নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুখবন্ধ:
এই পোস্টটি প্রতিযোগিতার জন্য নয় বরং সহব্লগারদেরকে ফিচার পোস্ট সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়ার জন্য প্রকাশিত। প্রবন্ধ বা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতার চর্চা যেমন করা যায় তেমনি পড়াশোনা করার কারণে আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট রাইটিং, কপি-রাইটিং খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশা এবং ভবিষ্যতে যার চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। ভালো প্রবন্ধ বা আর্টিকেল লেখা একটি চর্চার বিষয়। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে সাধারন ব্লগারদের জন্য বেশ কিছু আর্টিকেল বা প্রবন্ধ প্রকাশ করব, যা দেখে নতুন ব্লগাররা কিছুটা হয়ত ধারনা পেতে পারেন যে ফিচার কিভাবে লেখা যায় বা লিখতে হয়।
বেশ কয়েক ধরনের ফিচার হতে পারে। যেমন তথ্য ভিত্তিক, অনুসন্ধানমুলক বা প্রতিবেদন, সমস্যা বা সমাধান ভিত্তিক ইত্যাদি। আজকে আপনাদের সামনে যে ফিচারটি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি তা তথ্য ভিত্তিক একটি ফিচার। অনলাইন ও অফলাইন থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সাজিয়ে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্য করবেন, এই ফিচারে প্রয়োজনীয় ছবি এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যঋণ ও রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে। রেফারেন্স যুক্ত করাটা একটি পদ্ধতিগত ব্যাপার। যে কোন সঠিক রেফারেন্স লেখাকে শক্তিশালী করে এবং পাঠকদের আনন্দ ও আত্মবিশ্বাস দেয় যে - এটা ভালো পোস্ট বা ভালো লেখা। আপনি কোন কোন সুত্র থেকে যদি হুবহু কিছু অংশ প্রকাশ করেন, তাহলে সেটা কোট করে এবং উল্লেখ্য করে দিয়ে হয়। যদি আপনি কোন প্রকাশিত আর্টিকেল বা ডকুমেন্টারী বা কোন বইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে নিজের মত করে লিখেন, সেই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য করতে হবে, 'এই লেখাটি উক্ত আর্টিকেল বা বই বা ডকুমেন্টারীর আলোকে লেখা হয়েছে। যদি কেউ হুবহু অনুবাদ করেন, তাহলে সেটা উল্লেখ করতে হবে, যে অনুবাদ করা হয়েছে। কোন ভিডিও ডকুমেন্টারী বা ভিডিও এর ভিত্তিতে লেখা হলে, সেটাও উল্লেখ্য করতে হয় যে 'উক্ত ভিডিও বা ডকুমেন্টারী থেকে ভাষান্তর বা ভাষায় রুপান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই তথ্যঋণ যুক্ত করায় লেখকের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। এতে সামগ্রিক লেখাটি লিখতে লেখকের আন্তরিকতা, মেধা এবং গবেষনা করার যে সক্ষমতা তার প্রমান দেয়। ফলে তিনি পাঠকের কাছে সম্মান লাভ করেন এবং উক্ত লেখাটির স্বত্ব দাবি করতে পারেন। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্লগে চোখ রাখেন এবং বাংলা ভাষার এই বিশাল তথ্য ভান্ডার ও সৃজনশীল লেখকদের আড্ডাখানা থেকে ভালো লেখক বা কপিরাইটার বা কন্টেন্ট রাইটার খুঁজেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন নির্মানকারী অনেক বিখ্যাত এজেন্সী সহ অনেক নামকরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগাররা কন্টেন্ট রাইটার, কপি রাইটাররা মাসিক ৪০,০০০/- টাকা থেকে শুরু করে ১,৫০,০০০ টাকার বেতনে পর্যন্ত কাজ করছেন।
ফলে, আশা করি এই ফিচার প্রতিযোগিতায় ব্লগাররা অংশগ্রহন করবেন, শিখবেন এবং নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যাবেন। নিজস্ব সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন। সবার জন্য রইল শুভ কামনা।
চলুন এখন মুল পোস্টে যাই।
সম্পদ, নিরাপত্তা এবং প্রতিপত্তির জন্য মানুষ কত কিছুই না করে- হানাহানি, মারামারি, সমাজে উঁচু নিচু দ্বন্দ্ব আরও কত কি? কিন্তু আপনাকে যদি বলি, সম্পদ, প্রতিপত্তি, নিরাপত্তা বিশেষ করে নিজের অধিকার পাবার জন্য মানুষ তার লিঙ্গ পরিবর্তন করে? যদি সম্ভব না হয় তাহলে তারা মিথ্যে লৈঙ্গিক পরিচয় দিয়ে আজীবন বেঁচে থাকে? কিছুটা অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য শোনালেও পৃথিবীতে এর নজির এখনও বিদ্যমান। আলবেনিয়া, বসনিয়া, সার্বিয়া এবং মন্টেনিয়াগো হলো তেমন কয়েকটি দেশ, যেখানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা এবং সম্পত্তির অংশিদারিত্ব পাওয়ার জন্য মিথ্যে লৈঙ্গিক পরিচয় নিয়ে আজীবন বেঁচে থাকে। এটা তাদের দেশের একটি প্রচলিত সামাজিক রীতিও বটে। একজন পুরুষ বা ছেলে সন্তান না হবার কারনে নিজের পারিবারিক সম্পত্তি, সম্মান ও অধিকার রক্ষার জন্য এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত নির্মম এবং কষ্টদায়ক। যারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ধরনের জীবন ব্যবস্থা বেছে নিয়ে বেঁচে আছেন, তাদেরকে বলা হয় সোর্ন ভার্জিন।
অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুসারে সোর্ন (sworn) শব্দটি মূলত ইংরেজি ‘swear’ শব্দ থেকে এসেছে। সহজ বাংলায় এর অর্থ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যখন কেউ কোন বিষয়ে শপথ গ্রহণ করে বা এমন এক প্রতিজ্ঞা যার কোন পরিবর্তন হয় না, তখন সোর্ন শব্দটা ব্যবহার করা যায়। যেমন চিরশত্রু শব্দটার ক্ষেত্রে চাইলে কেউ লিখতে পারেন - "they were sworn enemies"।
সোর্ন ভার্জিনরা মূলত নারী। তারা তাদের পরিবারের অধিকার, অংশিদারিত্ব এবং মূলত নিরাপত্তার জন্য নারী হয়েও পুরুষের জীবন ধারণ করেন। তারা কখনই কারো সাথে কোন প্রকার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবেন না- এই মর্মে চার্চে গ্রামবাসীদের সামনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং পুরুষদের মত পোশাক ধারণ করেন। সেদিন থেকে তাকে একজন পুরুষ হিসেবে মানুষ বিবেচনা করেন এবং পুরুষ হিসেবেই সম্মান প্রদান করেন। তার মাধ্যমে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত হয়। দেখা গিয়েছে যে সকল পরিবারে বা এলাকায় মূলত নারীর সংখ্যা বেশি সেখানে নারীদের নিরাপত্তার জন্য এই সোর্ন ভার্জিন প্রথার প্রচলন আছে। একজন নারী তাঁর জীবনের যে কোন পর্যায়ে গিয়ে শপথ নেয়ার মাধ্যমে এই দুঃখজনক জীবন বেছে নিতে পারেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলের সুত্র অনুসারে বর্তমানে ১০২ জন সোর্ন ভার্জিনের পরিচয় পাওয়া গেলেও, তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন আরো বহু নারী। শুধু সম্পত্তির উত্তরাধিকার পেতে নয় বরং সামাজিক সহিংসতা, যৌণ নিপীড়ন, বাল্য বিবাহ ইত্যাদি ঠেকাতে অনেক নারী সোর্ন ভার্জিন হিসাবে শপথ গ্রহন করেছেন। নানান সুত্র মতে, বর্তমানে প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ জন সোর্ন ভার্জিন বেঁচে আছেন যাদের অধিকাংশই পৌঢ় বা জীবনের শেষপ্রান্ত এ উপস্থিত।
চলুন কয়েকন সোর্ন ভার্জিনের বর্তমান ছবি দেখে আসি।
কেন সোর্ন ভার্জিন রীতি চালু হলো এবং কিভাবে একটি সমাজ সেই রীতিকে রীতিমত আইন করে বৈধতাও দিলো - এই প্রশ্নের জবাব জানতে গিয়ে বেশ কিছুটা কৌতুহলদীপ্তক তথ্য সামনে এসেছে। এই সংক্রান্ত প্রচুর ইউটিউব ভিডিও, উইকিপিডিয়ার আর্টিকেল এবং সেখানে বর্নিত বিভিন্ন সুত্র পড়ে যা বুঝলাম পুরো বিষয়টির মুলে রয়েছে নারীকে সম্পত্তি হিসাবে দেখার প্রবনতা এবং এই প্রতিষ্ঠিত সামাজিক রীতি রেওয়াজের পিছনে রয়েছে মূলত মধ্যযুগীয় গ্রিকভাষী রোমান বা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এর প্রভাব। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও আরবের তৎকালীন সমাজে প্রচলিত কিছু রীতি রেওয়াজের প্রভাব এখানে বিদ্যমান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রীতিনীতিগুলো ভৌগলিক দুরত্ব এর প্রভাবে ও মৌখিকভাবে সংরক্ষন করার কারনে মুল রীতি থেকে বিকৃত হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে ও সমাজে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠকদের সুবিধার্থে বিষয়টি সংক্ষিপ্ত আকারে বলছি।
