নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাদঃ ঠাকুর ঘরে কে রে... আমি কলা খাই না।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

সম্প্রতি জামাত শিবিরের একটি প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়েছে— "মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিলো কিছু মুসলমানের ভুল ও অদূরদর্শিতা।" এই বক্তব্য মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট মনোভাব এবং দলীয় আদর্শ যা তারা বরাবরই লালন করে আসছে।

বর্তমানে অনেকে জামাতের তথাকথিত "সুশীল রূপ" দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন, কিন্তু জামাতের সুশীল রুপের আড়ালে যে গিরগিটি থাকে সেটা আবারও প্রমানিত। তারা খুব কৌশলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করে দেখল যে জনগন কিভাবে রিএ্যাক্ট করে। অনেকটা রাজাকার শব্দের পেছনে ব্র্যাকেটে 'রাজাকার' অর্থ যে 'স্বেচ্ছাসেবক' তা বুঝানোর জন্য। কিন্তু যখন দেখল দেশের অধিকাংশ মানুষ এই কুট কৌশল ধরে ফেলেছে তখন তাহারা উক্ত লেখককে বলির পাঠা বানিয়ে ব্যাখ্যা দিলো - "প্রতিটি লেখকের স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, সেই হিসাবে ইহা প্রকাশ করা।"

এই প্রসঙ্গে ব্লগের একটা ঘটনা মনে পড়ল। কিছুদিন আগে একজন ব্লগারের পোস্টে আমি রাজাকারদের ‘মাদারচোদ’ বলেছিলাম। শব্দটা মূলত হবে – মাদারচোদ এবং মোনাফেক। যাইহোক আমার এহেন মন্তব্যে ব্লগের বিশিষ্ট কুলীন সমাজে বিশাল হাউ কাউ আর হুক্কাহুয়া! ব্লগে প্রকাশ্যে এই শব্দটির ব্যবহার দেখে অনেকেই বিস্মিত। এর মধ্যে আমাদের এক ব্লগার ভাই জানালেন - আমি নাকি রাজাকারদের মাদারচোদ বলার মাধ্যমে উক্ত ব্লগারকেই রাজাকার বলেছি। হলি গোট! মাদারে ছাগু!

কতক্ষণ প্রাণ ভরে হাসার পর একটা বাংলা প্রবাদ মনে পড়ল। হাসতে হাসতে পাশের খোলা জানালা দিয়ে থুতু ফেললাম। ভাগ্যিস জানালা খোলা ছিলো। ( যে দিকে থুতু ফেলেছি সেদিকে কোন চলাচল নেই। এই ব্যাখ্যা দিলাম নচেৎ ভাষাবিদ, ব্যাকরণবিদ এর পাশাপাশি নতুন নতুন পরিবেশবিদের প্রাদুর্ভাব ঘটবে) )

পাশাপাশি আরো শুনলাম আমি নাকি ফ্যাসিস্টদের সহযোগী, সহমর্মী, দোসর,আফসোস লীগকে ব্লগ লিজ দেয়ার অন্যতম হোতা। আরো জানলাম, মত প্রকাশের একটা সীমা থাকা উচিত এবং ব্যক্তিগত লেখা বা মত প্রকাশের দায়ও প্রতিষ্ঠানের। এই দিকে শিবির তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে - প্রতিটি লেখকের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ আছে। কারো ব্যক্তিগত মত প্রকাশের দায় প্রতিষ্ঠান বা প্রকাশকের নয়। এখন হাসতে হাসতে আবার দেখি – ঠাকুর ঘরে কে রে!! আমি তো কলা খাই না।

যাইহোক, জামাত-শিবিরের এসব নাটক নতুন কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সামান্য কথা বললেই ওদের মুখোশ খুলে যায়। জামাত ইসলামের নামে রাজনীতি করে, কিন্তু আসলে এরা একদল মোনাফেক, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। দলটির আজকের এই উত্থানের দায় ভার নিতে হবে ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে ফ্যাসিস্টে পরিণত হওয়া আওয়ামী লীগের! নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্বস্তা আর হাস্যকর বানিয়েছে যা স্বাধীনতা বিরোধীরা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।

