টিট ফর ট্যাট' এর মানে অবশ্য আমি জানি না।

একজন কমেডিয়ান যদি বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করে নিজ দেশের জনগণের সহয়তায় শক্তিশালী রাশিয়াকে রুখে দিতে পারে, বহির্বিশ্ব থেকে সহয়তা এবং সমর্থন আদায় করে নিতে পারে, তাহলে তাদের সেই বিখ্যাত বীরে বিক্রম হামাস কেন ইসরাইলকে রুখে দিতে পারছে না? বহির্বিশ্বের নেতাদের কাছ থেকে হামাস কেন কোন সহায়তা আদায় করতে পারছে না? কয়েকটা পটকা ফুটিয়ে বীরে বিক্রম হামাস কেন এখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে আছে, চিরশত্রু ইসরাইলকে উস্কে দিয়ে এখন নিজেই ইঁদুরের গর্তে পালিয়েছে আর মার খাচ্ছে গাজার সাধারণ জনগণ। গাজার সাধারণ জনগণের এই দুরবস্থার জন্য আপাত দৃষ্টিতে হামাসই দায়ী, হামাসের পিছনে কে আছে তা অবশ্য আমি জানি না, তবে হামাস গজাবাসীকে গিনিপপে পরিনত করেছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।



ব্লগে আমি লগ-ইন করতে চাই না, যেদিন লগইন করবো সেদিন আমার রাত সবার হয়ে যায়, তবে লগ-ইন যেহেতু করেছি'ই তাই হুট হাট করে একটি পোস্ট করে দিয়ে যাই, অনেকদিন ধরে কোন পোস্ট করা হয় না। :D

যুগে যুগে মুসলীম ও অন্যান্য জাতি দ্বারা ইহুদীরা ভয়ঙ্কর নির্যাতন এবং বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হয়ছে, নিচের এই ভিডিও থেকে তা এক নজড় দেখে নিন। An Open Letter To The World



যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম তা হচ্ছে- হামাসকে দমন করার জন্য আরও অনেক উপায়ই খেলা ছিলো তাতে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতো কিন্তু তা না করে গাজায় হামাসকে দমন করতে গিয়ে মশা মারতে কামান দাগার মত অবস্থা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব, বিপুল পরিমাণে সাধারণ জনগণের প্রাণ যাচ্ছে কিন্তু এর মূল কারণ কি তা ঠিক আমি জানি না তবে, বিবিধ কারণেই আমার মনে হয় এই যুদ্ধের মূল টার্গেট হচ্ছে ইরান। ইরানের সাথে আমেরিকার দীর্ঘদিনের একটা বুঝা পড়া রয়েছে বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না, তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে থেকে আমেরিকা খুব সহজেই যাচ্ছে না, ঠিক এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে আমেরিকার শক্তি প্রদর্শন করাটা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। ইরান যদি এখন খুব বেশি উচ্চবাচ্য করে তাহলে ইরানের অবস্থাও ঠিক ইরাক, লিবিয়ার মত হবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ইরান বেশ ভয়'ই পেয়েছে, মাঝে মাঝে মিউ মিউ করে দুই একটা বিবৃতি দেয়া ছাড়া ফিলিস্তিনের জন্য তেমন কিছুই করছে না। আমার মনে হয় না হিজবুল্লাহ নামক জঙ্গি সংঘটন দ্বারা ইরান ইজরাইলকে থামাতে পারবে, মাঝখান থেকে বেঘোরে মারা পড়বে সাধারণ জনগণ ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের জন্য এই মহুর্তে আমার দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমি যদি গাজাবাসী হতাম তাহলে হয় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াতাম না হলে গাজা ছেড়ে কোন সেফ প্লেসে চলে যেতাম, অবশ্যই বসে বসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতাম না।