আলবেনিয়ার উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে এই 'সোর্ন ভার্জিন' রীতির রেওয়াজ ছিলো। এই অঞ্চলগুলো বলকান হাইল্যান্ড হিসাবেও পরিচিত। এখানে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে অনেক নিজস্ব আইন ও রীতিনীতি ছিলো। যুগের পর যুগ ধরে বিভিন্ন গোত্র প্রধান বা বয়স্ক ব্যক্তিরা এই সকল আইনকে মুখস্ত করে টিকিয়ে রাখতেন বা অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষন করতেন। বিশেষ করে প্যাগানদের বিভিন্ন রীতি রেওয়াজের সাথে এই সকল ট্র্যাডিশনাল রীতি রেওয়াজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই সব রীতিনীতি বা আইনগুলো ছিলো মুলত - বিশ্বাস, সম্মান, রক্ত, প্রতিশোধ, খাবার এবং অতিথি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে - নানা গোত্রের মধ্যে প্রচলিত বিভিন্ন আইন সংরক্ষন করার এই প্রক্রিয়ার সাথে ইসলামিক হাদীস সংরক্ষনের প্রাথমিক প্রক্রিয়ার সাথে বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যদি কেউ যদি ধর্মীয় প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে ইতিহাসের প্রেক্ষাপট থেকে বিষয়টি ভেবে দেখেন, তাহলে বুঝা যায়, মহানবী সাঃ এর মৃত্যূর পর বহু বছর অলিখিত থাকার ফলেও পরবর্তীতে কিভাবে হাদীস লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষন করা হয়েছে। এখানে হাদীসের বইকে একটি ঐতিহাসিক বা ইতিহাসের বই হিসাবে বিবেচনা করলে নির্মোহভাবে বিশ্লেষন বা চিন্তা করা সম্ভব।
যেহেতু এইভাবে মৌখিকভাবে সংরক্ষিত যে কোন তথ্যের বিকৃতি বা পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না, তাই এই সকল রীতিনীতিকে মোটামুটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি লিখিত ভার্সন থাকা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এই সকল রীতিনীতিকে মুলত সংরক্ষন করার কাজ শুরু করেন পাদ্রী স্টিফেন জ্যাকব (Shtjefën Gjeçovi)। (ভাষাগত কারনে যদি উচ্চারনের ভুল হয়, তাহলে অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি)।
তাঁকে আলবেনিয়ার পাহাড়ী অঞ্চলের সংস্কতি ও নৃতত্ত্বের অন্যতম সেরা গবেষক হিসাবে মনে করা হয়। পরবর্তীতে এই আলবেনিয়ার দুকাগচিনি নামক অভিজাত শাসক পরিবারের সন্তান তৃতীয় লেকে দুকাগচিনি এই নিয়ে কাজ করেন। বিভিন্ন গোত্রে প্রচলিত পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে পুঁজি করে প্রচলিত বিভিন্ন রীতি রেওয়াজের উপর একটি তালিকা এবং কিছু নীতিমালা তৈরী করেন যা 'দ্য কানুন অফ লেকে দুকাগচিনি' হিসাবে অটোম্যান শাসক গোষ্ঠি প্রকাশ করে।
ছবিঃ লেকে দুকাগচিনি
ছবিঃ দ্য কানুন অফ লেকে দুকাগচিনি বইয়ের প্রচ্ছদ।
উল্লেখ্য, অটোম্যান সাম্রাজ্য এই আলবেনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছিলো। অটোম্যান শাসকরা তথাকথিত শরিয়া আইনের বিপরীতে বা আদলে স্থানীয় এই সকল ট্র্যাডিশনকে 'কানুন' নামে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং সর্বপ্রথম জনসমুক্ষে প্রকাশ করে। বলাবাহুল্য যে, এই দুকাগচিনি পরিবার ১৪শ এবং ১৫শ শতাব্দী জুড়ে আলবেনিয়ার উত্তরাঞ্চল শাসন করেছিলো এবং এই তৃতীয় লেকে দুকাগচিনি উত্তর আলবেনিয়ার আধুনিকায়নের কাজ করলেও তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত সামাজিক ট্র্যাডিশনকে বিলুপ্ত করেন নি বরং সেগুলোকে আইনগত ভিত্তি দিয়েছিলেন। 'সোর্ন ভার্জিন' বিষয়টিকেও তিনি বৈধতা প্রদান করেন এবং সামাজিক একটি রীতি হিসাবে স্বীকৃতি দেন তাঁর 'কানুন' নাম আইনের বইয়ের ব্যাপারে।
শুরুতে বলেছিলাম, আলবেনিয়ার এই সকল পাহাড়ি গোত্র এবং উপজাতিদের মধ্যে যে সকল রীতি রেওয়াজ প্রচলিত ছিলো তা মুলত প্রভাবিত হয়েছে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য ও আরবের তৎকালীন সমাজে প্রচলিত কিছু রীতি রেওয়াজ থেকে। বিশেষ করে, 'কানুন' নামক বিতর্কিত আইন বইটি পড়লে এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। যেমন কিছু আইন হচ্ছে এমন যে, নারীদের নামে কোন সম্পত্তি কেনা যাবে না। সকল সম্পত্তির মালিকানা থাকবে পুরুষদের নামে, বিয়ের পর নারীদেরকে পরিবারের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা হবে। মুলত যুগে যুগে নারীদেরকে সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করার কারনেই এই উপমহাদেশে নারীদেরকে ‘মাল’ বলা হয়। এই কানুন অনুসারে, মেয়েরা ধুমপান করতে পারবে না, ঘড়ি পড়তে পারবে না এমন কি কোন প্রকার নির্বাচন বা ভোট বা পক্ষান্তরে নিজেদের মতামত দেয়ার সুযোগ পাবে না, কিছু নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করতে পারবে না, কিছু নির্দিষ্ট পোষাক সমাজে চলাফেরা করতে হবে সহ আরো অনেক কিছু। ধারনা করা যায় যে, এই 'কানুন' বিতর্কিত শরিয়া আইন দ্বারা কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে। যদিও শরিয়া আইন এবং ইসলামিক আইন একই বিষয় নয় বরং ইতিহাসের প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করে অনেক গবেষক মনে করেন, শরিয়া আইন একটি রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা যা ইসলামের নামে বৈধ করা হয়েছে।