পাশাপাশি কেউ ধার্মিক হলেই সে ছাগু হবে বা জামাত শিবির সমর্থক হবে এমনটা ভাবার কোন যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু একটা সময় ছুপা জামাতিরা আওয়ামী বেশভুষা ধারন করে সাধারন ধর্মপ্রান মানুষকে জামাত শিবির ট্যাগ দিতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লোভে এই বিষয়গুলোতে পাত্তাই দেয় নাই। তারা দেখেছে বাহ! রাস্তার কুত্তাটাও তো আওয়ামী লীগ করে, ঘেউ ঘেউ করে বলে জয় বাংলা। এটাই তাদের স্বমেহনের তৃপ্তি দিতো।

তবে ছুপা ছাগু এবং জামাত মেন্টালিটির লোক আছে যারা ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান মানেই বুঝি লীগ সমর্থক। এরা হলো কৃমি টাইপ মানুষ আর কৃমির কাছে পেটটাই দুনিয়া। না ভুল বললাম, কৃমি না, উনারা চিংড়ি সমতুল্য মানুষ। কেননা চিংড়ির মাথা ভর্তি হাগু, উনাদেরও তাই। ফলে এই সব লোকজন নিজেদের চিন্তাধারার বাইরে যেতে পারে না যতই পড়াশোনা, বয়স, অভিজ্ঞতা কিংবা ভদ্র ও উন্নত পরিবেশে থাকার সুযোগ হোক না কেন।

আমি একজন সচেতন মানুষ হিসাবে শুধু বাংলাদেশপন্থি। এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে আমার অবস্থান। আর তাই সকল শ্রেনীর ছাগুদের বিরুদ্ধে মেশিন চলবে। এটা শুনে কারো অনুভূতি আহত হলে, আই ডোন্ট গিভ এ ড্যাম! ও আর একটা বিষয় - ছাগুদের উপযুক্ত প্যাদানি এবং ঘাপানি দেয়াকে আমি নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করি সেটা হোক ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই স্পষ্ট উচ্চারণের জন্যে ধন্যবাদ জাদিদ। আসলে ছাগল তার ম্যা ডাক লুকাতে পারে না। কিন্তু সব জায়গা যে তাদের খোঁয়াড় না, এটা মাঝেমধ্যে রিমাইন্ডার দিতে হয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬

জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: মার গালি
পেট খালি
কৃমিরা সব দুর যাক
কৃমির জ্বালা
মরণ জ্বালা
মরুক কৃমি ঝাকেঝাক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

জাদিদ বলেছেন: আপনার কবিতা ভালো।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দিল্লীর জিঞ্জির থেকে মুক্ত হয়েছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়। লাউড এন্ড ক্লিয়ার ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

জাদিদ বলেছেন: বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ - কারো দাসত্ব করার জন্য এই দেশের জন্ম হয় নি।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫

আরইউ বলেছেন:



জাদিদ,
শিরোণামে "ঠাকুর ঘর" উল্লেখ করে আপনি আমার মত হাজারো তৌহিদী জনতার ঈমান নিয়ে টান দিয়েছেন। ব্লগে মত প্রকাশের স্বাধীণতার নামে এসব মুশরিকি অনৈসলামিক শব্দের ব্যবহার কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না!
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫

জাদিদ বলেছেন: সেরেছে!! আমি তো এই ব্যাপারটা ভেবে দেখি নি। আমি প্রচন্ড ভয় পাচ্ছি।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

আল ইফরান বলেছেন: জাশিদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, জাদিদ সাহেব।
আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এই আন্দোলনের ফসল পুরোটাই তুলতে চেয়েছে জামাতিরা এবং যত ধরনের কূট কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন তা সবই করেছে।
এরা আর কোনদিনই সংশোধন হবে না এবং সেইটা প্রত্যাশা করাও হবে অন্যায়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

জাদিদ বলেছেন: প্রতিটি সচেতন মানুষদের উচিত দেশে বাংলাদেশপন্থি চিন্তা করা। ধর্ম ব্যবহার করে সকল মোনাফেকদের চরিত্র সম্পর্কে মানুষদের জানানো উচিত।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

নতুন বলেছেন: ছাগুরা কলা খায় না কঠাল পাতা চিবায়।

দেশের ধর্মভীরুদের প্রথমে ওয়াজে ইসলাম শেখানো হয়। তারপরে তাদের জামাতে ইসলাম শেখানোর চেস্টা হেলিকপ্তার হুজুরদের মিশন।

তবে এই মিশনে কিন্তু বেশ উন্নতি করেছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

জাদিদ বলেছেন: পুরাই পেইন তারা নতুন ভাই!!! হ্যা উন্নতি তো হয়েছে কিছুটা এটা সত্য।।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, একদম বলেছেন। সহমত.........