একটা যুদ্ধের পিছনে যতই যুক্তি থাকুক না কেন, গণহত্যা কখনোই মেনে নেয়া যায় না, একটা যুদ্ধে মুখোমুখি সংঘর্ষে দু-পক্ষেরই হাজার হাজার লোক মারা যেতে পারে কিন্তু সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ওটা কখনোই ভালো যুদ্ধ কৌশল হতে পারে না। যে সকল দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সাপোর্ট করেছ তাদের কোন রাইট নেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলার এদের আস্কারা পেয়েই মূলত আমেরিকা-ইসরাইল গজায় হামলা চালাতে উৎসাহী হয়েছে। বিশ্ববাসী যদি এক হয়ে পুতিনকে থামাতে পারতো তাহলে আজ গাজায় কোন হামলার ঘটনা ঘটতো না। যারাই ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সমর্থন করেছে তাদের পরিণতি ভালো হবে না, খুব সম্ভবত শুরুটা হবে ইরানকে দিয়েই, বিষয়টি নির্ভর করছে ইরান কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তার উপর।

নোট: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা মূল্যহীন, তবে আমি শুধু এ বিষয়ে আমার মতামত এবং কি হতে পারে তা সংক্ষেপিত আকারে তুলে ধরলাম।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৩

অধীতি বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে। তবে রাশিয়া আর ইসরাইল ভিন্ন বিষয়। রাশিয়ার বর্ডার ঘেরা ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো রাশান সংস্কৃতির। আর জেলেনেস্কি প্রায়ই তাদের উপর মার চালাত। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশান পন্থীরাই বেশি উৎসাহ দেখিয়েছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে রাশিয়া আর ইসরাইল ভিন্ন বিষয়। - দুটি ঘটনাতেই পশ্চিমা বিশ্ব জড়িত, দুটি ঘটনাতেই মুসলিম এবং ইহুদি সেন্টিমেন্ট জাড়িত, তা নাহলে শ্বান্তিপ্রিয় বাঙালীরা রাশিয়ান গণহত্যা সমর্থণ করতো না, সুতরাং দুটি ঘটনাই যথেষ্ট সম্পর্কযুক্ত।

ইউক্রেনে রাশিয়াকে এবং মধ্যপ্রাচ্চ্যে হামাসকে জিততে দেওয়া হবে না, এতে আমেরিকার সুদূরপ্রসারী স্বার্থ নিহিত রয়েছে- সাপ্তাহখানেক আগে জাতির উদ্দ্যেশে দেয়া এক ভাষণে বাইডেন একথা বলেন।



প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি ইউক্রেন ইস্যুতে সরাসরি জেলেনিস্কিতে যাওয়ার আগে তার পূর্বের কিছু বিষয়, ২০১৪ সালের মিনস্ক এগ্রিমেন্ট, ন্যাটো এক্সপানসন নিয়ে রাশিয়ার অভিযোগ এবং সর্বোপরি রাশিয়ান ভাষা-ভাষী ইস্টার্ন ইউক্রেনিয়ান অঞ্চল ও তাদের জনগণের উপর বৈষম্যের বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে পুরো বিষয়টি ভাবছেন। বিষয়টি ততটা সাধারণ নয়। ধন্যবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ২০১৪ সালে তো রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করেই নিলো, চেচনিয়াতে গণহত্যা চালিয়ে এখন চেচেনদের নিজেদের আয়ত্বে রেখেছে, এখন আবার ইউক্রেনও দখল করার পাঁয়তারা করছে, পোল্যান্ড আর ইস্তোনিয়াকেও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পুতিনের এসব হুমকি ধামকিতে ন্যাটোর এক্সপানসন বন্ধ হবে না।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোন ঘটনা'ই সাধারণ নয়, কিন্তু সব কিছু ব্যাখ্যা করতে গলে তো পোস্ট আর শেষ হবে না তাই স্বল্প পরিসরে লিখেছি।

