নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বেনজীর আহমেদ, আমাদের পুলিশ ও প্রশাসন

২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪২



বৃষ্টিস্নাত এই সন্ধ্যায় ব্লগে যদি একবার লগইন না করি তাহলে তা যেন এক অপরাধের পর্যায়েই পরবে, যেহেতু দীর্ঘদিন পর এই স্বস্তির বৃষ্টির কারণে আমার আজ সারাদিন মাটি হয়েছে তাই ভাবলাম ব্লগে এসে তার ষোলকলা পূর্ণ করি; সেই সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় বরং আজ কথা বলবো সেই বহুল চর্বিত দুর্নীতি বিষয়ে। দুর্নীতি নিয়ে আসলে নতুন করে কিছু বলার নেই, এ বিষয়ে সমস্ত আলোচনা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে যদিও দুর্নীতি বহাল তবিয়তেই চলমান রয়েছে, তাই দুর্নীতি বিষয়ে বেশি কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না, তবুও কিছু কথা না বললেই নয়।

-ভাবনার সূত্রপাত বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি বিষয়ক এই লেখাটি থেকে "গুলশানে এক দিনে চার ফ্ল্যাট কিনেছিল বেনজীর পরিবার" যেখানে তার যাবতীয় সম্পদের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে,মিঃ বেনজীর আহমেদের সম্পদের পরিমাণ এতটাই বেশি যে আপনি হয়তো তা পড়তে পড়তে ক্লান্ত বোধ করবেন।

বেনজীর আহমেদ ১৫ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ এই দুই বছর বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এর আগে ২০১৫ থেকে ২০২০ মোট পাঁচ বছর র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২+৫ এই ৭ বছর তিনি তার চাকরি জীবনের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পদ অর্জনে মত্ত ছিলেন। অবস্থা দৃষ্টে আজ ইহা পরিষ্কার যে এই ৭ বছর তিনি সম্পদ অর্জনের এক ম্যারাথন দৌড়ে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন, উনার সম্পদের পাহাড় দেখে যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সম্পদ অর্জনের এই ম্যারাথন দৌড়ের মাঝে তিনি দায়িত্ব পালন করার মত আদৌ কোন ফুরসৎ পেয়েছিলেন কি না বা দায়িত্ব পালন করলেও আসলে কতটুকু করতে পেরেছেন?

এই দেশের প্রতিটি সেক্টরই দুর্নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ হলেও পুলিশ প্রশাসনকে দুর্নীতির আঁতুর ঘর হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, এর প্রতিটি পদেই রয়েছে দুর্নীতি করার সীমাহীন সুযোগ; যত বড় পদ, যত বড় কর্মকর্তা তত বেশি দুর্নীতি, ইহা একটি ওপেন সিক্রেট যা একটি বাচ্চা ছেলেও জানে। এখন কথা হচ্ছে-পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এই দেশে কি তাহলে বেনজীর আহমেদ একই ছিলেন? উনার আগেও তো এই দেশে পুলিশের অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া জনগণের সেবা করিয়া গিয়াছেন উনাদের আমল নামার খবর কি? শুধু এক বেনজীর আহমেদকে নিয়ে এত হইচই কেন? প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমি মোটেও বেনজীর আহমেদকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছি না, আমি যা বলতে চাই তা হচ্ছে: বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে তার মানে এই নয় যে যারা পূর্বে পুলিশের উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন বা এখনও আছেন তারা কেউ দুর্নীতিবাজ নয়, নিশ্চিতভাবেই প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকর্তাই দুর্নীতিগ্রস্ত, পার্থক্য হচ্ছে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু অন্যান্যদের তথ্য প্রকাশ করা হয় নি।