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামাত নেতার উল্লেখিত বক্তব্য ধৃষ্টতা পূর্ণ মন্তব্য স্রেফ মিথ্যাচার। মিথ্যাচারীতা, প্রতারণাই ধর্মব্যবসায়ী দলটির অন্যতম নীতি। সম্প্রতি জামায়াত আমীর আরও বলেছিলেন- "দেশে এখন জামায়াতে ইসলামী এবং সেনাবাহিনী ছাড়া কেউ দেশপ্রেমিক নাই"! এহেন জামাতিরা দেশ ও জনগণের শত্রু। এদের উৎখাত করার জন্য গণ-যুদ্ধের বিকল্প নাই। ততদিনে তা না হচ্ছে ততদিন এই জাতিকে অনেক খেসারত দিতে হবে।
তবে কাউকে প্রতিহত করার জন্য গালাগালির পক্ষে আমি নই। গালাগালি হচ্ছে আওয়ামী লীগের বুলি- ওই নোংরামিটা ওদের এককভাবেই থাকুক।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০

জাদিদ বলেছেন: গালাগালি বলতে আমি ঠিক অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিকে মিন করি নাই। এরা মাঝে মাঝে নিজেদের সীমা ছাড়িয়ে যায়। তখন এদের সাইজ করার জন্য কিছু উপযুক্ত শব্দ ব্যবহারে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন সমস্যা দেখি না। - এটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত।

তবে আপনাকে জামাত বিরোধী বক্তব্য দিতে দেখে অনেকেই কস্ট পেয়েছেন বলে আমার কাছে গোপন সংবাদ আছে। ;)

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সবই ঠিক আছে, আপনার বক্ত্যব্যের সাথে মোটামোটি একমত, কিন্তু গালি দেবেন কোনো? গালি না দিলে চলে না ভাই সাহেব??

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

জাদিদ বলেছেন: না গালি আমিও দিতে চাই না। গালির ব্যাপার ভুলে যান। তবে আমি যা বলেছি সেই দুইটা গালি নয়, সেটা তাদের প্রাপ্য উপাধি।

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ও হ্যাঁ, গালাগালি ছাড়াই শায়েস্তা করা যাবে মনে করি। গতকাল নিউজফিডে যেভাবে সবাইকে ফুঁসে উঠতে দেখলাম, এমন কী জামাতপন্থী কজন নেতাও যেভাবে সুর বদলালো, তাতে বোঝা যায় যে তাদের অবস্থান আসলে কোথায়!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

জাদিদ বলেছেন: হ্যা। আসলে আমি তো গালি দিতে চাই না। কিছু কিছু শব্দ যা আমরা গালি হিসাবে চিনি সেটা মুলত তাদের প্রাপ্ত উপাধি।
আমাকে যদি কেউ রাজাকার বলে, আমি তো এটাকে গালি হিসাবে নিবো। কিন্তু এটা তো তাদের উপাধি। সেটা কি আর গালি হবে বলেন?

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাদের এই মনোভাবের কারণেই জনগন তাদের প্রত্যাখান করেছে এখন তাদের এসব আলাপ চলবেনা। কথা সোজাসাপ্টা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

জাদিদ বলেছেন: আমাদের একজন ব্লগার চাপাডাঙ্গার চান্দু ভাই ফেসবুকে এই প্রসঙ্গে বলেছেন -

এখন ছাত্রসংবাদ এবং বাঁশের কেল্লার 'মুসাব্বিত' ব্রাদার্স দাবী করেছে লেখকের বক্তব্যের সাথে তারা একমত নয়। প্রশ্ন হইল, আফগানী ছাত্রসংবাদের সেলিব্রেটি লেখক। ২০২০ সাল হতে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংখ্যা থেকেই এর লেখা নিয়মিত ছাত্রসংবাদে প্রকাশিত হয়ে আসছে। গত বছরেও জানুয়ারি, এপ্রিল, নভেম্বর, এবং ডিসেম্বরে চারটি সংখ্যায় তার লেখা এসেছে।

শুধু তাই নয়, আহমেদ আফগানীকে তারা পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ইতিহাস-গবেষক হিসেবে। তো এই গবেষক ব্লগে গত কয়েক বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের নামে ডজন ডজন অতি-অস্বাভাবিক পোস্ট করে যাচ্ছে সেটা জামাত শিবিরের কোন ম্যাধাবীর নজরে আসেনি? মুক্তিযুদ্ধকে ইহুদীদের চক্রান্ত বানিয়ে দিচ্ছে, তাও জান্নাতিরা কেউ বাঁধা দিছে তাকে?