ফলে উত্তর আলবেনিয়ার নারীদেরকে নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা, নিজেদের জোর পূর্ব বিবাহ, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি কারনে এই সোর্ন ভার্জিনের জীবন বেছে নিতে হয়েছে। এই প্রথাটি প্রমান করে বিশ্বজুড়ে নারীদেরকে নিজেদের অধিকার রক্ষায় কতটা কষ্ট করতে হয়েছে।পৃথিবীর বহু দেশ থেকে এই বর্বর প্রথাটি প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে তবে নর্দান আলবেনিয়ায় এখনও এই চর্চাটি অল্পমাত্রায় বিদ্যমান। আনন্দের বিষয় এই অঞ্চলের নারীরা এখন আগের চাইতে নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে অনেক সচেতন এবং এই ব্যাপারটি বন্ধের জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, এই 'কানুন' এ বর্নিত সকল সকল আইন, আলবেনিয়ার কমিউনিস্ট নেতা এনভার হোক্সা (Enver Hoxha) কঠোর সমালোচনা এবং রাষ্ট্রিয় পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় বন্ধ করা হয়েছে।
রেফারেন্সঃ
এই পোস্টটি লিখতে বেশ কিছু লেখা পড়তে হয়েছে। হয়ত একটি রেফারেন্স থেকে মাত্র একটি লাইন ব্যবহার করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা ইউটিউব, উইকিপিডিয়া এবং গুগল বুক কে।
১। 'কানুন' Kanun
২। দ্য কানুন অফ লেকে দুকাগচিনি - THE CODE OF LEKE DUKAGJINI বই
৩। 'লেকে দুকাগচিনি' - Lekë Dukagjini
৪। The Irish Times - sworn-virgins the fraternity women who earn male privileges in return for lifelong celibacy।
৫। দি হেরিটেইজ ডেইলি
৬। বলকান সোর্ন ভার্জিন।
৭। Qanun - কানুন।
৮। Memory and Nation Building: From Ancient Times to the Islamic State
৯। ন্যাট জিও চ্যানেল
১০। স্টোরিজ - Why These Virgin Women Live As Men
১১। এপি আর্কাইভ। ALBANIA: "AVOWED VIRGINS" WOMEN GIVEN THE PRIVILEGES OF MEN
১২। নিউইয়র্ক টাইমস
১৩। রেডিও ফ্রি ইউরোপ, রিডিও লিবার্টি।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সহ ব্লগারদের কোন কাজে এলে কেবল মাত্র এই পরিশ্রম সফল হবে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন নির্মানকারী অনেক বিখ্যাত এজেন্সী সহ অনেক নামকরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগাররা কন্টেন্ট রাইটার, কপি রাইটাররা মাসিক ৪০,০০০/- টাকা থেকে শুরু করে ১,৫০,০০০ টাকার বেতনে পর্যন্ত কাজ করছেন।
What a great news!
আশা করি এই তথ্যটা আরো অনেককে সৃজনশীল লেখার জন্য উৎসাহিত করবে ।
সেদিন থেকে তাকে একজন পুরুষ হিসেবে মানুষ বিবেচনা করেন এবং পুরুষ হিসেবেই সম্মান প্রদান করেন।
তার মাধ্যমে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত হয়।
সোর্ন ভার্জিন সম্পর্কে জানা ছিলোনা। অধিকার এবং নিরাপত্তার জন্য নারীদের কি করুণ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে
কতোটা বৈষম্য ছিলো যে একজন পুরুষ হয়ে নারীকে সেই অধিকার পেতে হতো, যেটা স্বাভাবিকভাবেই তার প্রাপ্তি হবার কথা । কিরকম সেক্রিফাইস করতে হয়েছে তাদের । নারীর সাথে চরম বর্বরতা ।
Thank God those days are over.
জাদিদকে থ্যাংকস এ বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য, তাই জানা হলো পরিস্থিতি মানুষকে কতোটা অসহায় করতে পারে ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
জাদিদ বলেছেন: জী, আপা। গত কয়েক বছর থেকেই আমাদের ব্লগাররা বিভিন্ন নামীদামী এজেন্সীতে কপিরাইটিং এর কাজ করছেন
আর সোর্ন ভার্জিন নিয়ে বেশ কয়েক বছর আগেই লিখেছিলাম। তবে বিস্তারিত লিখতে গেলে বা জানাতে গেলে কিছুটা বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, সেই বিতর্ক বর্তমানে ব্লগের পরিস্থিতি যৌক্তিক আলোচনার চাইতে অযৌক্তিক আলোচনা হবে বেশি এবং যার চুড়ান্ত পরিনতি হবে হাস্যকর ক্যাচাল। তাই সেই দিকে আর পোস্টে লিখি নাই।
তবে সামগ্রিক ব্যাপারটা আসলেই নারীদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক ছিলো। প্রাচীন যুগে নারীদের অবস্থার কথা ভেবে আমার গা শিহরিত হয়ে উঠে। কি মর্মান্তিক জীবন!