এখন দেখি কেন বেনজীর আহমেদের এই হাল হলো: বিষয়টি নিয়ে আমার যথেষ্ট গবেষণা না থাকলেও ধারণা করতে মোটেও বেগ পেতে হয় না যে- খুব সম্ভবত তিনি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সম্পদ অর্জনের মোহে এতটাই মোহগ্রস্ত ছিলেন তা অর্জন করতে গিয়ে তিনি নিজের শক্ত কিছু প্রতিপক্ষ দাঁড় করে ফেলেছিলেন, যারা বেনজীরের চাইতেও শক্তিশালী, অথবা তিনি বড় বড় দেবতাদের তুষ্ট করতে পারেননি বা কোন কারণে দেবতাদের দেবতা তার উপর রুষ্ট হয়েছেন যা হয়তো কখনোই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হবে না। ক্ষমতায় (ডিজি, আইজিপি) থাকা কালিন সময়ে তিনি হয়তো ধরাকে সরা জ্ঞান করেছিলেন, এমনও হতে পারে তিনি পরিস্থিতির শিকার বা রাজনৈতিক বলির পাঠা, তা না হলে একজন মানুষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠার প্রায় মাসখানের মধ্যেই কিভাবে তার সমস্ত সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ আসে? বাংলাদেশের আইন, আদালত কি তাহলে এতটাই ফ্লেক্সিবল হয়ে গেলো যে অভিযোগ উঠার প্রায় সাথে সাথেই সবকিছু হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে যায়!!

বিবিধ বিষয় বিবেচনায় এটা বলা যেতেই পারে বেনজীর আহমেদ এক বা একাধিক প্রবল প্রতাপশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছেন যাকে বা যাদেরকে তিনি ঠিকমত ম্যানেজ করতে পারেননি, বাংলাদেশ হচ্ছে ম্যানেজের দেশ, এখানে ঠিকমত সবকিছু ম্যানেজ করতে পারলে একজন দুর্নীতিবাজ হয়ে যায় ফেরেশতা আর একজন ভাল মানুষ হয়ে যায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ...ইত্যাদি। সব সব সম্ভবের এই দেশে সবকিছুই ম্যানেজ করে নিজের আয়ত্তে রাখা যায় আর ম্যানেজ না করতে পারলে পাশা উল্টে যায়, বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে পাশা উল্টে গিয়েছে বা তিনি দেবতাদের সঠিক ফুলটি দিতে পারেননি যে কারণে দেবতাগণ তার উপর মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন।

বেনজীর আহমেদের পূর্বের কর্মকর্তাগণ কেন আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছেন বা তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠছে না? কারণ তারা সবকিছু ম্যানেজ করতে পেরেছেন। বেনজীর আহমেদ তো দূরের কথা, অজ পাড়াগাঁয়ের একজন থানার ওসিও কি তার সম্পদের সঠিক হিসেবে দিতে পারবেন? একজন ওসি যে বেতন পান তা দিয়ে তার ছেলে মেয়ের হাত খরচের টাকাও জুটবে না, কিন্তু হায়! স্বল্প বেতনের এসব কর্মকর্তাগণ আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও নিশ্চিন্তেই জীবন যাপন করছে কিন্তু মাঝ খান থেকে ফেঁসে গেলেন বেনজীর আহমেদ, বেচারা বেনজীর !