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

মেহবুবা বলেছেন: নিজেকে বাংলাদেশপন্থী বলেই জানে সাধারণ মানুষ। এক দল তো দেশের বারোটা বাজিয়েছে লুটপাট করে পাশাপাশি আরেক দলকে রাস্তা প্রশস্ত করে দিয়েছে বড় বড় কথা বলবার জন্য, তারা এখন মহা আনন্দে প্রকাশ্যে আাসছে, হাসছে ।
যাইহোক কৃমি এবং চিংড়ী বিষয় নিয়ে কথাগুলো বেশ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

জাদিদ বলেছেন: কেমন আছেন আপু! অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে।

দেখেন এদের দলীয় অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে প্রবল লুটপাট করেও এরা ভাবলেশহীন! আর এই সুযোগে পুরানো হায়নার দল দাত কেলিয়ে হাসছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: তবে আপনাকে জামাত বিরোধী বক্তব্য দিতে দেখে অনেকেই কস্ট পেয়েছেন বলে আমার কাছে গোপন সংবাদ আছে। ;)

আমার মন্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছে, তারা আমাকে চেনেনা, জানেনা- ১৪ বছর বয়স পেরুনোর আগেই নিজ হাতে আমি ওদের পূর্বসূরি দুইটার কান কেটে দেওয়া কিশোর.... সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি ওদের লাইক কমেন্টস এর থোড়াই কেয়ার করি!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১০

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা বিশ্বাস করে না বা ছোট করে আমি তাদের সাথে নেই।

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: 'দ্যা আনটোল্ড স্টোরি'- থেকে একটা ঘটনা বলি- আওয়ামী গেস্টাপো বাহিনী কতৃক গুম কালীন সময়ে দিনের পর দিন শারীরিক মানসিক নির্যাতনে আমি তখন মুমূর্ষু প্রায়। আমার দুইহাত পেছনে হ্যান্ডকাফ লাগানো, চোখ বাঁধা, ফ্লোরে উপুর হয়ে প্রায় অসার দেহে পড়ে আছি। নিজের শক্তিতে দাঁড়াতে কিম্বা বসতেও পারি না- চলছে আজাইরা জিজ্ঞাসাবাদ- তখন একটা জানোয়ার আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিল..... জানিনা ওই অবস্থায় আমি কোন শক্তিতে বলেছিলাম- "আমি রাজাকার নই, আমি মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমাকে মেরে ফেলুন, তবুও একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলবেন না।"

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৩

জাদিদ বলেছেন: তখন তারা কি বলে? নাকি এটাতেও তাদের বোধদয় হয় নি?

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১

অঙ্গনা বলেছেন: বিশাল বিশাল ডিগ্রী অর্জনের যে লিস্ট পাশে দেয় এরা সবগুলির আলদা নাম করন এখন সময়ের দাবী।
যেমন পি এইচ ডি ইন মিথ্যাচার
ডক্টর অব মোনাফেকি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৪

জাদিদ বলেছেন: ভালো বলেছেন। ডক্টর অব মোনাফেকি!

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের অনেকের মাঝে যে অতিউৎসাহ দেখা যায়, তা ক্ষেত্র বিশেষে আমাকে হতাশ করে। বাংলাদেশের জন্মলগ্নে এদের ভূমিকা নিয়ে নতুনদের সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। পুরো বিষয়টিই বেশ উদ্বেগজনক।