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এতো চমৎকার পোস্টটি টি-২০ ফাইনালের দিন দিলেন? পোস্ট পড়বোনা নাকি খেলা দেখবো ? (কিডিং)
আমি একটি ছোটখাট ফ্যাশন ম্যাগাজিন বের করি। বাৎসরিক । স্পেলবাউন্ড নাম । প্রতিবছর ১লা ফালুনে বের হয়। আমার কিছু ফ্যাশন ও বিজনেস ফিচার দরকার। সামুর ব্লগারদের থেকে হলে ভালো হয়। আপনার পরিচিত কেউ ভালো ফিচার লিখে এমন থাকলে প্লিজ হেল্প।
পোস্টে + ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ব্লগার রাজীব নুরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তিনি এক সময় পত্রিকায় কাজ করেছেন বলে শুনেছি। তাছাড়া তিনি ব্লগে তিনি ভালো লিখেন, এটা আপনি নিজেও লক্ষ্য করেছেন। ফলে তিনি এই ব্যাপারে আপনার ভালো চয়েস হতে পারে।
শুভেচ্ছা রইল।
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দাদা কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন;
রেফারেন্স ছাড়া ফিচার লেখা যাবে না-
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
জাদিদ বলেছেন: লিটন ভাই, আমি ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। আপনি রেফারন্স ছাড়া ফিচার লিখতে চাইছেন। হ্যাঁ রেফারেন্স ছাড়াও ফিচার লেখা যাবে, যদি আপনি নিজে সেই সকল তথ্য সংগ্রহ করে এবং ছবি তোলেন।
আপনি সমসাময়িক সময়ে কবিতা কিছু গুনাবলী নিয়ে লিখতে পারেন। এখনকার কবিতায় মুলত কি প্রাধান্য পাচ্ছে? বর্তমান সময়ের কবিতায় কিছুটা আদর্শচ্যুত হয়েছে বলে মনে হয়। সবাই শুধু নিজের জন্য লিখছেন। দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব কি কবিতায় অনুভব করেন?
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্টের জন্য। যে কোন ফিচার লিখতে গেলে তথ্য সংগ্রহ, কপি পেস্ট কিভাবে রেফারেন্স সহকারে করতে হয় এবং সর্বপরি নিজস্ব সৃজনশীলতাকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করার বিষয়গুলো দারুন সুন্দর করে ব্যখ্যা করেছেন। পোস্টটা স্টিকি করলে ভাল হয়। যেহেতু ফিচার লেখার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে , এই পোস্টটা দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আশা করব, এই পোস্টটি সকলেই পড়বেন এবং আমি চেষ্টা করব বিভিন্ন বিষয়ের উপর ফিচার লিখতে। সেখানে মুখবন্ধ এর অংশটুকু প্রতিবারই দিয়ে দিবো। এই পোস্ট স্টিকি করলে - সবাই ক্ষমতার অপব্যবহার করার অপরাধে আমাকে কোথাও নির্বাসনে দিয়ে আসবে। হাহা।
শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব তথ্যপূর্ণ একটি পোস্ট, যা পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। সোর্ন ভার্জিন সম্পর্কে যতসামান্য জানা ছিলো, এই পোস্ট পড়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। পোস্টে প্লাস।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!! কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার মত এত বৈচিত্র্যপূর্ন বিষয়ে ধারনা খুব কম মানুষই রাখে। আপনার কাছ থেকেও নতুন নতুন বিষয়ে লেখা প্রত্যাশা করছি।
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আরইউ বলেছেন:
নারীদের "মাল" বলার কারণের উৎপত্তি কীভাবে সেটা নিয়ে যা বলেছেন তা ইন্টারেসটিং; কখনো এভাবে ভেবে দেখিনি। এখনকার সময়ে অবশ্য বন্ধুদের আড্ডায়-নাটক-সিনেমায় বলা "দোস্ত মালটা জোস" এই কথার পেছনে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিষয়াদী যত না জড়িত তার চেয়ে সম্ভবত নারীকে তুচ্ছ্য-তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যটাই মূখ্য।
সোর্ন ভার্জিন সম্পর্কে প্রথম জানি এই নামের ইটালিয়ান একটা ম্যুভি থেকে Sworn Virgin
আপনার পোস্ট চমৎকরা হয়েছে, জাদিদ। শুভকামনা জানবেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্লগার আর ইউ! পোস্টটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
মেয়েদেরকে এই অসম্মানজনক নামের পেছনে বঙ্গদেশী যুক্তিগুলো শুনলে নির্ঘাত 'গ্যান' হারিয়ে ফেলবে। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য তো অনেক ভালো, প্রাচীন যুগে নারীদের প্রতি পুরুষের এই আচরন সত্যি আমাকে ব্যথিত করেছে।
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই টার্ম বা বিষয়টা আমার একেবারেই অজানা ছিল। দুর্দান্ত পোষ্ট , চমৎকার সুলিখিত। এবং সত্যি ই উদহারন যোগ্য।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।
শুভ কামনা সতত।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৮
জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপা! পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
শেরজা তপন বলেছেন: হুম বুঝলাম লেখালেখির ব্যাপারে এখনো পুরোটাই শেখার ও জানার বাকি আছে
অনেক কিছু জানলাম- তবে বড় কথা হচ্ছে চমৎকার গোছানো লেখা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৯
জাদিদ বলেছেন: ভাইয়া, আপনি একদমই ভুল বললেন। ব্লগের শুরুতে আমার তো মনে হয় আমরা আপনাদের মত ব্লগারদের দেখেই অনেক কিছু শিখেছি। ফলে আপনার কাছ থেকে কমপ্লিমেন্ট পাওয়া মানে বিরাট ব্যাপার!
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ জাদিদ ভাই । সোর্ন ভার্জিন সম্পর্কে জানতামই না । নারীদের সম্পর্কে বিদঘুটে অনেক বিধি নিষেধ আছে বলে জানি তবে এমন ধরনের এক রীতি ছিল তা জানতাম না । জেনে নিলাম আজ !