অনেকেই ধারণা করে থাকেন বসুন্ধরা গ্রুপ বেনজীর আহমেদের পিছনে লেগেছে, ধারণাটি যে একেবারে অমূল তা বলার উপায় নেই কারণ, বেনজীরের দুর্নীতির খবর প্রথম কালের কন্ঠেই প্রকাশ হয়। তাছাড়া বেনজীর যখন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তখন গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোবহান আনভীরের গার্লফ্রেন্ড মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, বিস্তারিত: এই আত্মহত্যার (নাকি হত্যা?) বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধারের ছেলে সোবহান আনভীরের পিছনে লেগেছিলো প্রশাসন এবং মিডিয়ার কিছু লোক, সে সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপ বেশ চাপে পরে গিয়েছিলো, যে কোন মুহূর্তে আনভীর গ্রেফতার হয়ে যায় এমন একটা অবস্থা কিন্তু শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরা সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলেছিলো, উক্ত মেয়ের আত্মহত্যা বিষয়ে এখন আর কেউ কথা বলে না প্রশাসন, মিডিয়া সবাই এখন একদম চুপ, এ বিষয়টি নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে বেনজীর আহমেদের কোন দ্বন্দ্ব থাকলে থাকতেও পারে। বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয় এটি নিয়ে খুব বেশি কথা বলা ঠিক হবে না। ঘটনা যা-ই হোক বেনজীর আহমেদ ফেঁসে গিয়েছেন এটাই হচ্ছে আসল কথা আর তার প্রতিপক্ষও অনেক শক্তিশালী এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আবার বিষয়টা যদি অন্যভাবে দেখি- ধরি বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, তাহলে এখানে শুধু এক বেনজীর আহমেদ কেন? দেশে কি তাহলে শুধু একজন বেনজীর আহমেদই আছে? আরও হাজারো বেনজীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশের আনাচে কানাচে তাদেরকে পাকড়াও করা হচ্ছে না কেন? আর চাইলেই কি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে পারে? This is quite impossible সরকার চাইলেও সবকিছু করতে পারে না, সরকারকেও কারো কারো উপর নির্ভর করতে হয়, সরকারও একক ক্ষমতার অধিকারী বা স্বয়ং সস্পূর্ণ নয়। বিশ্বায়নের এই যুগে একক ক্ষমতা বলতে কিছু নেই সবাই করো না কারো উপর নির্ভরশীল। ;)

সে যা-ই হোক দুর্নীতিকে আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করি না বরং দুর্নীতিকে আমাদের একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখি, দুর্নীতি নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না শুধু এতটুকু বলতে চাই- ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এই দেশের প্রতিটি ব্যক্তিই দুর্নীতি পরায়ণ, দুর্নীতিকে অঘোষিত একটি যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় আমাদের সমাজে, দুর্নীতি করার সুযোগ থাকা সত্যেও যদি কেউ দুর্নীতি না করে তাহলে তাকে- বোকা, প্রতিবন্ধী, জীবনে কিছু করতে পারবে না, ইত্যাদি বলে ভর্ৎসনা করা হয়, অপরদিকে যে ব্যক্তি দুর্নীতিতে পারঙ্গম তার পিঠ চাপড়ে দেয়া হয় যাতে সে বিপুল উৎসাহে দুর্নীতি করিয়া বেড়ায়। যারা এই কাজ করে তারা কেউই রাজনীতিবিদ নয় তারা আমার আপনার আশেপাশেরই সাধারণ ছাপোষা জনগণ। এই দেশে জন্ম থেকেই একটি শিশু বড় হয় দুর্নীতি বিষয়ে বীরত্বের গপ্প শুনে শুনে আর এভাবে শিশু অবস্থা থেকেই একটি শিশুর হ্রদয়ে দুর্নীতির বীজ বপন করা হয় যে কারণে দুর্নীতিকে আমি একটি সামাজিক ব্যধি হিসেবে বিবেচনা করি এবং অবশ্যই এটি একটি জাতীয় সমস্যা, আর এর মূলে রয়েছে- অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দারিদ্রতা, অশিক্ষা, অদক্ষ জনবল এবং ইনফর্মেশনের অভাব। সাহসাই দুর্নীতি থেকে উত্তরণের কোন পথ আমি দেখছি না, তাই জয় দুর্নীতি।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বসুন্ধরার যাবতীয় অপকর্ম ঢেকে রাখে পুলিশ । কাজেই তারা ভুলেও পুলিশের বিরুদ্ধে লাগবে না। মনে হচ্ছে বেয়াদপিটা রাজনীতির উচ্চমহলের কারো সাথে করে ফেলেছে। টেনশন নিয়েন না। দ্রুতই দেখবেন আবার বেনজির ফুলের মত পবিত্র হয়ে গেছে।

২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওই সময়ে মিডিয়া এবং পুুলিশ বসুন্ধরাকে একেবারে পেয়ে বসেছিল, ব্যপক পরিমাণে টাকা নিয়েছে বসুন্ধরার কাছ থেকে, বসুন্ধরা কি এখন তার শোধ নিবে না?