বিগত অর্ধ-শতাব্দীতে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি কোথা থেকে কোথায় এসে নেমেছে তা বোঝা জরুরী। তাদের অর্থ-ব্যবস্থার পতন, ঘরোয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতিগত বিভেদ, সন্ত্রাসবাদের উত্থান ও সর্বোপরি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রটির অবস্থান মোটেই ইতিবাচক কিছু নয়। মোটা দাগে বলা যায় পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে অতিমাত্রার দহরম-মহরম চলছে বলে আমার মনে হয়েছে, পুরো বিষয়টিই বাংলাদেশের জন্য খুব বেশী ইতিবাচক কোন ফলাফল বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি না। সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে আমি সবার সাথে আঞ্চলিক ও পারস্পারিক সহযোগীতার পাশাপাশি দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পক্ষে। সেটা ভারত, নেপাল, পাকিস্তান কিংবা ভুটানও হতে পারে। কারো সাথেই অতিমাত্রার নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের স্বার্থ পরিপন্থী বলে আমার মনে করি। ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১২

জাদিদ বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলামের নামে যে অনাচার আর ভুল আইডিয়া ছড়ানো হচ্ছে, সেটা আসলেই ভয়ংকর। যারা একটু ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছে (ধর্মান্ধতা বাদ দিয়ে), তারা ঠিকই বুঝতে পারে ইসলাম কী বলেছে আর বাস্তবে কী হচ্ছে। সুতরাং এই চিন্তা অমূলক না।

এর পেছনে অনেক কারণ আছে—শিক্ষার বেহাল অবস্থা, বেকারত্ব, আর নতুন কিছু শেখার অনীহা। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা এখনো মান্ধাতার আমলের চিন্তাধারা আঁকড়ে ধরে আছি। যতদিন না আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে, ততদিন কোনো সেক্টরেই উন্নতি হবে না।

পাকিস্তান-ভারত কেউই আমাদের আইডল না। পাকিস্তানের অবস্থা খারাপ হওয়ার মূল কারণই হলো শিক্ষা আর কর্মসংস্থানের অভাব। ওদের শিক্ষার হার সরকারি হিসেবে ৬২%, আর আমাদের ৭৪%—কিন্তু ওদের নারীশিক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন আছে। আর মজার বিষয় হলো, শিক্ষিত পাকিস্তানিরা সুযোগ পেলেই দেশ ছাড়ে, আর বাকি লোকজন মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে কামলা খাটে—যেমনটা আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মানুষ করে।

এখন আসল কথা হলো, যদি আমরা নিজেদের অবস্থার উন্নতি চাই, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন দরকার, কাজের সুযোগ বাড়ানো দরকার, আর অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে এসে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার অভ্যাস গড়তে হবে। না হলে এভাবেই পিছিয়ে থাকব, আর ভুল লোকজনের ফাঁদে পড়ে বিপদ ডেকে আনব!

বর্তমানে জামাত কে বেশ এ্যাক্টিভ দেখা যাচ্ছে। কারন তারা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করেছে রাজনীতি করেছে। আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটা ক্ষমতা লোভে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলো আরেকটা নিজেদের রক্ষায়, জুলুম থেকে অত্যাচার থেকে বাচতে গিয়ে অনেক রাজনৈতিক কূটকৌশল বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।

আপনার সাথে আমি একমত। সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে আমি সবার সাথে আঞ্চলিক ও পারস্পারিক সহযোগীতার পাশাপাশি দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পক্ষে।

১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৬

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা যারা ৭১রে তাদের দেখেছি,আমরা তাদের হাড়ে হাড়ে চিনি।মা বোন তো দুরের কথা এমন কোন কাজ নাই যা তারা করতে পারে না।মা বোনদের ধরে ধরে পাকিদের হাতে তুলে দিতো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

জাদিদ বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় জামাতের সভ্যতার গল্প তো প্রাচীন সুমেরীয়দের হারিয়ে দিবে।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: গনতন্ত্রের গ্যাপের কারনে জামাতের মত দল একটু উহ-আহ করার সুযোগ পাচ্ছে! নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাদের আবার আত্নগোপনে যেতে হবে অথবা আবার বিএনপি সেজে থাকতে হবে, অনেক পরে লীগ ক্ষমতায় এলেও দৌড়ের উপর থাকবে! অর্থাৎ যেই দলই ক্ষমতায় আসুক জামাত দৌড়ের উপরই থাকবে!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৬

জাদিদ বলেছেন: ভালো হয়েছে দেশের সাধারন মানুষ এদের সম্পর্কে জানতে পারছে। আজকে টিভিতে শিবিরের সভাপতির কথা শুনলাম। আমার সাধ্য থাকলে ওর কান টেনে দিতাম।

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪৯

জনারণ্যে একজন বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করতে কিঞ্চিৎ অসুবিধা আছে। মাগার - এই পোস্টে আমি কয়েকজনকে এত বেশি মিস করতেছি!