নারীদের "মাল" বলবার পেছনে যে কারণটা আছে তা আমার কাছে ভোগকেন্দ্রকি মনোভাব বলে মনে হয় । নারীকে তো আজও এই একবিংশ শতকে সকলের কাছেই ভোগ্যবস্তু বলে মনে হয় , সে বকধার্মিক হোক কিংবা অধার্মিকেরা । উত্তরাধুনিকের এই যুগেও নারীকে বিচার করা হয় তার শারীরিক আবেদন দ্বারা তাই এমন সম্বোধনের বিলুপ্তি ঘটবেও না !!
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২১
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি সঠিকই বলেছেন। মুল বিষয়টা ভোগ কেন্দ্রিক। সম্পদ মানুষ ভোগ করে, নিজের যে কোন জিনিস মানুষ ভোগ করে। আসলে অনেক সময় আপনি চাইলেও প্রাণখুলে আলোচনা করতে পারবে না কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে, কিছু প্রচলিত কাস্টমস নিয়ে যা এখনও বিদ্যমান!
তবে নারীকে ভোগের ক্ষেত্রে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই একমত ছিলো।
১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এই ফিচার রাইটিং ব্লগে যারা প্রতিযোগীতার বিষয় ফিচার দেখে ইতস্তত করছিলো তাদের জন্য এক আলোর দিশারী হয়েই কাজ করবে। ফিচার লেখার মূল বিষয়টিই শিরোনামেই ফুটে উঠেছে। গতানুগতিক সংবাদ থেকে ভিন্ন ও ইন্টারেস্টিং একটি টপিক। সোর্ন ভার্জিন এই রকম একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস। আমাদের এই ব্লগে বহু বহু ফিচার পড়ে আমি কতই না অজানা না জানা জিনিস জেনেছি।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২২
জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আশা করছি সবার কাছে আসবে। আপনার কাছ থেকেও এই ফিচার প্রতিযোগিতায় লেখা প্রত্যাশা করছি।
১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফিচার নিয়ে যারা লিখতে চায় তাদের ভয় কেটে যাবে। চমৎকার একটি লেখা ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৮
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি সকলের কাজে আসবে।
১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: আগেও একটু জানতুম.......আপনার লেখা পড়ে বিশদ জানা হলো........
ধন্যবাদ এ বিষয়টি ব্লগের শেয়ার করার জন্য জাদিদ ভাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৮
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে লেখা প্রত্যাশা করছি।
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩২
শ্রাবণধারা বলেছেন: "বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি।" ধন্যবাদ নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে লিখবার জন্য।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৯
জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
সোহানী বলেছেন: যা একটুখানি লিখুম বইলা চিন্তা করছি কিন্তু তুমার লিখার ভাব দেইখা ভয় পাইছি ।............
চমৎকার একটা তথ্য জানলাম। ধন্যবাদ
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:২০
জাদিদ বলেছেন: আপু, এই সব কাপঝাপ না বুঝাইয়া দ্রুত লাইনে আইসা পড়েন।
আপনার লেখার প্রত্যাশা করছি।
১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ফিচার লিখব। মানুষের জীবন নিয়ে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:২০
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। যে বিভাগে ফিচার লিখতে চান অনুগ্রহ করে তার উল্লেখ্য করে দিবেন।
১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২২
ঈশ্বরকণা বলেছেন: জাদিদ,
লেখা ভালো হয়েছে। ব্লগের অনেকেই নিশ্চই খুবই নতুন একটা বিষয় জানতে পেরেছে এই লেখা থেকে। একটা ফিচারের ক্ষেত্রে এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক -নতুন কিছু জানানো। নতুন কিছু জানাবার চেষ্টা না থাকলে একটা ফিচার যতই সুলিখিত হোক সেটার আকর্ষণী ক্ষমতাটাই আর থাকে না।