পুতিন মধ্যপ্রাচ্চ্যে নাক গলাতে আসলেই তাকে আটক করা হবে।



মতামতের জন্য আপনাক ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৫:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: গন হত্যার বিরুদ্ধে সবারই শরব হওয়া দরকার।কিন্তু দুটি সমষ্যা এক না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: না গণহত্যার বিরুদ্ধে সবাই সরব হয় না, ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের কারণে বাঙালী জনগণ রাশিয়ান গণহত্যার পক্ষে সাফাই গেয়েছে। কিন্তু এখন সেই রাশিয়াই ফলিস্তিনের পক্ষে দাড়াচ্ছে না, দুই একটি বিবৃতি দিয়েই দায় সারছে।

আপনার অনেক অনেক অভিজ্ঞতা আপনি মাঝে মাঝে দিন দুনিয়া নিয়ে কি ভাবছেন তা নিয়ে দুই একটি পোস্ট করতে পারেন।

ভালো থাকবেন।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: ইরানকে সেফ করতে চীনা যুদ্ধ জাহাজ ইরানের কাছাকাছি চলে আসছে।চীন এখন আর ছেড়ে কথা বলছে না।ইরান এখন অনেক শক্তিশালী।আপনি আর গাজী সাহেব এক বিশ্বের ধারনাতে আছেন।এখন অনেকেই আমেরিকাকে বিশ্ব মোড়ল মানছে না।আমেরিকা নিজেও সেটা ভাবে না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইরানকে সেফ করতে চীনা যুদ্ধ জাহাজ ইরানের কাছাকাছি চলে আসছে - এটা কি আসলেই সত্য? আমি কিন্তু এ ধরণের কোন নিউজ দেখিনি। চীনের সাথে ইরানের এতটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই যে চীন ইরানকে সহয়তার জন্য যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবে. যে চীন রাশিয়াকেই কোন অস্ত্র দিতে সাহস করে নি, তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি সেই চীন এত তাড়াতাড়ি ইরানের পক্ষে যুদ্ধে নামবে তা বিশ্বাস করা কষ্টকর। আগে আপনি নিউজটা ভেরীভাই করেন।

এখন অনেকেই আমেরিকাকে বিশ্ব মোড়ল মানছে না। - একদম পয়েন্টে হাত দিয়েছেন, আর যে কারণে বহির্বিশ্বে আমেরিকার শক্তি প্রদর্শন করা এখন জরুরী হয়ে পরেছে, তা না হলে তারা ইসরাইলকে এতটা দ্রুত সাপোর্ট দিতো না।

হ্যাঁ ক্ষমতার বিভাজন প্রয়োজন রয়েছে একক ক্ষমতা সবসময়ই ভয়ঙ্কর। পোস্টে কিন্তু আগেই আমি উল্ল্যেখ করে দিয়েছি- আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা মূল্যহীন, তবে আমি শুধু এ বিষয়ে আমার মতামত এবং কি হতে পারে তা সংক্ষেপিত আকারে তুলে ধরেছি।

ধন্যবাদ।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:২২

সোনাগাজী বলেছেন:


মুসলিম বিশ্বের মানুষের আচরণ বিশ্বের অণ্য এলাকার মানুষের মতো পরিস্কার নয়; তাদের আচরণ, ভাবনাচিন্তার মাঝে বুদ্ধিমত্তা নেই। ইসরায়েল ৩ হাজারের মত শিশু হত্যা করলো গাজায়, হামাসের অপরাধের রেশ ধরে; অবশ্যই ইসারায়েলী বাহিনী মানবতার বিরু্দ্ধে অপরাধ করেছে; কিন্তু শুরটার মুলে যে হামাস, ইহা মুসলমানেরা বুঝে না। ইহা একটি উদাহরণ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্চ্যে কিন্তু গত দিন বছর ধরে মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছিলো, সৌদি-ইরান, ইসরাইল-সৌদি প্রায় একটা সমঝোতায় আসার দারপ্রান্তে দাড়িয়েছিলো, চীনও মধ্যপ্রাচ্চ্যে শ্বান্তির বার্তা নিয়ে এসে এ অঞ্চলে আমেরিকার প্রাভাবকে বেশ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু বিনা উস্কানিতে হামাস অতর্কিত হামলা করে সবকিছুতে পানি ঢেলে দিয়েছে। এই হামলার পিছনে আসলে হামাসদের ঠিক কি উদ্দ্যেশ্যে তা বুঝা সত্যিই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।