আসলে হতে পারে অনেক কিছুই তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি ঘটে।

২| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: একজন উঁচ্চ শিক্ষিত এবং প্রশাসনের অনেক গরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তার দুর্নীতি করার অনেক সুযোগ ছিলো। কিন্তু লেখাপড়ই তেমন করে নাই, প্রশাসনেও ছিলো না তেমন একজন তারেক রহমান।কার দুর্নীতি বেশি বলে আপনার মনে হয়।

২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তারেক, সে তো এক রাঘব বোয়াল, তারেকের কাছে বেনজীর চুনোপুটি।

৩| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দুর্নীতি করার অনেক সুযোগ থাকলে কেন করবে না ???
...................................................................................
লোভ আর সামাজিক মর্যাদার জন্য যখন ক্ষমতা আসে তখন
বিভিন্ন পন্থায় অবৈধ সম্পদ অর্জন শুরু হয় ।
এই কাজে সরাসরি বা পরোক্ষ ভাবে পরিবারের সমর্থন থাকে ।
না হলে স্ত্রী যদি বিবেকবান হয় এবং অবৈধ সম্পদকে ঘৃনা করে
তবে ঐ সংসারে এমন ঘটনা ঘটতে পারেনা ।

২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: টাকা সবারই দরকার কিন্তু তাই বলে টাকার জন্য নিজেকে এভাবে....?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

কাঁউটাল বলেছেন: কালের কণ্ঠ-এর প্রতিবেদনের পর ২০ এপ্রিল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন বেনজীর আহমেদ। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, তাঁর পরিবারের যে সম্পদ রয়েছে, তা বৈধ এবং এর হিসাব ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ রয়েছে। অবৈধ যেসব সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে, তা কেউ প্রমাণ করতে পারলে ওই ব্যক্তি বা গ্রুপকে সেই সম্পত্তি তিনি বিনা পয়সায় লিখে দেবেন বলেও ভিডিওতে দাবি করেন।

২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ ভিডিওটি আমিও দেখেছি যেখানে তিনি বেশ আত্নবিশ্বাসের সহিত নিজেকে ডিফেন্ড করেছেন, এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে কি ঘটে তবে বসুন্ধরা গ্রুপ যে তার পিছনে লেগেছে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

৫| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১:২৪

অহন৭১ বলেছেন: ভাইয়া, "একজন বেনজীর ..........." সময়পোযোগী পোষ্ট, ধন্যবাদ আপনাকে।

গুলশান ফ্লাটে মুনিয়ার মৃত্যু। নিহত মুনিয়ার সাথে আনভীরের কদর্য ফোনালাপ, ধরাছোঁয়ার বাইরে দানবীর!? আনভীর এবং পুলিশের রহস্যজনক নীরবতা অনেক প্রশ্নের জন্মদেয়। সে সময় দুই/একটি ছাড়া মেইন স্ট্রিমের সব গনমাধ্যম মুখে কুলুপ এটে ছিল। এমদাদুল হক মিলন, আনিসুর রহমান, নাইমুল ইসলাম খান এর মত পকেট বুদ্ধিজীবীরা লতা-পাতা-ফুল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এটি একটি প্রশ্ন।

অন্যদিকে ৫ই মে হেফাজতের নজিরবিহীন তান্ডব, জঙ্গিবাদের উত্থান, রাজাকারদের ফাঁসি এবং বিপরিতে বেনজীরের বলিষ্ঠ ভূমিকা আরও একটি প্রশ্নের জন্মদেয়।

এই সুযোগে বেনজীরের দূর্নীতি এবং বর্তমান সরকার প্রধানকে একপাল্লায় গুলিয়ে ফেলার যারপরনেই প্রচার প্রচারণা চলছে।

২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: টাকার বান্ডিল মুখে গুজে দিয়ে বসুন্ধরা সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে এখন আর কেউ ওটা নিয়ে উচ্চ বাচ্চ্য করে না।