একটা সুযোগ তো ছিলই, ইনিয়ে-বিনিয়ে, ক্যাতরায়া-ম্যাতরায়ে নিজেকে চেনানোর, নিজের পরিচয় অন্যদের জানানোর।

কিন্তু কই, আসলেন না তো তেনারা কেউ!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

জাদিদ বলেছেন: সবাই আসলে মন্দ হতো না। আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে কিছুক্ষন বুদ্ধিবৃত্তিক ক্যাচাল করা যেত র‍্যাদার দ্যান ফালতু ক্যাচাল।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এই দুঃসময়ে, ব্লগটি জামাতী ও ধর্মান্ধদের খোয়াড়ে পরিণত হয়েছিল। আর এসময়ে আপনার এই স্পষ্ট ভাষণের প্রয়োজন ছিলো।

ধার্মিক ও ধর্মব্যবসায়ী শুধু আলাদা নয়, বরং একে অপরের বিপরীত। এই বিষয়টি জনমানসে প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

সে যাক, জামাতী ও সকল প্রকারের জংগী-ধর্মান্ধদের লাঠির উপরে রাখা ব্লগ কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এই ব্লগ আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগ। আমাদের অনেক স্মৃতি এখানে জড়িয়ে আছে। এই ব্লগটি জামাতি আর ধর্মান্ধদের আস্তাবলে পরিনত হতে দেখা সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।

আপনি সত্য বলেছেন যে ধার্মিক ও ধর্ম ব্যবসায়ী সম্পুর্ন আলাদা ব্যাপার। এরা নিজেরা একটা দল বানিয়ে চলতে পছন্দ করে এবং অনেক ব্লগারকে তারা তাদের শিকার বানায়, ব্রেইনওয়াস করে। আমাদের ব্লগেও এমন কিছু ঘটেছে অন্তত একজন ব্লগারের আচরন দেখে আমার তাই মনে হচ্ছে।

যাইহোক, সত্যের সামনে মিথ্যা পরাজিত হবে। আমি যতটুকু ধর্মকর্ম করিনা কেন, আমার জানাতে বলে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে মোনাফেকরা। এদের কবল থেকে মুক্ত থাকা যে কোন বেসিক কমনসেন্সের মতই।

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৫৮

এমজেডএফ বলেছেন: লেঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড! -এই কথাটি সামু ব্লগে বারবার প্রমাণিত হয়ে আসছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পোস্ট ও কমেন্টে অনেক ব্লগারের আসল লেঞ্জা দেখা গেছে। যেমন: দীর্ঘদিন ধরে ইসলামের বাণী প্রচারকারী অতি উৎসাহী জনৈক ব্লগার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে রাজাকার শিরোমণি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর 'পবিত্র' জীবনী নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন!


অনুকূল সময় ও সুযোগ পেয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এদেশের ইতিহাস পাল্টিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় শত্রু ও রাজাকার-আলবদরদের দেশপ্রেমিক বানাবার চেষ্টা করছে, সেইসাথে অনেকে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পাল্টানোরও প্রস্তাব করেছে। কিছু লোক আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে এগুলোকে সমর্থনও করেছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করলেও খালেদা জিয়ার বদান্যতায় স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে ওদের কোনো লজ্জা লাগেনি। এই দল ও এই দলের নেতারা স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা উল্টো বুক ফুলিয়ে বলে "একাত্তরে আমরা ভুল করিনি"।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ আমার মনে আছে। দেখে আমার বেশ হাসি পেয়েছিলো।
আপনি গতকাল শিবিরের বিভিন্ন নেতা আর সহপতির বক্তব্য শুনলে বলবেন তারা কতটা পিছলাতে পছন্দ করে। শব্দের খেলায় তারা ১৯৭১ এ হারিয়ে দিতে চায়। তারা চায় ২০২৪ এর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন এবং স্বৈরাচার পতনকে স্বাধীনতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। কারন এতে ১৯৭১ সালে তাদের পাপ কিছুটা ঢাকা পড়ে।

যতদিন পর্যন্ত না তারা ক্ষমা চাইবে ততদিন পর্যন্ত এদেরকে এবং এদের সমর্থকদের আমি মানুষই ভাবি না। যা ভাবি তা পোস্টে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।