যাক, আপনার লেখাটাতে 'Sworn Virginity '-র রুট কজটা নিয়ে আপনি যা বলেছেন,বিশেষ করে হাদিস,শরিয়া আইনের সাথে সম্পর্কিত করে সেগুলো খানিকটা হয়তো সত্যি হতে পারে কিন্তু সোশিওলজিস্টরা এর উৎপত্তির আরো কিছু কারণ বলেছেন যেগুলো আপনার লেখায় থাকলে আরো ভালো হতো। আমি Mildred Dickemann-এর "The Balkan Sworn Virgin : A Cross-Gendered Female Role" আর্টিকেল থেকে কোট করলাম (এই আর্টিকেলটা New York University Press থেকে পাবলিশড একটা বইয়ের চ্যাপ্টার)যেখানে 'Sworn Virginity' -র উৎসের দুটো কারণ বলেছে " Two standard rationales are given for the allocation or assumption of this role: one is the need of patrilineal family group fir a surrogate son, no sons having been born or all having died in childhood; the other is the desire of a young woman of marriageable age to escape an arranged marriage with an undesirable groom." কিছু সোশিওলজিস্ট 'Sworn Virginity' প্রথার কাৰণ হিসেবে এটাও বলেছেন অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা স্বেচ্ছায় Sworn Virgin হিসেবে সারোগেট শোন্ হিসেবে পরিচিত হতো যাতে তারা তাদের বাবার ফ্যামিলির সাথেই সব সময় থাকতে পারে -অন্য কোথাও না যেতে হয় । Dickemann তার আর্টিকেলে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে ব্যাখ্যা করেছেন সেটা হলো 'role of mothers in allocating a daughter to this role'. বিষয়টা এক্সপ্যান্ড করে Dickemann বলেছেন এই সমাজগুলোতে কোনো মহিলার ছেলেসন্তানহীন বৈধব্যে সাধারণতো স্বামীর ফ্যামিলিতেই (স্বামীর বাবা মা বা বংশের কর্তৃত্ব যার কাছে তার তত্বাবধানে) ফিরে যেতে হতো যেখানে তার রোলটা হতো স্বাধীনতাহীন খুবই সাদামাটাঅনেকটা গৃহভৃত্যের ভূমিকার মতো। সামাজিক স্ট্যাটাসটা আর বিধবা কোনো মহিলার থাকতো না। কিন্তু একটা সারোগেট ছেলে বা Sworn Virgin ছেলে থাকলে একজন মহিলা সেই পরাধীন অবস্থাটা এড়িয়ে যেতে পারতো আর তার নিজের সংসারের কর্তৃত্ব নিজের কাছে রাখতে পারতো স্বামী মারা যাবার পরেও। Dickemann একজন Sworn Virgin -এর নিজের মুখের কথারও উল্লেখ করেছেন 'Sworn Virginity'-র এই দিকটা ব্যাখ্যা করতে যেয়ে ।
এই আর্টিকেলটা পড়ে আমার মনে হয়েছে এই প্রথায় একজন নারীর সামাজিক কর্তৃত্ব ধরে রাখা বা একজন ইয়াং মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই শক্তিশালী অবস্থানকে কিন্তু নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন রক্ষার খুবই প্রগতিশীল ধাপ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ আছে যদি আপনি এই প্রথার উৎস হিসেবে ফিফটিন সেঞ্চুরির কথা ভাবেন। আপনার লেখা পড়ে কেন যেন মনে হলো আপনার লেখায় এই দিকগুলো তেমন আসেনি। শেষ প্যারায় আপনার কথাগুলো অনেকটা এই প্রথা নিয়ে বলা আধুনিক গতানুগতিক ব্যাখ্যারই প্রতিধ্বনি। এই প্রথা নিয়ে বলা এই ধারণাগুলো সম্পর্কে একাডেমিকরা বলেছেন এই বর্ণনাগুলো 'Sworn Virginity ' -প্রথার উৎসের গভীরতা অনুসন্ধান করতে পারেনি। আপনি মন্টেনিগ্রো, সার্বিয়ার কথা বলেছেন কিন্তু আলবেনিয়া থেকে বেশ দূরে কিন্তু আরেক বলকান কান্ট্রি ক্রোশিয়াতেও -সাদার্ন ক্রোশিয়া, এই প্রথার উপস্থিতি আছে। এই তিনটে দেশ কিন্তু ইসলামিক দেশ না আর এগুলোতে ইসলামিক ইনফ্লুয়েন্সও অনেক বেশি না হিস্টোরিক্যালি ।তাই আমার মনে হয়েছে ইসলামিক শরিয়া আইনের সাথে সম্পর্কিত করে দেখার বাইরেই মনে হয় এই প্রথার রুট কোজ খোঁজার চেষ্টা বেশি বাস্তবসমত ।
যাক, শেষে আবারো বলি খুব স্বল্প আলোচিত একটা সামাজিক প্রথা সম্পর্কে আপনার লেখাটা ব্লগে একটা চমৎকার ফিচারের উদাহরণ হয়েই থাকবে । কুডোস ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫১
জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগার ঈশ্বরকনা। এই ধরনের একটি মন্তব্য পেলে খুব আনন্দ হয়।
আপনি যে আর্টিকেলটা দিয়েছেন, সেটা চমৎকার একটা লেখা। আমি ভাইয়া এই সংক্রান্ত কম বেশি লেখা পড়ার চেষ্টা করেছি। অনেক কিছুই হয়ত আমার চোখ এড়িয়ে গেছে আবার অনেক কিছুর বিস্তারিত না লিখে আমি কিছুটা সংক্ষেপে বা মুলভাবটি লেখার চেষ্টা করেছি ব্লগের প্রেক্ষাপটে। আমার মনে হয় ( যদি আমি ভুল না করি) ডিকম্যান যে কারনগুলো লিখেছেন, সেটার মোদ্দা কথাই হলো সম্পত্তি রক্ষা, নিজের স্বাধীনতা রক্ষা ইত্যাদির জন্য পিতৃত্রান্ত্রিক সমাজে নিজের স্বাভাবিক পরিচয়ে থাকার সুযোগ নেই। আমি যতটুকু বুঝি, একটি মানুষকে যদি কোন অধিকার পাওয়ার জন্য তার লৈঙ্গিক পরিবর্তন করতে হয়, ( সমকামী ছাড়া) তাহলে সেই ব্যাপারটাকে ঠিক কোন জেন্ডারের স্বাধীনতা বা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার প্রাপ্ত বলে ধরে নেয়া যায় না। সেই হিসাবে আমার মনে হয়েছে, এটা এক ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার যা ঐ সময়ের নারীদের করতে হয়েছে।