অন্যদিকে ৫ই মে হেফাজতের নজিরবিহীন তান্ডব, জঙ্গিবাদের উত্থান, রাজাকারদের ফাঁসি এবং বিপরিতে বেনজীরের বলিষ্ঠ ভূমিকা আরও একটি প্রশ্নের জন্মদেয়। - কি সেই প্রশ্ন? ঠিক বুঝলাম না বিষয়টা।

সরকার বিরোধীদের কাজই তো হচ্ছে জল ঘোলা করা তাদের কথা বাদ দেন।

৬| ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একেক জন সাধু এভাবে মুখোশ পড়ে থাকে যে তারা দুধে ধোয়া তুলসি, সময় সব ফাঁস করে দেয়।

২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তারা যখন পাবলিক প্লেসে কথা বলেন, মনে হয় এর চেয়ে ভালো মানুষটি পৃথিবীতে নেই।

সময় সব ফাঁস করে দেয়। - ভালো বলেছেন।

৭| ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বেচারা এতো সরর্ভিস দেয়ার পরেও তার উপরেই ইয়েটা নেমে আসলো।

২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তার পশ্চিমের সম্পদও জব্দ হলো আর এখন দেশের সম্পদও জব্দ হলো, বেচারা বেনজীর।
কোন কারণে দেবতাগণ তার উপর রুষ্ট হয়েছেন হয়তো, যা আমরা জানিনা।
তবে বেসুন্ধরা গ্রুপ যে সব কলকাঠি নাড়ছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহে নেই।

শুভ কামনা।

৮| ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভাগ ভাটোয়ারা ঠিক থাকলে কিছুই হতো না।

২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তারচেয়ে বড় বিষয় ক্ষমতায় থাকাকালীন উনি যাদের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ পেয়েছিলেন সেই তারাই এখন তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। বিষয়টা এমন- টাকা নিয়েছে ঠিক আছে কিন্তু হজম করতে দিবো না।

৯| ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

বিষাদ সময় বলেছেন: অত্যন্ত যৌক্তিকতা পূর্ণ, দূরদৃশ্টি সম্পন্ন এবং সুলিখিত একটি পোস্ট। এই পোস্টের জন্য প্রশংসা এবং ধন্যবাদ আপনার প্রাপ‌্য সেই সাথে পোষ্টটি আমার মনে হয় নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার দাবী রাখে । এমন একটি পোস্টের জন্য ধন্যাবাদ এবং ++

২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন:

আপনার মত বিজ্ঞ একজন ব্লগারের কাছ থেকে এমন উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্য পয়ে আমি যার পর নেই কৃতজ্ঞ। :D

সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

নতুন বলেছেন: উনি বড় অফিসার ছিলেন। নিজেকে বড় হনু ভাবতেই পারেন।

কিন্তু এখন ক্ষমতা নাই। কিন্তু সেটা তার মনে নাই।

তাই বড় মুরুব্বির সাথে কোন বেয়াদবি করে ফেলেছেন তিনি।

উনি শিক্ষাটা পেয়ে গেলেই আবার সব ঠিক হয়ে যাবে... B-))

২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন নিজেকে অনেক বড় হনু ভাবতে থাকে যা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় বেজনীরের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

সম্ভবত মুরুব্বির সাথে কোন কারণে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

বেনজীরের অবস্থা দেখে হয়তো অনেকে সাবধান হয়ে যাবে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

রাােসল বলেছেন: সময়পোযোগী পোষ্ট। যারা তাকে টাকা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, রাঘব বোয়ালদের কেউ চুলও ছিড়তে পারবে না ।

২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জনগণের স্বার্থে বা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কেউ কখনো কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, যখন নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত লাগে তখন একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে এসবকে বড়জোর রাঘব বোয়ালদের অন্তর্কলহ বলা যেতে পারে।

টপ টু বটম দুর্নীতির এক কালো চেইন এ আবন্ধ এই দেশ এ থেকে মুক্তির কোন উপায়। অদূর ভবিষ্যতে আমরা হয়তো দুর্নীতির ডিগ্রী রফতানী করবো।

ভালো থাকবেন।

১২| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

কাঁউটাল বলেছেন:

২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দেশ ধ্বংস হয়ে গেলেও আমার কিছু করার নেই।

১৩| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাই বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশাসন দিয়ে দিলন? তাহলে আমাদের কী হবে!