আপনাকে ধন্যবাদ আবারও। এই ধরনের অনাচার দেখলে মন্তব্য করবেন। প্রতিবাদ করবেন যৌক্তিকভাবে। দেখবেন তাদের মুখোস খুলে পড়ে গেছে।

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:০২

মিরোরডডল বলেছেন:




কেউ ধার্মিক হলেই সে ছাগু হবে বা জামাত শিবির সমর্থক হবে এমনটা ভাবার কোন যৌক্তিকতা নেই।
ছুপা ছাগু এবং জামাত মেন্টালিটির লোক আছে যারা ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মান মানেই বুঝি লীগ সমর্থক।


সম্পূর্ণ সহমত। অকারণে এরকম ট্যাগিং বিষয়টা এখন বিরক্তিকর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
ধার্মিক মানেই জামাত বা রাজাকার না, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক মানেই ফ্যাসিস্টের দোসর না।

পৃথিবীর বহু দেশের মুসলিমদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে।
তাদের আচার আচরণ, চিন্তা ভাবনা পরিণত, ভালো লাগে এবং রেস্পেক্ট এমনিতেই চলে আসে।

কিন্তু বাংলাদেশী মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্মান্ধ আর কুসংসস্কার দেখি।
আপনমনে ধর্ম পালন না করে সারাক্ষণ কে কি করলো, কে ধর্ম অবমাননা করলো, কে নাস্তিক, কিভাবে ওদের পানিশমেন্ট দিবে এগুলোর পেছনে বেশি সময় স্পেন্ড করে। হাদীসের নামে নিজেদের স্বার্থে নানা কুসংস্কার ছড়ায়।
সামুতেও তার রিফ্লেকশন দেখতে পাই। ধর্মকে অত্যাচারের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

৫৩ গিয়ে ৫৪ চলছে, এখন পর্যন্ত কোন সরকার এই অসাধু ধর্ম ব্যবসায়ী বা ভন্ড ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
সমগ্র বিশ্ব যখন সামনে এগিয়ে যায়, আর আমরা তখন পেছনে হাঁটছি।
দেশকে ভালোবাসি, তাই দেশের এই করুণ পরিণতি দেখতে খারাপ লাগে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জাদিদ বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ হুজুররা যে ধরনের ইসলাম প্রচার করতে চায় বাস্তবে যতটুকু কোরান পড়েছি হাদিস পড়েছি সেটার সাথে তার সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ। এই দেশে তথাকথিত তৌহদি জনতার ইসলাম প্রচার প্রসারের প্রধান কাজ হচ্ছে মহিলাদের সাথে গুতাগুতি ( আমি সর্বোচ্চ ভদ্র শব্দ ব্যবহার করলাম) আর হোটেলে হোটেলে গিয়া খোজা কেন হোটেল মালিক গরুর মাংস বিক্রি করে না।

আমাদের দেশে অল্প হাতে গনা কিছু আলেম আছেন যারা এই সকল জিনিস দেখে ব্যথিত! বাংলাদেশের ধর্ম মানে হচ্ছে অন্যের উপর পোদ্দারী করা। মিরর নামাজ পড়ে কি না, পর্দা করে কি না, মিরর স্বামীর চাইর বিয়াতে আপত্তি করে কি না, স্বামীর মুখে মুখে তর্ক করে কিনা।

আমি আমাদের এক নারী ব্লগারের কথা জানি। উনার ধার্মিক রুপ আপনারা জানেন কিন্তু ব্যক্তিজীবনে উনার রুপ শতভাগ ভিন্ন। অথচ উনি ধর্ম সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে সবার আগে আছেন। সম্ভবত এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে বলা হয় হিপোক্রেট - বাংলায় মুনাফেক।

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: একজন দূর্নীতিবাজকে আমি ক্ষমা করবো। কিন্তু রাজাকারদের কোনো ক্ষমা নাই।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জাদিদ বলেছেন: আপনার মাননীয়াও হালকা পাতালা এই শ্রেনীতে পড়ে যায় নিজের দেশ বাদ দিয়া সেবা করছে অন্য দেশরে। তারে তো দেখলাম আপনি ক্ষমা করে দিয়ে পোস্টও দিসেন। জামাত শিবিরের প্রভাব পড়ছে নাকি??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.