![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধুনিক রাজনীতিতে কোন দলের জন্য ডাটা-ড্রিভেন স্ট্রেটেজিক পাবলিক রিলেশনস ছাড়া টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। কারন গৎ বাঁধা দোষারোপের রাজনীতির খানা দিন দিন কমে আসছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণ করে সঠিকভাবে ডিজিটাল টুলস, এনালিটিক্স, সাইকোগ্রাফিক ও ডেমোগ্রাফিক ডেটা ব্যবহার করতে না পারলে রাজনীতি কেবল প্রথাগত আচার-অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকবে, যার কোন ভবিষ্যৎ নেই।
রাজনৈতিক দল হিসাবে জামাত সবার আগে এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সেটাকে প্রয়োগ করেছে। তাদের আগে আওয়ামী লীগও বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলো কিন্তু তাদের ব্যক্তি কেন্দ্রিক ন্যারেটিভের কারনে সেই ক্যাম্পেইন দীর্ঘ মেয়াদে সফল হয় নি বরং ক্ষতির কারন হয়েছে।
অপর দিকে বিগত পাঁচই আগষ্টের পর থেকে জামাত ও এর বিভিন্ন পলেটিক্যাল উইং গুলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্ট্রেটেজিক পাবলিক রিলেশনসের গুরুত্ব বুজে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ভাবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে সম্ভাব্য ভোটার হিসাবে কনভার্ট করে একটি স্ট্রাটেজি ঠিক করেছে।
এই মুহুর্তে আমাদের তরুনরা সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্টে গড়ে ৬.৫ সেকেন্ড সময় ব্যায় করে। যা এই প্রজন্মের অস্থিরতা বা কোন প্রবলেমের দ্রুত সমাধান খোঁজাকেই নির্দেশ করে। ফলে আপনি যখন রাজনৈতিক কন্টেন্টে সেই পুরানো গৎবাঁধা ষড়যন্ত্র তত্ব কপচান – আপনার টার্গেট কাস্টমার বা ভোটার সেটা ছুঁয়েও দেখে না। আমাদের তরুনরা নানা কারনে হতাশাগ্রস্থ। ফলে তারা আশার কথা শুনতে চায়, ইতিবাচক কিছু করতে চায়। সেই কারনেই আপনি লক্ষ্য করবেন – জামাত কৌশলগত কারনে নানা ধরনের “ইতিবাচক” আচরনকে ব্র্যান্ডিং করছে। যেমন রাজনৈতিক ব্যাপারে সহবস্থান, ভিন্ন মতকে সম্মান ইত্যাদি। একই সাথে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দি দলের বিভিন্ন নেতিবাচক ব্যাপারকে দলীয় কর্মী বাহিনী দিয়ে অর্গানিকভাবে মার্কেটিং করে একটা নেগেটিভ ব্র্যান্ড ভ্যালু স্টাবলিশ করা। যেমন বর্তমানে বিএনপির ব্র্যান্ড রিকোগনাইজেশন হচ্ছে টেম্পু স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজ।
এই বিষয়টির কাঠামো জামাত এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যার কাঠামো বিকেন্দ্রিক এবং খুবই ইউনিক সহজ ভাষায় অনেকটা ব্লক চেইন প্রযুক্তির মত। তাদের পিআর এক্টিভিটির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই ডাকসু নির্বাচন।
অন্য দিকে বিএনপি এখনও এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের জন্য কিছু গৎবাঁধা রাজনৈতিক বুলিই আউড়ে যাচ্ছে। ছোট খাটো কারচুপি অবশ্যই হয়ত হয়েছে। কারন প্রশাসনে জামাত পন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তা আছেন। এটাও জামাতের পিআর এর একটা অংশ। আমি জানি না বিএনপিতে কি আদৌ কোন স্ট্রেটেজিক পিআর টিম আছে কি না।
ডাকসু নির্বাচনে শিবির একচ্ছত্র ভাবে বিজয়ী হয়েছে কারন তাদের ছিলো একটি কম্প্রিহেন্সিভ ও রিসার্চ-বেসড স্ট্র্যাটেজি; পর্যাপ্ত ও টেকসই ফান্ডিং মেকানিজম, দক্ষ ও সংগঠিত পিআর টিম এবং সর্বোপরি, তরুণ প্রজন্মের সাথে সংযোগ স্থাপনে উপযোগী কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ।
আর একটি বিষয়, শিবির ভোট পেয়েছে কারন তারা নতুন প্রজন্মের ভাষায় কথা বলার কৌশল রপ্ত করতে পেরেছে। তারা এই কারনে ভোট পায় নি যে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঠুনকো হয়ে গেছে। যারা এটা প্রমান করতে চায় যে তরুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা ঠুনকো হয়ে গেছে – তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তবে একশতে কিছু ব্যতিক্রম থাকবেই - এদের নিয়ে সময় নষ্ট না করলেও চলবে।
ফলে জামাতের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে হলে আপনাকে যৌক্তিক ন্যারেশন স্টাব্লিশ করতে হবে। মাঠের সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রযুক্তিগতভাবে টক্কর দিতে হবে। আমি জানি না বিএনপির নীতি নির্ধারকরা এই ব্যাপারে কতখানি আগ্রহী। দেখা যাবে অধিকাংশ নেতা পিআর মানে শুধু বুস্টিং ভেবে বসে আছে। পরে বুস্টিং ফান্ড নিয়ে আরেক ক্যাচাল।
যাইহোক, জামাত সম্পর্কে আমার মুল্যায়ন হচ্ছে - জামাত হচ্ছে সেই জামাই যে বাসর ঘরে ঢোকার আগ পর্যন্ত নিজেকে খুব সাধু হিসাবে প্রমান করার চেষ্টা করে। কিন্তু ঢোকার পর দেখা যায় - জনি সিন্স।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩০
জাদিদ বলেছেন: তারা কানিং!
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: জাদিদভাই নতুনদেরকে আপনারা প্রথমপাতায় লেখার সুযোগ দেন না কেন?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৯
জাদিদ বলেছেন: সরি। আমি বিষয়টি জানি না। আপনি কি মেইল করেছেন? যদি করে থাকেন তাহলে আমাকে একটু জানান। আমি টিমকে বলব।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: জামাত সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন নিঃসন্দেহে যথার্থ।
তবে আমি মনে করি বিষয়টা এত জটিল নয়। জামাত প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। আর তারা ফেসবুকের মাধ্যমে সেগুলোকে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৩
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: জামায়াত বহু অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি রাজনৈতিক দল।যাদের দূরদর্শিতা প্রশংসনীয়