২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুলিশ যেহেতু মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তাই পুলিশই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রশাসন, এখানে দুর্নীতির সুযোগ অনেক বেশি এবং জবাবদিহাতও কম।

আপনাকে স্বাগতম আমার নীড়ে।

১৪| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:০৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাইজান প্রশাসন আলাদা এনটিটি। যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পুলিশের ওপর যাদের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়েছে। কোনো বিভাগের প্রতি আমার বিদ্বেষ নেই। তবে পুলিশ প্রশাসন লেখাটা ভুল। পুলিশ বিভাগ লিখতে পারেন। অথবা বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ প্রশাসন লেখায় আপনার কোনো ঘাটতি দেখিনা। কম লেখাপড়া করা সাংবাদিকরা এটা লিখে লিখে প্রচলন করেছে। এরকম একটা মুর্খ সাংবাদিকে একদিন বড়ি গিলিয়েছিলাম।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক আছে, প্রশাসন দ্বারাই পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয়, প্রশাসন ছাড়া পুলিশ অস্তিত্বহীন যে কারণে শিরোনামে প্রশাসন শব্দটা রেখেছি তবে শব্দ গঠনে ভুল হয়ে গেছে, সে জন্য দুঃখিত।

শিরোনামে আমি মুলত "একজন ব্যক্তির নাম, বাংলাদেশ পুলিশ এবং প্রশাসন" এই তিনটি বিষয় একসাথে রাখতে চাচ্ছি।
কিছুটা চেঞ্জ করে দিয়েছি আশা করি এবার ঠিক আছে, তবুও যদি কোন ভুল থেকে থাকে দয়া করে আমাকে জানাবেন।

কষ্ট করে ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


১৫| ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

আহলান বলেছেন: যেভাবেই দেখেন, বেনজীর সাহেবের এমন অঢেল সম্পদ অর্জনের যে অবাধ সুযোগ ... এটি সরকারের দৈন্য দশাকেই আবারো প্রমাণ করে। অর্থাৎ বেনজীর সাহেব এত এত সম্পদ অর্জন করলেন অথচ এই দেশের আইন কানুন কিছুই তাকে রোধ করতে পারলো না, তাকে বারিত করতে অপারগ থাকলো, এটা কি সরকারের দৈন্যতা। আর সে যদি আইন মেনেই এতো কিছু করে থাকে, তবে আজ কেনো তার বিরুদ্ধে এতো আইনী পদক্ষেপ? দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে যে দায়িত্ব রাষ্ট্রের রয়েছে তা যথাযথ পালনে চরম উদাসীনতাই এর মূল কারণ। যদি এটাও বলেন যে বহির্বিশ্বের কাছে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির জন্য বেনজীর সাহেবকে বেছে নেয়া হয়েছে, তখনো এই একই কথা উঠে আসবে যে, আইন ব্যর্থ ছিলো ... সরকার এদের এতো সম্পদ অর্জনের সময় উদাসীন ছিলো ... জেনারেল আজীজের স্যাংশান ও বেনজীর এর সম্পদের উপরে ক্রোকাদেশ, যোনাল্ড ল্যুর ঢাকা, সফর সব কিছুর মধ্যে কোন যোগ সাযশ আছে কিনা সেটও বিবেচ্য। আমরা আদার বেপারী, জাহাজের খোজ তরে লাভ নেই ...

২৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দেশে আইন সবসময়ই ব্যর্থ।

দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে যে দায়িত্ব রাষ্ট্রের রয়েছে তা যথাযথ পালনে চরম উদাসীনতাই এর মূল কারণ। - দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই।

আমরা হলাম আদার বেপারী সরকারের খবর নিয়ে কি করব, এসব তো বড় বড় মানুষের কাজ!!