আমি পোস্টে বলেছি কি না মনে করতে পারছি না যে, সোর্ন ভার্জিন নিয়ে পড়তে গিয়ে আমি এত বৈচিত্র্যপূর্ন তথ্য পেয়েছি যে নিজেই প্রচন্ড অবাক হয়েছি। পোস্টের জন্য না হোক, নিজের জানার জন্য হলেও আমি এই বিষয়ে পড়ছি। পাশাপাশি, এখানে একটি রাজনৈতিক ব্যাপার আছে। বিশেষ করে, সোর্ন ভার্জিন প্রথাটি আইনগত ভিত্তি পাবার ব্যাপারে লেকে দুকাগচিনির একটি ভুমিকা আছে, পাশাপাশি অটোম্যানদের কিছু ভুমিকাও আছে। কারন আমার মতে সাধারন প্রেক্ষাপট থেকে কোন ট্রাইবাল ট্রেডিশনের ভালো মন্দ হয় না। কিন্তু যখন ব্যাপারটিকে আইন দ্বারা প্রচলিত করা হয়, তখন সেখানে আমার মনে হয় ভিন্ন কিছু উদ্দেশ্য থাকে।
আমি এই সকল ঘটনার পিছনে ইসলামিক রুট খুঁজছি না বা মেলাতেও চাইছি না। আমি শ্রেফ একটি কালচারাল ডাইভারসিফিকেশনের সম্ভবনা ভেবেছি। যেমন নারী নির্যাতনের যে রোমান ধারা আছে, সেটাকে বর্তমান আধুনিক সমাজ ঘৃণা করে না বা সেইভাবে প্রতিবাদ মুখর হয় না। অথচ রোমানদের কাছ থেকে বহু বর্বর প্রথা মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্য অনেক স্থানে ছড়িয়েছে।
একটা অফটপিক কথা বলি, আইয়ামে জাহেলিয়াতে যে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত দাফনের কথা বলা হয়, সেটার সামগ্রিক অপব্যাখ্যাই করা হয়। কেউ কি এই ঘটনার পেছনের কারন খুজেছে? কেন এটা হলো? কি কারনে এই প্রথা সৃষ্টি হলো? শুধুই কন্যা সন্তান হলে হত্যা করা হতো?
ফলে, আমি মনে করি, যদি আরব থেকে কোন ভুল কালচার সেদিকে গিয়েও থাকে, তাতে মুল ধর্মের কি কিহু করার আছে? ফলে আমি শুধুমাত্র শরিয়া বা ভুলভাবে প্রচলিত কিছু ধর্মীয় রীতি দিয়ে যেমন বিষয়টির রুট খুঁজতে পারি না, তেমনি এটাকে বাদ দিয়েও সঙ্গত কারনে সামনে আগানো যায় না।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: পোস্টটা প্রতিযোগিতার জন্য কেন নয় ?
নারী সম্পকৃত ইতিহাস পড়া যায় সেগুলোতে দেখা যায়, নারীদেরকে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে । প্রাচীন কাল হতেই। এবং এটা এখনও চলেই আসছে ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫১
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ অপু। এই পোস্টটি মুলত ব্লগারদের সাহায্য করতে। প্রতিযোগীতার জন্য নয়।
১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
রেজাউল৮৮ বলেছেন: আপনি যেভাবে রেফারেন্স দিতে বললেন তা মেনে নিতে পারছি না। জ্ঞানীগুণী ব্লগাররা লজিক্যালি চিন্তা করে যেটা পায় সেটাই রেফারেন্স। লেইম ডাক মানে কি বা ফরমালিন পাউডার কোথায় পাওয়া যায় এইসব রেফারেন্স চাওয়া ঠিক না। আপনি যেভাবে রেফারেন্স চেয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি দুই একজন ব্লগারের প্রতি হিংসার বসবর্তি হয়ে যাচ্ছেন না যে তারা ফিচার লিখুক।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৩
জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমরা প্রথা বিরুদ্ধ কিছুই চাইনি, যে কোন তথ্য ভিত্তিক প্রবন্ধে যথাযথ রেফারেন্স দিতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মডারেটর হিসাবে নয় বরং সহব্লগার হিসাবে ধন্যবাদ জাদিদ ভাই, চমতকার একটি দিক নির্দেশনা মূলক লেখার জন্য।
আসলে ফিচার কিংবা ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কিছু লিখতে গেলে পড়ার কোন বিকল্প নেই । আবার, একটি লেখা শুধু হুবুহু কপি করার মাঝেও লেখকের জানার পরিধির সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরে। ভাল লেখার জন্য অনেক জায়গা থেকেই তথ্য জানতে-বুঝতে ও নিতে হয় এবং লেখার সময় যথাযথ স্থানে তার প্রয়োগও করতে হয়। যার জন্য দরকার তথ্য সংগ্রহের সাথে সাথে তথ্যের যথাযথ ব্যবহার তথা মাত্রা জ্ঞান (পরিমিতিবোধ)।
লেখার প্রয়োজনে যখন কোন তথ্য যদি কোন পত্রিকার লেখা-সাময়িকি-বই- প্রবন্ধ ইত্যাদি থেকে নেয়া হয় তবে তা রেফারেন্স হিসাবে তুলে ধরলে তা লেখার মানকে আরো শক্তিশালী করে বলেই আমার বিশ্বাস।
আপনার এই লেখা আমাদেরকে সাহায্য করবে আরো ভাল কিছু লেখায়।
শুভেচছা রইলো।