শক্তিশালী শত্রুকে উস্কে দিয়ে বসে বসে মার খাওয়াকে আপনি ঠিক কিভাবে জাস্টিফাই করবেন? হামাসের যদি ডিফেন্স করার করার অস্ত্র না'ই থাকে তাহলে এমনটি করে তার কি লাভ হলো, এই হামলার পিছনে তার ঠিক উদ্দ্যেশ্য কি? কেউ কেউ তো বলে হামাস নাকি ইসরাইল-আমেরিকার তৈরি। =p~


৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:


অনেক মুসলমান এসব ঘটনাকে কোরান হাদিসের আলোকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করছে যে, হামাস অপরাধ করেনি, ইহুদীরা কোরানের লজিক অনুযায়ী অপরাধী; এসব লজিকবিহীন ভাবনাচিন্তা মুসলমানদের নীচু মানের জীবন যাপনে বাধ্য করছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মুসলিম জনগোষ্ঠির কাজ হচ্ছে শুধু হাউকাউ করা আর নিজেদের দূরাবস্থার জন্য অন্যকে দোষারেপ করা। এরা সারাজীবন মিডায়াকে দোষারোপ করেই গেলো কিন্তু নিজেদের মিডিয়া তৈরী করতে পারলো না। এরা সারাজীবন উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে দোষারোপ করেই গেলো কিন্তু নিজেরা উন্নতি করতে পারলো না, এরা নিজ ধর্মকে শ্বান্তিপুর্ণ এবং অন্য ধর্মকে মিথ্যা, ভুয়া বলে প্রচার করেই গেলো কিন্তু এরা নিজেদের মধ্যেই শ্বান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারলো না।

এদের অবস্থা হচ্ছে এমন- এরা পশ্চিমাদের হাতে মার খেয়ে দৌঁড়ে ঘরে এসে কুরআন-হাদিস খুলে বসে, অতঃপর চিৎকার দিয়ে বলে কুরআন - হাদিসের এইখানে ১৪ শত বছর আগেই স্পষ্ট করে বলা আছে মুসলীমরা বিধর্মীদের দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হবে, সুতরাং কুরআন-হাদিসই একমাত্র সত্য, এ কথা বলে আস্ফলন করে বা আত্নতুষ্টিতে ভুগে।