আপনার গঠনমূলক মতামতকে সাধুবাদ জানাই।

১৬| ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

এস.এম.সাগর বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: একজন উঁচ্চ শিক্ষিত এবং প্রশাসনের অনেক গরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তার দুর্নীতি করার অনেক সুযোগ ছিলো। কিন্তু লেখাপড়ই তেমন করে নাই, প্রশাসনেও ছিলো না তেমন একজন তারেক রহমান।কার দুর্নীতি বেশি বলে আপনার মনে হয়।
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় তার বিরুদ্ধে মোট ১৫টি মামলা ছিলো। তবে কোনো মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি আপাতত সকল মামলামুক্ত। বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো বর্তমানে দুদক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৯টি মামলা করে। এরপর ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারীর পর মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের অনিয়মতান্ত্রিক সরকারের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় আরো ৬টি মামলা। সবমিলিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৫টি মামলা ছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই তার নিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। ১৫টি মামলার ৬টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। আর হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করিয়ে নেয়া হয় ৯টি মামলা।

বেপজায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি : রাষ্ট্রের ২ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬৮৮ টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো। ২০১০ সালের ৩০ মে এই মালাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

ফ্রিগেট ক্রয় দুর্নীতি মামলা : দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে দক্ষিন কোরিয়া থেকে পুরাতন যুদ্ধজাহাজ ক্রয় করে রাষ্ট্রের ৪৪৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০২ সালের ৭ ই আগষ্ট শেখ হাসিনাসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলো দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ১৮ মে হাইকোর্টে এই মামলাটি বাতিল করে দেন গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্নীতি মামলা : অবৈধভাবে কাজ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল এই দুর্নীতির মামলাটি খারিজ করে গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা : বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতাকে কাজ দেয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে মইন-ফখরুদ্দীন আমলের দুদক। এই চাঁদাবাজি মামলায় ২০০৮ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের পর বিশেষ জজ আদালতে মামলার সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছিলো। ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল এ মামলাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

নাইকো দুর্নীতি মামলা : রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ফখরুদ্দিন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো দুদক। ২০১০ সালের ১১ মার্চ এ মামলাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় দুর্নীতি মামলা : নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাশিয়া থেকে ৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে রাষ্ট্রের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২০ আগষ্ট শেখ হাসিনাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এ মামলার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দায়ের করা একটি কোয়াশমেন্ট আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়ে বলা হয় এই মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে। প্রধান বিচারপতি এম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির ফুল আপিলেট ডিভিশন এই রায় দেয়। ফলে বিশেষ জজ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ৯ মার্চ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান ক্রয়ে দুর্নীতি মামলাটি বাতিল করে দেয় যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ দুর্নীতি মামলা : জাতির জনক মাওলানা ভাসানীর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণে প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতি, অ বৈধভাবে ব্যয় বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রের ৫২ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ২০০২ সালের ২৭ মার্চ তেজগাঁও থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ৪ মার্চ তিনটি মামলা বাতিল করে দেন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে নিজের নামে থাকা ১৫টি মামলার মধ্যে নয়টি মামলা দুই শামসু বিচারপতিকে দিয়ে এবং বাকি ছয়টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহার করে নেন।বেপজায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি : রাষ্ট্রের ২ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬৮৮ টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো। ২০১০ সালের ৩০ মে এই মালাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

ফ্রিগেট ক্রয় দুর্নীতি মামলা : দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে দক্ষিন কোরিয়া থেকে পুরাতন যুদ্ধজাহাজ ক্রয় করে রাষ্ট্রের ৪৪৭ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০২ সালের ৭ ই আগষ্ট শেখ হাসিনাসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলো দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ১৮ মে হাইকোর্টে এই মামলাটি বাতিল করে দেন গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্নীতি মামলা : অবৈধভাবে কাজ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল এই দুর্নীতির মামলাটি খারিজ করে গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা : বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতাকে কাজ দেয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে মইন-ফখরুদ্দীন আমলের দুদক। এই চাঁদাবাজি মামলায় ২০০৮ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠনের পর বিশেষ জজ আদালতে মামলার সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছিলো। ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল এ মামলাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

নাইকো দুর্নীতি মামলা : রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে ফখরুদ্দিন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো দুদক। ২০১০ সালের ১১ মার্চ এ মামলাটি বাতিল করে দেয় গোপালগঞ্জ আওয়ামিলীগের সাবেক নেতা ও বিচারপতি মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় দুর্নীতি মামলা : নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাশিয়া থেকে ৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে রাষ্ট্রের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২০ আগষ্ট শেখ হাসিনাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এ মামলার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দায়ের করা একটি কোয়াশমেন্ট আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়ে বলা হয় এই মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে। প্রধান বিচারপতি এম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির ফুল আপিলেট ডিভিশন এই রায় দেয়। ফলে বিশেষ জজ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ৯ মার্চ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান ক্রয়ে দুর্নীতি মামলাটি বাতিল করে দেয় যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ দুর্নীতি মামলা : জাতির জনক মাওলানা ভাসানীর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণে প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতি, অ বৈধভাবে ব্যয় বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রের ৫২ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ২০০২ সালের ২৭ মার্চ তেজগাঁও থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০১০ সালের ৪ মার্চ তিনটি মামলা বাতিল করে দেন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে নিজের নামে থাকা ১৫টি মামলার মধ্যে নয়টি মামলা দুই শামসু বিচারপতিকে দিয়ে এবং বাকি ছয়টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহার করে নেন।

২৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন:

আপনার এত বড় মন্তব্য দেখে আমার মাথা ঘুরে গেছে!! আশা করি কামাল সাহেব আপনাকে যথাযথ উত্তর প্রদান করিবেন।

আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম।

১৭| ২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: @সাগর,আসুন, সবাই মিলে আমি আপনি সহ সবার বিচার করি।বিচার হীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশপ্রেম আর নৈতিকতার ভিত শক্ত না হলে এই জাতির উন্নতির কোন উপায় নেই।

তবে উনার প্রশ্নের অনেক উত্তর ওয়ায়দুল কাদের দিয়ে দিয়েছেন।

বেনজীর ও আজিজদের বিচারের মুখোমুখি করছে আওয়ামী লীগ

১৮| ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

এস.এম.সাগর বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: @সাগর,আসুন, সবাই মিলে আমি আপনি সহ সবার বিচার করি।বিচার হীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শতভাগ সহমত ভাই, ইহার কোন বিকল্প নেই। আমরা তথা সকল জনগন দলমত নির্বিশেষে সকল অন্যায়, বিচারহিনতার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবেই।

৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বী আমাদের সকলেরই সেটাই কাম্য।

১৯| ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশপ্রেম আর নৈতিকতার ভিত শক্ত না হলে এই জাতির উন্নতির কোন উপায় নেই।

তবে উনার প্রশ্নের অনেক উত্তর ওয়ায়দুল কাদের দিয়ে দিয়েছেন।

বেনজীর ও আজিজদের বিচারের মুখোমুখি করছে আওয়ামী লীগ[/sb

লেখক সাহেবকে বিণীতভাবে বলতে চাই, ওবায়দুল কাদের সাহেব কিংবা মির্জা ফখরুল সাহেব বা অন্য কোন নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে চাইনা, আমরা সকল কিছুর সঠিক সমাধান চাই, আমরা দেশের জনগন, আমরা দেশের মালিক হয়েও দেশের চাকরদের সাথে পেরে উঠছিনা! আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কোন কিছুই বুঝতে চাইনা,

৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমরা সকল কিছুর সঠিক সমাধান চাই এবং রাজনীতিবিদদের হাতে জিম্মি থাকতে চাই না, এর একটা বিহিত করা দরকার।
রাজনীতিবিদদের প্রভুত্তমুলক আচরণ মেনে নেয়া যায় না, এদের সবকটাকে জবাবদহিতার আওতার আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

ভালো থাকবেন সময়, আপনার গঠনমূল বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.