আমাদের মাহজাগতিক চিন্তাধারা হাদিস দ্বারা তো প্রমাণ করেই দিয়েছেন ইহুদীদের দ্বারা মুসলীমরা নির্যাতনের স্বীকার হবে, সুতরাং এখন যদি মাুসলীমরা মার না খায় তাহলে কি হাদিস ভুল হয়ে যায় না? হাদিস সত্য প্রমাণ করার জন্য হলেও মুসলীমরা এখন বসে বসে মার খাবে।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: দোষ আপনাদের দেই না। দুনিয়ার বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবি মাথানষ্ট অবস্থায় আছে । স্বাধীনতাকামীরা সবসময়ই সব এলাকাতেই সন্ত্রাসী জঙ্গী। এটা গতানুগতিক ভাষা। প্রায় ১০০ বছরব্যাপি স্বাধীনতা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা নানা অজুহাতে পক্ষভারী করার কুটনীতি অব্যাহত রেখেছে। কখনো আরাবীয়,কখনো ধর্মীয়,কখনো ভাষাগত, কখনো মানবিক, কখনো ঐতিহাসিক। সেটেলার এবং স্থানীয়দের এই দ্বন্দে গত ১০০ বছরে বহু নিরাপরাধ নারী-শিশু মারা গেছে । পশ্চিমাদের পুশ করা এই সমস্যা তাদের দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ। বর্তমানে তা বিঁষফোড়ায় রুপ নিয়েছে । তারাও ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন আধিপত্যবাদকে বাধা দিতে গিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে গনহত্যার দায় এড়াতে পারে না। অনুরুপ ইসরাইলের অবস্থাও । তবে আপাত দৃষ্টিতে ঘটনাগুলোর জের ভালো পরিনতির দিকে যাচ্ছে না। এটা স্পষ্ট।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: না দুনিয়ার সব বুদ্ধিজীবির মাথা নষ্ট হয় নি, স্বাধীনতাকামী আর জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের পিছনে কোন জনসমর্থন থাকে না যেম হামাস। গজার সাধারণ জনগণ হামাসকে সাপোর্ট না দিয়ে সব ঘরবারি ছেড়ে পালাচ্ছে, হামাসের হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। অপরদিকে ইউক্রেনকে দেখেন মানুষ দলে দলে সেনাবাহিনিতে যোগ দিয়ে শক্তিশালী রাশিয়াকে রুখে দিচ্ছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুগ্ধের পিছনে জনসমর্থণ ছিলো বলেই আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি। আমেরিকা চীনের মত পরাশক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করছে, কিন্তু আমরা তাদের রুখে দিয়েছি কারণ আমাদের জনসমর্থন ছিলো।



ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০০

বাউন্ডেলে বলেছেন: ১০০ বছর ধরে রক্তক্ষয় করা একটা গোষ্ঠিকে বলছেন জঙ্গী-সন্ত্রাসী। সেলুকাস ! উম্মাদরা কিভাবে নিজেদের বিচার করে জানা নাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারেন নি, আমি হামাসকে জঙ্গি বলেছি ফলিস্তিনিদের নয়। লাদেনকে জঙ্গি বলা মানেই আফাগানিস্তানের সবাইকে জঙ্গি বলা নয়। হামাসের পক্ষে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ নেই, যে কারণে হামাস জঙ্গি খেতাব পেয়েছে। হামাসের জন্যই গাজাবাসীর আজ এ দূরাবস্থা। হমাসকে নির্মূল করা গেলে ফিলিস্তিনেও শ্বান্তি ফিরে আসবে।

ধন্যবাদ

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

জুন বলেছেন: কেন!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাশিয়া যে যুক্তিতে (নিজেদের নিরাপত্তা জানিত কারণে) ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে ঠিক একই যুক্তিকে ইসরাইল গাজায় হামলা চলিয়েছে।

হামাস গাজাবাসীকে গিণিপপে পরিণত করেছে, ফিলিস্তিনবাসীর উচিৎ অতি শীঘ্রই হামাসকে ইসরাইল বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া, তা না হলে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হচ্ছে না।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: উক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের চেয়ে ইজরায়েল আর ফিলিস্তিন যুদ্ধে সাধারন মানূষ বেশি মরছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের এই দূরাবস্থার জন্য আমি ব্যথিত!! ওখানে আমি, আপনি থাকলে আমাদেরও একই অবস্থা হতো :(( এক হামাসের জন্য। ফিলিস্তিনের জনগণের উচিৎ অতি শীঘ্রই হামাসকে ইসরাইল বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া এতে হতাহতের সংখ্যা অনেক কমবে। আর হামাস যদি সত্যিই ফিলিস্তিনবাসীকে ভালোবেসে থাকে তাহলে তার উচিৎ অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া। হামাসের হাতে একজন ইসরাইলী নাগরিকও জিম্মি থাকা অবস্থায় এ হামলা বন্ধ হবে না, বিষয়টা হামাস যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে ততোই ভালো।

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.